বরগুনার তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ ২ মিনিট ৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে মিঠু ওই নারীর সঙ্গে বেশ অন্তরঙ্গ অবস্থায় সময় কাটাচ্ছেন। এতে সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আপত্তিকর ভিডিও ফাঁসের অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রলীগ ।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল ) রাত ১১টার দিকে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এতে বলা হয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
ভিডিও ফাঁসের পর বরগুনার তালতলী থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে গত শুক্রবার একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটির বাদী নিশানবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চু। ওই নারীকে পর্নোগ্রাফির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য জানান, আমার নাতনিকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করেছে প্রভাবশালীরা। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করছি।
এদিকে তালতলী থানায় করা ওই মামলার আসামি দুইজন। ভুক্তভোগি ওই নারী এবং জাহিদুল ইসলাম সবুজ নামে এক ব্যক্তি। ইতোমধ্যে সবুজকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সবুজের স্ত্রী মেহেরুন মিমের দাবি, ধর্ষণের বিচার চাওয়ায় ঈদের দিন বিকেলে তার স্বামীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা মুঠোফোনে বলেন, সংগঠনকে গতিশীল করতে মেয়াদোত্তীর্ণ তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দ্রুত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে। ছাত্রলীগ নেতার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।