ঝালকাঠি সদরের বাসন্ডা ইউনিয়নে ৩ মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১০ জুন) বেলা সাড়ে ৩টায় সদরের এনএস কামিল মাদ্রাসার আবাসিক তাহেলি ভবনের ২য় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার মিজানুর রহমানের ছেলে হাবিবুল্লাহ (১৬), পটুয়াখালীর ছোট দিঘাই খলিলুর রহমানের ছেলে রুবায়েত (১৬), ও ভোলা সদর উপজেলার চরনোয়াবাদের মাহমুদ হাসানের ছেলে ইয়াসিন হাসান নাইম (১৬)। এদের মধ্যে ইয়াসিন হাসান নাইম গুরুতর আহত হয়।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের এনএস কামিল মাদ্রাসার তাহেলী আবাসিক বিভাগের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ, রুবায়েত, ইয়াসিন হাসান নাইম। সোমবার দুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাহিরে ফুটবল খেলতে গিয়েছিল। খেলা শেষে মাদ্রাসায় ফিরে আসলে মাদ্রাসার শিক্ষক মো. সালাহ উদ্দিন তার কক্ষে ডেকে নিয়ে বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এতে ইয়াসিন হাসান নাইমের শরীরের সমস্ত শরীরে রক্তাক্ত জখম হয়ে যায়। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষকরা তাকে কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে মাদ্রাসা থেকে কোথাও বের হতে দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জানায়, সোমবার দুপুরে তাদেরকে ডেকে নিয়ে সালাহ উদ্দিন হুজুর বেত দিয়ে মারতে শুরু করেন। অনেক অনুনয় আর কাকুতি-মিনতি করলেও মন গলেনি তার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করলেও কলটি রিসিভ করেননি তিনি।
আহত শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে এমন বর্বরোচিত নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবি জানান সুশীল সমাজের অনেকেই।
ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি )মো. শহিদুল ইসলাম জানান, অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।