এইমাত্র
  • মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
  • মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা
  • ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টর্স’ তালিকায় প্রথম ভারতীয় হিসেবে নাম লেখালেন দীপিকা
  • জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ পেলেন ৭ উদ্যোক্তা
  • যশোরে একসঙ্গে ৫০ জোড়া তরুণ-তরুণীর যৌতুকবিহীন বিয়ে
  • বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনা, বৃষ্টি চলবে ২৮ মে পর্যন্ত
  • রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২০
  • মেসির ফেরার ম্যাচে মায়ামির নাটকীয় জয়
  • আখাউড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন
  • আজ রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    ডিভোর্সের পর নতুন জীবন শুরু করতে মেয়েকে হত্যা করেন মা

    শি‌রিন জামান, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ মে ২০২৪, ০৯:০২ পিএম
    শি‌রিন জামান, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ মে ২০২৪, ০৯:০২ পিএম

    ডিভোর্সের পর নতুন জীবন শুরু করতে মেয়েকে হত্যা করেন মা

    শি‌রিন জামান, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ মে ২০২৪, ০৯:০২ পিএম

    ‌নিজের শিশুকন্যাকে গলাটিপে হত্যা করার পৈশাচিক বর্ণনা দিয়েছেন মা পপি খাতুন। মেয়ে মাইশাকে হত্যার পর নিজেকে বাঁচাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাইশা মারা গিয়েছে এমন নাটক সাজিয়ে মোবাইলের চার্জার গলায় জড়িয়ে রাখেন তিনি। এ ঘটনায় মা পপি খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।

    সোমবার (৬ মে) বেলা ১১ টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান।

    মা পপি খাতুন আলমডাঙ্গা ভোগাইল বগাদি গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। মাইশা ভোগাইল বগাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। মা-বাবার বিয়ে বিচ্ছেদ হলে মায়ের সঙ্গে মাইশা নানা বাড়িতেই থাকতো।

    পুলিশ সুপার জানান, শিশু মাইশা তার মায়ের সঙ্গে আলমডাঙ্গার ভোগাইলবগাদী গ্রামে বসবাস করতো। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টার দিকে মাইশার মা পপি খাতুনের চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন। সেসময় মাইশার গলায় মোবাইল ফোনের চার্জারের তার জড়ানো ছিল।

    পপি প্রতিবেশীদের জানান, তার মেয়ে মাইশা বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছে। প্রতিবেশীরা মাইশাকে দ্রুত নিয়ে যান চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে মাইশাকে মৃত ঘোষণা করেন। পাশাপাশি চিকিৎসকরা নিহত মাইশার গলায় দাগ থাকার কথাও পুলিশকে জানান।

    পুলিশ মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, নিহত মাইশা খাতুন বিদ্যুতস্পর্শে মারা যায়নি। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

    বিষয়টি পুলিশ নিহতের পরিবারকে জানালে মাইশার নানা ভোগাইলবগাদী গ্রামের মৃত নূর হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে গত ৩ মে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়।

    পুলিশ সুপার জানান, মাইশাকে তার মা পপি খাতুন গলাটিপে হত্যা করেছেন। গত ৫ মে পপি খাতুন আলমডাঙ্গার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহুরা বেগমের আদালতে হাজির হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

    তিনি আরো জানান, পপি খাতুনের বিয়ে হয়েছিল কুষ্টিয়া জেলার মীরপুর থানার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। দাম্পত্য কলহের কারণে আগেই তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল এবং পপি খাতুন তার মেয়ে মাইশাকে নিয়ে বাবার বাড়ি আলমডাঙ্গার ভোগাইলবগাদী গ্রামে বসবাস করছিলেন।

    পপি খাতুন পুলিশের কাছে মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করে বলেন, মেয়ে মাইশা নাবালিকা। তার বাবা হয়তো আরেকটি বিয়ে করবে। পপিরও অন্য জায়গায় বিয়ে হতে পারে। তখন মাইশাকে দেখার কেউ থাকবে না। মাইশার জীবন কাটবে কষ্টে। প্রতিবেশীদের একটি মেয়েকে এভাবে বড় হতে দেখেছে পপি। এসব চিন্তাভাবনা করে পপি মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, ডিআই-১ ইন্সপেক্টর জিহাদ খান, উপপরিদর্শক (এসআই) বিকাশ দাসসহ ঊর্ধ্বতনরা।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…