এইমাত্র
  • মঙ্গলবার স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সেনাবাহিনী জুলাই আন্দোলনে আহতদের পাশে থাকবে : সেনাপ্রধান
  • দেশে স্টারলিংক ইন্টারনেটের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু ৯ এপ্রিল
  • এনসিপির দুই নেতার ফেসবুকে পোস্ট, দলে অসন্তোষ
  • দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
  • যশোরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতার সীলে ভিজিএফ'র ভুয়া কার্ড
  • রেমিট্যান্স আসেনি যে ৭ ব্যাংকে
  • নিজ বাড়ি থেকে সাবেক মার্কিন অ্যাটর্নির মরদেহ উদ্ধার
  • মার্চের ২২ দিনে এল ২৪৩ কোটি ডলার
  • ঈদযাত্রায় বিমানবন্দর স্টেশনে দাঁড়াবে না ৯ ট্রেন
  • আজ সোমবার, ৯ চৈত্র, ১৪৩১ | ২৪ মার্চ, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    মাদারীপুরে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী হচ্ছে বেকারী পন্য

    মো. আরিফুর রহমান, মাদারীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ১০:০২ পিএম
    মো. আরিফুর রহমান, মাদারীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ১০:০২ পিএম

    মাদারীপুরে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী হচ্ছে বেকারী পন্য

    মো. আরিফুর রহমান, মাদারীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ১০:০২ পিএম

    মাদারীপুরে বেশিরভাগ বেকারি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন শেষ নেই। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণেও রয়েছে চরম অব্যস্থাপনা। এছাড়াও পণ্য রাখার ঘর যেমন অপরিষ্কার। পোকামাকড়েও ভরপুর। সর্বোপরি বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের নেই বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স। থাকলে মান বজায় রেখে উৎপাদন করা হচ্ছে না। অনুমোদন ছাড়াই বেকারি পণ্যের উৎপাদন এখন নিয়মিত বিষয় হয়ে উঠেছে। ফলে মানব স্বাস্থ্যের বিষয়টি এখন হুমকির মুখে পড়ছে।

    সরেজমিন ডাসার উপজেলার ধুলগ্রাম এলাকায় নিউ স্টার বেকারী ও বায়েজিদ বেকারীতে দেখা গেছে চারদিকে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ,পাতিলে কালো পোড়া তেল, কেমিক্যালের রং ও কৃত্তিম ফ্লেভার ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন বেকারি পণ্য। এসব কারখানার নেই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন। শুধু এই দুটি বেকারী কারখানাই নয়। অধিকাংশ বেকারীর কারখানার চিত্রই এটা।এই পন্য বিক্রি হচ্ছে ডাসার ও মাদারীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন দোকানগুলোতে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

    বেশির ভাগ শিশুর পছন্দের খাবারের তালিকায় বিস্কুট, কেক, পাউরুটিসহ নানা জাতীয় বেকারির পণ্য রয়েছে। আবার অনেক সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা এই জাতীয় খাবার বাজার থেকে কিনে খান। এসব খাদ্যসামগ্রীর চাহিদাও মোটামুটি বেশ। এ ছাড়া বাসাবাড়িতে কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে গেলেও বেকারি পণ্য দিয়ে অনেকেই অতিথিদের আপ্যায়ন করে থাকেন। পৌর শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে হরহামেশাই প্রতিদিন পৌঁছে যায় এসব খাদ্যসামগ্রী।

    বাণিজ্যিকভাবে এসব পণ্য তৈরি ও বিপণন করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। যা পালন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু মাদারীপুরের অধিকাংশ কারখানায় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে বেকারি পন্য।

    জানা গেছে, বিভিন্ন হাস মুরগির খামারে বাচ্চা উৎপাদের জন্য ডিম ব্যবহার করা হয়। যেসব ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদিত না হয় সেই পচা ডিম ব্যবহার করা হয় এসব বেকারী কারখানায়। সরেজমিন ডাসারের বায়জেদি বেকারী ও নিউ স্টার বেকারীতে এমন ডিমের সন্ধান পাওয়া গেছে। বাচ্চা উৎপাদের জন্য ব্যবহৃত ডিমে খামারিরা বাচ্চা উৎপাদনের সম্ভব্য তারিখ দিয়ে রাখে।ওই নির্দিষ্ট তারিখে বাচ্চা উৎপাদিত না হলে সেই নষ্ট ডিম বিক্রি করে দেয়া হয় বেকারী কারখানায়। এসব ডিম আসে বগুড়া, নাটোর, রাজশাহী থেকে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাথুরিয়ার পাড় এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন সকালে দুর পাল্লার গাড়ীর ছাদে করে প্রচুর পরিমান পচা ডিম আসে। এসময় ডিম ব্যবহার করা হয় বেকারী কারখানায়।

    স্থানীয় বাসিন্দা রফিক মাতুব্বর বলেন, এইসব বেকারীকে নষ্ট ডিম এবং ক্ষতিকর রং ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও ভিতরের পরিবেশ খুবই খারাপ। বেকারী কারখানার কোন মালিকরাই এসময় অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।

    জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাদারীপুরের উপ-পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, এসব কারখানায় শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে। অস্বাস্থকর পরিবেশে নষ্ট ডিম, রং ব্যবহার করে পন্য তেরী করা একটি অপরাধ।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…