রাজধানীর দক্ষিণ কমলাপুরে দেবরের ছুরিকাঘাতে আয়েশা খানম মনি (৪৪) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৬এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ কমলাপুরে বাসার সামনে ছুরিকাঘাত করা হয় আয়েশাকে। পরে গুরুতর অবস্থায় স্বজনরা আয়েশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের আরেক দেবর মো. আবু জাফর জানান, দক্ষিণ কমলাপুর কবরস্থান গলির ১৭১/৩ নম্বর তাদের নিজেরদের বাড়ি। তারা ৩ ভাই। তিনি ও তার ছোট ভাই পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতে থাকেন। আর তার বড় ভাই, ভাবি আয়শা খানম মনি ও তাদের দুই সন্তান থাকেন পাশের একটি বাড়িতে। সকালে সেই বাড়ি থেকে শাশুড়িকে দেখতে আসছিলেন আয়েশা। এসময় বাড়ির সামনেই মেঝ দেবর মাসুদ হাওলাদার (৪৭) হঠাৎ করে আয়েশাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। এক পর্যায়ে আয়েশা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মাসুদ দৌড়ে পালিয়ে যান।
নিহত আয়েশার জা জেসমিন আক্তার দাবি করেন, মাসুদ মানসিক ভারসাম্যহীন। এর আগেও এলাকায় কয়েকজনকে মরধর করেছেন। ভাবি আয়শা খানমের সাথে তার কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। তবে মাসুদ তার স্ত্রীর সাথে কারও কোনো কথা কাটাকাটি বা ঝগড়া দেখলে তাকেই টার্গেট করতেন। এর বাইরে কোন কারণ রয়েছে কি না সে টি জানাতে পারেনি কেউ।
স্বজনরা জানায়, নিহত আয়েশার স্বামী নাসির উদ্দিন মামুন একটি ব্যাংকে পিয়ন পদে চাকরি করেন। তার মেয়ে মিথিলা (২২) সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষে ও ছেলে মাহদি হাসান মাফি (১৯) বিএএফ শাহিন কলেজের উচ্চমাধ্যমিক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ আলম জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। তার শরীরের কয়েক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
এবি