বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে আয়োজিত দুইদিনের অনুষ্ঠান মালা শুরু হয়েছে। বুধবার( ৮ মে) দুপুরে জন্মজয়ন্তীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
এসময় মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, রবীন্দ্রনাথ অনেক দূরদর্শী ছিলেন। বাংলা সাহিত্যে তার প্রভাব রয়েছে। শিলাইদহে শান্তিনিকেতনের আদলে কিছু একটা করার চিন্তা চলছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব, গবেষক অধ্যাপক সরওয়ার মুর্শেদ, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব।
শুরুতেই সমবেতকণ্ঠে জাতীয় সংগীত ও রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন কুষ্টিয়া শিল্পকলার শিল্পীরা।
দুই দিনের আয়োজনে আরো থাকছে নাচ, আবৃত্তি ও মঞ্চ নাটক। পরিবেশন করবেন দেশ ও দেশের বাইরে থেকে আসা ৫৯টি দল। এছাড়াও শিলাইদহের কুঠিবাড়ী প্রাঙ্গনে চলছে গ্রামীণ মেলা।
প্রসঙ্গত, জমিদারি পরিচালনা করতে এসে শিলাইদহের পদ্মা পাড়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে মুগ্ধ কবি একে একে রচনা করেন সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালীসহ বিখ্যাত সব কাব্যগ্রন্থ। নিভৃত বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবির জীবনের মূল্যবান সময় কেটেছে। এখানে বসে ইংরেজি অনুবাদ করা গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থই রবীন্দ্রনাথকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কার আর বিশ্বকবির মর্যাদা। এ ছাড়াও তিনি এখানে বসেই আমাদের জাতীয় সংগীতসহ অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য রচনা করেছেন। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষিত আছে সেসব দিনের নানা স্মৃতি। অসংখ্য গান, কবিতা, চিঠি, চিত্রকর্ম ও সাহিত্য শিলাইদহকে করেছে রবীন্দ্র সাহিত্যের অবিচ্ছেদ্য।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৭টায় কুষ্টিয়া শহরের টেগর লজে রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
আরইউ