এইমাত্র
  • যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও হারল বাংলাদেশ
  • হায়দরাবাদকে অপেক্ষায় রেখে ফাইনালে কলকাতা
  • উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা
  • হৃদয়-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে মান বাঁচল বাংলাদেশের
  • আজমিরীগঞ্জে খড়ের স্তুপ থেকে পড়ে কৃষকের মৃত্যু
  • কিশোর-কিশোরীদের জন্য সোশাল মিডিয়া নিষিদ্ধের পক্ষে আলবেনিজ
  • যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
  • জাপানে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প
  • দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৭৮৪ ডলার
  • ট্রাম্পের পক্ষের সাক্ষীকে বিচারকের হুমকি
  • আজ বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২২ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    গরু-ছাগলের মতো বিক্রি হয়ে মাঠে পুইরা কাজ করি, শ্রম দিবস কী বুঝিনা

    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ মে ২০২৪, ১১:৪৪ এএম
    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ মে ২০২৪, ১১:৪৪ এএম

    গরু-ছাগলের মতো বিক্রি হয়ে মাঠে পুইরা কাজ করি, শ্রম দিবস কী বুঝিনা

    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ মে ২০২৪, ১১:৪৪ এএম

    তপ্ত দুপুরে মাঠের পাশে ধানের খলায় কাজ করছেন কয়েকজন শ্রমিক। তারা সবাই একদিনের জন্য বিক্রি হয়েছেন শ্রমের জন্য। মাথার ঘাম টপটপ করে গড়িয়ে পড়ছে। গামছা দিয়ে বার বার ঘাম পরিস্কার করছেন।

    শ্রম দিবস বিষয়ে জানতে তাইলে তাদের মধ্যে আকাশ (৫৬) মরম আলী (৩৬) সবুজ (৩০) বলেন, শ্রম দিবস কী বুঝিনা আমরা। কাম করি খাই, আমাদের আবার কিসের অধিকার?। রোজ সহালে কামের জন্য আইসা বইসা তাহি। লোকজন আইসা পছন্দ হইলে দরদাম কইরা রোজ চুক্তিতে নিয়া যায়। অনেকটা গরু ছাগলের হাটের মতো। সারাদিন কাম করি। সহালে আবার ফজরের পর উইঠা পরতে হয়। এই হইলো আমাদের জীবন ভাই। কথাগুলো বলছিলেন তারা।

    কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলাসহ হাওর অঞ্চলে এখন পুরাপুরি ধান কাটার মৌসুম চলছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজের লোক স্থানীয় ভাষায় (দাওয়াইল্লা)'রা কাজের জন্য আসেন। এর মধ্যে অনেকেই অস্থায়ী শ্রমিক আবার অনেকেই সবসময়ই কাজ করেন। অনেকেই বিভিন্ন স্টেশন, স্কুলের বারান্দায় শুয়ে রাত কাটান।

    শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কটিয়াদী বাস্ট্যান্ডে প্রতিদিন ভোর সকালে তারা দলবেঁধে অপেক্ষা করতে থাকেন। যাদের শ্রমিক প্রয়োজন তারাও সকালে এসে দরদাম করে নিয়ে যায়। এটি এখানকার অনেক পুরনো হাট। দেখলে মনে হবে মানুষ বিক্রির হাট। তবে এখানে মানুষ নয় শ্রম বিক্রি হয়।

    শ্রমিকরা বলেন, রোজ কাজ করে যা ইনকাম হয় তা জমানো সম্ভব হয়না। পরিবার নিয়ে চলতে তাদের কষ্ট হয়। অসুস্থ হলে তো রোজগার বন্ধ। চিকিৎসার অভাবে বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে থাকতে হয়। বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম বেশি। সেইভাবে তাদের শ্রমের দাম তো বৃদ্ধি হয়নি। কোনরকম বেঁচে থেকে জীবনটা পার করাই লক্ষ্য।

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…