এইমাত্র
  • ‘জিততেই হবে বন্ধু’, তামিমের জন্য যুবরাজ-মালিঙ্গা-তিওয়ারির প্রার্থনা
  • সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা করা হচ্ছে: তারেক রহমান
  • ঈদের আগে ছুটির ২ দিনেও খোলা থাকবে ব্যাংক
  • কিশোরগঞ্জের সাবেক এমপি আফজাল মেহেরপুরে গ্রেফতার
  • বান্দরবানে ঋণের চাপে গলায় ফাঁস দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের আত্মহত্যা
  • জরুরি অবস্থা জারির প্রসঙ্গে যা বললেন স্বরাষ্ট্রের সিনিয়র সচিব
  • হার্ট অ্যাটাকের ৬টি লক্ষণ এবং যা করবেন
  • চকরিয়ায় পুলিশের অভিযানে ৩ ডাকাত আটক
  • কিশোরগঞ্জের সাবেক এমপি আফজাল মেহেরপুরে গ্রেফতার
  • আমরা দেশপ্রেমিক সেনাদের ভালোবাসি: হাসনাত
  • আজ মঙ্গলবার, ১০ চৈত্র, ১৪৩১ | ২৫ মার্চ, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    তালতলা দহ যেন সোনার খনি: দখলে নিতে বিএনপির দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ

    স্বপন মাহমুদ, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩০ পিএম
    স্বপন মাহমুদ, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩০ পিএম

    তালতলা দহ যেন সোনার খনি: দখলে নিতে বিএনপির দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ

    স্বপন মাহমুদ, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩০ পিএম

    জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নে অবস্থিত সরকারি একটি জলাশয় নাম তার ‘তালতলা দহ’। সেই জলাশয় দখল নিয়ে বিএনপির দুইপক্ষের গত ৮ মাস যাবত দফায় দফায় বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটছে। এখন স্থানীয়রা বলছেন তালতলা দহেয়ে যেন সোনার খনি আছে সবাই দখল নিতে চায়। মাছের সাথে এখন পানিও স্বাদের মনে হয়।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলা মহাদান ইউনিয়নের সেংগুয়া এলাকায় অবস্থিত সরকারি জলাশয় তালতলা দহ। ২০২১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে মৎস ও সমবায় সমিতি থেকে জলাশয়টি লিস নেন খলিলুর রহমান নামে এক মৎসজীবি। পরে ব্যক্তিগত কারনে জলাশয়টি আবার খলিলুর রহমান লিস দেন আওয়ামী লীগ নেতা মজনু মিয়াকে। মজনু আবার লিস দেন স্থানীয় হাসমত আলী নামে এক মৎসজীবিকে। আসমত আলী হলেন বিএনপি সমর্থক এবং জামালপুর জেলা বিএনপি জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক ও মহাদান ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল পক্ষের লোক।

    আবার ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের পরে প্রভাব খাঁটিয়ে মূল লিস দাতা খলিলুর রহমানরের কাছ জলাশয় নিজের নামে লিস লিখে নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হুমায়ুন কবির। এদিকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতা হুমায়ুন কবির নতুন করে পুনরায় জলাশয়টি লিস দিয়ে দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার-উস-সাদাত লাঞ্জুকে। তার পর থেকেই শুরু হয় জলাশয় দখলের চেষ্টা। পরবর্তীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার-উস-সাদাত লাঞ্জুর নেতৃত্বে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন লিটন ও সাবেক ইউপি সদস্য ইসাহাক আলী জলাশয়টি নিয়ন্ত্রণে নেন।

    অপরদিকে অন্যপক্ষ জামালপুর জেলা বিএনপি জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক ও মহাদানের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়ালের লোকজন পূর্ণদখলে চেষ্টা করেন। এই নিয়ে শুরু হয় বিরোধ। বিগত ৮ মাসে জলাশয় দখল ও নিজের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মহাদান ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বিএনপির দুই পক্ষের সমর্থকদের প্রায় ২৫/৩০টি বাড়ি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠা দফায় দফায় ভাংচুর করা হয়।

    এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে তালতলা সেই বিলে মাছ ধরতে যায় লাঞ্জু গ্রুপের ইছাক মেম্বার ও ওয়াদুদ মেম্বারের লোক জন। সেই সংবাদ পেয়ে আওয়াল গ্রুপের লোকজন এসে জলাশয়ের ভিতরের থাকা নৌকা ভাংচুর এবং জেলেদের জাল নিয়ে যায়।

    এঘটনায় দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার তিনদিন যাবত দফায় দফায় দুইপক্ষের লাঞ্জুর বাড়িঘর ও আওয়াল এর বাড়িঘর এবং সানাকৈর বাজারে ইউনিয়ন বিএনপি পার্টি অফিস ভাংচুর করা হয়। এঘটনায় ৭/৮জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীনও আছেন বলেও জানা যায়।

    এঘটনায় একপক্ষ আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘লাঞ্জু ও বহিষ্কৃত নেতা আব্দুল ওয়াদুদ গং এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ছাত্রলীগের সহযোগিতায় তারা বিএনপির কার্যালয় ও নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। তারা তালতলা বিল দখল নিতে চায়।

    অপর পক্ষের লাঞ্জু ও আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘আব্দুল আওয়াল জনপ্রিয়তা হারিয়ে চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তালতলা বিল দখল নিতে তিনি আমাদের আটটি বাড়ি, ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছেন।

    এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ‘লাঞ্জু ও আব্দুল ওয়াদুদ একজন মাদক চোরাকারবারি। তিনি ৫ আগস্টের পর থেকে তারা এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের নেতৃত্বে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে দলীয় প্রধানের ছবি ভাঙচুর করা হয়েছে। এঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

    জামালপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া আল-মামুন বলেন, ‘সংঘর্ষের কারণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…