এইমাত্র
  • বড় ভাই বলেন বা বন্ধু, সবকিছুই শাকিব খান: মিষ্টি জান্নাত
  • ওলামা লীগে যেন ‘টাউট-বাটপার’ ঢুকতে না পারে: ওবায়দুল কাদের
  • আইপিএলে কোহলির ৮ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন অভিষেক
  • গাজীপুরে জাল টাকাসহ গ্রেপ্তার ২
  • সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে তিন শ্রমিকের মৃত্যু
  • বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের দোসরে রূপান্তরিত হয়েছে: হাছান মাহমুদ
  • ঝালকাঠিতে চোর সন্দেহে মারধরে যুবকের মৃত্যু
  • নরসিংদীতে মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
  • মানবপাচারের অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ায় ১ বাংলাদেশি আটক
  • শায়েস্তাগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের দুই পা বিচ্ছিন্ন
  • আজ সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই, সঙ্গী আবার পেটের ক্ষুধা

    মাহমুদুর রহমান, বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৯ মে ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম
    মাহমুদুর রহমান, বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৯ মে ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম

    জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই, সঙ্গী আবার পেটের ক্ষুধা

    মাহমুদুর রহমান, বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৯ মে ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম

    বরগুনা আমতলীর ইন্দ্র মনি বয়স (৭০) ছুই ছুই। শেষ জীবনে এসে নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই, সকলের সহযোগিতায় পেতে চায় একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই । অন্যের দেয়া ৫ শতক জমিতে ঝুপড়ির মধ্যে বসবাস ১১ বছরের বেশি সময় ধরে।

    বরগুনার আমতলীতে গুলিশাখালি ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের ইন্দ্র মনি (৭০) জীবনের তাগিদে কখনো ঝিয়ের কাজ কখনো বা দিনমজুরের কাজ। এ কাজ করেই সংসারের হাল চালিয়েছেন তিনি। ইন্দ্র মনি এখন বয়সের চাপে কাজেও বের হতে পারেন না। বৃদ্ধের ছাপ স্পষ্ট চেহারায় ফুটে উঠেছে। রোগা-সোগা এই বৃদ্ধা তিন বেলা খাবারও ঠিক মতো খেতে পারেন না। স্বামী সন্তান হারা তিনবেলা খাওয়ার জোগান দিতে যেন তার ভাত আনতে পান্ত ফুরানোর মতো। ছেলের বউ ও নাতি নাতনিদের নিয়ে কোন মতে বেচে আছেন। ইন্দ্র মনির নিজস্ব কোনো আয় নেই।

    ছেলের বউয়ের চায়ের টং দোকান থেকে যা উপার্জন করেন তিন বেলাও খাওয়া হয় না তাদের সংসারে। উপার্জনক্ষম পুরুষ না থাকায় পড়ালেখাও হয়নি বাচ্চাদের।

    তিন বেলা খাওয়া না হলেও থাকার যায়গাও নেই তাদের। ছোট ছাপড়ার ঝুপড়ির মতো হালকা টিন শেডের ঘর তার। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের উপরের ছাউনি থেকে ঝুপঝুপ করে বৃষ্টির পানি ঝরে পড়ে। ঘরের ভিতরের সব কিছু ভিজে তছনছ হয়ে যায়।

    পানি কাদায় ঘরের ভিতর চলাফেরা করতে ঝামেলা পোহাতেও হয় তাদের। ঘরের চারপাশে ভালো বেড়া না থাকায় বাতাসে বৃষ্টির পানি বেড়ার ফাঁক দিয়ে আসে। একটু ঝর বাতাস আসলেই ঘরের উপরের ছাউনি উড়িয়ে নিয়ে যায়।

    ভুমিহীনদের ঘর উপহার দিয়েছে সরকার। ভেবেছিল সেও পাবো। কিন্তু আজ পর্যন্ত পেল না। ঝুপড়ি ঘরেই থাকতে হচ্ছে তাকে। একটি ঘরের জন্য বারবার ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যনের কাছে কাছে ঘুরেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি, কিছুই মেলেনি তার। বর্তমানে অসহায় জীবনযাপন করছেন এই নারী ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে।

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রায়ণ প্রকল্পের অধীনে সারা দেশের ন্যায় আমতলী উপজেলায় কয়েক ধাপে হতদরিদ্রদের ঘর দেয় সরকার। বৃদ্ধা একটি ঘর পাওয়ার আশায় জনপ্রতিনিধিদের কাছে কাছে ঘুরেও এক বুক হতাশার চিহ্ন নিয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে।

    ইন্দ্র মনি বলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মাথা গোঁজার ঠাঁই হলো না। পেটে রয়েছে ক্ষুধার জ্বালা। স্বামী সন্তান হারা আমি পরিবারকে নিয়ে কোথায় যাবো? কে সাহায্য করবে আমাকে? আমার প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন আমাকে যেন একটা ঘর দেয়। মৃত্যুর আগে হলেও যেন সে ঘরে থেকে যেতে পারি।

    সাথী রানী বলেন, আমার চার ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে কোথায় কার কাছে যাবো? ওদের বাবা মারা গেছেন তাও ১০ বছর। তখন থেকেই এই ঝুপড়িতে বসবাস করছি। ভাত'ই ঠিক মতো খেতে পারি না-ঘর তুলবো কি করে? বাচ্চাদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে পারি নাই বলে - স্কুলেও পাঠাতে পারি না।

    গুলিশাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, ইন্দ্র মনি ঘর পাওয়ার যোগ্য হলে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের সাথে কথা বলে মুজিব বর্ষের ঘর ''যার জমি আছে সে ঘর পাবে" এই প্রকল্পে আওতায় তাকে ঘর দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।

    আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, 'ক' তালিকার কাজ চলমান। 'ক' তালিকায় যারা আছেন। যাদের জমি নেই তারা। 'ক' তালিকার কাজ শেষ হলেই 'খ' তালিকার কাজ শুরু করবে সরকার। 'খ' তালিকায় তারা থাকবে যাদের ২ শতক বা তার থেকে বেশি জমি আছে তাদের সরকার ঘর করে দিবে। আবেদন করতে বলেন আমরা চেষ্টা করবো ঘর দেয়ার জন্য।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…