সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৩ হাজার ৫৭ জন। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই ফল প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু ফল প্রকাশের পর থেকেই পরীক্ষার চারটি কোডের মধ্যে সুরমা ও পদ্মা কোড পাওয়া শিক্ষার্থীরা ফল নিয়ে কোনো অভিযোগ না করলেও মেঘনা ও যমুনা সেট পাওয়া অনেক পরীক্ষার্থী ফল না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে জোর সমালোচনা।
পরীক্ষার্থীদের একাংশ অভিযোগ করেন, অনেক ভালো পরীক্ষা দিলেও তাদের ফল আসেনি। প্রথমে তারা বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবে নিয়েছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এমন অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। যার কারণে তারা ফেসবুকে গ্রুপ খুলেছেন। সেখানে সংশ্লিষ্ট দুই সেটের ফল নিয়ে অভিযোগকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তারা আইনি প্রক্রিয়ার দিকে যেতে পারেন বলেও জানিয়েছেন।
কবির হোসেন নামে একজন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, তিনিসহ মেঘনা ও যমুনা সেটকোডের অনেকেই ৭০ পেয়েও তাদের ফল আসেনি। অথচ ৫৮ পেয়েও অন্য দুই সেটের পরীক্ষার্থীরা টিকে গেছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, তিন লাখ প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। তার মধ্যে কেউ উত্তীর্ণ না হলে এর মানে নির্দিষ্ট সেট কোডের কেউই উত্তীর্ণ হয়নি?
তিনি বলেন, অধিদপ্তরের ডিজির (মহাপরিচালক) কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি এই দুই সেট থেকে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তাহলে এসব অভিযোগ কেন আসছে? তারপরও আমরা পুনরায় যাচাই করব।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৪ জুন এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আর গত ২৯ মার্চ এই দুই বিভাগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ফলাফল পাওয়া যাবে।