এইমাত্র
  • ফেনীতে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কলেজ ছাত্র মাহাদীর
  • একজন আদর্শ স্বামীর গুণাবলী
  • চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন ৪৬ শতাংশ মানুষ
  • নতুন রেকর্ড গড়লেন ফারহান
  • বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে
  • পাকিস্তানে ট্রাক খাদে পড়ে একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
  • নরসিংদীতে পুকুরে মিলল নারীর মরদেহ
  • আর ভিডিও বানাবে না পাকিস্তানি খুদে ভ্লগার সিরাজ
  • কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশা চালকরা
  • গোপালগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
  • আজ রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    ১৯ দিনেও পুরুস্কার পায়নি খামারিরা

    গোমস্তাপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর নামে লুটপাটের অভিযোগ

    মো. আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ মে ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম
    মো. আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ মে ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম

    গোমস্তাপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর নামে লুটপাটের অভিযোগ

    মো. আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ মে ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম

    চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে দায়সারাভাবে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর আয়োজন করে মোটা অঙ্কের টাকা লুটপাটের অভিযোগ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.কাওসার আলীর বিরুদ্ধে। গেলো বছরের প্রদর্শনী তুলনায় এ বছরের প্রদর্শনী মানসম্মত না হওয়ায় প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া প্রাণীর মালিক ও খামারিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৮ এপ্রিল প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলা আয়োজন উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রদর্শনীর জন্য দুই লাখ ৪৯ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও গুটিকয়েক খামারিকে নিয়ে ডাক বাংলোতে নামমাত্র এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে ছিল না কোনো প্রচার-প্রচারণা।

    ফলে মেলায় কাঙ্ক্ষিত দর্শকের দেখা মেলেনি। অনুষ্ঠানটির ব্যাপক প্রচারের জন্য পাঁচ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও অনেকেই বলেন প্রচারের জন্য কোনো মাইকিংই শোনা যায়নি। প্রদর্শনীস্থলে ৫০টি স্টল বাবদ বরাদ্দ ছিল ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু প্রদর্শনীতে স্বল্প পরিসরে ২২ জন খামারিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এছাড়া ৫০টি স্টলের পশুর জন্য ২২০ টাকা হারে খাবারের পাত্র বাবদ বরাদ্দ ছিল ১২ হাজার টাকা।

    কিন্তু খাবারের পাত্র দেখা যায়নি। প্রদর্শনীতে খামারিরা তাদের পশু গাড়ি দিয়ে মাঠে নিয়ে আসার কথা থাকলেও বেশির ভাগ পশুকে খামারিরা তীব্র রোদে পায়ে হেঁটে প্রদর্শনী মাঠে নিয়ে আসেন। মাঠে পৌঁছালে খামারিদের অনেক পশুর মাথায় পানি ঢালতে দেখাও গেছে। অথচ পশুর যাতায়াত বাবদ সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা। পশুর খাবার বাবদ বরাদ্দ ছিল ১০ হাজার টাকা।

    দেখা যায়, মেলায় আসা প্রাণীকে কোনো খাবার দেওয়া হয়নি। সব বিষয়েই ছিল প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দায়সারা হিসাব। দুপুরের খাবার বাবদ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও অল্প বিরিয়ানির প্যাকেট আনা হয়েছিলো। যা অনেকেই খেতে পারেনি। মেলায় আগত ভিআইপি আপ্যায়নের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থেকে গণখাবারের প্যাকেট দিয়ে আপ্যায়ন সেরেছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকতার্। সেখানেও গাফিলতি পাওয়া যায়। এমনকি অনুষ্ঠানস্থলে আসা অনেকেই খাবার না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন খামারিকে পুরস্কার দেওয়ার কথা থাকলেও অনুষ্ঠানের ১৯ দিন পের হয়ে গেলেও তা দেওয়া হয়নি।

    উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মাত্র ৫৫ হাজার টাকা ব্যয় করেই প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলা সম্পূর্ণ করেছেন। বাকি টাকা কর্মকর্তার পকেটে রয়েছে। মেলায় পশু প্রদর্শনের জন্য সরকারিভাবে পুরস্কারের জন্য ৩ জনের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার কথা থাকলেও খামারিদের কাওকে দেয়া হয়নি পুরুষ্কার। এতে খামারিরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খামারি বলেন, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার যারা কাছের লোক তাদের গরু-ছাগল নিয়ে একাধিক স্টল করে প্রদর্শনী মেলা সম্পন্ন করেছেন। প্রদর্শনী মেলার টাকা লুটপাট করেছেন। এখন পর্যন্ত প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় খামারিদের পুরুষ্কার দেয়ার কথা থাকলেও কোন টাকা কিংবা পুরুষ্কার দেয়নি। এই কর্মকতার্ এখন পর্যন্ত না দেয়ার কারণ হচ্ছে। খামারিরা যাতে মনে করে এতে কোন কিছুই নেই। এভাবে কিছুদিন পের হয়ে গেলে। সব টাকা প্রাণিসম্পদ কর্মকতার্ মেরে খাবে। সেতো ২ থেকে তিন হাজার টাকা দেয়। কিন্তু সেটাও এবার দিলো না। এটার সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

    এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাওসার আলী বলেন,‘একজন খামারির গরু-ছাগল একাধিক স্টলে দেয়া হয়েছে। এটা সত্য নয়। তবে খামারিদের এখন পর্যন্ত পুরুস্কার দেয়া হয়নি। এটি সত্য। সেটা অল্প সময়ের মধ্যে লেখা সম্ভব হয়নি। তবে, কবে নাগাদ দেয়া হবে কি? সে বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।

    জানতে চাইলে এ মেলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা বলেন,এখন পর্যন্ত খামারিদের পুরুষ্কার না দেয়ার বিষয়টি আমি জানতাম না। আর কেনবা পুরুষ্কার দিবে না। তাছাড়া এ বিষয়ে আমার কাছে কেও অভিযোগ করেনি। আমি বিষয়টি এখন জানলাম। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।

    জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তাফা বলেন, প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা—তো অনেকদিন হওয়া হয়ে গেছে। আর এ বিষয়গুলো নিয়ে আমার কাছে-তো কেও অভিযোগ করেনি। আর খামারিদের পুরুষ্কৃত করা না করার বিষয়টি মেলা কমিটির সভাপতি ইউএনও দেখবেন। তবে, এসব অভিযোগগুলোর খোঁজখবর নিয়ে আপনাকে পরে জানাতে পারবো।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…