র্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় দুইজন চাকুরিচ্যুত সেনাসদস্যসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১২, বগুড়া। এ সময়ে প্রতারকদের কাছ থেকে ভুয়া আইডি কার্ড, চারটি মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তাদের আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বগুড়া গাবতলীর আরমান আলী (৩৮), একই এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেন (৪৫) এবং ঝালকাঠির নলছিটি এলাকার মামুন হোসেন তালুকদার (৩৭)। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ।
র্যাব-১২ সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি মো. রঞ্জু মিয়া নামে এক ব্যক্তির কাছে ফোন করে প্রতারকচক্র নিজেদের র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করে। তারা ভয় দেখায় যে, র্যাব অফিসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এবং তা থেকে বাঁচতে হলে টাকা দিতে হবে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ভুক্তভোগী র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়ায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং কৌশলে প্রতারকদের ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় র্যাব অফিসের সামনে আসতে বলে। পরে সকাল ১০টার দিকে বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসের সামনে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়।
তল্লাশি চালিয়ে প্রতারকদের কাছ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ভুয়া অস্থায়ী পরিচয়পত্র, ডিজিএফআই-এর ভুয়া আইডি কার্ড, চারটি মোবাইল ফোন, নগদ ৩ হাজার ২০০ টাকা এবং কালো রঙের একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রথম দুইজন চাকুরিচ্যুত সেনাসদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, বগুড়ায় ভুয়া র্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় চাকুরিচ্যুত দুই সেনাসদস্যসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে র্যাব-১২ সদর থানায় হস্তান্তর করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এসআর