কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মাঠে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে দিয়ে চলছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। এলাকাজুড়ে এখন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনীর আমেজ। এরমধ্যে সব চাইতে কেন্দ্রীয় আলোচনার বিষয় হল বাবা-ছেলে ও দেবর-ভাবির প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রতিটি ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজের পরিবারসহ কর্মীদের নিয়ে ছুটছেন নিজেদের প্রচারপ্রচারণার জন্য। সাথে দিচ্ছেন হাজারো রকমের প্রতিশ্রুতি। উপজেলার সর্বত্রই জনসাধারণদের মাঝে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বিভিন্ন প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা।
এবার খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবুল আখতার মোটরসাইকেল প্রতীক, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাসুম মুর্শেদ শান্ত ঘোড়া প্রতীক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানের ভাই রহিম উদ্দিন খান দোয়াত-কলম প্রতীকে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রহিম খানের ছেলে শাওন মামুদ খান কাপ-পিরিচ প্রতীক, ছালেহা বেগম আনারস ও ছালেহা বেগমের দেবর সাইফুল ইসলাম হেলিকপ্টর প্রতীক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
এবারের এই উপজেলা নির্বাচনে আলোচনা সমালোচনায় সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছেন ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওহিদুল ইসলামের সহধর্মিণী সালেহা বেগম। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে করছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আপন দেবর মো. সাইদুল ইসলাম। তিনি হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে ভাবির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খানের ছোট ভাই মো. রহিম উদ্দিন খান দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তার ছেলে শাওন মাহমুদ খান কাপ-পিরিচি প্রতীক নিয়ে নিজ বাবার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই বিষয়টি নিয়ে ভোটারদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা রয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবু আনসার জানান, খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। নির্বাচন কমিশন থেকে ৫০টি কেন্দ্রে মোট ৩৪২টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৬ হাজার ৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৮ হাজর ৫২২ জন এবং নারী ভোটার ৫৭ হাজার ৪৮৬ জন।
এসএফ