ঘূর্ণিঝড় রিমাল এর প্রভাবে ভোলার নিচু এলাকাগুলো স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। চরফ্যাসন উপজেলার সাগর মোহনার ঢালচর, চর মোতাহার, চর মানিকা, কলমি ও চর কুকরি মুকরি সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দিদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার কাজ চলছে।
রোববার (২৬ মে) বেলা ১২ টার দিকে জোয়ারের পানিতে ওই এলাকাগুলো প্লাবিত হয়। অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারলেও বেশিসংখ্যক মানুষ রয়েছেন পানিবন্দি। এদিকে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত চলমান থাকায় আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পানিতে রাস্তাঘাট দোকানপাটসহ মানুষের বাড়িঘর ডুবে গেছে। অনেক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশসহ ইউপি সদস্যরা বাড়ি বাড়ি মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্র পাঠানোর চেষ্টা করছেন। চলমান ঘূর্ণিঝড় রিমালে দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। গভীর সমুদ্র বন্দরসহ উপকুল ও নিম্নাঞ্চলের ঝুকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসার জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের নগদ ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা রয়েছে। এছাড়া চাল রয়েছে ২২২ টন, ঢেউটিন ২১৪ বান্ডিল, গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরী বাবদ ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার ২ হাজার ২২৩ প্যাকেট।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহমিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুত রয়েছে ৯৮ টি মেডিকেল টিম। ৯টি এম্বুলেন্সসহ পানি বিশুদ্ধকরণের বড়ি রয়েছে ২ হাজারেরও বেশি।
জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এর উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের ৮৬৯ টি সাইক্লোন সেল্টার এর পাশাপাশি ১৪ টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রয়েছে। যাতে ৫ হাজার ৩০০ গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে।
এমআর