রাজধানীর রূপনগরে কারিতাস আলোকিত শিশু প্রকল্পের উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী এ প্রতিষ্ঠানটির ত্রৈমাসিক সমন্বয় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (০৬ মে) বিকালে রাজধানীর রূপনগর আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডের হাসিনা ভবনের চতুর্থ তলায় 'কারিতাস আলোকিত শিশু প্রকল্প'র আঞ্চলিক কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় কারিতাস বাংলাদেশের আউটরিচ অফিসার নিতু বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশে ১.১৫ মিলিয়নেরও অধিক পথশিশু রয়েছে। যাদের এক-তৃতীয়াংশ বসবাস করে রাজধানীতেই। বহুবিধ সমস্যার মুখোমুখি দাড়িয়ে এসকল সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুরা নানারকম ঝুকিপূর্ণ ও অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। বাবা-মা এবং আপনজনদের যত্ন ও ভালোবাসায় সুস্থ্য জীবনযাপনের বিপরীতে উল্টো চরম নির্মমতার মুখোমুখি দাড়িয়ে তারা। অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের নূন্যতম চাহিদা পুরণের জন্যে যুদ্ধ করতে গিয়ে বহুবিধ মানবিক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে এসকল পথশিশুরা।
তিনি বলেন, ড্রপ-ইন-সেন্টার এবং নাইট শেল্টার সেবার মাধ্যমে দেশের সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মৌলিক চাহিদা পূরণ, বিপন্নতা হ্রাসে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত অংশগ্রহণ এখন সময়ের দাবি। এতে করে দেশের সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা অপেক্ষাকৃত সহজতর হবে। আসুন, সকলে মিলে সম্মিলিতভাবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেই।
তিনি আরো বলেন, সম্ভাবনাময় এসকল সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের সুরক্ষা ও তাদেরকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিতে কারিতাস আলোকিত শিশু প্রকল্প নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। কারিতাসের সাথে সাথে দেশের বিবেকবান ব্যাক্তিবর্গ, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো সহায়ক হলে তাদের অধিকার ও সুবিধা আদায়ে অভিগম্যতা বৃদ্ধি পাবে।
পরিশেষে নিতু বিশ্বাস আরো বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা আমাদের সমাজেরই অংশ। তাদের সুরক্ষা দেওয়া আমাদের নৈতিক সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। আসুন, আমরা সকলে মিলে ওদের দায়িত্ব নেই, সুরক্ষা দেই এবং ওদের জীবনকে আলোকিত করে সঠিক পথ প্রদর্শনে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেই।
আলোচনা সভায় কারিতাস আলোকিত শিশু প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ, রূপনগর থানার একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।