এইমাত্র
  • রাজবাড়ীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
  • জনগণ মনে করে ফারুকীর চেয়ে আমি যোগ্য: হিরো আলম
  • নভেম্বরে একসঙ্গে শক্তিশালী ৪ ঘূর্ণিঝড়!
  • বইমেলা শুধু বাংলা একাডেমিতে, বরাদ্দ মেলেনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
  • উইন্ডিজ টেস্ট সিরিজে শান্তর বদলির নাম ঘোষণা
  • ওমরাহ পালনকারীদের জন্য সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনা
  • ঢালাও মামলা আমাদের বিব্রত করে: আইন উপদেষ্টা
  • সাবেক মেয়র তাপস ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
  • লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর আত্মহত্যা
  • সেই সিঁথি এবার আসিফের গানে মডেল
  • আজ বুধবার, ২৮ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৩ নভেম্বর, ২০২৪
    তথ্য-প্রযুক্তি

    ওরিয়ন তারাগুচ্ছে ‘ভবঘুরে’ গ্রহ খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা

    তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম
    তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম

    ওরিয়ন তারাগুচ্ছে ‘ভবঘুরে’ গ্রহ খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা

    তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম

    ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ‘ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)’-এর তৈরি স্পেস টেলিস্কোপ ‘ইউক্লিড’কে গত বছর মহাকাশে পাঠানো হয়।

    ওরিয়ন তারাগুচ্ছে মুক্ত ভাসমান গ্রহের খোঁজ সম্প্রতি শুরু করেছে ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইএসএ’র স্পেস টেলিস্কোপ ইউক্লিড।

    ছায়াপথে সম্ভবত এমন লাখ লাখ ‘ভবঘুরে’ বা মুক্ত-ভাসমান গ্রহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, যেগুলো ফ্রি ফ্লোটিং প্ল্যানেট বা ‘এফএফপি’ নামেও পরিচিত।

    এইসব গ্রহ তারায় পরিণত হওয়ার মতো যথেষ্ট বড় নয় এমনকি কোনো তারার মাধ্যাকর্ষণেও আটকে থাকে না এরা। তাই জ্যোতির্বিদদের পক্ষে এদের চিহ্নিত করা বেশ কঠিন কারণ এদের নিজস্ব কোনো আলো নেই। ফলে, কেবল কোনো আলোকিত বস্তুকে অতিক্রম করার সময় এদের দেখা মেলে, তাও ওই বস্তুর আলোয় আলোকিত হওয়ার মাধ্যমে।

    গত বছর ইউক্লিড স্পেস টেলিস্কোপকে মহাকাশে পাঠিয়েছে ইএসএ।

    এ টেলিস্কোপটির প্রাথমিক লক্ষ্য মহাবিশ্বের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করা। তবে নতুন এক গবেষণাপত্রে একটি রোমাঞ্চকর পার্শ্ব প্রকল্প ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তা হল, ওরিয়ন নক্ষত্রপূঞ্জে এফএফপি খোঁজার বিষয়টি।

    বিশেষ করে ‘সিগমা ওরিওনিস’ নামে পরিচিত এক সিস্টেমের আশপাশে বিভিন্ন ‘এফএফপি’ খুঁজে দেখছে টেলিস্কোপটি, যা সুপরিচিত ‘ওরিয়ন বেল্ট’-এর পূর্ব দিকে অবস্থিত। এই ‘তারা’ ব্যবস্থায় অন্তত পাঁচটি ভিন্ন তারা আছে, যেগুলো একে অপরের সঙ্গে কোনো না কোনো ভাবে মহাকর্ষীয় বলে আবদ্ধ। আর এতে করে এ ‘ক্লাস্টার বা গুচ্ছ’ গঠিত হয়েছে।

    এ ধরনের মুক্ত-ভাসমান গ্রহকে ‘ফেইলড স্টার’ হিসাবেও বিবেচনা হয়। কারণ, তারা গঠনের ফিউশন প্রক্রিয়া শুরু করার মতো যথেষ্ট ভর ছিল না এদের কাছে। এমনকি তারা-গঠন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে এবারই প্রথম এদের সন্ধান মিলল, বিষয়টি এমনও নয়।

    ‘এনজিসি ১৩৩৩’ ও ‘কোলাইডার ৬৯’ নামে পরিচিত দুটি নীহারিকা এমনকি ‘ওরিয়ন নেবুলা’তেও এমন ‘এফএফপি’র খোঁজ মিলেছে। ‘সিগমা ওরিওনিস’-এ এমন গ্রহ খুঁজে পাওয়ার প্রথম ঘটনাও নয় এটি। তবে, এই প্রথম নির্ভুলতার সঙ্গে এদের শনাক্ত করতে পেরেছে ইউক্লিড টেলিস্কোপটি।

    এ গবেষণার লেখকদের দাবি, এমন মুক্ত ভাসমান গ্রহ ‘সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে ও এদের সংখ্যাও সম্ভবত অনেক বেশি।

    এমনকি আগের তুলনায় বেশ কিছু আকারে ছোট এফএফপি’ও খুঁজে পেয়েছেন জোতির্বিদরা। এজন্য তারা ‘ইনিশিয়াল ম্যাস ফাংশন (আইএমএফ)’ নামের একটি অ্যালগরিদম ব্যবহার করেছেন, যেটি নির্দিষ্ট মাত্রায় গঠিত তারার সংখ্যা বর্ণনা করতে সক্ষম।

    ‘এফএফপি’র নিম্ন সীমা সংজ্ঞায়িত করে থাকে ‘আইএমএফ’। যেমন– যদি কোনো একটি বস্তু তারা হওয়ার জন্য যথেষ্ট বড় না হলে তা একটি এফএফপি হয়ে ওঠে।

    যথেষ্ট ছোট আকারের ‘এফএফপি’র সহায়তা নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে ‘আইএমএফ’র সীমা নির্ধারণের সুযোগ পান জোতির্বিদরা। তবে এখন পর্যন্ত এরা তুলনামূলক কম সংবেদনশীল ডিটেক্টরের নজর এড়িয়ে গেছে।

    এসএফ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…