বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দুই ফ্রিল্যান্সারকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুন্দারহাট হাইওয়ে থানা পুলিশ।
রবিবার (২৪ মার্চ) গভীর রাতে নন্দীগ্রাম উপজেলার ওমরপুর বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবিতে কর্মরত উপ-উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, কনস্টেবল রিপন মিয়া, কনস্টেবল আবুল কালাম আজাদ, কনস্টেবল মো. মাহবুর আলম, কনস্টেবল মো. বাশির আলী এবং সিভিল ড্রাইভার মো. মেহেদী হাসান।
এসময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নগদ, ১টি ওয়াকিটকি, ১টি হ্যান্ডকাফ ও ৭টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
অপহরণের শিকার দুই তরুণ হলেন- ধুনট উপজেলার দিগলকান্দি গ্রামের রাব্বি (১৯) ও জাহাঙ্গীর (২৪)। তাদের পরিবারের অভিযোগ, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয় দিয়ে একদল ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে আসে। ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে তাঁদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় নিয়ে গিয়ে পরিবারের কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে হত্যা করে গুম করার হুমকি দেওয়া হয়।
রাতেই জাহাঙ্গীরের পরিবার ২ লাখ টাকা দিলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে রাব্বির পরিবার বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পাঠালে তিনিও ছাড়া পান। রাব্বি মুক্তি পাওয়ার পর তাঁর পরিবার মোটরসাইকেল নিয়ে অভিযুক্তদের গাড়ির পিছু নেয়। পরে নন্দীগ্রামের কুন্দারহাট এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের টহল দলের কাছে তাঁরা পুরো ঘটনা জানান। এরপর পুলিশ তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করে। পরে উপজেলার ওমরপুর বাজার এলাকায় তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।
কুন্দারহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ মনোয়ারুজ্জামান বলেন, আমরা রাতের টহলের সময় খবর পাই যে, একদল ব্যক্তি পুলিশ পরিচয় দিয়ে মুক্তিপণ আদায় করেছে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত ৫ জন পুলিশ সদস্য এবং একজন মাইক্রো ড্রাইভার। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।'
পিএম