এইমাত্র
  • কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত রাশিয়া ও ইউক্রেন: হোয়াইট হাউস
  • জনগণের আস্থা আনতে ঐকমত্যে না পৌঁছানোর উপায় নেই : উপদেষ্টা রিজওয়ানা
  • দক্ষিণ কোরিয়ায় দাবানলে প্রাণহানি বেড়ে ১৮
  • যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার টোল আদায়
  • ৫০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে মারধর, স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ির নামে মামলা
  • ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন—এটা ভেইগ: মির্জা ফখরুল
  • আজকের স্বাধীনতা দিবসই প্রমাণ করে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস
  • নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন খাটের ওপর স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ
  • ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাড়ছে মানুষের চাপ
  • আজ চার দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • আজ বুধবার, ১২ চৈত্র, ১৪৩১ | ২৬ মার্চ, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    যশোরের মেহেরুল্লাহনগর রেলস্টেশন এখন মুমূর্ষু!

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০১:৫০ পিএম
    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০১:৫০ পিএম

    যশোরের মেহেরুল্লাহনগর রেলস্টেশন এখন মুমূর্ষু!

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০১:৫০ পিএম

    যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির ঐতিহ্যবাহী মেহেরুল্লানগর রেলস্টেশনটি অচল হয়ে পড়েছে। এখানে স্টেশন মাস্টার ও অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। অবহেলায় পড়ে আছে অফিস কক্ষ, কোর্য়টারসহ সরকারি মালামাল। রক্ষণাবেক্ষণ অভাবে তা নষ্ট হচ্ছে। এলাকাবাসী দাবি, মুমূর্ষু অবস্থায় থাকা রেলওয়ে স্টেশনটি আধুনিকায়ন করে পূর্নাঙ্গভাবে চালু করা হোক।

    জানা গেছে, কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি সরাসরি যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করার জন্য ব্রিটিশ সরকার ১৮৭৮ সালে চিলাহাটি-পার্বতীপুর-সান্তাহার-দর্শনা লাইন এবং কলকাতা থেকে খুলনার সাথে যশোর হয়ে রেলপথ নির্মাণ করে।১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হয়ে যাবার পর দুই দেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাজশাহী রংপুরের সাথে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের খুলনার সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগ ব্যাহত হয়। তাই ১৯৫১ সালের মধ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার দ্রুত দর্শনা জংশন থেকে যশোর জংশন পর্যন্ত নতুন রেলপথ স্থাপন করে। এসময় মেহেরুল্লানগর রেলওয়ে স্টেশন তৈরি করা হয়। রেলস্টেশনটি দর্শনা জংশন-খুলনা লাইনের দর্শনা জংশন-যশোর জংশন অংশে অবস্থিত।

    ঐতিহ্যবাহী এই রেলস্টেশনের ওপর দিয়ে যেসব ট্রেন চলাচল করে সেগুলো হলো রুপসা এক্সপ্রেস, সীমান্ত এক্সপ্রেস, কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস বেনাপোল এক্সপ্রেস, মহানন্দা এক্সপ্রেস, রকেট এক্সপ্রেস, নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেন।

    এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এক সময় ট্রেন থামলে যাত্রীদের হৈচৈয়ে গোটা এলাকাটি সরগরম হয়ে উঠতো। টিকিট কেনাবেচায় ব্যস্ত সময় পার করতেন স্টেশন মাস্টারসহ যাত্রীরা। দেশের সকল এলাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো থামতো এখানে। রাতদিন সর্বদাই যাত্রীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে থাকতো স্টেশনটি। কালের বিবর্তনে সেই স্টেশনটি এখন অচল। শুধুমাত্র খুলনা থেকে ছেড়ে আসা একটি লোকাল ট্রেন থামে এখন এখানে। নেই স্টেশন মাস্টার বা রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারি। কিন্তু পড়ে আছে সরকারি কোর্য়টারসহ বিভিন্ন অফিস। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে লাখ লাখ টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে।

    চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবক অধ্যাপক ও প্রবীন সাংবাদিক মসিউল আযম জানান, কর্মবীর মুন্সি মেহেরুল্লাহ ছিলেন একজন দেশবরেণ্য ব্যক্তি। ইসলাম ধর্ম প্রচারক হিসেবে সবাই তাকে চেনেন জানেন। বৃটিশ শাসন আমলে তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলায় ধর্মীয় সভা করে বেড়াতেন। কর্মবীর এই ব্যক্তির জন্ম ছাতিয়ানতলা গ্রামে। তার নামে প্রতিষ্ঠিত করা হয় মুন্সি মেহেরুল্লাহ রেলস্টেশন। কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী স্টেশনটি এখন অচল হয়ে পড়ে আছে। খুলনা থেকে ছেড়ে আসা শুধু একটি লোকাল ট্রেন থামে। স্টেশনে কোন কর্মকান্ড নেই। এটি চালু করা এখন এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি হয়ে উঠেছে৷

    চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন দফাদার জানান, ঐতিহ্যবাহী মেহেরুল্লানগর স্টেশনটি প্রায় বন্ধ হতে চলেছে। বর্তমানে এখানে কোন কার্যক্রম নেই বললেই চলে। মুন্সী মেহেরুল্লাহর প্রতি সম্মান দেখিয়ে হলেও স্টেশনটি আধুনিকায়ন করে পূর্নাঙ্গভাবে চালু করা হোক।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…