ঈদ যাত্রায় রাজধানীর প্রবেশদ্বার খ্যাত ব্যস্ততম গাবতলী বাস টার্মিনালের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিলো। ঈদে নাড়ীর টানে গাবতলি আন্তঃজেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে যে যার পছন্দের গণপরিবহনে পরিবার পরিজন নিয়ে ফিরছিলেন।
রাজধানীতে হঠাৎ ঝড়ো বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রী সাধারণ। হঠাৎ বৃষ্টিতে হুড়মুড় করে ছোটাছুটি করে টার্মিনালের বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপদে আশ্রয় নিতে দেখা যায় তাদেরকে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গাবতলি আন্তঃজেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এতে করে বিশেষভাবে সমস্যায় পড়েছেন গাবতলী থেকে লোকাল বাস সার্ভিসে গন্তব্যের উদ্দেশ্য যাত্রা করতে আসা যাত্রী সাধারণ।
অপরদিকে, প্রতিটি যানবাহনেই যাত্রীদের কাছ থেকে দিগুণ ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এসময় দেখা যায়, হঠাৎ বৃষ্টিতে যে যার মতো নিজেদের মালামাল নিয়ে হুড়োহুড়ি করে টার্মিনালের ভতরে প্রবেশ করছেন। মিনিট খানেকের ভেতরে টার্মিনালের ভেতরের পুরে অংশ যেন লোকে লোকারন্য হয়ে ওঠে। দেখে মনে হয় যেন কিছু সময়ের জন্যেও হলেও প্রচণ্ড ভীড়ে চিরচেনা রূপে ফিরেছে গাবতলী বাস টার্মিনাল।
এসময় মাহফুজ নামে রাজবাড়ীগামী এক যাত্রী বলেন, ৫০০ টাকা দিয়ে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বিকেল ৪.০০ টার টিকেট কিনে গাড়ীর অপেক্ষায় বসে আছি। স্বাভাবিক সময়ে যে টিকিটের মূল্য নেওয়া হয় ৪০০ টাকা। কিন্ত এখন ৫টা পার হয়ে গেলেও গাড়ীর দেখা নেই। কর্তৃপক্ষ বলছে জ্যামে গারি আটকে আছে। বিকেলে ভ্যাপসা গরমে চরম অস্বস্তি হচ্ছিল। হঠাৎ বৃষ্টিতে ভোগান্তির সৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি মিলেছে।
সেলফী পরিবহনে পরিবার পরিজন নিয়ে পাটুরিয়াগামী শারমিন আক্তার বলেন, ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করি। আগামী ১৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঈদ-উল-আযহা। আগামীকাল শুক্রবার। অর্থাৎ এবার ঈদের চারদিন আগে ছুটি পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে আগেভাগেই রওয়ানা হয়েছি। তবে সেলফী পরিবহনে দ্বিগুন ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এছাড়া হঠাৎ বৃষ্টিতে ছেলেমেয়ে ও মালামাল নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।
রংপুরগামী ফয়সাল আরেফিন নামে আরেক যাত্রী বলেন, আমি রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কিন্ত আমার কাছে ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ১৪শ’ টাকা। যেখানে নিয়মিত ভাড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। কি আর করা যেতেও তো হবে। দেখার কেউ নেই।
যাত্রীদের দাবি ঈদ উপলক্ষে গাবতলী বাস টার্মিনালে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দিগুণ ভাড়া আদায় করা একরকম জুলুমই বলা চলে। স্থানীয় সংশ্লিষ্ট মহল ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এদিকে নজরদারীসহ এহেন অপরাধের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তারা।
এইচএ