বেঁচে যাওয়া বাছুরটির বর্তমান উচ্চতা ৬ ফিট সাড়ে ৪ ইঞ্চি। এটিকে লালন-পালনের জন্য নিয়ে এসেছিলেন মিষ্টি ও রবার্ট মুরে দম্পতি। গত ৬ বছর ধরে তারা ষাঁড়টিকে যত্নে বড় করেছেন। কথা ছিল প্রাণীটিকে কেটে মাংসের জন্য বিক্রি করা হবে। তবে ভাগ্যগুণে জবাইর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া সেই বাছুরটিই গড়ল কীর্তি।
যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগনে রোমিও নামের বাছুরটিকে জন্মের ১০ দিন পরেই জবাই করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তবে সে যাত্রায় নানা কারণে বেঁচে যাওয়া বাছুরটিই বর্তমানে গিনেস ওয়ার্ল্ডের হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ষাঁড়।
আগে এই রেকর্ডটি ছিল ম্যাসাচুসেটসের 'টমি অব চেশায়ার' নামের ষাঁড়টির দখলে। যেটির উচ্চতা ছিল ৬ ফিট ১ ইঞ্চি। এটিকে প্রাণে বাঁচিয়ে লালন-পালনের জন্য নিয়ে এসেছিলেন মিষ্টি ও রবার্ট মুরে দম্পতি। গত ৬ বছর ধরে তারা ষাঁড়টিকে যত্নে বড় করেছেন।
রোমিও বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১০০ পাউন্ড খড়, ১৫ পাউন্ড শস্য খায়। ষাঁড়টির মালিক দম্পতির সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস সাইটে সাক্ষাৎকার দিয়েছে।
মুরস দম্পতি জানিয়েছে, বিরল লম্বা এই ষাঁড়টিকে বাছুর থাকা অবস্থায় দুগ্ধ খামারের ব্যবসায়িক চিন্তাভাবনার কারণে জবাই করতে চেয়েছিল। কেননা ষাঁড় থেকে দুধ পাওয়া যায় না; তাই জবাই করে মাংস বিক্রি করে দিলেই বরং লাভ।
মিস্টি বলেন, "রোমিওর মতো পুরুষ বাছুরগুলিকে প্রায়শই অনেকটা বোঝা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেক্ষেত্রে এটিকে জবাই করে মাংস বিক্রির দিকেই মনোযোগ দিয়ে থাকে খামারিরা। এই প্রাণীগুলোর ভাগ্য যেন ব্যবসায়িক দিকের বিষয়টি বিবেচনা করেই নির্ধারিত হয়। কিন্তু রোমিওর ভাগ্য ছিল ভিন্নধর্মী।"
দম্পতি মূলত একটি অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছেন; যা অবহেলিত প্রাণীদের আজীবন যত্নে লালনপালন করেন। তবে রোমিওকে লালনপালন ততটা সহজ নয়। কেননা এটিকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য বড় যন্ত্রপাতি প্রয়োজন; যা বেশিরভাগ হাসপাতালেই নেই। এদিকে ষাঁড়টির পেশিতে ও হজমেও সমস্যা রয়েছে।
মুরে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডকে বলেন, "ষাঁড়টি ওর নাম জানে; খেলতে ভালোবাসে। মাঝে মাঝে উচ্ছ্বাসিত হয়ে ছোটাছুটিও করে।"
এবি