শরীয়তপুর পৌরসভার দক্ষিণ মধ্যপাড়ায় রাতের আঁধারে সরকারি জমিতে বালু দিয়ে ভরাটের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে শরীয়তপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৮২ নং দক্ষিণ মধ্যপাড়া মৌজায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১৫ এপ্রিল শরীয়তপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সরকারি জমির রক্ষায় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নির্দেশ দিয়েছেন। তবে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে সরকারি জমি ভরাট করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
অভিযোগ সূত্রে জানা জায়, শরীয়তপুর পৌরসভার দক্ষিণ মধ্যপাড়া গ্রামে ব্রাক ব্যাংক সংলগ্ন ৮২নং দক্ষিণ মধ্যপাড়া মৌজার বি আর এস ১/১ খতিয়ানের ১৬ ও ১৭ নং দাগে মোট ৩৯ শতাংশ জমি সরকারের। উক্ত জমি নিয়ে মৃত জালাল উদ্দীন খন্দকারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আদেল উদ্দিন খন্দকারের সাথে একই এলাকার মৃত সাত্তার সরকারের ছেলে কামাল হোসেন চান মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে। গত ১৮ মার্চ বীর মুক্তিযোদ্ধা আদিল উদ্দিন খন্দকারের ভাই সাবেক পুলিশ সদস্য কামাল হোসেন বাদী হয়ে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত স্থিতিবস্তা বজায় রাখার স্বার্থে মামলা চলাকালীন আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখাতে ওই নালিশী জমিতে ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করেন। বর্তমানে ১৭ দাগের এই মামলাটি ১৪৪/১৪৫ ধারা চলমান রয়েছে।
এছাড়াও গত ১৫ই এপ্রিল ৮২ নং দক্ষিণ মধ্যপাড়া মৌজার বি আর এস ১/১ খতিয়ানের ১৬ নং দাগে পিটিশন নং ৭৩/২০২৪ আরেকটি মামলায় রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে সরকারি সম্পত্তির রক্ষায় শরীয়তপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিকে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে শনিবার (২০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কামাল হোসেন চান মিয়া গংরা বিরোধপূর্ণ জমিতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ভরাট করছেন বলে অভিযোগ এই মুক্তিযোদ্ধার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আদিল উদ্দিন খন্দকার বলেন, অনেকদিন যাবত ভূমিদস্যুরা আমার ক্রয়কৃত দখলীয় জমি জোরপূর্বক দখল করার পায়তারা করে আসছে। কিছুদিন পূর্বে সন্ত্রাসী ভাড়া করে তারা সরকারি সহ আমার কিছু মালিকানা জমি দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় নিরুপায় হয়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আদালতের শরণাপন্ন হই। আদালত গত ১৫ই এপ্রিল ওই জমিতে দখল ঠেকাতে শান্তিপূর্ণ অবস্থা রক্ষার জন্য সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তারা আদালতের নির্দেশ না মেনে শনিবার রাতে উক্ত জমিতে বালু দিয়ে ভরাটের চেষ্টা করে। এখনো পর্যন্ত প্রশাসন সরকারি জমি রক্ষায় কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
অভিযুক্ত কামাল হোসেন চান মিয়া বলেন, আদালতের রায়ের পরে আমরা বালু ভরাটের কাজ করছি। এই জমিটি আমাদের। আমরা সরকারের থেকে মামলা করে ডিগ্রী পেয়েছি।
এ নিয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। আগামীকাল সকালে অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা করুন করব।
নয়ন দাস/পিএম