এইমাত্র
  • আজ থেকে মাঠে নামছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী
  • ইরানে এক ইহুদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে
  • ১২ সেকেন্ডের তেলেসমাতিতে ৩০০ কোটি টাকা চুরি
  • আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম
  • ঝিনাইদহ-১ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী নায়েব আলী
  • মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে এশিয়ায় পিছিয়ে বাংলাদেশের নারীরা
  • টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে দ্রব্যমূল্য কমবে: সাঈদ খোকন
  • অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ মিলল শিক্ষকের বাড়িতে
  • চাঁদপুরে ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ কার্যক্রম শুরু
  • চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং লিডারসহ গ্রেফতার ৮
  • আজ রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪
    ধর্ম ও জীবন

    নামাজে যেভাবে মন স্থির রাখবেন

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৫ মে ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৫ মে ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম

    নামাজে যেভাবে মন স্থির রাখবেন

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৫ মে ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম

    নামাজ মুমিনের শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম ইবাদত। আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার পর একজন মুমিনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে নামাজ। নামাজ হল এমন এক ইবাদত যার মাধমে আল্লাহকে সব থেকে বেশি কাছে পাওয়া যায় তাই এমন ইবাদত আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় ও গ্রহণযোগ্য করতে মনোযোগ ধরে রাখার বিকল্প কিছু নেই।

    নামাজে দাঁড়ালে অনেক সময় এলোমেলো চিন্তাভাবনা আসে। সারাদিনের নানা কথা মনে পড়ে। মাঝে মধ্যে নামাজের রাকাত সংখ্যায় ভুল হয়ে যায়। অনেকেই নামাজে মনোযোগহীনতায় আক্রান্ত। শয়তানও নামাজির মনে নানা কুমন্ত্রণা দেয়। এক হাদিসে রাসুল (সা.) এটিকে ‘শয়তানের ছিনতাই’ বলেছেন।

    হাদিসের ভাষায়, শয়তান বলে , এটা স্মরণ করো, ওটা স্মরণ করো, বিস্মৃত বিষয়গুলো সে মনে করিয়ে দেয়। এভাবে লোকটি এমন পর্যায়ে পোঁছে যে, সে কয় রাকাত নামাজ আদায় করেছে তা মনে করতে পারে না।’ (বুখারি: ৬০৮)

    নামাজে সার্বক্ষণিক মনোযোগ ধরে রাখতে কিছু বিষয়ের ওপর গুরুত্ব বাড়াতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নিই, নামাজে মনোযোগ ধরে রাখার বিশেষ উপায়গুলো

    নামাজে ‘হুজুরে দিল’ বা একাগ্র থাকা; এটি নামাজের প্রাণ। এমনভাবে নামাজ পড়তে হবে যেন আল্লাহ আমাকে দেখছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর ইবাদত করো এমনভাবে যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫০; মুসলিম, হাদিস : ৮)। তাই নামাজে অন্তরের উপস্থিতি ও স্থিরতা থাকা প্রয়োজন।

    নামাজে যা কিছু পাঠ করা হয়, তা বিশুদ্ধ উচ্চারণে পড়ার চেষ্টা করুন। এটি অন্তরের উপস্থিতিকে আরো দৃঢ় করে। অন্তত, সূরা ফাতিহা ও তাসবিহগুলোর অর্থ বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘স্পষ্টভাবে ধীরে ধীরে কোরআন তেলাওয়াত করো।’ (সূরা : মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ৪)। নামাজে আল্লাহর প্রতি ‘তাজিম’ বা ভক্তি-শ্রদ্ধা প্রদর্শন করুন। কেননা; আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা আল্লাহর সম্মুখে দণ্ডায়মান হও বিনীতভাবে।’ (সূরা : বাকারা, আয়াত : ২৩৮)। কাজেই ধীরস্থিরতা অবলম্বন করুন। আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিকৃষ্টতম চোর হলো সেই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’

    নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করুন। ভাবুন, এই নামাজই হয়তো বা আপনার জীবনের শেষ নামাজ। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে জনৈক ব্যক্তি সংক্ষিপ্ত উপদেশ কামনা করলে তিনি তাকে বলেন, ‘যখন তুমি নামাজে দণ্ডায়মান হবে তখন এমনভাবে নামাজ আদায় করো, যেন এটিই তোমার জীবনের শেষ নামাজ।’ (ইবনে মাজাহ, মিশকাত, হাদিস : ৫২২৬)।

    নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে কল্যাণ আশা করুন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সূরা : বাকারা, আয়াত : ৪৫)।

    নামাজে নিজের গুনাহর কথা চিন্তা করে আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হওয়ার কথা ভেবে নিজের মাঝে ‘হায়া’ বা লজ্জাশরম নিয়ে আসুন। দণ্ডায়মান অবস্থায় একজন অপরাধীর মতো মস্তক অবনত রেখে এবং দৃষ্টিকে সিজদার স্থানের দিকে নিবদ্ধ রাখুন।

    ওপরের ছয়টি বিষয় অনুসরণ করলে নামাজে মনোযোগ তৈরি হবে। হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজের সময় হলে সুন্দরভাবে অজু করে এবং একাগ্রতার সঙ্গে সুন্দরভাবে রুকু-সিজদার মাধ্যমে নামাজ আদায় করে, তার এ নামাজ আগের সব গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে কোনো কবিরা গুনাহে লিপ্ত হয়। আর এ সুযোগ তার সারা জীবনের জন্য।’ (মুসলিম, হাদিস : ২২৮; মিশকাত, হাদিস : ২৮৬)

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…