যুগে যুগে ভালোবাসার টানে অনেকেই দেশদেশান্তরে ছুটে যায়। কিছু প্রেমের গল্প শতাব্দীর পর শতাব্দী মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়। ভালোবাসার টানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাঝে মধ্যেই যুবক যুবতীরা বাংলাদেশে ছুটে আসার ঘটনা আলোচিত হয় দেশজুড়ে।
এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কাকিলা মারি গ্রামে, ওই গ্রামের মালেক মুহুরির কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মল্লিকার ভালোবাসার টানে সুদুর তুরস্ক থেকে ছুটে এসেছেন মোস্তফা ফাইক (২৭) নামের এক যুবক।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তুর্কি যুবক মোস্তফা ফাইক, সাথে এসেছেন তার মামা মুসা। মোস্তফা তুরস্কের ইস্তাম্বুলের বাজদার এলাকার বাসিন্দা বাহারি চাবাস এর বড় ছেলে। গতকাল রাতেই স্থানীয়ভাবে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
এই খবর ছড়িয়ে পরলে তরুণীদের বাড়িতে ভিড় করে এলাকার শতশত মানুষ। প্রত্যেকেই এই ঘটনায় আনন্দ প্রকাশ করে জানান, এরকম ঘটনা আমরা কোনদিন দেখিনি। তুরস্কের যুবক আমাদের এলাকার মেয়ের ভালোবাসার টানে চলে এসেছে এতে আমরা অনেক খুশি। এসময় প্রত্যেকেই নবদম্পতির জন্য দোয়া ও শুভকামনা জানা
আলাপচারিতায় তরুণী জানান, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থানরত এক আত্মীয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩ বছর পূর্বে ইনস্টাগ্রামে তাদের পরিচয় হয়। তখন থেকেই দুজনের মন দেয়া নেয়ার ঘটনা ঘটে। দুজনের পরিবারের সম্মতিতে ইতিপূর্বে তরুণী তুরস্কে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করলে সেটা নাকচ হয়ে যায়। আর কোন উপায় না পেয়ে মোস্তফা বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন। কালবিলম্ব না করে প্রেমের টানে চলে আসেন প্রেমিকার জন্মভূমিতে।
এই ঘটনায় তুর্কি যুবক মোস্তফার সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি ইংলিশ ভাষা না জানায় সেটা সম্ভব হয়নি। এসময় উক্ত তরুণীর মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভালোবাসার মানুষকে কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি ছুটে এসেছেন। এখানকার মানুষ অত্যন্ত ভালো এবং অতিথিপরায়ণ।
এমআর