মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বাবলা ডাকাতকে তার বাড়িতে ঢুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের মল্লিকেরচর এলকায় বাবলার দোতলা ভবনের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।
নিহত বাবলা ওরফে উজ্জল চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব থানার মোহনপুর গ্রামের বাচ্চু খাঁর ছেলে। তিনি জেলার গজারিয়া উপজেলার মল্লিকের চর রহিম বাদশার বাড়িতে থেকে দীর্ঘদিন ধরে গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ সদর, চাঁদপুর এলাকায় বালু মহল নিয়ন্ত্রণ করতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মল্লিকেরচর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৮টার দিকে আমি গরুর ঘাস কাটার জন্য নৌকা নিয়ে বাবলার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় দেখি দুটি স্পিডবোড ও দুটি ইঞ্চিনচালিত ট্রলার নিয়ে হেলমেট পরে ২০ থেকে ২৫ জন লোক বাবলার বাড়ির সামনে এসে নামে। এ সময় তারা স্পিডবোট ও ট্রলার থেকে নেমে বাবলার বাড়ির সামনে গুলি করে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে এবং তারা বাবলার পাকা ভবনের দোতলায় উঠে বাবলাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার আগে ওই বিল্ডিংয়ের দরজা বন্ধ করে চার থেকে পাঁচজনকে আটক করে স্থানীয়রা। এখনও তারা ওই ভবনে আটক আছে বলে জানা গেছে। তবে আকটদের পরিচয় জানি না।’
ইমামপুর ইউপির সদস্য জসিম বলেন, ‘মল্লিকের চর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে বাবলার সঙ্গে অপর একটি গ্রুপের দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছিল।’ অপর গ্রুপের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি বলতে রাজি হননি।’
ইউপি সদস্য জসিম আরো বলেন, ‘নিহত বাবলা ওরফে উজ্জল চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব থানার মোহনপুর গ্রামের বাচ্চু খাঁর ছেলে। তিনি গজারিয়া উপজেলার
মল্লিকের চর রহিম বাদশার বাড়িতে থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ সদর, চাঁদপুর এলাকায় বালু মহল নিয়ন্ত্রণ করতেন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। বৈধ ইজারাদাররা বালু তুললেও তাঁকে চাঁদা দিতো হতো। মুন্সিগঞ্জ সদর, গজারিয়া, মতলব, চাদঁপুর, শরীয়তপুর এলাকার পদ্মা নদীতে তিনি গড়ে তোলেন সশস্ত্র ডাকাত চক্র।’
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বাবলা একজন কুখ্যাত ডাকাত। তাঁর বিরুদ্ধে গজারিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৩২টি ডাকাতি ও চাদাঁবাজি মামলা রয়েছে। উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের মল্লিকের চর এলকায় তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় পুলিশ পাঠাতে দেরি হয়েছে। পুলিশ বর্তমানে ঘটনাস্থলে আছে।’