এইমাত্র
  • রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ ৫ দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
  • বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধে আলটিমেটাম
  • গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদের দালালমুক্ত করতে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম
  • ব্যারিস্টার সুমন প্রতারণা করে এমপি হয়েছে: পিপি
  • মার্কিন নির্বাচনের আগে শেষ চেষ্টা চালাতে ইসরায়েলে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
  • আগরতলায় সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে যা বলছে আওয়ামী লীগ
  • রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
  • মিরপুর টেস্টে ২য় দিনে ১০১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
  • খুলনায় ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় ২১ জনের যাবজ্জীবন
  • বেপজায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
  • আজ মঙ্গলবার, ৭ কার্তিক, ১৪৩১ | ২২ অক্টোবর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    অষ্টগ্রামে কাজ না করেই প্রকল্পের ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ

    সাব্বির হোসেন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
    সাব্বির হোসেন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম

    অষ্টগ্রামে কাজ না করেই প্রকল্পের ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ

    সাব্বির হোসেন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম

    কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ৫ বছর আগে প্রতিরক্ষা দেয়ালসহ সড়ক পাকাকরণ প্রকল্পের কোনো কাজ না করেই উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব মুর্শেদ ও ঠিকাদার নুরুল ইসলাম সরকার মিলে প্রকল্পের ৩৫ লাখ টাকার বিল তুলে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

    ৫ বছর আগে প্রকল্পটির কার্যাদেশ দেওয়া হয়। মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু ৩ বছর আগে মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি এখনো। ঘটনাটি ঘটেছে অষ্টগ্রাম উপজেলা সদর ইউনিয়নের আড়ারপাড় গ্রামে।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ময়মনসিংহ অঞ্চল পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (এমআরআরআইডিপি) অধীনে অষ্টগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৬টি সড়ক উন্নয়ন ও পাকাকরণ প্রকল্পের কাজ পায় আতিক এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১ কোটি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭ টাকা চুক্তিমূল্যে বাস্তবায়ন করে অষ্টগ্রাম উপজেলা এলজিইডি অধিদপ্তর। প্যাকেজের আওতায় অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়নের আড়ারপাড় ঋষিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংযোগ সড়কের ১০০ মিটার সড়কে প্রতিরক্ষা দেয়াল ও সড়ক পাকাকরণে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আতিক এন্টারপ্রাইজ সহযোগী ঠিকাদার নুরুল ইসলাম সরকার এই সড়কে কোনো কাজ না করে তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী মাহগুব মুর্শেদের সহযোগিতায় বরাদ্দের পুরো অর্থ তুলে আত্মসাৎ করেন।

    মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, খানাখন্দে বেহালদশা আড়ারপাড় ঋষিপাড়া কাঁচা সড়কটি। আড়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ঋষিপাড়ার মানুষের চলাচলের প্রধান এ সড়কটিতে কোনো যানবাহন চলাচল করে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে নাকাল হয় এলাকাবাসী। যানবাহন ও পথচারীদের পোহাতে হয় ভোগান্তি। প্রতিনিয়ত এমন দুর্ভোগে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।

    স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে সড়কটি পাকা হবে বলে শুনেছেন তারা। পরে কেন হয়নি, তা জানেন না। এখন শুনতে পাচ্ছেন, কোনো কাজ না করেই রাস্তার বরাদ্দের সব টাকা আত্মসাৎ করেছেন ঠিকাদার। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি ও রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণের দাবি জানান তারা।

    শিক্ষার্থী নাঈম হাসান বলেন, কয়েক বছর আগে সড়কটি পাকা হবে শুনেছি। পরে কেন হয়নি, তা জানি না। আমরা বারবার বলেও রাস্তাটি পাকা করাতে পারিনি। এখন শুনছি, কোনো কাজ না করেই ঠিকাদার বরাদ্দের সব টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা স্কুলশিক্ষার্থী ও শতাধিক পরিবারের মানুষ এই ভাঙা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত আসা-যাওয়া করি। বৃষ্টির সময় খুব দুর্ভোগে পড়তে হয় আমাদের। আমরা রাস্তা পাকাসহ ঠিকাদারের বিচার চাই।

    এদিকে প্রকল্পের কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করেও নুরুল ইসলাম কীভাবে টানা দুই বছর ‘সিআইপি’ পুরস্কার পেলেন, তা নিয়েও ভুক্তভোগীরা প্রশ্ন তোলেছেন। কাজ না করে পাঁচ বছর আগে বিল তুলে আত্মসাৎ করে বিষয়টি গোপন রাখার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিসহ রাস্তাটি দ্রæত পাকাকরণের দাবি করেন স্থানীয়রা।

    আতিক এন্টারপ্রাইজ মালিক ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার লাইসেন্সে অষ্টগ্রামের নুরুল ইসলাম সরকার প্যাকেজটি পান। তিনি কাজ নিয়ে কী করেছেন, আমি জানি না। আপনি তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। তবে, কাজ না করে বিল তুলে নিলে নুরুল ইসলাম ও উপজেলা প্রকৌশলী অন্যায় করেছেন।’

    ঠিকাদার নুরুল ইসলাম সরকারে সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। আর প্রতিরক্ষা দেওয়ালের কাজ হয়েছিল। রাস্তার জায়গা নিয়ে সমস্যা থাকায় বাকি কাজ এখনো হয়নি।

    তৎকালীন অষ্টগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব মুর্শেদ বলেন, এতদিন আগের বিল, আমার মনে নেই। জেলা প্রকৌশলী দপ্তরে খোঁজ নেয়ার জন্য তিনি বলেন।

    অষ্টগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ রেজাউল হক জানান, আড়ারপাড় ঋষিপাড়া সড়কের কাজ না করে নুরুল ইসলাম সরকার বরাদ্দের সমুদয় টাকা উত্তোলনের বিষয়টি একাধিক সূত্রে জেনে সরজমিন সত্যতা পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…