এইমাত্র
  • আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
  • ‘চরম তাপ মহামারি’ বিশ্বকে ভোগাচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
  • কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিলেন ওবামা
  • মিয়ানমারে বাংলাদেশসহ ছয় দেশের নিরাপত্তা বৈঠক
  • দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী
  • নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে লঙ্কানরা
  • নাহিদসহ ৩ সমন্বয়ক হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে
  • সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান বেরোবি প্রশাসনের
  • আজও ৯ ঘন্টা কারফিউ শিথিল থাকবে
  • পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
  • আজ শনিবার, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    স্কুলের টয়লেটে রুদ্ধশ্বাস ৬ ঘণ্টা

    মো. আরিফুর রহমান, মাদারীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:০৩ এএম
    মো. আরিফুর রহমান, মাদারীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:০৩ এএম

    স্কুলের টয়লেটে রুদ্ধশ্বাস ৬ ঘণ্টা

    মো. আরিফুর রহমান, মাদারীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:০৩ এএম

    ক্লাস ছুটির পর সবাই বাড়ি গেলেও বিদ্যালয়ের বাথরুমে আটকা পড়ায় ফিরতে পারেনি প্রথম শ্রেণির এক ছাত্র। প্রায় ৬ ঘণ্টা বাথরুমের দরজা ধাক্কাধাক্কি করার পরে অবশেষে রুদ্ধশ্বাস এ পরিস্থিতি থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বের হয় ওই ছাত্র।

    বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৯নং পাঁচখোলা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

    এলাকাবাসী ও ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা যায়,পাঁচখোলা এলাকার মৃত্যু নুরুল হকের ছেলে রাফিন। তিনি ৯নং পাঁচখোলা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর একজন ছাত্র।প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়েছিলেন রাফিন।তখন তাদের পরীক্ষা চলতেছিল। পরীক্ষা শেষে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয় ছুটির পর টয়লেটে যায়।পরে দপ্তরি খোকন খান টয়লেট চেক না করেই বাহির থেকে রশি দিয়ে আটকিয়ে দেন।পরে শিশুটি দরজাটি খোলার জন্য ডাক চিকিৎসার করলেও কোন সাড়া মেলেনি। এ সময় বারবার দরজা খোলার চিৎকার করায় শিশুটির গলা ও মুখ রক্তাক্ত হয়ে যায়।পরে প্রায় ছয় ঘন্টা পর শিশুটি দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে এক পর্যায় টয়লেটের দরজাটি খুলতে সক্ষম হয়।

    এদিকে ছুটির পর শিশুটি শিশু নিবাসে না ফেরায় শিশু নিবাসের কর্মকর্তারা বিভিন্ন ছাত্র ও আত্মীয়ের বাড়িতে খুঁজতে থাকেন। এদিকে সন্ধ্যা ৬টার পর বিদ্যালয়ের তিনতলা থেকে একটি মুদি দোকানদারকে বিদ্যালয়ের কেচি গেট খোলার কথা বলে অসুস্থ হয়ে পড়লে কয়েকজন মিলে শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে শিশুনির্বাসে নিয়ে যায়।

    এলাকাবাসী এ ঘটনাকে ১৯৮০ সালের শিশুতোষ চলচ্চিত্র ছুটির ঘণ্টার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, সেখানে ৬ ঘন্টা পর স্কুলের বাথরুম থেকে জীবিত উদ্ধার হলো ছাত্রটিকে।আর কিছু সময় হলেই ছুটির ঘন্টা বেজে যেত শিশুটির।

    শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে ওই ছাত্রের নিবাসে গেলে সে তার ভাষায় গতকালের ঘটনা বোঝানোর চেষ্টা করলেও শিশু নিবাসের পরিচালক বাতেন খান শিশুটির সাথে কথা বলতে বাধা প্রধান করেন।তবে একারণে শিশুটির বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    দোকানদার বলেন,দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাথরুমের আটকা পড়ে রয়েছে।কোন মতেই দরজা খুলে তিন তালার বেলকনি থেকে আমাদের ডাক দেয় পরে আমরা তাকে গিয়ে উদ্ধার করি।

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম বলেন, ঐদিন আমি একটা মিটিংয়ে ছিলাম। বের হবার আগ পর্যন্ত এমন কিছু তার নজরে পড়েনি।আমি পরে জানতে পেরেছি। বিষয়টির সাথেকে জড়িত রয়েছে তদন্ত করা হবে।

    মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন বলেন,এ বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যদি এরকম কিছু হয়ে থাকে তদন্ত সাপে আইনহত ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।

    এফএস

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…