এইমাত্র
  • ১০ ট্রাক অস্ত্রের অন্য মামলাতেও খালাস পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর
  • ডাকাতির সময় ফাঁকা মাঠে নিয়ে গৃহবধুকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৭
  • পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে শেষ ভাষণে নিজেকে ‘সফল’ বলে দাবি করলেন বাইডেন
  • ঘুষ গ্রহণের সময় দুদকের হানা, আটক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা
  • বৃহস্প‌তিবার লেবানন থেকে দেশে ফিরবেন আরও ৫৮ বাংলাদে‌শি
  • দ্রুত নিয়োগ চান প্রাথমিকের সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা
  • চকরিয়া পৌর বিএনপির ১১টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড কমিটির অনুমোদন
  • হিলি স্থলবন্দরে বেড়েছে চাল আমদানি, কমছে দাম
  • এবার ভারত থেকে জ্বালানি কিনছে বাংলাদেশ, খরচ ১১৩৭ কোটি
  • নির্বাচনে যত বিলম্ব হবে, ততোই রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সংকট তৈরি হবে: ফখরুল
  • আজ মঙ্গলবার, ১ মাঘ, ১৪৩১ | ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    খেজুরের রস ও গুড় সংগ্রহে আগ্রহ নেই যশোরের গাছিদের

    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম
    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম

    খেজুরের রস ও গুড় সংগ্রহে আগ্রহ নেই যশোরের গাছিদের

    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম

    যশোরের শার্শা উপজেলায় খেজুরের রস ও গুড়ের প্রচুর চাহিদা থাকা সত্বেও রস ও খেজুর গুড় সংগ্রহে আগ্রহ নেই সাধারণ গাছিদের। যে কারনে বিলুপ্ত হতে চলেছে খেজুর গাছ। অথচ এককালে শার্শা উপজেলার উৎপাদিত খেজুর গুড় বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হতো। প্রচুর চাহিদা ছিলো।

    বর্তমানে খেজুরের রস ও খেজুরের গুড় লাভজনক হলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা সত্বেও গাছিরা খেজুর গুড় উৎপাদনে আগ্রহ প্রকাশ করছে না। তারা খেজুর গাছ রক্ষনা বেক্ষনেও উদাসীন।

    স্থানীয়রা জানান, আশির দশকেও উপজেলায় বাড়ি বাড়ি খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় উৎপাদন করা হতো। প্রতিটি বাড়িতে খেজুরের রস জ্বালানো হাড়ি ও বড় বড় চুলা থাকতো গুড় তৈরির জন্য। এক সময় ইটভাটায় খেজুর গাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় সে সময় অনেকেই খেজুর গাছ বিক্রি করে দেন। নতুন করে খেজুরের চারা না লাগানোর ফলে খেজুর গাছের সংকট দেখা দেয়। একারনে অনেকেই গাছির পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে যায়।

    শার্শা উপজেলার ভারত সীমান্ত লাগোয়া রুদ্রপুর গ্রামের গাছি খলিলুর রহমান জানান, রদ্রুপুর গ্রামে আগে প্রত্যেক বাড়িতে খেজুরের গুড় বানানো হতো। তখন সকলেই গাছ কাটতো। এখন গ্রামে মাত্র ৮ জন গাছি রয়েছেন। আগে প্রায় ৩শ’র মতো গাছি ছিলো। এখন গাছিরা অন্যের খেজুর গাছ ভাগে নিয়ে রস ও গুড় তৈরী করেন। আগেকার দিনে সকলেই নিজেদের গাছ নিজেরাই কাটতেন। এখনকার দিনে এক ভাড় রসের দাম ২৫০/ ৩০০ টাকা এবং এক কেজি নলেন গুড়ের পাটালির দাম ৫/৭ শ টাকা। তবুও তারা চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারেন না।

    তিনি আরো জানান, একটা খেজুর গাছ তোলা খরচ পড়ে ৭০ টাকা, এবং প্রতিটি গাছ কাটতে পারিশ্রমিক দিতে হয় ২০ টাকা। রস নিজেরা পেড়ে নিতে হয়। এসব কারনে অনেকের খেজুর গাছ থাকলেও তারা নিজেরা গাছ না করে প্রয়োজনে রস ও গুড় কিনে খান। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কয়েক বছর ধরে রসের উৎপাদন অনেক কম হচ্ছে। শীত বেশী পড়লে রসও বেশী হয় বলে তিনি জানান।

    অপর গাছি জুলফিকার আলি বলেন, খেজুর গাছে এখন অনেক লাভ। আগে ১০ টাকায় এক ভাড় রস বিক্রি হতো, এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩শ টাকায়। এক কেজি গুড়ের দাম ছিলো ৩০ টাকা, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫/৭শ’ টাকায়। বর্তমানে একটা গাছে এক মৌসুমে ৩ হাজার টাকার রস ও গুড় পাওয়া যায়।

    একশ’টা খেজুর গাছ থাকলে ৩ লাখ টাকারও বেশী আয় হয় তা থেকে। খেজুর গাছে জমির অন্য ফসলের কোনো ক্ষতি হয় না, জমিরও ক্ষতি হয় না। ফসলি জমির চারি পাশে খেজুর গাছ লাগিয়ে বাড়তি উপার্জন করা সম্ভব। তিনি বলেন, আগের মতো সবাই আগ্রহী হলে এলাকায় রস ও গুড়ের চাহিদা মিটিয়েও বাইরে রপ্তানি করা সহজ হবে। এবং জেলার ঐতিহ্য ফিরে আসবে।

    এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা বলেন, গ্রাম-বাংলা তথা যশোরের ঐতিহ্য রক্ষা করতে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও জমির আইলে খেজুর গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। এ পেশার সঙ্গে জড়িত গাছিদের নিয়ে সমাবেশ করে তাদের রস সংগ্রহ ও গুড় উৎপাদনের পাশাপাশি বিপননের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…