কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে অটোচালক হুমায়ুন কবির (২০) হত্যাকাণ্ডের মামলা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে করিমগঞ্জের বাদেশ্রীরামপুর এলাকা থেকে হৃদয়কে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আশরাফুল ইসলামকে সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোর পৌনে ৫টার দিকে গাজীপুরের গাছা থেকে এবং ঝুটন পাঠানকে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বাজিতপুর থেকে গ্রেফতার করে। হৃদয়ের শনাক্তমতে লুণ্ঠিত অটোরিকশাটি আশরাফুল ইসলামের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, করিমগঞ্জের কলাতলি (খুদিরজঙ্গল) গ্রামের মৃত মাহফুজের ছেলে হৃদয় (১৯), বাজিতপুর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে ঝুটন পাঠান (৪০) ও দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার উত্তর মুরাদপুর গ্রামের (বর্তমানে গাজীপুর জেলার গাছা থানার তারগাছ গ্রামের আশু হাজীর বাড়ির ভাড়াটিয়া) মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩২)।
পুলিশ জানায়, গত (২ অক্টোবর) রাত ৮টার পর থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত যে কোন সময় অটোচালক হুমায়ুনকে হত্যা করে করিমগঞ্জের জাফরাবাদ ইউনিয়নের বাদেশ্রীরামপুর গ্রামের জঙ্গলবাড়ি মহিলা কলেজের পাশে একটি বাগানের ভিতরে লাশ ফেলে রাখে। হুমায়ুন করিমগঞ্জের গুজাদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চর করণশী গ্রামের উছমানের ছেলে। ঘটনার পরদিন উছমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর করিমগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন ও তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহব্বত খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাদের গ্রেফতার করে। হৃদয়ের শনাক্তমতে লুণ্ঠিত অটোরিকশাটি আশরাফুল ইসলামের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। আসামি হৃদয় এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরো দুজনের নামও প্রকাশ করেছে পুলিশের কাছে।
করিমগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামি হৃদয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আরো দুজনের নাম প্রকাশ করেছেন। আসামি হৃদয় প্রথমে অটোরিকশাটি ঝুটন পাঠানের কাছে বিক্রি করে। ঝুটন পরে গাজীপুরের আশরাফুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। ঝুটন ও আশরাফ দীর্ঘদিন ধরে চোরাই অটোরিকশা কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এমআর