এইমাত্র
  • এক ঘণ্টা বেঁচে ছিলেন তাবরিজের ইমাম, করেছিলেন যোগাযোগের চেষ্টা
  • রাইসির মৃত্যুতে ইরানে আতশবাজি ফুটিয়ে উদযাপন
  • ভারতে পাচার হওয়া ৮ নারীকে ২ বছর পর হস্তান্তর
  • আরও ২২ জনের করোনা শনাক্ত
  • ভারতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০ বগি কিনতে চুক্তিবদ্ধ হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে
  • রাইসির মৃত্যু নিয়ে যা বললেন এরদোগান
  • কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
  • দেশে অবৈধভাবে কর্মরত বিদেশিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট
  • কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ব্যালট, ১৫৬ উপজেলায় ভোটের অপেক্ষায় ভোটাররা
  • বগুড়ায় হত্যা মামলায় দুই যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
  • আজ মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২১ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    সংবাদ প্রকাশের পর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে সেই প্রতিবন্ধী সুজনের

    মতিন রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মাগুরা প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
    মতিন রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মাগুরা প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম

    সংবাদ প্রকাশের পর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে সেই প্রতিবন্ধী সুজনের

    মতিন রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মাগুরা প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম

    'রমজান মাসেরও ঘরে খাবার নেই প্রতিবন্ধী সুজনের' শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হয় দেশের জনপ্রিয় ও কোটি পাঠকের সংবাদমাধ্যম' সময়ের কণ্ঠস্বরে'। সেই প্রতিবন্ধী সুজনের খাবার জোটাতে বিভিন্ন মাধ্যমে দিয়ে তাকে সহযোগিতা করার কারণে একটি মুদিখানার দোকান করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। নগদ টাকাপয়সা দিয়েছে লোকে সেই টাকা দিয়ে এখন মুদিখানার ব্যবসা করছে এই প্রতিবন্ধী যুবক সুজন। তার বাড়ি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে সুইচ গেইটের পাশে। তার বাবা ইউনূস শেখ গত প্রায় আট মাস আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

    সুজন সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানায়, সর্ব প্রথম তাকে নিয়ে সংবাদ প্রচার করে সময়ের কণ্ঠস্বর পত্রিকার প্রতিনিধি মতিন রহমান। সেই সংবাদের ভিত্তিতে পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। আর এতেই এখন দু'মুঠো খাবার জোগাড় হচ্ছে। অর্থ্যাৎ তার অসহায় জীবনযাপন দেখে স্থানীয় লোকজনসহ বিভিন্ন জায়গায় থেকে বিত্তবানরা তাকে সহযোগিতা করছে বলে জানায় সুজন। সময়ের কণ্ঠস্বরে সংবাদ পড়ে এলাকার শুভ্র নামে একজন লোক তাকে দোকানঘর করে দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে নগদ টাকার সহযোগিতা পায় সে।


    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুজনের মুদিখানার দোকানে চা, বিস্কুট, পাকা কলা, আইসক্রিম, চকলেটসহ যাবতীয় বাহারী রকমের খাবার রয়েছে। যা কিনতে প্রতিদিনই ছোট বড় সব ধরনের কাস্টমাররা আসছে তার দোকানে। প্রতিবন্ধী সুজন শুধুমাত্র তার দুটো হাত নড়াচড়া করতে পারে। তাছাড়া তার সকল অঙ্গ প্রতঙ্গ অচল অবস্থা। দেখা যায় নিজের হাতের নাগালে থাকা খাবার সহজেই ত্রেতাদের দিতে পারে। দূরে রাখা খাবার গুলো তার মা ও স্ত্রীসহ অনেকেই খাদ্যদ্রব্য এগিয়ে দেওয়ার কাজে সাহায্য করে।

    সুজন আরও জানায়, তার পরিবারে বাবা নেই। মা বৃদ্ধা এবং তার স্ত্রীও প্রতিবন্ধী। বয়স যখন দশ বার তখন তার শরীরে অজানা রোগে অচল হয়ে যায়। চিকিৎসার অভাবে আর ঠিক হয়নি শরীর। পরে অভাবে সংসারে কোনমত খাবার খেয়ে জীবনযাপন করতো তারা। গেলো রমজান মাসে সংবাদ প্রচার হলে তাকে সহযোগিতা পাঠায় লোকজন। এরপর এখন মোটামুটি ভাবে চলছে তাদের সংসার। একটু হলেও হাসি ফুটেছে তার পরিবারের মুখে। এখন প্রতিদিন পাঁচ শত থেকে আটশত টাকা বেচাবিক্রি হয় তার দোকানে। এতে লাভের টাকা দিয়ে চলছে তার সংসার।

    এলাকাবাসী জানায়, প্রতিবন্ধী সুজন ও তার পরিবারের তিনবেলা ভাত জুটতো না। অন্যের বাড়িতে কাজ করে তার মা আয় করতো। এতে তাদের সংসারের অভাব যেতো না। সুজনকে নিয়ে সংবাদ প্রচারের ফলে এখন তার অভাব কিছুটা হলেও দূর হয়েছে। বিভিন্ন লোকে তাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সুজনের মুদিখানার দোকানে এলাকার লোকজনসহ পথচারীরা কেনাকাটা করতে আসে। তার দোকানের বেচাবিক্রির টাকায় এখন সংসার চালায় সুজন।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…