ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে গত শনিবার রাতে সহকর্মীর এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের দেহ দাফন করা হলো তার বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে।
আজ সোমবার (১০) সকালে তার লাশ বাড়িতে আনা হয়। এ সময় নেত্রকোনার পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ সহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বাড়ির পাশে স্থানীয় ঈদ গা মাঠে তার জানাযা করা হয়।
নিহত মনিরুল নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুউদ্দিন মাস্টারের ছেলে। দুই বছর আগে তন্নী আক্তারকে বিয়ে করেন। তার ১ বছর বয়সী তাহারা হক তাকি নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শামসুউদ্দিন মাস্টারের তিন ছেলের মধ্যে মনিরুল ইসলাম ছোট। ২০১৮ সালের নিয়োগে তিনি কনস্টেবল পদে পুলিশে যোগদান করেন।
নিহতের মা দিলুয়ারা খাতুন জানান, আমার কলিজার টুকরা ছেলেকে কেন এভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো? আমি তার বিচার চাই।
আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, নিহত কনস্টেবলের পরিবার বর্গের জন্য পুলিশ বিভাগ হতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর বারিধারা কূটনীতিক এলাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে মনিরুল ইসলাম নামের পুলিশের এক কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা করেন আরেক কনস্টেবল কাউসার আহমেদ
শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিলেন। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তিনি এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এইচএ