এইমাত্র
  • আজ থেকে মাঠে নামছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী
  • ইরানে এক ইহুদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে
  • ১২ সেকেন্ডের তেলেসমাতিতে ৩০০ কোটি টাকা চুরি
  • আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম
  • ঝিনাইদহ-১ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী নায়েব আলী
  • মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে এশিয়ায় পিছিয়ে বাংলাদেশের নারীরা
  • টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে দ্রব্যমূল্য কমবে: সাঈদ খোকন
  • অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ মিলল শিক্ষকের বাড়িতে
  • চাঁদপুরে ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ কার্যক্রম শুরু
  • চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং লিডারসহ গ্রেফতার ৮
  • আজ রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    মদনে ভুয়া চিকিৎসক আটক, থানায় মামলা

    মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ মে ২০২৪, ১১:০৪ পিএম
    মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ মে ২০২৪, ১১:০৪ পিএম

    মদনে ভুয়া চিকিৎসক আটক, থানায় মামলা

    মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ মে ২০২৪, ১১:০৪ পিএম

    নেত্রকোনা জেলার মদনে ডাক্তারের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন আসল ডাক্তার। এর আগে শনিবার বিকেলে শংকর চন্দ্র দাস নামের ওই ভুয়া ডাক্তারকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজন আটকে ইউএনওর হাতে সোপর্দ করে।

    শংকর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার শমসের চন্দ্র দাস এর ছেলে। প্রতারণার শিকার ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডল স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে তার সহযোগিতায় শুক্রবার ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় ইউএনও। কিন্তু খবর পেয়ে শংকর পালিয়ে যায়।

    এরপর ইউএনও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকের সহযোগিতা চাইলে শনিবার তাকে ভাড়া বাসা থেকে আটক করে। পরে ইউএনওর হাতে দিলে তিনি থানা হেফাজতে পাঠায়। এ ঘটনায় চিকিৎসক সাধন মন্ডল খুলনা থেকে এসে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

    জানা গেছে, মদন পৌরসভার জাহাঙ্গীরপুর এলাকায় শংকর চন্দ্র দাস তার ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখান থেকে কাছেই স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতেন।

    ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর সূত্রে জানা গেছে, শংকর চন্দ্র দাস গত মার্চ মাসের ৭ তারিখ নিজেকে সাধন কুমার মন্ডল পরিচয় মদন পৌরসভার স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখা শুরু করেন। এ পর্যন্ত তিনি ৩৩৫ জন রোগীর চিকিৎসা করেছেন। তিনি নিজেকে মা ,শিশু, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে রোগী দেখেন।

    এছাড়াও তিনি আলট্রা সনোগ্রামও করতেন। এই ঘটনাটি ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডল টের পেয়ে ইউএনওর সহযোগিতা চান। পরে সকল তথ্য উপাত্ত পেয়ে শুক্রবার বিকেলে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগের ভিত্তিতে স্বদেশ হাসপাতালে গিয়ে তাকে পাননি।

    কিন্তু স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করে তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সহযোগিতা চান। পরে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকপক্ষ শনিবার তাকে এনে উনার কাছে সোপর্দ করেন।

    স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক মোঃ কাইয়ুম মিয়া জানান, আমরাতো কাগজ পত্র দেখেই বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু ভুয়া যে এটা ইউএনও মহোদয় আসলে জানতে পারি। তাই উনি সহযোগিতা চাইলে আমারা তাকে খুঁজে বের করে ধরিয়ে দেই।

    মদন থানার ওসি উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, যে ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডলের নামের প্যাড ব্যবহার করে আসছিলো তিনি এসে মামলা দিয়েছেন। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৮ (৩) /২৯(২) ধারা আইনে মামলা দায়ের করার পর আমরা তাকে আদালতে সোপর্দ করেছি।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, আমার কাছে খুলনার চিকিৎসক সকল প্রকার তথ্য দিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপে। পরে এগুলো যাচাই বাছাই করে তাকে আটক করা হয়েছে। তার কাছে তিনটি এন আইডি পাওয়া গেছে। এছাড়াও চার থেকে পাঁচটি সার্টিফিকেট পাওয়া গেছে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…