এইমাত্র
  • বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ
  • পোশাক শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে ৯ শতাংশ
  • এখন ঢাকায় ইউরোপের নতুন ৮ দেশের ভিসা মিলবে
  • এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নদের ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা
  • আইনজীবী সাইফুল হত্যার কথা স্বীকার, ১৩ জনের নাম বললেন চন্দন দাস
  • কুষ্টিয়ায় পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে দুই নারী গ্রেফতার
  • ধর্মীয় আলোচনায় রাশমিকা মান্দানা, মুহূর্তেই ভাইরাল আমির হামজার বক্তব্য
  • মানিকগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংর্ঘষ, নিহত ১
  • বাংলাদেশ নিয়ে ভারতে ফেইক ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ মমতার
  • তিন-চার মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত: বিএনপি
  • আজ মঙ্গলবার, ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

    গণমাধ্যম

    গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মাহফিল নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যাচার
    গওহরডাঙ্গা মাদরাসার ৮৯তম বার্ষিক মাহফিল উপলক্ষে নারীদের বাজারে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞার ফতোয়া জারি করার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। ভারতীয় কিছু মিডিয়া এবং ব্যক্তিরা এই দাবি তুলে অপপ্রচার চালিয়েছে, যা পরে ফ্যাক্টচেক করে ভুল প্রমাণিত হয়েছে।ভারতীয় বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এবং লেখিকা তসলিমা নাসরিন ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করেন, গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মাহফিল থেকে নারীদের বাজারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যম যেমন আজতক বাংলা, রিপাবলিক বাংলা, টিভি৯ বাংলা, জি২৪ ঘণ্টা, এবং আরও কয়েকটি চ্যানেলও এই দাবি প্রচার করে।ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মাহফিলের অস্থায়ী দোকানপাটের জন্য নারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছিল, যা শুধুমাত্র তিন দিনের মাহফিলের জন্য প্রযোজ্য।ভিডিওতে দোকানদারদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, “এটা সাধারণ মেলা নয়, দ্বীনি মাহফিল। দোকানে কোনো গুনাহর কাজ বা নারীদের আসা বন্ধ রাখতে হবে।”এটি কোনো বাজার বা সার্বজনীন স্থানে নারীদের নিষেধাজ্ঞা নয়। বরং মাহফিলের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে এটি করা হয়েছিল।গওহরডাঙ্গা মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম মুফতি উসামা আমিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন: “এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র মাহফিলের সময়ের জন্য। নারীদের জন্য আলাদা বসার এবং বয়ান শোনার ব্যবস্থা ছিল।” বিবৃতিতে ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং মিথ্যাচার বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়।রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধান এবং যমুনা টিভির প্রতিবেদনেও এই দাবির অসত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। স্থানীয় হিন্দু নারীরাও জানিয়েছেন, বাজারে যাতায়াতে কোনো বাধা নেই।এই অপপ্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী গওহরডাঙ্গা মাদরাসার ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সামাজিক পরিবেশকে ভুলভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। সঠিক তথ্য যাচাই ছাড়া এমন মিথ্যাচার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সামাজিক সম্প্রীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।এসএফ 
    ব্যাংকে ‘১৩৪ কোটি টাকা’ নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন মুন্নী সাহা
    একটি বেসরকারি ব্যাংকের হিসাবে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেনের খবরে সংবাদের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন উপস্থাপক ও সাংবাদিক মুন্নী সাহা। দিনভর এ নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। প্রায় তিন দশক ধরে সংবাদকর্মী হিসাবে পরিচিত তিনি। দিনশেষে বুধবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে বিস্ময় প্রকাশ করে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান জানালেন তিনি। মুন্নী সাহা লিখেছেন, ‘‘আজ দেশের অনেকগুলো নিউজ পোর্টাল এবং দৈনিকে আমার অ্যাকাউন্টে কত টাকা তা নিয়ে কিছু মিসলিডিং হেডলাইন দেখে বিস্মিত হয়েছি। অনেকেই আমার অ্যাকাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকা— এমন ফটোকার্ড বানিয়ে ক্লিক নিচ্ছেন। ‘মুন্নী সাহার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একাউন্ট’ বলে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে যাতে জনমনে ধারণা হচ্ছে এই একাউন্টগুলো আমার। কোন অ্যাকাউন্টের নমিনি হলে সেটি ‘স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট’ বলে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি করা যায়, কিন্তু সেই অ্যাকাউন্টগুলো যে আমার নয়, সেটি কৌশলে এড়িয়েও যাওয়া যায়।প্রথমত, কবির হোসেন তাপস দেশের একজন পুরোনো ব্যবসায়ী। বিগত সুদীর্ঘ ২২ বছর ধরে তিনি বিজ্ঞাপন ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সহ বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িত। ওয়ান ব্যাংকের যে অ্যাকাউন্টটির কথা বলা হয়েছে, আমি সেই অ্যাকাউন্টের একজন নমিনি মাত্র; অ্যাকাউন্টের লেনদেনের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। কবির হোসেন তাপসের কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে আমি অংশীদার নই, কোন অ্যাকাউন্টের গ্যারান্টারও নই। অ্যাকাউন্ট ওপেন করার সময় পরিবারের কাউকে নমিনি হিসেবে দিতে হয় বলে এই অ্যাকাউন্টে আমার নাম দেয়া আছে মাত্র।আলোচিত অ্যাকাউন্টটি ২০১৭-তে খোলা হয়েছে এবং বিগত ৭ বছরে এই অ্যাকাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকা ‘লেনদেন’ হয়েছে। ‘লেনদেন’ এর মানে আমার বন্ধুরা নিশ্চয়ই বুঝেন, এর মানে হচ্ছে প্রতিটি কার্যাদেশের বিপরীতে সব টাকা এখানে জমা হয় এবং সেই টাকা থেকে বিভিন্ন সাপ্লায়ার, ভেন্ডর, সরকারি কর ও ভ্যাট, কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য অপারেটিং খরচ পরিশোধ করা হয়। এই হিসাবে ৭ বছরে এই অ্যাকাউন্টে মোট ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গড়ে মাসে দেড় কোটি টাকার মতো। একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে মাসে দেড় কোটি টাকার ব্যবসা করা অস্বাভাবিক নয়, এবং সেই টাকার বড় অংশই টাকা বিভিন্ন সাপ্লায়ার, ভেন্ডর, অফিস খরচ, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, ভ্যাট ও কর হিসেবে খরচ হয়, যাকে এখানে ‘লেনদেন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু খবরে এমনভাবে বিষয়টি প্রচার করা হচ্ছে যাতে মনে হয় ১৩৪ কোটি টাকা একই সাথে এখানে জমা ছিল, যা সত্যের অপলাপ।কোনো কোনো রিপোর্টে কৌশলে লিখেছে যে, ৫ আগস্টের আগে ১২০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। সেটাও যে লেনদেন, মানে ২২ বছরের বেতন বিল, ভাড়া, খরচ সবকিছু বাবদ; ২২ বছরের প্রতি মাসে মাসে হিসেবে তোলা সেটা এড়িয়ে, শুধুমাত্র ভুল বার্তা দেয়ার জন্য করা হয়েছে; সেটা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করেছি।উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, আমি যতদূর জানি, কবির হোসেন তাপসের প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ব্যাংক ঋণগুলো নিয়মিত আছে। আলোচ্য ব্যাংকটি একটি প্রাইভেট ব্যাংক যারা নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে বিভিন্ন সময়ে এই ব্যাংক ঋণগুলোর মেয়াদ ও কিস্তি সমন্বয় করে থাকে, যেটি খুবই স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। কবির হোসেন তাপসের কোন খেলাপি ঋণ নেই এবং বর্তমান ঋণগুলোও খেলাপি হওয়ার আশু কোন সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না।বাংলাদেশ ব্যাংক ইন্টিলেজেন্স ইউনিট যে কারোরই হিসাব চাইতে পারেন। সেই তালিকায় সাংবাদিক হিসেবে অনেকের সাথে আমার নাম ছিল এবং কর্তৃপক্ষ দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে অনুসন্ধান করেছে বলে আমার বিশ্বাস।একজন সংবাদকর্মী হিসেবে মনে করি, বাংলাদেশের যে কোনো ব্যবসায়ীর দীর্ঘ ২২ বছরের ব্যবসায়, মোট লেনদেন ১৩৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয় ১৪ কোটি টাকা, কোনো গুরুত্ব বহন করে না। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, শুধুমাত্র আমার নামটি নমিনিতে ব্যবহার করায় একজন ব্যবসায়ী সামাজিক হ্যারাসমেন্টের শিকার হয়েছেন, এখনও তার লেনদেন ব্যাহত হচ্ছে।আমি ঘটনাটিকে বা আমাকে নিয়ে যা যা ঘটছে, তা blessings in disguised হিসেবে গ্রহণ করছি। যদিও আমাকে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে ট্যাগ দিয়ে মামলা দেয়া হয়েছে, গত ১৪/১৫ বছর ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে নিয়ে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে, তার পুরোটাই যে ভুল, তা অন্তত এ ধরনের ইনভেস্টিগেশনে প্রমাণিত হলো।বিগত ফ্যদিবাদী সরকারের দোসর হিসেবে ট্যাগ দিলেও গত ১০ বছর আমি এবং আমার মত আরো দুয়েকজন সেলিব্রিটি সাংবাদিক সরকারি অনুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্স কাভার করার তালিকায় নিষিদ্ধ ছিলাম। ‘এক টাকার খবর’ নামের অনলাইনের অনুমতিপত্রও সাবেক তথ্যমন্ত্রী দেন নাই।  সাংবাদিক হিসেবে কোনো সরকারি পদপদবী সুযোগও আমাকে নিতে হয়নি বলে আমি গর্বিত।প্রধানমন্ত্রীর ইন্টারভিউ বা সালমান এফ রহমানের মুখের ওপর কড়া প্রশ্ন করায় নানান সময় আমাকে যে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, সেটা আমি সাংবাদিকতার শক্তিই মনে করি।সাহা পরিবারে জন্ম বলে আমাকে ভারতের দালাল বলতে মুখিয়ে থাকা মানুষগুলো অন্তত এই সরকারের স্বচ্ছ অনুসন্ধান থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কতটা অন্ধত্ব নিয়ে আমার ওপর অবিচার  করা হয়েছে! যেটা গত ১৫/১৬ বছর ধরেই আমাকে সহ্য করতে হয়েছে। বিগত সরকারের সময় আমি বারবার এসব মিথ্যাচারের ব্যাপারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যারাসমেন্টের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেও ফল পাইনি। বরং এই সরকারের স্বচ্ছতার প্রক্রিয়ায় বিষয়গুলো তদন্ত হওয়াতে আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বস্তি বোধ করছি, কিন্তু আমার সহকর্মীদের কেউ কেউ যেভাবে তথ্যগুলোকে টুইস্ট করে ফায়দা নিতে চাচ্ছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক।রিপোর্টে, আমার সাথে জড়িয়ে কবীর হোসেন তাপসের অ্যাকাউন্টে ১৪ কোটি টাকার স্থিতির খবর যারা দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। যারা ভুল ফটোকার্ড করে, ‘মুন্নী সাহার অ্যাকাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকা’ লিখলেন, তাদের প্রতি দোয়া রইলো। যেন তারা বিভ্রান্তিমূলক হেডলাইন সাংবাদিকতা থেকে নিয়মের সাংবাদিকতা সম্মানের সাথে চর্চা করতে পারেন।’’
    বেতনের বাইরে ব্যাংকে ১৩৪ কোটি জমা হয় মুন্নী সাহার
    টেলিভিশন উপস্থাপক ও সাংবাদিক মুন্নী সাহার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে বেতনের বাইরে জমা হয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালানোর পর পরই এসব আমানতের মধ্যে ১২০ কোটি টাকাই উত্তোলন করা হয়েছে। স্থগিত করা হিসাবে এখন স্থিতি আছে মাত্র ১৪ কোটি টাকা।১৭টি ব্যাংকের মাধ্যমে এ লেনদেন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে। বিধিবহির্ভূত লেনদেনের অভিযোগে মুন্নী সাহার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইতোমধ্যে জব্দ করেছে বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ)।গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ৬ অক্টোবর বিএফআইইউ মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব করে। ব্যাংক হিসাবের বাইরে গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোড এলাকায় শান্তিনিকেতনে ১৬৫, রোজাগ্রীণে তার একটি ডুপ্লেক্স বাড়ির সন্ধান মিলেছে। ভোরের কাগজ দিয়ে মুন্নী সাহার সাংবাদিকতা শুরু। সেখান থেকে তিনি যান একুশে টেলিভিশনে। এরপর যোগ দেন এটিএন বাংলায়। মুন্নী সাহা বহু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি টেলিভিশনের পর্দায় উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশের ব্যাপারে তার ব্যাপক ভূমিকা ছিল।   জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহত হওয়ার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম। সেই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সদস্য এবং পুলিশ ও র‍্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে ৭ সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন মুন্নী সাহা।এমআর
    হাসিনার পতনে দলে দলে সংখ্যালঘুর ভারতে পালানোর তথ্য সঠিক নয়
    ছাত্র–জনতার নজিরবিহীর গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো খবর প্রকাশ করতে থাকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এ কারণে অনেকে পালিয়ে ভারতে চলে যাচ্ছেন। তবে সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। হাসিনার সরকারের পতনের পর দলে দলে মানুষের ভারতে পালিয়ে যাওয়া বা ভারতে ঢোকার কোনো চেষ্টা হয়নি। রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ছয় বছরের সরকারি তথ্যমতে, বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ভারতে প্রবেশ বা ত্যাগ করার সময় আটকে পড়া অনিবন্ধিত মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়নি।হিন্দুর প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ১ হাজার ৩৯৩ জন বাংলাদেশিকে আটক করে।অরপরদিকে, শেখ হাসিনার পতনের আগে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৪ জনকে অনুপ্রবেশের সময় আটক করেছিল বিএসএফ। যার অর্থ সরকারের পতনের পর হাজার হাজার মানুষের সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।বাংলাদেশ থেকে সব মিলিয়ে ২০২৪ সালে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় বিএসএফ ৩ হাজার ৯০৭ জনকে সীমান্ত থেকে আটক করেছে। যার মধ্যে ভারতীয় ও বাংলাদেশি উভয়ই আছে। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ৩ হাজার ১৩৭ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৫ হাজার ৯৫ জনকে আটক করা হয়েছিল।অপরদিকে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৮৭৩ জন ভারতীয় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৮৮ জন ভারতীয় কোনো কাগজপত্র ছাড়াই বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছে।এদিকে, গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারের পর ফের ভারতীয় মিডিয়া দাবি করে, বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে। যাদের অনেকে দেশ ছাড়ার চিন্তা করছেন। তবে এখন পর্যন্ত চিন্ময় ইস্যু নিয়ে এ ধরনের কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বরাত দিয়ে জানিয়েছে দ্য হিন্দু।এসএফ 
    আদানির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে রয়টার্সকে যা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা
    ভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ লেনদেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের পর বিভিন্ন দেশ গ্রুপটির সঙ্গে করা চুক্তি খতিয়ে দেখছে। আদানির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশও বিপাকে আছে। দেশের স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন শর্তের কারণে চুক্তিটি বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রুপটির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিক জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুরো বিষয়টি নিয়ে রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।রোববার (১ ডিসেম্বর) লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক এই সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, চুক্তিতে অসঙ্গতি থাকলে আদানির সঙ্গে পুনরায় আলোচনা করবে বাংলাদেশ। তবে, দুর্নীতি এবং ঘুষের মতো অনিয়ম হয়ে থাকলে চুক্তি বাতিল হবে। আদালতের নির্দেশে যে তদন্ত চলছে তার ভিত্তিতেই এটি হবে।জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভারতে করছাড় পেলেও বাংলাদেশে এর উপকার পাচ্ছে না। বিষয়টি ইতোমধ্যে আদানি গ্রুপকে জানানো হয়েছে। চুক্তি পুনর্বিবেচনার একাধিক কারণের মধ্যে এটিও একটি হতে পারে।আদানির বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে দুর্নীতির অভিযোগ বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও মনে করেন ফাওজুল কবির।বিদ্যুৎ খাতে সরকারকে প্রতি বছর ৩২০ বিলিয়ন টাকা ভর্তুকি দিতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, দাম বেশি হওয়ায় সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। আমরা চাই বিদ্যুতের দাম শুধু আদানি থেকেই নয়, গড় খুচরা দামের নিচে নামুক।জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা রয়েছে। তবে, গ্যাস সংকটসহ অন্যান্য কারণে কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বর্তমানে উৎপাদনে নেই। আদানি যখন সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছিল, বাংলাদেশের কিছুই হয়নি। কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীকে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে দেব না। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করে আওয়ামী লীগ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডায় অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ২৫ বছর বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ। দীর্ঘমেয়াদি এই চুক্তির পরতে পরতে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত আছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। মূলত, গত আগস্টে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর তার সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে।এসএফ
    শর্ত সাপেক্ষে মুন্নী সাহাকে মুক্তি
    রাজধানীর কারওয়ান বাজারে শনিবার রাতে সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে কিছু লোক ঘেরাও করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তবে প্যানিক অ্যাটাকে অসুস্থ থাকায় জামিনের শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, কারওয়ান বাজারে লোকজন মুন্নী সাহাকে ঘেরাও করেছিল। তখন তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে ডিবিতে আনা হয়। যেহেতু তার নামে চারটি মামলা আছে, সেগুলোতে জামিনের শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।তবে এর আগে, তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন জানান, সাংবাদিক মুন্নী সাহা রাত ১০টার দিকে কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারের অফিস থেকে বের হওয়ার পর কিছু ব্যক্তি তাকে ঘিরে ধরেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় গ্রেফতার করা হয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুন্নী সাহাকে নিয়ে যাওয়ার পর শতাধিক ব্যক্তি তার বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন। গত ৬ অক্টোবর মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চায় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে মুন্নী সাহার আমানত, ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, এক্সচেঞ্জ, লকার ও অফশোর ব্যাংকিংয়ের তথ্য চাওয়া হয়।ভোরের কাগজ দিয়ে মুন্নী সাহার সাংবাদিকতা শুরু। সেখান থেকে তিনি যান একুশে টেলিভিশনে। এরপর যোগ দেন এটিএন বাংলায়। এটিএন নিউজের শুরু থেকেই তিনি যুক্ত ছিলেন। মালিকপক্ষের সঙ্গে বিরোধের জেরে ২০২৩ সালের ৩১ মে মুন্নী সাহা এটিএন নিউজ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে মুন্নী সাহা ‘এক টাকার খবর’ নামের একটি অনলাইন পোর্টালের সম্পাদনা শুরু করেন।গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম।সে মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সদস্য এবং পুলিশ ও র‍্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে ৭ সাংবাদিককে আসামি করা হয়, তাদের একজন মুন্নী সাহাএমআর
    যেভাবে গ্রেফতার হলেন সাংবাদিক মুন্নি সাহা
    ঢাকা থেকে সাংবাদিক মুন্নি সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর কাওরানবাজারে জনতা তাকে আটক করে। পরে তেজগাঁও থানা পুলিশের একটি দল এসে তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজত আছেন বলে জানা গেছে।তেজগাঁও থানা সূত্রে জানা গেছে, কাওরানবাজারে একটি ভবনের নিচে মুন্নি সাহাকে দেখতে পেয়ে আটক করে স্থানীয় জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে ডিবি পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে ডিবি।টেলিভিশন সাংবাদিক ও টকশো সঞ্চালক হিসেবে পরিচিত মুখ মুন্নী সাহা। তিনি আজকের কাগজ ও ভোরের কাগজে দীর্ঘ সময় কাজ করার পর একুশে টেলিভিশনে যোগ দেন। এরপর যান এটিএন বাংলায়। সেখান থেকে এটিএন নিউজে যোগ দেন তিনি। ২০২৩ সালের ৩১ মে তিনি এটিএন নিউজ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে ‘এক টাকার খবর’ নামে একটি অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।  জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের মামলায় আসামি মুন্নী সাহা।এফএস
    ডিবিতে নেওয়া হলো সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে
    ঢাকা কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে আটক করে তেজগাঁও থানায় দিয়েছে জনতা। শনিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে থানা থেকে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়।আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন। তিনি বলেন, জনতা ওই নারী সাংবাদিককে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। পরে তেজগাঁও থানা থেকে মুন্নী সাহাকে রাজধানীর মিন্টু রোডে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। টেলিভিশন সাংবাদিক ও টক শো সঞ্চালক হিসেবে পরিচিত মুখ মুন্নী সাহার সাংবাদিকতা শুরু আজকের কাগজ দিয়ে।সেখান থেকে ভোরের কাগজ-এ দীর্ঘ সময় কাজ করার পর তিনি যান একুশে টেলিভিশনে। এরপর যোগ দেন এটিএন বাংলায়।এটিএন নিউজের শুরু থেকে মুন্নী সাহা এই টিভি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে ২০২৩ সালের ৩১ মে তিনি এটিএন নিউজ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে ‘এক টাকার খবর’ নামের একটি প্লাটফর্মের উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।   জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম।সেই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সদস্য এবং পুলিশ ও র‍্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে ৭ সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে, তাদের একজন মুন্নী সাহা।এফএস
    কাওরানবাজারে জনতা ধরলো সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে
    রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জনতার হাতে আটক হয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক মুন্নী সাহা। শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাকে আটকের পর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, ‘জনতা ওই নারী সাংবাদিককে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা দেখছি তার নামে কোনো মামলা আছে কি-না। মামলা না থাকলে তাকে ছেড়ে দিবো, আর মামলা থাকলে আমরা আদালতে উপস্থাপন করব।মুন্নী সাহা একসময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে তার চাকরি যায়। এরপর নিজেই এক টাকার খবর নামে একটি গণমাধ্যম চালু করেন।এফএস
    যেকোনো মূল্যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে: মির্জা ফখরুল
    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরেও গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ নিয়ে কথা বলাটা দুর্ভাগ্যজনক। যেকোনো মূল্যে সংবাদপত্র ও ভোটের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আক্রমণের মুখে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান’ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্যই আন্দোলন হয়েছে। তবে কিছু মানুষ জাতিকে বিভক্ত করে দেশকে নৈরাজের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি কলকাঠি নেড়ে মানুষের আশা আকাঙ্খা বাস্তবায়নের সুযোগ নষ্ট করতে চায়।দেশে বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা বন্ধ হওয়া উচিত। এই সময়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি জাতির জন্য সবচেয়ে ক্ষতির কারণ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।দ্যা ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা হুমকির মুখে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাহায্য প্রয়োজন। এ সময় গণতন্ত্রীকরণের প্রক্রিয়ায় গণমাধ্যম পাশে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এসএফ 
    ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ
    ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিএফআইইউ থেকে ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হিসাব জব্দ করা ১১ ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাদের হিসাব জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন: দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ওয়াশিংটনের সাবেক প্রেস মিনিস্টার সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, ডিবিসি নিউজের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর নাজনীন মুন্নি, ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশীষ ঘোষ সৈকত, গাজী টিভির এডিটর (রিসার্চ) অঞ্জন রায়, সময় টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ কমল দে, দৈনিক আমার সময়ের প্রধান সম্পাদক আব্দুল গাফফার খান, যুগান্তরের সাবেক নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রাজু আহমেদ এবং এক্সিম ব্যাংকের হেড অব পিআরও সঞ্জীব চ্যাটার্জী। হিসাব জব্দ করা ব্যক্তি ও তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের সব ধরনের লেনদেন আগামী ৩০ দিন বন্ধ থাকবে। লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে আলোচিত ব্যক্তিদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।বিএফআইইউয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব হিসাব স্থগিত করা হয়েছে তাদের হিসাব সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী যাবতীয় তথ্য চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে দুই কার্য দিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।এফএস
    সাংবাদিক নূরুল কবিরকে হয়রানি, অভিযুক্তকে প্রত্যাহার
    শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।রোববার (২৪ নভেম্বর) পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।সাংবাদিককে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এসবি জানায়, বিগত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলের ‘ব্লকড লিস্ট’ এর কারণে দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে। এ তালিকায় কয়েক হাজার লোককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যাতে করে তাদের বিদেশ সফরের সময় আটকে দেওয়া যায় বা বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত রাখা যায়।অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পুলিশের বিশেষ শাখা আগের তালিকা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তি, ভিন্ন মতাবলম্বী, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের বাদ দিতে শুরু করে। কাজটির বেশিরভাগই হাতে-কলমে করা হচ্ছে। ফলে কিছু ভিন্ন মতাবলম্বী ও সাংবাদিকের নাম এখনও রয়ে গেছে। তালিকাটি দ্রুত যাচাই করে সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে।সম্পাদক নুরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়ে এসবি আরও জানায়, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের বন্ধু। দেশ ও জনগণের সেবায় পুলিশ বাহিনী দৃষ্টান্ত গড়তে চায়।এর আগে, শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে নূরুল কবির অভিযোগ করেন, গত ১৮ নভেম্বর একটি সম্মেলনে যোগ দিতে বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাকে হয়রানি করে। ফেরার পথেও একই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে।এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে তিনি এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।অন্তর্বর্তী সরকার দেশে কোনো সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা বরদাশত করবে না বলেও প্রেস উইং থেকে জানানো হয়।এবি 
    সাংবাদিক আকবর হোসেনকে যুক্তরাজ্যে প্রেস মিনিস্টার নিয়োগ
    সাংবাদিক আকবর হোসেন মজুমদারকে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।রোববার (২৪ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, আকবর হোসেন মজুমদারকে অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছর মেয়াদে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস উইংয়ের মিনিস্টার (প্রেস) পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।এই নিয়োগের অন্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো। এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস উইংয়ে মিনিস্টার (প্রেস) পদে সচিব পদমর্যাদায় নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।এবি 
    সাংবাদিক নূরুল কবিরকে হয়রানি, তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
    শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে তিনি এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।এতে আরও বলা হয়, নূরুল কবির দীর্ঘ কর্মজীবনে দেশের একজন সম্মানিত সম্পাদক। সততা ও নৈতিকতা মেনে সাংবাদিকতা করা গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যক্তি সবসময় যুক্তি দিয়ে কথা বলায় প্রধান কণ্ঠস্বর।অন্তর্বর্তী সরকার দেশে কোনো সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা বরদাশত করবে না বলেও প্রেস উইং থেকে জানানো হয়।এর আগে, শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে নূরুল কবির অভিযোগ করেন, গত ১৮ নভেম্বর একটি সম্মেলনে যোগ দিতে বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাকে হয়রানি করে। ফেরার পথেও একই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে।উল্লেখ্য, কলম্বোতে অনুষ্ঠিত এশিয়া মিডিয়া ফোরামে অংশ নিতে গত ১৮ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা গিয়েছিলেন নূরুল কবির। ২২ নভেম্বর দেশে ফেরেন তিনি।
    শহিদুল আলমকে উপদেষ্টা করার আহ্বান শফিক রেহমানের
    গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম মুখে উচ্চারণ করতে চান না প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান।জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় জামিন পাওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি। জয়কে হত্যাচেষ্টা মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত শফিক রেহমানের জামিন মঞ্জুর করেন।শফিক রেহমান বলেন, অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা এই মিথ্যা মামলা থেকে আমাকে অব্যাহতি দিতে হবে। বিএনপির যারা জেলে আছে তাদেরকেও এক ঘোষণায় খালাস দিতে হবে।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে শফিক রেহমান বলেন, তাকে (ইউনূস) যেতে দেবেন না, ধরে রাখুন। কাজ করার সুযোগ দিন। ১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ দিনে যাবে না।এ সময় তিনি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে উপদেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বানও জানান।জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ জন্য তাকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল দায়েরের শর্তে এ সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।৩০ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন আদালত। ওইদিন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা রিকল করেন।২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় পুলিশের করা এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শফিক রেহমান। পাঁচ মাস কারাগারেও থাকতে হয়েছিল তাকে। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৮ আগস্ট দেশে ফেরেন তিনি।এসএফ

    Loading…