এইমাত্র
  • বাঁধ ভেঙে শেরপুরে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত
  • নোয়াখালীতে সড়কে প্রাণ গেল ২ বিএনপি-জামায়াত নেতার
  • গজারিয়ায় কাভার্ডভ্যান-ট্রাক ও সিএনজির ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ২
  • যার ফোনকলে সিদ্ধান্ত বদলান রাহুল দ্রাবিড়
  • চুয়াডাঙ্গায় পল্লী উন্নয়ন কিশোরী সংঘের সচেতনামূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
  • রূপচাঁদা মাছের দোপেঁয়াজা তৈরির রেসিপি
  • মাদারীপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি
  • চুয়াডাঙ্গায় কিশোর শ্রমিকের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ
  • টাঙ্গাইলে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা ২২ শিক্ষার্থীর মানববন্ধন
  • রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা ভবনে অভিযান শুরু
  • আজ মঙ্গলবার, ১৮ আষাঢ়, ১৪৩১ | ২ জুলাই, ২০২৪
    ফিচার

    ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

    এবার ফাঁসছেন এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১ জুলাই ২০২৪, ১২:২৫ এএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১ জুলাই ২০২৪, ১২:২৫ এএম

    এবার ফাঁসছেন এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১ জুলাই ২০২৪, ১২:২৫ এএম

    জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমসের বিভাগের সাবেক সহকারী কমিশনার মোখলেছুর রহমান ও তার পরিবারের ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক। শুধু খোঁজ নয়, তথ্য প্রমাণ পাওয়ায় তা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

    তথ্য-প্রমাণ বলছে মোখলেছুর রহমান ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত স্ত্রী ও ছেলের নামে গড়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন। এমনকি দুদকের কাজে বাধা তৈরি করতে বিভিন্ন সময়ে উচ্চ আদালতের সহায়তা নিয়েছেন, যদিও আইনগত জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত মোখলেছুর রহমানের পরিববার তিন সদস্য এখন চার্জশিটভুক্ত আসামি।

    কমিশন থেকে চার্জশিট বা অভিযোগপত্র অনুমোদন পাওয়ার পর চলছে আদালতে দাখিল করার প্রক্রিয়া। শিগগিরই তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক আলমগীর হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন বলে জানা গেছে।

    এ বিষয়ে আলমগীর হোসেনের কাজে জানতে চাইলে তিনি জনসংযোগ দপ্তরে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন। অন্যদিকে এ বিষয়ে দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ২৫ জুন কমিশন থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    ২০২১ সালের ২ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে এনবিআর কাস্টমস বিভাগের সদস্য আলোচিত মতিউর রহমান ও কর বিভাগের প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

    তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. মোখলেছুর রহমান খান (সাহান) ১৯৮০ সালের ১ অক্টোবর কাস্টমস ও এক্সসাইজ অফিস বিভাগে পরিদর্শক পদে যোগদান করেন। তিনি গত ২০১২ সালে সহকারী কমিশনার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন।

    ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট সহকারী কমিশনার হিসাবে ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় আসামি তার স্ত্রী কান্তি রহমান তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তার প্রথম স্ত্রী ১৯৮৮ সনে মৃত্যুবরণ করার পর ১৯৯৩ সালে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। তার ২ ছেলের মধ্যে একজন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী ও অন্যজন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত।

    আসামি মো. মোখলেছুর রহমান খান (সাহান) একজন কর অঞ্চল-৪ এবং তার স্ত্রী কান্তি রহমানও কর অঞ্চল-১০ এর করদাতা।

    তদন্তকালে আসামি মোখলেছুর রহমান খান (সাহান) তার নিজ নামে ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৬ টাকার স্থাবর এবং ২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৫ টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। তার মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ৮১ টাকা। তার পারিবারিক ব্যয় ১ কোটি ৬৩ লাখ ৪২ হাজার ২৪৬ টাকাসহ মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ৯৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৩ টাকা। যার বিপরীতে মোট আয় পাওয়া যায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ২২০ টাকা। অর্থাৎ ৬৫ লাখ ৪৭ হাজার ১১৩ টাকা অবৈধ হিসাবে হিসাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    অন্যদিকে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামি কান্তি রহমান তার নিজ নামে ৩ কোটি ৪১ লাখ ৭০ হাজার ২০৫ টাকার স্থাবর এবং ৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ২০৫ টাকার সম্পদের বিবরণ পেয়েছে দুদক। যার পারিবারিক ব্যয়সহ মোট ৪ কোটি ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭১ টাকা হয়। আর ওই সম্পদের বিপরীতে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ১ কোটি ১৮ লাখ ৯ হাজার ৭১৮ টাকা। অর্থাৎ ৩ কোটি ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬৫৩ টাকা অবৈধ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে দুদকের তদন্তে। ওই সব সম্পদ তার স্বামী মো. মোকলেছুর রহমান খানের ঘুষ ও দুর্নীতির টাকা। একজন সরকারি কর্মচারী তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় স্ত্রী কান্তি রহমান অর্জন করেছেন। যা ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    এদিকে তৃতীয় আসামি ও মো. মোখলেছুর রহমান খানের বড় ছেলে মো. ফয়জুর রহমান খান বর্তমানে বিদেশে থাকলেও তার বিরুদ্ধে আইনগত অপরাধ মিলেছে দুদকের তদন্তে। নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে ২০০৬-০৭ প্রথম আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবসা প্রদর্শন করলেও বাস্তবে তার কোনো ব্যবসা পাওয়া যায়নি। তবে গ্রামীণ ফোনে ৪০ হাজার টাকা বেতনের একটি চাকরি করতেন। যদিও ২০১৭ সাল থেকে ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়ে সেখানেই বসবাস করছেন বলে জানা গেছে। কম্পানিতে চাকরিরত অবস্থায় ফয়জুর রহমান ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর গুলশান মডেল টাউন/আবাসিক এলাকার সিডব্লিউএন (বি) ব্লকের ৩৬ নং রোডের সাবেক ৫নং হালে ৫ ও ৫/এ নং প্লটের ১৬.৩৪ কাঠা জমির ওপর নির্মিত ‘জেনেটিক রিচমন্ড’ নামীয় ভবনে কার পার্কিং স্পেসসহ ২১ লাখ ৩৮ হাজার ৮১৯ টাকায় ১৯৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। দালিলিক মূল্য ওই টাকা হলেও বাস্তবের ফ্ল্যাটের মূল্য দুই থেকে তিন ছিল তৎকালীন সময়ে। এ ছাড়া তার নামে কিশোরগঞ্জে ৫০ শতক জমি ও ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা ব্যাংকসহ অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে মোট ২৭ লাখ ৮৩ হাজার ৬১৯ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। যার বিপরীতে প্রমাণযোগ মোট আয় পাওয়া যায় ৪০ হাজার টাকা। এখানে ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে তার বাবা মো. মোখলেছুর রহমান খান তাকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং তিনি তার বাবার অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদকে বৈধ করার অপচেষ্টা করেছেন। কৌশল হিসাবে নিজের নামে রেখে তার বাবাকে আমমোক্তার নিয়োগ করেছেন। সে কারণে মো. ফাইজুর রহমান খানকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।

    এফএস

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…