মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ চরপাড়া হিলফুল ফুজুল যুব-সংঘের কর্মী মাে. মিজানুর রহমান ও আকাশ মাহমুদ (অকেল) এর উপর পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও আসামি গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টায় হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আসামিদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হরগজ চরপাড়া হিলফুল ফুজুল যুব-সংঘের সভাপতি মুকারম হোসেন, জান্না উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, মহিষালোহা জব্বারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিপ্লব হোসেন, সাটুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ন-আহবায়ক মেহেদী হাসান আরিফ, মাওলানা আমিনুল ইসলাম, আল- মমিন ফাউন্ডেশন এর স্বত্বাধিকারী মোমিন মোল্লা, আলাল উদ্দিন মাস্টার, রুহুল আমিন, খলিলুর রহমান সবুজ, আব্দুল গফুর সহ আরও অনেকেই।
এ সময় বক্তারা বলেন, হরগজ চরপাড়া হিলফুল ফুজুল যুব-সংঘ একটি সামাজিক সংঘটন। এরা সব সময় সমাজের জন্য কাজ করে। সমাজকে মাদক ও দুনীতির বিরুদ্ধে কাজ করাই মূল লক্ষ্য। আর সেই কাজ করতে গিয়ে আজ আমাদের দুই কর্মী মাে. মিজানুর রহমান ও আকাশ মাহমুদ (অকেল) এর উপর পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। মিজানুর এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ঘটনায় মিজানুরের বাবা ইউসুফ আলী সাটুরিয়া থানায় বাদী হয়ে মামলা করলেও পুলিশ এখনো কোন আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি আসামি গ্রেপ্তার না হয় তা হলে আন্দোলন আরো কঠিন হবে বলে হুসিয়ারীদেন এলাকাবাসী ।
আসামিরা হলেন- সজীব মিয়া (২৮) পিতা-হাবিবুর রহমান হবি, ফরহাদ (৩২) পিতা খোরশেদ, রুবেল (২৬), পিতা গুলু মিয়া, কাইছার (১৯) পিতা মজিদ মিয়া, সাইদুর রহমান (২৩) পিতা আব্দুর, জহিরুল (২২) পিতা রশিদ, রনি মিয়া (২২) পিতা বুদ্দু মিয়া সহ অজ্ঞাত ২-৩ জনের নামে মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম বলেন , এই হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তার জন্য পুলিশ কাজ করছে। আজ একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকি আসামিদের অতিদ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, পূর্ব শত্রুতার জের ধারিয়া ২৫ মার্চ রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে মিজানুরদের নিজের দোকানের সামনে আসামীরা চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, লাঠি-শোঠা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় মিজানুর ও অকেলকে রক্তাক্ত অবস্থায় আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে তাকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রেফার্ড করলে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই মানববন্ধনে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
এআই