এইমাত্র
  • ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশিদের ওপর ৩ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিল ভারত
  • মেসির চুক্তির সেই ন্যাপকিন পেপার নিলামে, বিক্রি ১১ কোটি টাকায়
  • কানে কাতান মিডি ড্রেসে মুগ্ধতা ছড়ালেন ভাবনা
  • কান উৎসবে হাজির হলেন অন্তঃসত্ত্বা বাংলাদেশি অভিনেত্রী
  • ইসরায়েলের বিস্ফোরক বহনকারী জাহাজকে নোঙর করতে দেয়নি স্পেন
  • সরকারের ধারাবাহিকতার কারণে এতো উন্নয়ন: কাদের
  • চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
  • টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
  • কোরবানির বাকি এক মাস, খামারে এখনই গরু বিক্রির ধুম!
  • রংপুরে ৫ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ২
  • আজ শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৮ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    মিরপুর মাজারকে ঘিরে দূর্নীতিবাজদের বিচার হবে: নিখিল

    রাজু আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা প্রকাশ: ৪ মে ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম
    রাজু আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা প্রকাশ: ৪ মে ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম

    মিরপুর মাজারকে ঘিরে দূর্নীতিবাজদের বিচার হবে: নিখিল

    রাজু আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা প্রকাশ: ৪ মে ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম

    ঢাকা-১৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল (এমপি) বলেছেন,ক্ষমতায় থেকে মিরপুরের হযরত শাহ আলী (র) মাজার শরীফ কমপ্লেক্স পরিচালনাকালে মাজার শরীফ কমপ্লেক্সকে পুঁজি করে মাজারের নিজস্ব সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাত থেকে অনেকেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনাসহ চিহ্নিত দূর্ণীতিবাজদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হবে।

    শনিবার (৪ মে ) সন্ধ্যায় মাজার শরীফের দ্বিতীয় তলার হল রুমে আয়োজিত মাজারের বার্ষিক উরস শরীফ উৎযাপন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

    এ সময় আলোচনা সভায় উপস্থিত মাজার শরীফ পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সাবেক কমিটির কিছু নেতাকর্মী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্য করে এমপি মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, পরের পকেটের টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয়াই যেন আমাদের বৈশিষ্ট্য। পূর্বে যারা মাজার শরীফ পরিচালনায় ছিলেন, মানুষের কাছে তারা আমাদেরকে ঘৃণার পাত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এসময় তিনি মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হানিফের নাম উল্লেখ করে আরো বলেন, এক হানিফ সাহেব নাকি ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন?

    এ সময় সভায় উপস্থিত ডিএনসিসির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মাজার শরীফ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মোল্লা এমপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে জানতে চান, তারা (ভুক্তভোগী) টাকা দেয় কেন?

    এমন প্রশ্নের জবাবে কাউন্সিলরের উদ্দেশ্যে সাংসদ নিখিল বলেন, তোমরা এমন প্রশ্ন করো না- দেয় কেন? কারণ তাদেরকে একরকম বড়শিতে আটকে দেওয়া হয়েছে-যাবে কই? তোমরা শুধুমাত্র কাঁচা বাজার থেকেই তো এক ছেলের নিকট থেকে দেড় কোটি টাকা নিয়েছো। এখন আমি ক্ষমতায় আছি চাইলে আমাকেও দিবে। তার গলায় বড়শি আটকে দিয়েছো। তোমরা কি কম বুঝ নাকি এসব? ক্যামনে মানুষের পকেটের পয়সা নিতে হয়? আমি ধরবো তো এসব। 'এ মার্কেট নিয়ে বলা হয়েছে ডিআইটি মার্কেট নির্মাণের অনুমোদন দেবে না'; কাউন্সিলরের এমন প্রশ্নের জবাবে এমপি বলেন, দেবে কি দেবে না সেটি আমি বুঝব। এ নিয়ে তোমাদেরকে কথা বলতে হবে না। তোমরা চুপ থাকো।

    এ সময় তিনি মাজার শরীফের জমিতে নির্মিত পাইকারি কাঁচাবাজারের দোকান ভাড়া ও জামানত প্রসঙ্গে উপস্থিত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখানে দুটি ক্যাটাগরিতে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। ছোট ও বড়। বড় দোকানের জন্য জামানত হিসেবে ১৮ লাখ টাকা এবং ছোট দোকানের জন্য ১৫ লাখ টাকা জামানত ধরা হয়েছে। এ সময় এক ব্যবসায়ী উঠে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করেন, ভাড়াটিয়া হিসেবে দিলে জামানত বড়জোর এক থেকে দেড় লাখ টাকা হতে পারে। ১৮ লাখ টাকা জামানত নেওয়াটা অযৌক্তিক হয়না?

    এ প্রশ্নের উত্তরে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে সাংসদ নিখিল আরো বলেন, আমরা মাজার পরিচালনা কমিটির সাথে আলোচনা করেছি। আমরা আপনাদের স্বার্থও চাই, মাজারের স্বার্থও চাই। বড়-ছোট আকার অনুপাতে ১৮ লাখ টাকা ও ১৫ লাখ টাকা জামানত এটা ঠিক থাকবে। কাঁচা বাজারে একেকটি ছোট দোকানের জন্য ৮ হাজার টাকা আর বড় দোকানের জন্য ১০ হাজার করে ভাড়া মাসিক ভাড়া দিবেন।

    এ সময় কয়েক ব্যবসায়ী ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা ৮৭ সালে পজিশন বরাদ্দ বাবদ দোকানের জন্য টাকা দিয়েছিলাম। তখন তো আমাদেরকে ভাড়াটিয়া হিসেবে দোকান দেওয়া হচ্ছে বলা হয়নি। এখন কেন ভাড়াটিয়া হিসেবে আমাদেরকে গণ্য করা হচ্ছে?

    এ প্রশ্নের উত্তরে সাংসদ নিখিল বলেন, ৮৭-৮৮ সালে যারা যে পরিমাণ টাকা জমা দিয়েছিলেন সেই পরিমাণ টাকা হিসাব করে কেটে ১৮ লাখ ও ১৫ লাখ হারে বাকি টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দিবেন। আর আপনাদের কথা বিবেচনা করে ১ টাকা হারে কমিয়ে বড় দোকানের ভাড়া ৯ হাজার এবং ছোট দোকানের ভাড়া বাবদ ৭ হাজার টাকা ধার্য করা হলো।

    এ সময় তিনি আরো বলেন, মাজার শরীফে এতিমদের জন্য মানুষ দান-খয়রাত করেন। মাজার শরীফে অসংখ্য গরীব অসহায় মানুষ ঘোরাফেরা করে। তাদেরকে একবেলা ভালো-মন্দ খাওয়ালেই তারা খুশি। মাজারের এসব অনুদানের অর্থ অট্টালিকা বানানোর কাজে নয়; বরং অসহায় দরিদ্রদের খাইয়ে দিতে হবে।

    এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, একদিকে দীর্ঘদিন ধরেই মিরপুর মাজার শরীফের বিপুল পরিমান সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে বৃহত্তর কাঁচাবাজার আড়ৎ মালিক সমিতি ও বৃহত্তর মিরপুর ফল বাজার আড়ৎ মালিক সমিতির নামে, এমনকি নামে বেনামে বেশুমার চাঁদা আদায়সহ প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে হরিলুটের মহোৎসব চলে আসছিলো। এই বিপুল অংকের চাঁদাবাজি ও মাজার শরীফের বিপুল অংকের অর্থ আত্মসাত খোদ স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদেরই কারসাজি।

    এই অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজির প্রভাব পড়ছিলো রাজধানীর দৈনন্দিন বাজারে। এর ফলে রাজধানীতে কাঁচাসবজির পাইকারী ও খুচরা বাজারে ভোক্তা পর্যন্ত পৌছতে বাজারমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রায় কয়েকগুণ।

    অপরদিকে,ঢাকা-১৪ আসনের নবনির্বাচিত সাংসদ আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল মাজার শরীফ কমপ্লেক্সে ঘিরে এসকল অসংগতি, দূর্নীতি, চাঁদাবাজি,মাজার শরীফের অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িতদের জবাবদিহিতা ও বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। সাংসদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি মাজার শরীফ কমপ্লেক্সটি হয়তো দূর্নীতির থাবা থেকে মুক্তিলাভ করে পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলেও আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…