ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতভর বৃষ্টি হয়েছে মোংলা উপকূলীয় এলাকায়। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বৃষ্টি অপেক্ষা করে স্বাভাবিক অন্য দিনের মতো কাজে যোগ দিচ্ছেন মানুষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বুধবার প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে। সতর্ক অবস্থায় থেকে বন্দরে অবস্থানরত ৮টি বাণিজ্যিক জাহাজ ও জেটিতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছে কতৃপক্ষ। তবে বৃষ্টির কারণে ব্যাঘাত ঘটছে পণ্য উঠা-নামার কাজ।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে মিল রেখে তাদের নিজ্বস্ব অ্যালাট-১ জারি করে বুধবার।
কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার সাইফুর রহমান ভূঁইয়া জানান, আবহাওয়া অফিস যখন তাদের সিগনাল বাড়াবে তখন মোংলা বন্দর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে বন্দরের নিজ্বস্ব টুইন জাহাজ, পানির বোর্ড, ও পাইলট বোর্ডগুলো জেটিতে নিরাপদে রাখা হয়েছে। লাইটারগুলোকে নিরাপদে থেকে চলসচল করতে বলা হয়েছে।
মোংলা বন্দর জেটিতে নিরাপদে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২টি যুদ্ধজাহাজ। বুধবার দুপুরে বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে বিএনএস শাপলা ও বিএনএস শৈবাল নামক জাহাজ দুটি জেটিতে ভিড়ে। এছাড়া বিএনএস প্রত্যাশা ও বিএনএস স্বাধীনতা নামে আরও দুটি যুদ্ধজাহাজ মোংলা নৌঘাঁটিতে নিরাপদে নোঙর করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেছে, মোংলা নদী ও পশুর নদীর পানি স্বাভাবিক রয়েছে। নদীতে লাইটার ও ট্রলার চলাচল স্বাবাভিক রয়েছে।
এদিকে, অন্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালেও বৃষ্টি অপেক্ষা করে কাজে যোগ দিয়েছে মোংলা ইপিজেড এ কর্মরত শ্রমিক- কর্মচারীরা। তবে কেউ কেউ বৃষ্টিতে ভিজে ট্রলার পারাপার হতে দেখা গেছে।
এইচএ