এইমাত্র
  • যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও হারল বাংলাদেশ
  • হায়দরাবাদকে অপেক্ষায় রেখে ফাইনালে কলকাতা
  • উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা
  • হৃদয়-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে মান বাঁচল বাংলাদেশের
  • আজমিরীগঞ্জে খড়ের স্তুপ থেকে পড়ে কৃষকের মৃত্যু
  • কিশোর-কিশোরীদের জন্য সোশাল মিডিয়া নিষিদ্ধের পক্ষে আলবেনিজ
  • যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
  • জাপানে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প
  • দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৭৮৪ ডলার
  • ট্রাম্পের পক্ষের সাক্ষীকে বিচারকের হুমকি
  • আজ বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২২ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেয়ে তরুণীর নদীতে ঝাঁপ, লাশ উদ্ধার

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১ মে ২০২৪, ১০:০১ এএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১ মে ২০২৪, ১০:০১ এএম

    পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেয়ে তরুণীর নদীতে ঝাঁপ, লাশ উদ্ধার

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১ মে ২০২৪, ১০:০১ এএম

    বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রত্যাশামতো কোথাও ভর্তির সুযোগ পাননি। অভিমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন পিউ কর্মকার (১৮) নামের এক তরুণী।

    গতকাল মঙ্গলবার রাত সোয়া আটটার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

    পিউ কর্মকারের বাড়ি রাজবাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদপুর গ্রামের দুই নম্বর রেলগেট এলাকায়। রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে পিউ ছিলেন মেজ।

    পিউয়ের চাচি জানান, আজ বিকেলের দিকে বাড়ি থেকে বের হন পিউ। সন্ধ্যার পরও বাড়ি ফেরেননি। এরপর ফেসবুকে পিউর পোস্ট দেখতে পেয়ে স্বজনেরা শহরের গোদারবাজার ও সোনাকান্দর ঘাট এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেন। পরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। রাত সোয়া আটটার দিকে সোনাকান্দর ঘাট এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। পরে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ওই তরুণী মারা গেছে।

    পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে পিউ কর্মকার ফেসবুকে পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘বাবা-মার অনেক স্বপ্ন ছিল আমাকে নিয়ে। কিন্তু আমি কিচ্ছু দিতে পারি নাই...।’ পোস্টের শেষের দিকে হতাশার কথা উল্লেখ করে পিউ লেখেন, ‘সারাটা দিন ঘরের মধ্যে একা একা বসে থাকি। মানুষের কত ফ্রেন্ড, কত কিছু। কিন্তু আমি আমার পাশে কাউকে পাই নাই...হয়তো আমাকে সাপোর্ট করার মতো কেউ থাকলে আজকে এই মৃত্যুটা হইত না। ...আমার মৃত্যুর জন্য আমার বড় বড় স্বপ্নগুলোই দায়ী। আমি আমার বাবা-মার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি নাই।’ পোস্টের শেষে সবার কাছে ক্ষমা চান এই তরুণী।

    রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…