এইমাত্র
  • ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন ২ ফায়ার ফাইটার: মহাপরিচালক
  • চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৮ নভেম্বর
  • দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে উপহারের চাল পাঠাল অন্তর্বর্তী সরকার
  • দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম সোনার
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২৫
  • নিজ গ্রামেই পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বোমা হামলা, নিহত অন্তত ৩০
  • আবারও আইসিসির কাছে নালিশ করল পাকিস্তান
  • রাকসু নির্বাচন পেছাল
  • জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেপ্তার হলেন ‘ছাগল-কাণ্ডের’ ইমরান
  • টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
  • আজ মঙ্গলবার, ৮ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    তসলিমা নাসরিনকে দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফেরানোর দাবি বিজিপির

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম

    তসলিমা নাসরিনকে দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফেরানোর দাবি বিজিপির

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম

    কলকাতা থেকে এক সময় ‘বিতাড়িত’ বিতর্কিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে পুনরায় পশ্চিমবঙ্গে ফেরানোর আবেদন করেন বিজেপি। এ লক্ষ্যে এবার রাজ্যসভায় বকতৃতা দেওয়ার সময় তসলিমার পক্ষে কথা বললেন বিজেপি সংসদ সদস্য শমীক ভট্টাচার্য।

    বর্তমানে রয়েছেন দিল্লিতে তসলিমা। ২০২৪ এর জুলাই মাসে ভারতে থাকা রেসিডেন্স পারমিট শেষ হয়ে যায় তার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শায়ের কাছে মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানান তিনি। তার দাবি মেনে বাড়ানো হয় রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ। তবে ২০০৭ সালের পর তার আর ফেরা হয়নি কলকাতায়। ২০০৭ সালে কলকাতায় তাকে নিয়ে দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় শহর ছাড়তে হয়েছিল এই সাহিত্যিককে। তারপর কেটে গেছে ১৮ বছর।

    তবে প্রায় দুই দশক পরে বিতর্কিত এই লেখিকাকে কলকাতায় আবারও ফেরানোর দাবি বিজেপির ‘মাস্টার্স স্ট্রোক’ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    সোমবার রাজ্যসভায় জিরো আওয়ারে বক্তৃতা করার সময় বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য তসলিমাকে কলকাতায় ফেরানোর আবেদন করেন। তিনি বলেন, সাহিত্যিককে কলকাতা শহরে থাকার অনুমতি দিক সরকার। তিনি আরও বলেন, তদানীন্তন কিছু কংগ্রেস নেতাদের প্ররোচনায় কলকাতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তসলিমা। সেই নেতারা এখন পশ্চিমবঙ্গে শাসক দলের মাথা।

    নিজের বক্তব্যে তৎকালীন বাম সরকারেরও সমালোচনা করতে ছাড়েননি শমীক। অন্যান্য নারীবাদী বিষয়ে সোচ্চার হলেও তসলিমার ক্ষেত্রে তারা মৌন কেন সে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

    রাজ্যসভায় শমীকের এই বক্তব্যে স্বভাবতই খুশি তসলিমা। মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলার জন্য নিজের ফেসবুকে শমীককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বাম সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্তের কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, তারপর আর কেউ তার হয়ে কথা বলেননি। বর্তমান রাজ্য সরকার তার লেখা মেগা সিরিয়াল বন্ধ করে দেয় বলে দাবি করেন তিনি।

    তিনি লেখেন, “জানিনা, কলকাতায় শেষ পর্যন্ত আমার ফেরা হবে কি না, তবে তিনি যে আমার কথা মনে করেছেন, মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোর অপরাধে নিজের জন্মভূমি থেকে নির্বাসিত আমাকে বাংলায় লেখালেখি চালিয়ে যেতে হলে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি-পরিবেশে বাস করা আমার জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ, তা তিনি উপলব্ধি করেছেন বলে তাকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।”

    তৃণমূলের সংসদ সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, “রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে। তারপরে সব কিছু।”

    সিপিএম অবশ্য শমীকের এই বক্তব্যে ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে ধর্মীয় মেরুকরণের ইঙ্গিত দেখছে। সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, “বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি এবং তৃণমূল একে অন্যের পরিপূরক হয়ে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিজেপি ২০১৪ থেকে সরকার চালাচ্ছে। এতদিনেও কেন তসলিমাকে স্থায়ী নাগরিকত্ব দেওয়া হলো না?”

    তসলিমাকে ফেরত আনার পক্ষে কথা বলাকে পারতপক্ষে ভোটের আগে তৈরি করা একটা ইস্যু বলে মনে করছেন তিনি। তার কথায়, “বিজেপি এবং তৃণমূল যে সাংঘাতিক ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে, তসলিমা-প্রসঙ্গ তারই একটি অংশ।”

    ১৯৯৪ সালে লজ্জা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই স্বভূমি থেকে বিতাড়িত তসলিমা। দীর্ঘদিন কলকাতায় থাকলেও ২০০৭ সালে তার বই দ্বিখণ্ডিত নিয়ে শহরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তার সুরক্ষার জন্য তাকে শহর ছাড়তে বলা হয়।

    এরপর পুলিশি নিরাপত্তায় দিল্লি এবং জয়পুরে কাটিয়ে ভারত ছেড়ে ইউরোপে থাকতে শুরু করেন তিনি। পরে দিল্লিতে ফিরে আসেন তিনি। এখন সেখানেই বসবাস করেন তসলিমা।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    ফ্রান্সের ২১ সিটিতে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন

    ফ্রান্সে সেন্ট-ডেনিস শহরের টাউন হলের সামনে উড়তে শুরু করেছে ফিলিস্তিনের পতাকা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরপরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।সেন্ট-ডেনিসের মেয়র ম্যাথিউ হ্যানোটিন ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা অলিভিয়েঁ ফাওর, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাধারণ মানুষ। মেয়র হ্যানোটিন বলেন, এটি কেবল একটি পতাকা নয়। এটি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি আমাদের গভীর সংহতির প্রতীক। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি।ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় বিদেশি পতাকা উত্তোলন নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু মেয়র হ্যানোটিন এই নির্দেশ অমান্য করলেন। সেন্ট-ডেনিসের উদাহরণ অনুসরণ করে প্যারিস, ন্যান্টেস, সেন্ট-ওয়েন, সেন্ট-ডেনিস (Réunion) সহ অন্তত ২১টি শহরে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র সমালোচনা করলেও কিছু ইউরোপীয় দেশ সমর্থন জানিয়েছে। ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও এটি বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় ও জাতীয় সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক উত্তেজনার মধ্যেও এটি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ফ্রান্সের দৃঢ় সমর্থনের একটি সাহসী বার্তা।ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিকভাবে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন ও সংহতির নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রতিটি পতাকা, প্রতিটি সমর্থনের বার্তা ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য আশা, সাহস ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রতীক।এমআর-২

    নিজ গ্রামেই পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বোমা হামলা, নিহত অন্তত ৩০

    পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য খাইবার পাখতুনখোয়ায় বিমান অভিযান পরিচালনা করেছে দেশটির বিমানবাহিনী। সে অভিযানে নিক্ষিপ্ত ৮টি বোমায় নিহত হয়েছেন নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন।নিহতদের সবাই বেসামরিক। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, আহতও হয়েছেন বেশ কয়েক জন। তবে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, আজ সোমবার খাইবার পাখতুনখোয়ার তিরাহ উপত্যকার মাত্রে দারা গ্রামে পরিচালিত এ অভিযানে ৮টি এলএস-৬ বোমা নিক্ষেপ করেছে বিমান বাহিনী।অভিযানের পরবর্তী মাত্রে দারা গ্রামের কিছু ছবি ও ভিডিওচিত্র প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সেসব ছবি ও ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপ থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করছে উদ্ধারকারী বাহিনী। নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।খাইবার পাখতুনখোয়া রাজ্যটি পাকিস্তানের তালেবানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ঘাঁটি অঞ্চল। সন্ত্রাসী হামলা ও তৎপরতার জন্য বেশ কয়েক বছর আগে গোষ্ঠীটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসলাবাদ।২০২১ সালের আগস্টে কাবুলে তালেবানপন্থী সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর খাইবার পাখতুনখোয়ায় উল্লম্ফন ঘটে টিটিপির তৎপরতার। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা ঘটাতে থাকে টিটিপি। পাকিস্তানের পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বেসামরিক লোকজন হয়ে ওঠে এসব হামলার লক্ষ্য। রাজ্য পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন জেলায় মোট ৬০৫টি ছোটো-বড় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এসব হামলা প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩৮ জন বেসামরিক এবং ৭৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য। আহত হয়েছেন আরও কয়েক শ’ বেসামরিক, পুলিশ ও সেনা। গত আগস্ট মাসেই ঘটেছে ১২৯টি সন্ত্রাসী হামলা।সোমবার এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের আঞ্চলিক উপপরিচালক ইসাবেলে ল্যাসি বলেছেন, “দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ উচ্ছেদ এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা— দু’টি ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের পারফরম্যান্স হতাশাজনক।”সূত্র : এএফপিএবি 

    আমাদের একমাত্র দাবি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান: ম্যাক্রোঁ

    মধ্যপ্রাচ্যের আল-আকসা অঞ্চলে শান্তিপূর্ণভাবে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান নীতির বাস্তবায়নই ফ্রান্সের একমাত্র দাবি বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রোববার এক ভিডিওবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি নিজে।সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ম্যাক্রোঁ। সেই সাক্ষাৎকারেরই অংশবিশেষ রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করেছেন তিনি।ভিডিওবার্তায় ম্যাক্রোঁ বলেছেন, “ফ্রান্স যা চায়, তা হলো (আল আকসা অঞ্চলে) পাশাপাশি দু’টি রাষ্ট্র থাকবে। একটি রাষ্ট্র হবে ইসরায়েল, যা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে; অপর রাষ্ট্রটি হবে ফিলিস্তিন— যা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে।”ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযানের জেরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা দুই বছর ধরে যন্ত্রণা, ভোগান্তি এবং দুর্দশা’র মধ্যে কাটানোর পাশাপাশি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উল্লেখ করে ম্যাক্রোঁ বলেন, “সত্যি বলতে, প্রতিটি জীবন মূল্যবান। ফিলিস্তিনিরা নিদারুণ ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। তাদের জীবন চুরি যাচ্ছে, কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা যা চাই, ফ্রান্স য চায়— তা হলো শান্তি।স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মিলনায়তনে শুরু হচ্ছে বৈশ্বিক সম্মেলন। এই সম্মেলনের আয়োজক দেশ ফ্রান্স এবং সৌদি আরব।সিবিএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, এই সম্মেলন মধ্যপ্রাচ্যে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের পথে প্রাথমিক পদক্ষেপ।“আমরা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবো, কিন্তু সেখানে দূতাবাস আমরা স্থাপন করব তখনই, যখন গাজার সব জিম্মি মুক্তি পাবে,” সিবিএসকে বলেছেন ম্যাক্রোঁ।সূত্র : আনাদোলু এজেন্সিএবি 

    ইসরাইলকে সারাবিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার আহ্বান হামাসের

    ইসরাইলকে সারাবিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং দেশটির সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্রতিরোধ গোষ্ঠীটি। খবর বার্তা সংস্থা মেহের নিউজের।রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে হামাস পশ্চিমাবিশ্বের এ স্বীকৃতিকে ফিলিস্তিনি জনগণের ভূমি ও পবিত্র স্থানের প্রতি অধিকার এবং স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষার পথে একটি বড় মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছে, যার রাজধানী হবে আল-কুদস (জেরুজালেম)।সংগঠনটি এই স্বীকৃতিকে ‘জনগণের সংগ্রাম, অটলতা ও আত্মত্যাগের প্রাপ্য ফল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। হামাস জানায়, এই স্বীকৃতি অবশ্যই বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিপূর্ণ হতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে গাজা উপত্যকায় চলমান নৃশংস গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করা এবং পশ্চিম তীর ও আল-কুদসের দখল ও ইহুদিকরণ পরিকল্পনার মোকাবিলা করা।বিবৃতিতে হামাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের প্রতি ইসরাইলকে বিচ্ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে দখলদার রাষ্ট্রকে সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বাড়ানোরও আহ্বান করা হয়েছে। এছাড়া ইসরাইলি নেতাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের জবাবদিহির দাবি জানিয়েছে হামাস।বিবৃতিতে ইসরাইলের আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতিমালা অমান্য করার তীব্র সমালোচনা এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘ভয়াবহ অপরাধের’ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সংগঠনটি আবারও জানায়, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত একটি স্বাভাবিক অধিকার। তারা বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং আল-কুদসকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সমর্থন দিতে।প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, পর্তুগাল। ফ্রান্সসহ আরও কয়েকটি দেশ সামনের কয়েকদিনের মধ্যে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এমআর-২

    আল-আকসা মসজিদে ঢুকে ইসরায়েলিদের নাচ-গান

    ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে আবারও অবৈধ ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) শতাধিক অবৈধ বসতকারী দলে দলে মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। সেখানে তারা নিহত মার্কিন ডানপন্থি কর্মী চার্লি কার্কের জন্য বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানও আয়োজন করে। খবর আনাদোলুর।হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যম স্রুগিম জানায়, এই প্রার্থনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কট্টর-ডানপন্থি এবং ইসরায়েলি পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য ইয়েহুদা গ্লিক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আল আকসায় ইহুদিদের প্রবেশাধিকারের পক্ষে সক্রিয় প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।চার্লি কার্ক যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর উটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি নিহত হন।ফিলিস্তিনি সরকারি সংবাদমাধ্যম ওয়াফা জানায়, বসতকারীরা আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের পর সেখানে ইহুদি আচার পালন করে, গান গায় ও নৃত্য করে। আসন্ন ইহুদি নববর্ষকে কেন্দ্র করে এই ধরনের তৎপরতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে তারা। ওয়াফার মতে, কট্টর-ডানপন্থি বসতকারীরা বড় আকারে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও জানিয়েছিল, ইহুদি ধর্মীয় উৎসব সামনে রেখে অধিকৃত পশ্চিম তীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হবে।জেরুজালেমের ইসলামিক এনডাওমেন্টস ডিরেক্টরেট বলছে, ২০২২ সালের শেষ দিকে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী হিসেবে কট্টর ডানপন্থি নেতা ইতামার বেন-গভির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আল-আকসায় উসকানিমূলক কর্মসূচি ও হামলা মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে।আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে মক্কা ও মদিনার পর বিশ্বের তৃতীয় পবিত্র স্থান। তবে ইহুদিরা একে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে দাবি করে, যেখানে তাদের দুটি প্রাচীন মন্দির ছিল বলে তারা বিশ্বাস করে।উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় এবং ১৯৮০ সালে পুরো শহরটি সংযুক্ত করার ঘোষণা দেয়। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনোই এই দখল ও সংযুক্তিকে বৈধতা দেয়নি। ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, বসতকারীদের এ ধরনের হামলা পূর্ব জেরুজালেমকে ‘ইহুদিকরণ’ করার বৃহত্তর পরিকল্পনারই অংশ, যার মাধ্যমে শহরের আরব ও ইসলামী পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে।ফিলিস্তিনিরা স্পষ্ট জানিয়ে আসছে, আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমই ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হবে।এমআর-২

    ফিলিস্তিনকে আজ রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে আরও ৬ দেশ

    ফিলিস্তিনে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে সমর্থন জোগাড়ের লক্ষ্যে আজ এক বহুজাতিক সম্মেলনের আয়োজন করছে ফ্রান্স ও সৌদি আরব। কয়েক ডজন দেশের নেতারা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। আশা করা হচ্ছে, এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবেন। তবে এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র।বার্তা সংস্থা রয়টার্স, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, রোববার যুক্তরাজ্য, কানাডা, পর্তুগাল ও অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আরও ছয়টি দেশ আজ সোমবার একই কাজ করবে বলে ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্বনেতাদের ভাষণের আগেই এসব ঘোষণা আসতে পারে।ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া ১৫০টি জাতিসংঘ সদস্য দেশের তালিকায় এবার যুক্ত হচ্ছে ৬ দেশ—বেলজিয়াম, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা এবং সম্ভবত নিউজিল্যান্ড ও লিচেনস্টাইন। এই দেশগুলো আজ সোমবার জাতিসংঘের বিশেষ এক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ঘোষণা দেবে।ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতের কারণে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের ম্লান হয়ে যাওয়া প্রচেষ্টাকে পুনরুজ্জীবিত করতেই এই সম্মেলনের আয়োজন। এর মধ্যে কিছু দেশ, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, ইহুদিদের নতুন বছরের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আগেভাগেই তাদের ঘোষণা দিয়েছে।এই সম্মেলনে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করছে ফ্রান্স ও সৌদি আরব। তবে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান এতে যোগ দিচ্ছেন না। বিপরীতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ উপস্থিত থাকবেন।এদিকে, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র এ সম্মেলন বর্জন করছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন। তিনি এ আয়োজনকে ‘সার্কাস’ আখ্যা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মনে করি না এটি কোনোভাবে সহায়ক। বরং আমরা মনে করি এটি সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করছে।অপরদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এসব স্বীকৃতি এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন। জাতিসংঘ থেকে দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ইসরাইল সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী প্রতিক্রিয়াস্বরূপ পশ্চিম তীরের একটি অংশ দখল (সংযুক্ত) করার দাবি তুলেছেন।সৌদি আরব সতর্ক করেছে যে, পশ্চিম তীর দখল করা হলে এর ‘গুরুতর প্রভাব’ পড়বে। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতও বলেছে, দখলকরণ হবে একটি ‘বিপৎসীমা।’এমআর-২
    Loading…