কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় এক স্কুল ছাএীকে কুপিয়ে আহত করেছে এক যুবক। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ মে) ভোরে উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহত ওই স্কুল ছাএী উপজেলার চান্দপুর ইউপির চারিয়া গ্রামের প্রবাসী আয়াতুল্লাহর মেয়ে এবং বোয়ালিয়া তাহেরা নূর স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেনির ছাত্রী। অভিযুক্ত মনির (২০) পার্শ্ববর্তী মুমুরদিয়া ইউনিয়নের কুড়িখাই গ্রামের নিদু মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, মনিরের বাবা ও মেয়ের বাবা মামাত ফুফাত ভাই। আত্মীয়তার সূত্রে মনির প্রায় সময়ই বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। মনিরের উদ্দেশ্য ছিল মেয়েকে বিয়ে করা। কিন্তু মেয়ে মনিরকে পছন্দ করতো না। তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা না নাকচ করে দেয়। প্রায় সময়ই সে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো এবং নানা রকম ভয়ভীতি দেখাতো। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোন এক সময় মনির ধারালো অস্ত্রনিয়ে মেয়ের ঘরে লুকিয়ে থাকে। ভোররাতে ঘুমের মধ্যে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় তার চিৎকারে ঘরে থাকা তার মা ও ছোট ভাই তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়। পরে আহত মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভাগলপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় তার মা। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।
মেয়ের মা রুনা আক্তার জানান, মনির আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে রাজি না হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবত আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। ঘরে ঢুকে মেয়েকে ঘুমের মধ্যে কুপিয়ে জখম করে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
বোয়ালিয়া তাহেরা নূর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, একজন মেধাবী ছাত্রী। সে নিয়মিত স্কুলে আসে এবং তার লেখাপড়ায় প্রবল আগ্রহ আছে তার। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অপরাধীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত মনিরকে আটক করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে৷