মৎস্য অধিদপ্তরের ৬৫ দিনের অবরোধকে সফল ও সরকারের সুনীল অর্থনীতি নিশ্চিত ও আইইউইউ ফিশিং দমনে ওয়ার্ল্ডফিশ/ইকোফিশ-২ এর আয়োজনে সচেতনতা মূলক সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে কুয়াকাটার মম্বিপাড়ায় কারিতাস অফিসে শতাধিক জেলেদের উপস্থিতিতে কুয়াকাটা মৎস্য সংরক্ষণ দলের সভাপতি মো: নুর হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আশিকুর রহমান, সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা, মৎস্য অধিদপ্তর, কলাপাড়া। এসময় স্বাগতম বক্তব্য রাখেন মো: বখতিয়ার রহমান, গবেষণা সহকারী, ওয়ার্ল্ডফিশ/ ইকোফিশ।
এসময় জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা অনেকেই অবরোধে মাছ শিকারে যাচ্ছি না। খেয়ে না খেয়ে দিন পার করি। কিন্তু অনেক প্রভাবশালী মহল বিভিন্নভাবে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাছ শিকার করছে। অবরোধে আমাদের মত অসহায় গরীব জেলেরা ঘরে থাকলেও শতশত ট্রলার বর্তমানে মাছ শিকারে আছে।
জেলেরা আরও বলেন, অবরোধের সময় যদি প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকে তাহলেই কোন জেলে মাছ শিকারে সাগরে যাতে পারবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আশিকুর রহমান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বারা টেকসই মৎস্যসম্পদ নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাসমূহ অবৈধ, অপ্রতিবেদিত এবং অনিয়ন্ত্রিত বা ইললিগ্যাল, আনরিপোর্টেড এন্ড আনরেগুলেটেড (আইইউইউ) মাছ ধরার কার্যকলাপের দ্বারা হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর ভাষ্যমতে আইইউইউ ফিসিং এর কারণে প্রতি বছর ১১-২৬ মিলিয়ন টন মাছের অবৈধ আহরণ হয় যার অর্থনৈতিক মূল আনুমানিক ১০-২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি আরও বলেন, এই আইইউইউ ফিশিং দমনে জেলে সহ সকল স্তরের সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি একটি যুগোপযোগী উদ্যোগ। সামুদ্রিক মাছ আহরণের জন্য একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা এবং আইইউইউ ফিশিং দমনে সফলতা দেশের সুনীল অর্থনীতিতে সর্বোত্তম অবদান নিশ্চিত করতে পারে।
এআই