এইমাত্র
  • খালেদা জিয়া তত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় গ্রেফতার এবং বন্দি: কাদের
  • দুপুরে যে ৬ জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা
  • জয়দেবপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালকসহ আহত ৪
  • কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার
  • কারামুক্ত হলেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক
  • অপহরণের শিকার ১২ বাংলাদেশিকে মুক্তি দিল আরাকান আর্মি
  • জয়ের মিশন নিয়ে সন্ধ্যায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
  • মামুনুল হক কখন মুক্তি পাচ্ছেন, জানাল কারা কর্তৃপক্ষ
  • এবার রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু
  • কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতকে যা যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
  • আজ শুক্রবার, ২০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৩ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    ঝিনাইদহে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ক্ষোভ, দীর্ঘ হচ্ছে প্রসূতি মায়ের লাশের সারি!

    মাহফুজুর রহমান উদয়, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫০ পিএম
    মাহফুজুর রহমান উদয়, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫০ পিএম

    ঝিনাইদহে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ক্ষোভ, দীর্ঘ হচ্ছে প্রসূতি মায়ের লাশের সারি!

    মাহফুজুর রহমান উদয়, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫০ পিএম

    ঝিনাইদহের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। সদর হাসপাতালের লিফট মাসের পর মাস বন্ধ। কতিপয় চিকিৎসকদের অবহেলা ও দুর্ব্যবহার, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দুগর্ন্ধ। খাবারের মান নিম্নমুখী। সর্বোপরি লোকবলের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা পদে পদে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

    এ নিয়ে মানুষ প্রকাশ্যে ও গোপনে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সেই প্রতিবাদের ঢেও আছড়ে পড়ছে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও।

    স্বাস্থ্য বিভাগের এই বেহাল দশা নিরসনে ঝিনাইদহে কোন ‘কান্ডারী’ নেই। জনপ্রতিনিধি থাকলেও তারা ব্যস্ত আছেন নিজেদের ব্যবসা ও সুনাম অর্জনের কৌশল নিয়ে। অবহেলিত চিকিৎসা প্রত্যাশীরা তাদের কাছে যাওয়ার সুযোগ পাননা। ইচ্ছা করলেও তাদের সঙ্গে দেখা মেলে না। এ অবস্থায় অভিভাবকশুন্য হয়ে পড়েছেন তারা।

    এদিকে বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে প্রসূতি মায়ের লাশের সারি লম্বা হচ্ছে। এক মাসে অন্তত ৬ জন মায়ের মৃত্যু হয়েছে। চলমান নাজুক পরিস্থিতি সামাল দিতে কঠোর কোন পদক্ষেপ নেই। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ যেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে আছে।অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে অসহায় মানুষের আহাজারি শোনার কেউ নেই।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরী ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের আমিন বিশ্বাসের স্ত্রী লিপি খাতুনকে গত ১৬ এপ্রিল জেলা শহরের শামিমা ক্লিনিকে সন্তান প্রসবের জন্য ভর্তি করা হয়েছিলো। লিপি খাতুন সুস্থ সবল ভাবে অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করলেও সিজারের সময় তার কিডনির একটি রক্তনালী কেটে ফেলা হয়।পরে তাকে পুলিশ দিয়ে জোর পূর্বক ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালের আইসিইউতে পাঠানো হয়। যাওয়ার সময় ৩৫ হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় ওই হতদরিদ্র পরিবারকে।

    এর আগে গত ১২ এপ্রিল ওই একই ক্লিনিকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভবিতপুর গ্রাামে রিনা খাতুন (২২), গত ২৫ মার্চ আরাপপুরের রাবেয়া হাসপাতালে শারমিন, গত ২৯ মার্চ কালীগঞ্জের দারুসশেফা ক্লিনিকে ও শহরের হামদহ এলাকার প্রিন্স হাসপাতালে একাধিক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়।

    এদিকে গত বৃহস্পতিবার (১৮এপ্রিল) জেলা শহরের শামিমা ক্লিনিকসহ ৬টি বেসরকারী হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন, সিভিল সার্জন ডাঃ শুভ্রা রানী দেব নাথ।

    বন্ধ ক্লিনিকগুলোর মধ্যে রয়েছে, ঝিনাইদহ শহরের শামিমা ক্লিনিক, হাবিবা ক্লিনিক, স্মৃতি ক্লিনিক, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, হাবিবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

    এদিকে শামিমা ক্লিনিকে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) খুলনার পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    সিভিল সার্জন ডাঃ শুভ্রা রানী দেব নাথ জানান, সিজার করার সময় যেসব ঔষুধ কিংবা স্যালাইন ব্যবহার করা হয় সেগুলো ভেজাল বা নকল বলে কোন কোন ডাক্তার দাবী করছেন। ফলে ওটিতে ব্যবহৃত স্যালাইনসহ ঔষুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঔষুধ প্রশাসনের কাছ থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ফলাফল জানানো হবে। ঔষুধের কারণে মৃত্যু ঘটছে দায়ী চিকিৎসকরা দাবী করলেও ঢাকায় পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ওই সব প্রসুতির কারো কিডনির রক্তনালী ও কারো জরায়ু কাটার অভিযোগ রয়েছে। সিভিল সার্জন আরো জানান, শিঘ্রই জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে জেলার মানহীন ক্লিনিক ডায়গনষ্টিক সেন্টার গুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচলনা করা হবে।

    ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মিথিলা ইসলাম বলেছেন, চলতি মাসে ৫০টির বেশী সিজার হয়েছে। এর মধ্যে মত্যৃ হয়েছে ৬ জনের। তিনি বলেন বেশীর ভাগ বেসরকারী ক্লিনিকে পোষ্টঅপারেটিভ ব্যবস্থা নেই।

    ঝিনাইদহের ড্রাগ সুপার সিরাজুম মনিরা জানিয়েছেন, ঝিনাইদহ জেলা শহরের শামিমা ক্লিনিক ও বেসরকারী প্রিন্স হাসপাতালে প্রসুতি মৃত্যুর পর ওটিতে ব্যবহৃত স্যালাইন, ইনজেকশন ট্যাবলেটসহ ১৭টি আইটেম পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা গুলো পরীক্ষার জন্য ঔষুধ প্রশাসনের ড্রাগ টেষ্টিং ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। লিবরা কোম্পানীর হার্টসল স্যালাইনের পরীক্ষার ফলাফল ইতিমেধ্য তারা হাতে পেয়েছেন। ওই ফলাফলে স্যালাইনে কোন ত্রুটি পাওয়া যায়নি। বাকী ১৭টির ফলাফল আসতে ১৫ দিন লাগবে বলে তিনি জানান।

    পিএম

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…