সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক’ কোটা বাতিল করে এক দফা দাবি আদায়ে তৃতীয় দিনের মতো ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে সড়ক অবরোধ করে দাবি আদায়ে সরব হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দুপুরের দিকে কারওয়ান বাজারে রেলপথও অবরোধ করেছেন তারা। ফলে এই মুহূর্তে ঢাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (১০ জুলাই) ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে সকাল থেকে বিভিন্ন সড়ক ও রেলপথ ব্লক করেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং চাকরিপ্রার্থীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার নিশ্চিত করে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, দুপুর ১২টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কারওয়ান বাজারের রেলপথের বাইরে থাকা স্লিপার তুলে রেললাইনের ওপর রাখা হয়েছে এবং জাতীয় পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। অনেকের মাথায়ও বাঁধা রয়েছে জাতীয় পতাকা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ রেললাইন অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন আরও বেগবান হবে বলেও জানান তারা।
এদিকে, সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের এমন আদেশকে ‘আন্দোলন দমানোর কৌশল’ হিসেবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, আন্দোলন দমানোর চেষ্টা না করে একটি কমিশন গঠন করে কোটা ইস্যুর স্থায়ী সমাধান করুন। এছাড়া ছাত্রসমাজ রাজপথ ছাড়বে না।
এইচএ