এইমাত্র
  • মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে সিভিল প্রসিডিউর কোড সংশোধন হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা
  • পুলিশের কাছে ভারী মারণাস্ত্র থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় ৩ কোটি ৪৩ লাখ
  • ভারতে বিমান বিধ্বস্ত: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৪
  • ইসরায়েলের প্রতি কোনো দয়া নয়: খামেনি
  • আজ যেমন থাকবে রাজধানীর আবহাওয়া
  • ঘোড়াঘাটে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ৫
  • সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • মাদক সেবন করে নাচানাচি: মুচলেকায় ৩৭ জনের মুক্তি
  • পদ্মা সেতুতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, চালকসহ নিহত ২
  • আজ শনিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ | ১৪ জুন, ২০২৫
    জাতীয়

    টাকা ছাপিয়ে অচল ব্যাংক সচল রাখা হচ্ছে: আহসান এইচ মনসুর

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:১১ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:১১ পিএম

    টাকা ছাপিয়ে অচল ব্যাংক সচল রাখা হচ্ছে: আহসান এইচ মনসুর

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:১১ পিএম

    পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশের ব্যাংকিং খাতকে আমরা ঘুণে ধরিয়ে দিয়েছি। টাকা ছাপিয়ে অচল ব্যাংক সচল রাখা হচ্ছে। এতে কেবল সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়েছে তেমন না। সরকারেরও ধার নেয়ার সক্ষমতা কমেছে। পরিস্থিতির উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রাজনৈতিক সদিচ্ছা।

    শনিবার (১৩ জুলাই) অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে দুরবস্থার কারণ’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

    আহসান এইচ মনসুর বলেন, টাকা ছাপিয়ে অচল ব্যাংক সচল রাখার দরকার নেই। আবার রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বন্ধ করতে হবে। তা না হলে মূল্যস্ফীতি কমবে না। ডলারের দর বাজারভিত্তিক হয়েছে, সুদহার বেড়েছে। ফলে এখন আর প্রণোদনার দরকার নেই। রেমিট্যান্সের প্রণোদনা দুবাই ভিত্তিক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী খেয়ে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলো উদ্ধারের নামে যদি টাকা ছাপানো অব্যাহত থাকে তাতেও মূল্যস্ফীতি কমবে না। এ ছাড়া ধার করে রিজার্ভ সাময়িক বাড়ানো যাবে। তবে এটা স্থায়ী সমাধান না। বরং সঠিক নীতির মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়াতে হবে। তা না হলে ১৩ বিলিয়ন রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে ৪শ’ বিলিয়ন জিডিপির দেশ ঠিক রাখা যাবে না।

    তিনি আরও বলেন, রপ্তানি খাতের ডাটা নিয়ে এখন কথা হচ্ছে। তবে যদি বলা হয়- কোন খাতের ডাটায় সবচেয়ে বিভ্রান্তি সেটা ব্যাংক খাত। ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ১১ শতাংশ বলা হলেও আসলে তা ২৪–২৫ শতাংশ। এ খাতের সব ধরনের তথ্যে বিভ্রান্তি আছে। এটা কার্পেটের নিচে ময়লা রেখে পরিস্থিতি ভালো দেখানোর মতো। তবে ময়লা যেহেতু আছে গন্ধ ছড়াবেই। নির্বাচনের আগে আর্থিক খাতে অনেক ধরনের সংস্কারের কথা বলা হলো। কিন্তু ৬ মাস পার হলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ তো দেখা গেল না। এভাবে চললে তো দেশ চলবে না।

    আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমারা ৫ শতাংশের কম বাজেট ঘাটতি মেটাতে পারছি না। অথচ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ৯ শতাংশের মতো ঘাটতি বাজেট দেয়। এর মধ্যে সাড়ে ৮ শতাংশই নেয় অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। এ নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না, ব্যাংক খাতের সক্ষমতার কারণে।

    এমএইচ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…