বিয়ে সবার জীবনেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কেননা একটা বয়সের পর রীতি মেনে সবাইকেই এই সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়। সেই ছোটবেলা থেকেই একটি মেয়ে বিয়ে নিয়ে নানা ধরনের স্বপ্ন আঁকে। এক রাজকুমার এসে একদিন তাকে নিয়ে যাবে। তারপর সেই রাজকুমারের সাথে সুখে-শান্তিতে সংসার করে জীবন কাটিয়ে দিবে।
তবে সংসার জীবনে এসে দেখে তার সপ্নের রাজকুমার তো, তার মনের কথায় বোঝে না। তখন সে ভেঙে পরে। সাধারণত নারীরা একটু চাপা স্বভাবের হন। ফলে তারা স্বামীর বিষয়ে বিভিন্ন কথা, আশা কিংবা ইচ্ছা মনেই পুষে রাখেন। এদিকে, অনেক পুরুষই নিজের স্ত্রীর মনের কথা বুঝতে পারেন না। তাই তাঁরা বিয়ের পরও স্ত্রীর নানা আশা-আকাঙ্খা পূরণের বিষয়ে উদাসীন থাকেন। আর সে কারণেই দাম্পত্যে নানা ধরনের অশান্তি দেখা দেয়। এমনকি নিজেদের মধ্যেও বাড়তে থাকে দূরত্ব।
তাই সংসারে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে চাইলে, জেনে নিন এমন কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে যা বিয়ের পরপরই প্রত্যেক স্ত্রী নিজের স্বামীর কাছে আশা করেন।
প্রশংসা করুন
বিয়ের পরপর মহিলারা তাঁর স্বামীর জন্য নিজের জীবন উজার করে দেন। আর তার বদলে তিনি শুধু স্বামীর থেকে প্রশংসা আশা করেন। তাই সম্পর্ক ভালো রাখতে স্ত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিন। এমনকি পরিবারের সবার সামনেও স্ত্রীর কিছুটা প্রশংসা করুন।
ভালোবাসুন
স্বামীর কাছে ভালোবাসা পেলে স্ত্রীরা সব দুঃখ-বেদনা ভুলে থাকতে পারেন। তাই বিয়ের পর অর্ধাঙ্গীনিকে মনের সবটুকু ভালোবাসা উজার করে দিন। সেক্ষেত্রে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাঝে মাঝে একটা গোলাপ বা আপনার অর্ধাঙ্গীনির পছন্দের ফুল বা পছন্দের খাবার কিনে বাড়ি ফিরুন। তারপর ঠিক শাহরুখের ভঙ্গিতে তাঁকে ভালোবাসা ‘ইজহার’ করুন। তাহলেই তিনি আপনার প্রেমে হাবুডুবু খাবেন। আর আপনারা সুখে-শান্তিতে সংসার করতে পারবেন।
মতামতকে গুরুত্ব দিন
অনেক পুরুষই নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেন কিংবা স্ত্রীর মতামতকে প্রাধান্য দেন না। এতে কিন্তু স্ত্রীর মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হতে পারে। তবে বুদ্ধিমান পুরুষরা কখনো স্ত্রীর মতামতকে এড়িয়ে চলেন না। সব স্ত্রীই চান তার স্বামী মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনবেন।
ঘুরতে নিয়ে যান
হানিমুন নিয়ে সব মহিলাই স্বপ্ন দেখেন। তাই বিয়ের পরপর নিজের স্ত্রীর ড্রিম ডেস্টিনেশনে হানিমুন প্ল্যান করে ফেলুন। এই কাজটা করলেই তার মনে আপনার জন্য নতুন করে শ্রদ্ধা জন্ম নেবে। তিনি বুঝতে পারবেন যে আপনিই তার প্রায়োরিটি লিস্টে সবার প্রথমে রয়েছে। তাই একটু খরচ হলেও এই কাজটা সেরে ফেলুন। মনে রাখবেন, এই ওয়ান টাইম ইনভেস্টমেন্ট কিন্তু আপনাকে সারাজীবন ফল দেবে।
ঘরের কাজে সাহায্য করুন এবং সম্মান দিন
ঘরের কাজ দুজনেরই ভাগাভাগি করে নেওয়া উচিত। তবে অনেক স্বামীই ঘরের কাজে স্ত্রীকে সাহায্য করেন না। আর স্ত্রী হয়তো তাদেরকে মুখে বলতেও পারেন না ওই কথা। তাই অবসরে থাকলে স্ত্রীকে ঘরের কাজে সাহায্য করা উচিত সব স্বামীর। এছাড়াও আজকাল সব মহিলাই স্বনির্ভর। আর এই কারণেই তারা সঙ্গীর থেকে সবসময় সম্মান দাবি করেন। তাই তিনি এই বিষয়টা নিয়ে কথা তোলার আগে আপনিই উপযাচক হয়ে তাকে সম্মান দিন।