এইমাত্র
  • ফেলে দেওয়া টি ব্যাগের যত ব্যবহার
  • রাজবাড়ীতে ভোট দি‌তে এসে স্ট্রোক ক‌রে বৃদ্ধের মৃত্যু
  • টেকনাফে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  • অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন বনি-কৌশানী জুটি
  • টাঙ্গাইলে একটি কেন্দ্রে তিন ঘণ্টায় ১ ভোট!
  • দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৭-৮ শতাংশ: ইসি অতিরিক্ত সচিব
  • আজ ধ্যানমগ্ন হয়ে সময় পার করবেন বিশ্বের ৫০ কোটি মানুষ
  • দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে
  • দেশের যে ১২ জেলায় ঝড়ের আভাস
  • ইসরায়েলের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়ে যা বললেন বাইডেন
  • আজ মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২১ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    বরগুনায় ঝুঁকিপূর্ণ ২৬৬ সেতু, ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

    মাহমুদুর রহমান, বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
    মাহমুদুর রহমান, বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম

    বরগুনায় ঝুঁকিপূর্ণ ২৬৬ সেতু, ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

    মাহমুদুর রহমান, বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম

    বরগুনা জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে প্রতিদিন লাখো মানুষের চলাচল। বরগুনায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) হালকা যান চলাচল প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ২৬৬টি লোহার সেতু সংস্কারের অভাবে এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

    স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) বরগুনা কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে এলজিইডির আওতায় ‘হালকা যান চলাচল প্রকল্পের’ অধীনে এসব সেতু নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে বরগুনা সদরে ৩৫টি, বেতাগীতে ৪৬, বামনায় ৩৬, পাথরঘাটায় ৬২, আমতলী উপজেলায় ৮৭টি ও তালতলীসহ প্রায় ৩০০ সেতু নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পটি ২০০৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি না করায় এসব সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতে আর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি, যা এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

    সেতু পারাপারে প্রায়ই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। বর্তমানে অধিকাংশ সেতু মানুষ পারাপারে অনুপযোগী হয়ে আছে। কোথাও কোথাও স্থানীয়রা বাঁশ, কাঠ দিয়ে কোনোমতে চলাচল করলেও এসব সেতু দিয়ে চলাচলে প্রায়ই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।

    প্রায় ২০ বছর আগে তালতলীর কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের সানুর বাজারে বেহালা খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। ৮ বছর আগে সেতুটি ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা কাঠ, বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে পারাপার হচ্ছে।

    স্থানীয়দের দাবি, ভাঙা সেতু দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পার না হতে পারায় সেতু সংলগ্ন সাঁকোতেই প্রকাশ্যে সন্তান প্রসব করেছেন এক প্রসূতি। সাঁকো দিয়ে এরইমধ্যেই খালে পড়ে আহত হয়েছে শিশু সহ অনেকে। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার ওই এলাকার অন্তত ২০ হাজার মানুষ।

    বেহেলা গ্রামের মলয় হাওলাদার বলেন, ব্রিজ ভাঙা থাকার কারণে অ্যাম্বুলেন্স গ্রামে ঢুকতে পারে না। আমাদের বেহেলা গ্রামে ৪-৫ জন প্রসূতি নারীর বাচ্চা প্রসব হয়েছে ট্রলারে বসে। এরকম ব্রিজ আমাদের গলার কাটা। ব্রিজ না থাকলে ভালো হতো নতুন ব্রিজ হতো হয়তো।

    এ বিষয়ে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কথা না বললেও ভাঙা সেতুগুলো দ্রুত মেরামতের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় এমপি। এ অবস্থা শুধু বেহালা ও শারিকখালী খালে নয়, জেলার ৬ উপজেলায় প্রায় ৩শ’টি লোহার সেতুর একই অবস্থা।

    বরগুনার জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, যেখানে মানুষের বেশি দুর্ভোগ হচ্ছে আমরা চেষ্টা করছি সেগুলো সমাধান করার। যদি জেলা পরিষদের পক্ষে কাজগুলো করা সম্ভব হয় তাদের মাধ্যমে ব্রিজগুলো মেরামত করানোর চেষ্টা করবো। তাদের আওতায় না থাকলে এলজিইডির মাধ্যমে এই ব্রিজগুলো মেরামত করার চেষ্টা করা হবে।

    বরগুনা ১ আসনের এমপি গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং আমার ধারণা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে যতগুলো ব্রিজ সম্পূর্ণ করা যায় তারা সেটা দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করবেন।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…