এইমাত্র
  • ‘ভোট চাহিয়া লজ্জা দিবেন না’
  • দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার
  • ফেনীতে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কলেজ ছাত্র মাহাদীর
  • একজন আদর্শ স্বামীর গুণাবলী
  • চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন ৪৬ শতাংশ মানুষ
  • নতুন রেকর্ড গড়লেন ফারহান
  • বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে
  • পাকিস্তানে ট্রাক খাদে পড়ে একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
  • নরসিংদীতে পুকুরে মিলল নারীর মরদেহ
  • আর ভিডিও বানাবে না পাকিস্তানি খুদে ভ্লগার সিরাজ
  • আজ রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪
    ফিচার

    বাংলাদেশে প্রতি পরিবারে বছরে গড় খাদ্য অপচয় ৮৩ কেজি

    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ৮ মে ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম
    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ৮ মে ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম

    বাংলাদেশে প্রতি পরিবারে বছরে গড় খাদ্য অপচয় ৮৩ কেজি

    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ৮ মে ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম

    যেখানে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলোতে খাবারের জন্য আহাজারি সেখানে খাদ্যের অপচয় "এই মুহূর্তে মানবতার সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ"। দ্রব্য মূল্যের এর বাজারে যেখানে সল্প আয়ের মানুষের প্রতি মুহূর্তে চলছে টিকে থাকার লড়ায় সেখানে আপনি জানেন কি বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ১৩০ কোটি টন খাবার অপচয় হয়, যার বেশিরভাগেরই স্থান হয় ভাগাড়ে।

    সম্প্রতি জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক কর্মসূচি বা ইউনেপের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিশ্বে ২০২২ সালে বাসাবাড়ি, খাদ্য সেবা ও খুচরা পর্যায়ে মোট খাদ্যের প্রায় উনিশ শতাংশ অর্থাৎ একশ কোটি টনের বেশি খাবার অপচয় হয়েছে। ওই সময় বাংলাদেশে গড়ে একজন ব্যক্তি বছরে ৮২ কেজি খাবার অপচয় করেছেন।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, “বিশ্বের বেশিরভাগ খাদ্য অপচয় হয়েছে বাসাবাড়িতে। যত খাদ্য অপচয় হয়েছে ৬০ শতাংশই বাসাবাড়িতে হয়েছে। তাহলে কি রান্নার ভুল পদ্ধতি ও রাইসমিলে পলিশের কারণে প্রতি বছর দেশে ১ কোটি ২০ লাখ টন চাল অপচয় হচ্ছে? যার অর্থমূল্য ৬০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ফলে এটি রোধ করা গেলে ঘাটতি মিটিয়ে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ চাল রপ্তানি করা সম্ভব।

    জেনে অবাক হবেন যে, ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট ২০২৪ তথ্য অনুযায়ী ওই সময়ে বাংলাদেশের খাদ্য অপচয়ের প্রবণতা ছিলো ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি। খাদ্যের অপচয় শুধু খাবারের অপচয় নয়, এর মানে হচ্ছে অর্থের অপচয়, পানির অপচয়, জ্বালানির অপচয়, ভূমির অপচয় এবং পরিবহণের অপচয়।

    কৃষকদের ঘাম- শ্রম ও আর উন্নত জাতের ধান আবাদের ফলে প্রতি বছর দেশে গড়ে উৎপাদন হচ্ছে ৩ থেকে সাড়ে তিন কোটি মেট্রিক টন চাল। মূলত এ থেকেই আসে ১৭ কোটিরও বেশি মানুষের খাদ্যের সিংহভাগ যোগান। গবেষকদের দাবি, বাংলাদেশে একেবারে উচ্চ আয়ের পরিবারগুলোতে বেশি খাদ্য নষ্ট বা অপচয় হয়। তারা বলছেন, সাধারণভাবে খাবার সম্পূর্ণ না খেয়ে অপচয়টাই হলো ফুড ওয়েস্ট। আর ফুড লস হলো উৎপাদন বা আহরণের পর গ্রাহক পর্যায় পর্যন্ত না পৌঁছানো। সেটাও খাদ্য অপচয়ের মধ্যেই পড়ে।

    এছাড়াও চালের এ বিপুল উৎপাদনের বিপরীতে রয়েছে হতাশার বাস্তবতা। খাদ্যশস্যের অপচয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করা ইউটিলাইজিং রাইস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের সাম্প্রতিক গবেষণায় রয়েছে এর কিছু চিত্র। এতে দেখা যায়, দেশের অটো রাইস মিলগুলো বিভিন্ন জাতের চালকে ঝকঝকে ও চিকন করতে গিয়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ চাল ফেলে দেয়। একে কেবল অপচয় নয়, হারায় চালের পুষ্টিগুন, বাড়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

    অসচেতনতা বা অজ্ঞতার কারণেও চাল অপচয় হয় রান্নার পদ্ধতিগত কারণে। গবেষণা বলছে, ভাতের মাড়ের সাথে নাজিরশাইল চালে অপচয় হয় ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ, পারিতে ১৫ দশমিক ৬৬ , লতায় ১৫ দশমিক ৭৮, মিনিকেটে ২২, পাইজামে ১৩ দশমিক ৩৩ এবং বিআর-২৮ এ অপচয় হয় প্রায় ১৪ শতাংশ।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী বলেন, চাল পলিশ ও ভাতের মাড়ের সাথে প্রয়োজনীয় পুষ্টির বেশিরভাগই ফেলে দেয়া হয় কেবল না জানা ও অসচেতনতার কারণে। তার মতে, কেবল ১৮টি পুষ্টিগুণ চলে যাচ্ছে প্রচলিত ভাত রান্নার পদ্ধতিতে।

    গেলো ২৭ মার্চ জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থা বিশ্বে খাদ্য অপচয়ের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায়, খাদ্য অপচয় বেশি হয় বাংলাদেশে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গৃহস্থালিতে প্রতি বছর গড়ে ৭৯ কেজি খাবার অপচয় হয়। সেখানে বাংলাদেশে প্রতি পরিবারে গড় অপচয়ের পরিমাণ ৮৩ কেজি।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…