ঈদ যত এগিয়ে আসছে, সিনেমাপাড়া ততই উত্তাপ হয়ে উঠছে। আসন্ন ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রতিক্ষীত সিনেমা ‘বরবাদ’ মুক্তি নিয়ে জল ঘোলা তো কম হয়নি। চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড এ সিনেমায় ভায়োলেন্সের ওপর আপত্তি জানায়। আর তাতেই বেঁকে বসে শাকিবিয়ানরা।
সেন্সর বোর্ড কর্তাদের আপত্তিতে কিছু সংশোধনী করা হয়েছে। তবে শাকিব ভক্তরা দাবি করেন আনকাট সার্টিফিকেশনের। সেই দাবি জানাতে মঙ্গলবার চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য কাজী হায়াতের গাড়ি আটকে প্রতিবাদ করেন।
এ সময় বর্ষীয়ান এই নির্মাতার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় ভক্তদের। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাজী হায়াতপুত্র চিত্রনায়ক কাজী মারুফ। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক লাইভে কথা বলেন তিনি।
মারুফ বলেন, ‘কাজী হায়াত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য। উনি যেটা করেছেন, তা একান্ত ওনার ব্যাপার। বা উনি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা সেই ছবির ভালোর জন্যই নিয়েছেন, দেশের জন্য করেছেন।’
সেদিন ভক্তদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের সময় ‘আমার মারুফেরও লোক আছে’ মন্তব্য করে বিপাকে পড়েন কাজী হায়াত। এমনকি কাজী মারুফের ফেসবুক পেজের ইনবক্স ও মন্তব্যের ঘরে গালিগালাজসহ হুমকি আসতে থাকে।
বিষয়টি নিয়ে মারুফ বলেন, ‘মারুফের লোক আছে বলে বাবা বুঝিয়েছেন আমার দর্শক আছে। একসময় আমার দর্শক ছিল।’
তার ভাষায়, এখনকার দর্শকেরা গল্পপ্রধান সিনেমা থেকে ভায়োলেন্স বেশি পছন্দ করেন। তাই তারা মারুফের সিনেমা পছন্দ করবেন না। তার কথায়, ‘এখনকার প্রজন্ম আমার সিনেমা দেখেনি, দেখলেও হয়তো পছন্দ করবে না। এখনকার দর্শক মারামারি পছন্দ করে, যার নজির দেশের চলমান অবস্থা। দেশে আছিয়ার মতো শিশুদের, এটা বলতেও আমার খারাপ লাগছে।’
মারুফ আরও বলেন, ‘অনেক কথা বলার আছে আমার। নির্মাতাদের সেল্ফ সেন্সরশিপ থাকা উচিত। দুইটা টাকার জন্য যা খুশি বানালাম, এটা কখনো উচিত নয়।’
এছাড়া শাকিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কথা বলেন মারুফ। তিনি বলেন, ‘শাকিব তোমাকে ইচ্ছা করেই ফোন দিইনি, তুমি বিষয়টি দেখো।’