চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ততো বেশি সংকট তৈরি হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিলম্বিত করার কারণ নেই। এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন দেয়ার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। যেহেতু নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন হয়েছে এবং স্টেবেলিটি এসেছে। তাই নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, ততোই রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সংকট তৈরি হবে। এ কারণে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন করা যেতে পারে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারি আমরা।
‘নির্বাচন পেছানোর চিন্তা আসে কোথা থেকে। ট্রেনের লাইনে ওঠার কথা যেখানে, সেখানে কেন অন্য চিন্তা আসে?’, যোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন প্রশ্নই উঠে না। কেননা জনগণের ফোকাস এখন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে। জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন নয়। কেননা স্থানীয় সরকার দেশ পরিচালনা করে না, করে সংসদ।
বিএনপি ও জামায়াত সবচেয়ে বেশি ফ্যাসিবাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদের বিচার হবে। কিন্তু তড়িঘড়ি করা যাবে না। প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
‘বিএনপি ও জামায়াতের দূরত্ব হতেই পারে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের একটি স্বকীয়তা আছে। এজন্য নির্বাচন প্রয়োজন’, যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে পেয়েছি, সেটা তারা দেখতে বলেছেন। তবে সেটা একদিনের মধ্যে দেখে বলা সম্ভব নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হবে।
সীমান্ত ইস্যুতে শক্ত অবস্থান নেয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত।
এ ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সামনে প্রেস কনফারেন্স করা হবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এবি