এইমাত্র
  • ‘মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা’
  • বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ফিফার অনুমতি পেলেন হামজা চৌধুরী
  • ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
  • ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ: যা বললেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
  • নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধানের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
  • ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরে শাহবাজ শরিফের আমন্ত্রণ
  • অনুমতি ছাড়াই ভারতীয় চিকিৎসকরা বাংলাদেশে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন: ডা. রফিক
  • বাংলাদেশকে ৬৮৫ ভারতীয় বিশিষ্ট নাগরিকের খোলা চিঠি
  • কোণঠাসা জ্যোতিকা জ্যোতি, বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করলেন বাড়িওয়ালা
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৫ পৌষ, ১৪৩১ | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

    আন্তর্জাতিক

    বাংলাদেশকে ৬৮৫ ভারতীয় বিশিষ্ট নাগরিকের খোলা চিঠি
    শান্তি, বন্ধুত্ব এবং গণতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশে খোলা চিঠি দিয়েছেন ৬৮৫ জন ভারতীয় বিশিষ্ট নাগরিক। এদের মধ্যে সাবেক বিচারক, আমলা, এবং বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রদূত রয়েছেন। চিঠিতে দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই খোলা চিঠিতে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত হামলা ও তাদের সম্পত্তি ধ্বংসের বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে রয়েছেন ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরাইশি।চিঠিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিয়া এবং আহমদিয়াসহ সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এটি স্পষ্ট করা হয়েছে যে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করা উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বিদ্যমান স্থল ও সমুদ্রসীমা সমস্যা সমাধান এবং বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত সহযোগিতার জন্য প্রশংসা করা হয়েছে। ভারত যে সহজ শর্তে ঋণ ও অনুদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে, তা উল্লেখ করে বলা হয়, এই সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক উভয় দেশের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রক্ষা করবে।চিঠিতে বাংলাদেশি জনগণকে ভারতবিরোধী প্রচারণা দ্বারা প্রভাবিত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা পুনরুদ্ধারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।চিঠির মাধ্যমে ভারতীয় বিশিষ্টজনরা বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।এসএফ 
    রণক্ষেত্র ভারতের লোকসভা, রাহুল গান্ধির ‘ধাক্কায়’ আহত বিজেপির এমপি
    ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর আম্বেদকর-মন্তব্য ঘিরে দেশটির সংসদে সরকার ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলছে। তার মাঝেই সংসদ পরিণত হলো রণক্ষেত্রে। ধ্বস্তাধস্তিতে আহত হলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দুই সাংসদ। আর এতে অভিযোগের আঙুল উঠেছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির দিকে।আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংসদের বাইরে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও বিজেপি সাংসদদের মধ্যে তীব্র ধাক্কাধাক্কি হয়। সংঘর্ষে বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সারাঙ্গী মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন। এছাড়া, আরেক আহত বিজেপি সাংসদ মুকেশ রাজপুতকেও আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।বিজেপির অভিযোগ, রাহুল গান্ধির আঘাতেই তাদের দলের এমপিরা আহত হয়েছেন। বিজেপি সরকারের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলেন, ‌কী করে তিনি (রাহুল) সংসদে শক্তি প্রয়োগ করতে পারেন। কোন আইন তাকে এমপিদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ক্ষমতা দিয়েছে?সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওচিত্রে দেখা যায়– ভারতীয় সংসদের বাইরে বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সারাঙ্গী মাথায় আঘাত পেয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকেন। এসময় রাহুল গান্ধি তার কাছে গিয়ে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজেপি সাংসদরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান।তখন বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবে রাহুলকে উদ্দেশ করে বলেন– ‘রাহুল, আপনার কি লজ্জা করে না? আপনি এখানে গুন্ডামি করছেন! একজন বৃদ্ধ লোককে (প্রতাপ সারাঙ্গী) ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন!ঘটনার পর রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, বিজেপি সাংসদরা তাকে ধাক্কা মেরেছেন এবং সংসদ ভবনে প্রবেশে বাধা দিয়েছেন।এই ঘটনার পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে এজাহার (এফআইআর) করেছে বিজেপি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পার্লামেন্ট স্ট্রিট পুলিশ স্টেশনে গিয়ে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর, বাঁশুরি স্বরাজ।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) থেকেই অমিত শাহর বিরুদ্ধে আম্বেদকর-অবমাননার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে কংগ্রেসসহ বিরোধীরা। আজ লোকসভায় সেই বিক্ষোভ ঘিরেই চলে এই তুলকালাম।প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে ওড়িশায় অস্ট্রেলীয় মিশনারি গ্রাহাম স্টুয়ার্ট স্টেইনস ও তার দুই শিশুপুত্রকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল বজরং দলের। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন মোতাবেক, সেই সময়ে বজরং দলের রাজ্য সভাপতি ছিলেন সারাঙ্গী। তার বিরুদ্ধেও খুনের মামলা হয়। কিন্তু মূল অভিযুক্ত দারা সিংহের যাবজ্জীবন জেল হলেও বিচারে রেহাই পেয়ে যান সারাঙ্গী।এসএফ 
    ক্যালিফোর্নিয়ায় গরুর দুধে বার্ড ফ্লু শনাক্ত, জারি জরুরি অবস্থা
    যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বেশ কয়েকটি গরুর দুধে বার্ড ফ্লু ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার রাজ্যের গভর্নর গ্যাভিন নিউজম এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।ফেডারেল এবং রাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো দুগ্ধজাত গবাদি পশুর মধ্যে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। গভর্নর নিউজম বলেছেন, "সরকারি সংস্থাগুলো যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে, সে লক্ষ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।"এই ভাইরাস মানুষের মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। এনবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লুইসিয়ানার ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি গুরুতরভাবে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রাজ্যের অভ্যন্তরে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের কোনো ঘটনা এখনো শনাক্ত হয়নি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে ঝুঁকি কম। তবে ভাইরাসটির বিস্তার রোধে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। গভর্নর নিউজম জানান, “আমরা জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অব্যাহত রাখব।”১৯৯৬ সালে প্রথমবার বার্ড ফ্লু এ (এইচ৫এন১) ভাইরাস শনাক্ত হয়। ২০২০ সালের পর থেকে পাখিদের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। এরপর স্তন্যপায়ী প্রাণী, যেমন গরু ও ছাগলের মধ্যে এর প্রভাব দেখা যায়, যা বিজ্ঞানীদের জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।বার্ড ফ্লু নিয়ন্ত্রণে ২০২২ সাল থেকে পোলট্রি খামারগুলোতে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি পাখি নিধন করা হয়েছে। তবে গরু ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর আক্রান্ত হওয়া নতুন একটি উদ্বেগ তৈরি করেছে।ক্যালিফোর্নিয়ার জরুরি অবস্থার মধ্য দিয়ে ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং জনসাধারণকে সচেতন করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।এসএফ
    সৌদি আরবে তাপমাত্রা নেমেছে মাইনাস ৩ ডিগ্রিতে, হচ্ছে তুষারপাত
    মধ্যপ্রাচ্যের মরুর দেশ সৌদি আরবে বিরল আবহাওয়া বিরাজ করছে। দেশটিতে যেখানে বছরের অধিকাংশ সময় প্রচণ্ড গরম থাকে, সেখানে তাপমাত্রা নেমে গেছে শূন্যের নিচে। বর্তমানে সৌদির তাপমাত্রা বিরাজ করছে মাইনাস ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দেশটির গ্রামীণ ও মরু এলাকাগুলোতে ঠান্ডার প্রকোপ বেশি। অন্যদিকে গত শুক্রবার এক পূর্বাভাসে এনসিএম জানিয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে সৌদি আরবে। দেশটির কোনো কোনো স্থানে তাপমাত্রা শূন্যের নিচে মাইনাস ৩ ডিগ্রিতে নেমে গেছে। এরমধ্যে দেশটির তাবুক, আল জাওয়াফ, উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো। আর গত সোমবার থেকে দেশটির রাজধানী রিয়াদ, মক্কা, মদিনা, আল কাসেমসহ উপকূলীয় অঞ্চলেও তাপামাত্রা একই অবস্থা।দেশটিতে শৈত্যপ্রবাহ চলাকালে জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত জনসাধারণদের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া ঠান্ডা থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং সৌদি সরকার এ সংক্রান্ত গাইডলাইন অনুসরণ করতেও জনসাধারণদের প্রতি আহ্বান করেন।এআই
    গুমকাণ্ডে হাসিনার সম্পৃক্ততা ও অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়ে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র
    সম্প্রতি জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২০২৫ সালের শেষ দিকে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনের এ উদ্যোগের প্রসঙ্গটি এবার উঠে এসেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে। স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সাউথ এশিয়া পার্সপেক্টিভস’র স্টেট ডিপার্টমেন্ট করেসপন্ডেন্ট আব্দুর রহিমের করা এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উপপ্রধান মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল।  ব্রিফিংয়ে জানতে চাওয়া হয় ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের শুরুতে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী? জবাবে মুখপাত্র প্যাটেল বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের যে প্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছে সেটাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। এতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের নেতৃত্বকে বেছে নেয়ার সুযোগ পাবে। নির্বাচন আয়োজনের সময় নির্ধারণ এমন একটি বিষয়, যেদিকে আমাদের অব্যাহত পর্যবেক্ষণ থাকবে। পুরো প্রক্রিয়াজুড়ে আইনের শাসন, একইভাবে গণতান্ত্রিক মূলনীতির বাস্তবায়নকে আমরা উৎসাহিত করছি। পুরো বিশ্বে শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে আমাদের অবস্থান।এদিকে, অন্য এক প্রশ্নে রহিম জানতে চান, বাংলাদেশে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের তথ্য উদ্ধৃত করে গুম নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। তদন্ত কমিশন গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এর আগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?এ বিষয়ে প্যাটেল বলেন, ‘বাংলাদেশে বিগত দুই দশকে যেভাবে শত শত মানুষ জোরপূর্বক গুমের শিকার হয়েছে তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জোরপূর্বক গুম হচ্ছে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। গুম ও আটক করে রাখার কারণে ভুক্তভোগীর পরিবার মানসিক যন্ত্রণা এবং অনিশ্চয়তায় ভুগেছেন।’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এসব অপরাধ তদন্তে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তি এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিতের জন্য আমরা আহ্বান জানাই।এবি 
    সিরিয়াকে সন্ত্রাসীদের আখড়া বানাতে দেব না: এরদোগান
    সিরিয়াকে কোনোভাবেই সন্ত্রাসীদের আখড়ায় পরিণত হতে দেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেন, তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এবং রাশিয়ায় নিষিদ্ধ ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। খবর তাসের।তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশটিকে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হওয়া থেকে আমাদের রোধ করতে হবে। আইএস ও পিকেকে এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লেয়েনের আলোচনা করেছেন এরদোগান। এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।এরদোগান বলেন, তুরস্কই একমাত্র দেশ এবং মিত্র যেটি এই দুটি সন্ত্রাসী সংগঠনকে পরাজিত করেছে। আমরা অবশ্যই এই সংগঠনগুলোকে আবার সংঘটিত হতে দেব না। এদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।এই তুর্কি নেতা বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার জনগণ এখনোই ভারী বোঝা বহন করতে সক্ষম হবে না। দেশটিকে পুনর্গঠন এবং একটি জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। সিরিয়ার প্রতিবেশী, বন্ধু এবং ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর দ্রুত ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সমর্থন নিয়ে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।এরদোগান বলেন, আমি এটি খুব স্পষ্ট করে বলছি। দুর্ভাগ্যবশত, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সিরিয়ার জনগণকে যথেষ্ট সহায়তা করে করেনি, যখন তারা গত ১৩ বছর ধরে সহিংসতায় ভুগছিলেন। এখন এই অভাব পূরণ করার সুযোগ এসেছে বলে মনে করেন এরদোগান।তার মতে, সিরিয়ার পুনর্গঠনে ব্যাপক সমর্থনের প্রয়োজন হবে। তুরস্ক ইতোমধ্যে দামেস্কতে দূতাবাস পুনরায় চালু করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সিরিয়ান জনগণের প্রতি আঙ্কারা সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানান এরদোগান।এবি 
    ‘জেলেনস্কি নিজের মৃত্যুদণ্ডে সই করেছেন’
    রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর কিরিলভ হত্যার ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে অনুষ্ঠিত একটি রাজনৈতিক টকশোর উপস্থাপক এ হত্যার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, এ হামলার মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার নিজের মৃত্যুদণ্ডে সই করেছেন।মঙ্গলবার সকালে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় এক বিস্ফোরণে ইগর কিরিলভ নিহত হন। এ গুপ্তহত্যার দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেন। এর মধ্য দিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ভূখণ্ডে দেশটির সবচেয়ে উচ্চপর্যায়ের কোনো সামরিক কর্মকর্তা ইউক্রেনের হামলায় প্রাণ হারালেন। ইগর কিরিলভ রাশিয়ার ‘নিউক্লিয়ার, বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড কেমিক্যাল প্রোটেকশন ট্রুপস’ নামে একটি বাহিনীর প্রধান ছিলেন।রুশ জেনারেল ইগর কিরিলভ হত্যার খবর নিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভির একটি রাজনৈতিক টক শোতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। টক শোর উপস্থাপক এই হত্যার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, এই হামলার মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি নিজের মৃত্যুদণ্ডে স্বাক্ষর করেছেন।রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, তদন্তকারীদের অবশ্যই রাশিয়ায় খুনিদের খুঁজে বের করতে হবে। দিমিত্রি মেদভেদেভ আরও বলেছেন, কিয়েভে থাকা তাদের পৃষ্ঠপোষকদের নির্মূল করার জন্য আমাদের অবশ্যই সবকিছু করতে হবে।রুশ জেনারেল ইগর কিরিলভ ও তার সহকারীকে হত্যার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দিক থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ক্রেমলিনের নেতা পুতিন আগে বহুবার বলেছেন, নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হলে রাশিয়া সব সময় জবাব দেবে। পুতিনের এ অঙ্গীকারের ভিত্তিতে এই হত্যার বদলা নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।এসএফ 
    রাশিয়ার বড় বড় পোশাক কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা
    শ্রমিক সংকট এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে রাশিয়ার অন্যতম বড় পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কারখানা বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে। এসব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার শীর্ষস্থানীয় পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোরিয়া জিনস, যা দেশজুড়ে ১৮টি কারখানা পরিচালনা করে।রাশিয়ার পোশাকশিল্পে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি গভীর আকার ধারণ করেছে। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। একইসঙ্গে রাশিয়ায় তৈরি কাঁচামাল এবং আনুষঙ্গিক উপকরণের মান নিম্নগামী হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী পণ্য আমদানির দিকে ঝুঁকছেন।রুশ গণমাধ্যম কমারসান্ত এবং ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, শ্রমিক সংকট ছাড়াও সেলাই যন্ত্রপাতি আমদানি কঠিন হয়ে পড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার পোশাক খাতের সরঞ্জাম আমদানি ও পরিশোধ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।সালস্ক শহরে একটি সেলাই কারখানা ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। কর্মীদের অন্য কারখানায় স্থানান্তরের প্রস্তাব দেওয়া হলেও রস্তভ এলাকার কারখানাগুলোও সংকটে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।একসময় চীন ছিল রাশিয়ার পোশাকশিল্পের প্রধান উৎপাদনকেন্দ্র। তবে চীনে শ্রমিক মজুরি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় রুশ ব্র্যান্ডগুলো এখন বাংলাদেশের মতো সাশ্রয়ী শ্রম বাজারের দিকে নজর দিচ্ছে।ফ্যাশনশিল্পের একজন প্রতিনিধি জানান, “বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম এবং উজবেকিস্তান রুশ পোশাকশিল্পের জন্য চীনের তুলনায় বেশি আকর্ষণীয়। কারণ এই দেশগুলোতে শ্রমিক মজুরি কম, শিল্পসুবিধা উন্নত, এবং কাঁচামালের সরবরাহ স্থিতিশীল।”বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বিশ্ববাজারে সুনাম অর্জন করেছে। তুলনামূলক কম উৎপাদন খরচ, দক্ষ শ্রমশক্তি, এবং উন্নত কারখানাগুলো বাংলাদেশকে রাশিয়ার জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে।এসএফ 
    “ভালো থেকো, বিয়ে করে নিও” বার্তা রেকর্ড করে তরুণীর আত্মহত্যা
    ফোনে প্রেমিকের উদ্দেশে অডিও রেকর্ড করে আত্মহত্যা করেছেন এক তরুণী। পরে তার ঘর থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া না-গেলেও তরুণীর ফোন ঘেঁটে অডিও বার্তা উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা।আর এরপরই তারা পুলিশের দ্বারস্থ হন। কয়েক বছর আগে স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ হওয়ার পর নিজের বোনের সঙ্গে থাকতেন তিনি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের বনসকাঁথা জেলার পালানপুরে।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই তরুণীর নাম রাধা ঠাকোর। ২৭ বছর বয়সী রাধা একটি বিউটি পার্লার চালাতেন। কয়েক বছর আগে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। তারপর থেকে বোনের পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। তার কোনও প্রেমের সম্পর্কের কথা পরিবারের লোকজনের জানা ছিল না, পুলিশের কাছে তেমনটাই দাবি করেছেন রাধার বোন।আত্মহত্যার ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। অভিযোগপত্রে মৃতের বোন জানিয়েছেন, গত রোববার রাতে পার্লার থেকে বাড়ি ফিরে খাবার খেয়ে ঘুমোতে গিয়েছিলেন রাধা। পরের দিন সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির লোকজনই পরে তার ফোন ঘাঁটেন। সেখানে রেকর্ড করে রাখা অডিও বার্তা পান তারা। সেগুলো পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তারা।অবশ্য কার উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলে গিয়েছেন তা জানেন না তার পরিবারের লোকজন। অচেনা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই তার বোন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।এনডিটিভি বলছে, পুলিশ ওই তরুণীর আত্মহত্যার কারণ এবং কেন তিনি তার অডিও-ভিডিওগুলোতে ক্ষমা চেয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা করছে। তার শেষ রেকর্ড করা কথোপকথনে রাধাকে লোকটির কাছে একটি ছবি চাইতে শোনা যায়। তার পরিবার বলেছে, তিনি লোকটির কাছে একটি ছবি চেয়েছিলেন, কিন্তু সে তা পাঠাচ্ছিল না। রেকর্ড করা কলে তাকে বলতে শোনা যায়, “দেখো, সাতটার মধ্যে ছবি না পেলে কী হয়।”এদিকে মৃত্যুর আগে রেকর্ড করা ভিডিওগুলোর একটিতে তিনি তার প্রেমিকের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। সেখানে তাকে বলতে শোনা গেছে, “আমাকে ক্ষমা করে দিও, তোমাকে না জিজ্ঞেস করেই আমি ভুল পদক্ষেপ নিচ্ছি। দুঃখ করো না, ভালো থাকো, জীবন উপভোগ করো এবং বিয়ে করে নিও। ভাববেন না যে আমি আত্মহত্যা করে মারা গেছি। আমি হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তুমি ভালো থাকলে, আমার আত্মা শান্তি পাবে। আমি কাজ এবং জীবন নিয়ে বিরক্ত, তাই এই পদক্ষেপ নিচ্ছি।”এবি 
    ফিলিস্তিনের খবর প্রচারে বাধা দিচ্ছে ফেসবুক
    ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলতে দিচ্ছে না জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। এই প্ল্যাটফর্ম দুটির মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনের পক্ষের কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর এমন অভিযোগ বহুদিনের।এবার ফেসবুকের বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ উঠল। গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনের মধ্যে ফেসবুকে ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন দর্শক-শ্রোতা ও পাঠকদের কাছে ঠিকমতো পৌঁছাতে দেওয়া হচ্ছে না। ফিলিস্তিনবিষয়ক খবর কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বিবিসির এক অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।ফেসবুকের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি নির্যাতন-নিপীড়নের খবর প্রচার করা অ্যাকাউন্ট ও পোস্ট সরিয়ে ফেলার অভিযোগ বহু পুরনো। এর প্রতিবাদও হয়ে আসছে অনেক দিন ধরে।এরপর গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডব্লিউ এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানায়, গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হলেও কাউকে তাদের পক্ষে কথা বলতে দিচ্ছে না ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা সিস্টেমেটিক্যালি ফিলিস্তিনের পক্ষের কণ্ঠস্বরকে ‘থামিয়ে বা নীরব’ করে দিচ্ছে।বুধবার বিবিসি তাদের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজা সংঘাতের মধ্যে ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন দর্শক, শ্রোতা ও পাঠকদের কাছে ঠিকমতো পৌঁছাতে দিচ্ছে না ফেসবুক।সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, তারা ফেসবুকের তথ্য-উপাত্তগুলো ব্যাপকভাবে বিশ্লেষণ করেছে। তাতে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরের বার্তাকক্ষগুলোর সঙ্গে দর্শক, শ্রোতা ও পাঠকদের মিথস্ক্রিয়া কমে গেছে।বিবিসি বলছে, তারা দেখতে পেয়েছে, মেটার মালিকানাধীন আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিন সংক্রান্ত মন্তব্যগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে।গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর হাতেগোনা কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিককে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। এরপরও তারা স্বাধীনভাবে ঢুকতে পারেননি। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পাহারায় তাদের ঢুকতে হয়েছে।যারা গাজার অধিবাসীদের কথা শুনতে চান, তাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাদের কাছে প্যালেস্টাইন টিভি, ওয়াফা নিউজ এজেন্সি ও আল-ওয়াতান নিউজের মতো সংবাদমাধ্যমগুলোর ফেসবুক পেজ গুরুত্বপূর্ণ সংবাদসূত্র হয়ে উঠেছে। এসব সংবাদমাধ্যম পশ্চিম তীরের বাইরে থেকে পরিচালিত হয়।ফিলিস্তিনভিত্তিক ২০টি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক পেজে দর্শক, শ্রোতা ও পাঠকদের সম্পৃক্ততা যাচাই করেছে বিবিসি নিউজ অ্যারাবিক। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর আগে-পরের সম্পৃক্ততা যাচাই ও তুলনা করা হয়েছে।একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট কতটা প্রভাব ফেলছে ও কতজন লোক এর বিষয়বস্তু দেখছেন, তার একটি মূল পরিমাপক এনগেজমেন্ট বা সম্পৃক্ততা। মন্তব্য, প্রতিক্রিয়া জানানো ও পোস্ট শেয়ার করার মধ্য দিয়ে দর্শক, শ্রোতা ও পাঠক এসব মাধ্যমে সম্পৃক্ত হন।যুদ্ধকালে অডিয়েন্স এনগেজমেন্ট বা শ্রোতা-পাঠক সম্পৃক্ততা বাড়বে বলে ধারণা করা হয়। অথচ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমের পাঠক সম্পৃক্ততা ৭৭ শতাংশ কমেছে।এসএফ 
    ভানুয়াতুতে ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন
    দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতুতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার। ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী এই কম্পনে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২০০ মানুষ। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সিডনি থেকে এএফপি জানিয়েছে, রাজধানী পোর্ট ভিলার একটি হাসপাতালে ৪ জন, ভূমিধসের ফলে ধংসস্তুপের নিচ থেকে ৬ জন এবং একটি ভবনের ধংসস্তুপ থেকে আরও ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই ভবনের নিচে আরো মরদেহ থাকতে পারে। তাই মৃতের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।এদিকে মঙ্গলবার দিনের শেষে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, ২০০ জনেরও বেশি লোককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা আরও জানিয়েছে, শক্তিশালী ভূমিকম্পে দেশটির প্রধান হাসপাতাল, একটি বিশাল শপিং মল এবং মার্কিন দূতাবাসসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক মিশনের ভবনগুলোর অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর আরও ১০টি ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনটি ব্রিজ এবং দুটি বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।এদিকে ভানুয়াতুর সরকার জানিয়েছে, দেশটির পানি সরবরাহের দুটি বড় জলাধার সম্পূর্ণরূপে ধংস হয়ে গেছে। এই কারণে পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। বিমান বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিমানের জ্বালানি দূষিত হওয়ায় বিমান চলাচলও বন্ধ রয়েছে।উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতুতে প্রায়ই ভূমিকম্প সংঘটিত হয়ে থাকে। নিম্নাঞ্চলের এ দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ যে কয়েকটি দেশ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ভানুয়াতু অন্যতম।মূলত দেশটি প্রায়ই ভূমিকম্প, ঝড়, বন্যা ও সুনামির কবলে পড়ে থাকে।এবি 
    আগামী বছর থেকে ইন্দোরে কোন ভিক্ষুককে ভিক্ষা দিলে যেতে হবে জেলে
    ভিক্ষা দিলেই যেতে হতে পারে কারাগারে! ভারতের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে পরিচিত ‘ইন্দোর’কে ভিখারি-শূন্য করতে এই সিদ্ধান্ত। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি নিউজ এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছরের জানুয়ারির ১ তারিখ থেকেই জারি হচ্ছে এই নিয়ম। ইন্দোরে এই আইন ভেঙে কেউ যদি কোন ভিখারিকে ভিক্ষা দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে দায়ের হবে মামলা।ইন্দোরের জেলা প্রশাসক আশিষ সিংহ বলেন, ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে প্রচারণা আপাতত এই মাসের শেষ অবধি চলবে। জানুয়ারি ১ তারিখের পর থেকে কাউকে প্রকাশ্যে ভিক্ষা দিতে দেখা গেলেই তার বিরুদ্ধে দায়ের হবে মামলা।এবি 
    গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করল হামাস
    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে চলমান যুদ্ধে আরও ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন তারা।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে সংঘর্ষে তিন ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যা করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার হামাস জানিয়েছে। স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটির সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডস বলেছে, তাদের যোদ্ধারা “পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে” তিন সৈন্যকে হত্যা করেছে এবং জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে একটি সামরিক যানও ধ্বংস করেছে।বিবৃতি অনুসারে, ইসরায়েলি হেলিকপ্টারগুলোকে ঘটনাস্থল থেকে মৃত ও আহত সেনাদের সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।গোষ্ঠীটি পৃথক এক বিবৃতিতে আরও বলেছে, জাবালিয়ায় একটি বাড়িতে তারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেসময় ওই ভবনের ভেতরে ১১ জন সৈন্য ছিল। ওই হামলায় সৈন্যরা নিহত এবং আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে হামাস। তবে হামাসের এই দাবির বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।পিএম
    মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের মামলা
    ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজায় চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশটিকে অব্যাহতভাবে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রতি সহায়তা কমাতে বা অভিযুক্ত ইউনিটগুলোর সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ৫ ফিলিস্তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এই মামলাটি করা হয়।  যুক্তরাষ্ট্রের গত শতকের ৯০-এর দশকের ‘লেহি আইনের’ আওতায় মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।মামলার অভিযোগে ওই ৫ ফিলিস্তিনি বলেছেন, ‘লেহি আইন পররাষ্ট্র দপ্তর চাইলে প্রয়োগ করতে পারত। কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নজিরবিহীনভাবে ইসরায়েলের (মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন) যেভাবে বেড়েছে, তা ভয়ংকর।’৫ জন বাদীর মধ্যে একজন গাজায় বসবাসকারী। তিনি পেশায় শিক্ষক। তার ছদ্মনাম আমাল গাজা। ওই নারী এক বিবৃতিতে জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি এখন পর্যন্ত সাতবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় তার পরিবারের ২০ সদস্য নিহত হয়েছে।তিনি বলেন, আমার দুঃখ-কষ্ট ও আমার পরিবারের অকল্পনীয় ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে, যদি যুক্তরাষ্ট্র চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ইসরায়েলের ইউনিটগুলোর কাছে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে।আলজাজিরার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে যে তারা বিচারাধীন মামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করে না।উল্লেখ্য, এদিকে গত বছরের অক্টোবরের শুরু থেকে গাজায় বোমবর্ষণ ও স্থল অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েল। এতে ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ ও বিশ্বের প্রধান মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ নানা ধরনের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে।সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান  ও আল জাজিরাএইচএ
    ভারতের পরিবর্তে থাইল্যান্ড গিয়ে খরচ করছেন বাংলাদেশিরা
    ভারতের পর এবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে থাইল্যান্ডে। দেশটিতে এক মাসের ব্যবধানে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিদের খরচ বেড়েছে ১৬ কোটি টাকা। গত আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে এই পরিবর্তন এসেছে।সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছিলেন ৪২ কোটি টাকা। অক্টোবরে এই খরচ একলাফে বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭ কোটি টাকায়। তাতেই বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে দেশটি। সেপ্টেম্বরেও দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ভারত।আগস্টের পটপরিবর্তনের পর ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভ্রমণসহ অন্যান্য ভিসা প্রদান সীমিত করে দিয়েছে। তাতে ভ্রমণ ও চিকিৎসাসহ নানা প্রয়োজনে বাংলাদেশিদের অন্যতম গন্তব্য হয়ে ওঠে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। তাতে দেশ দুটিতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশি বেড়েছে। দেশে-বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারসংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ দেশের ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারী ৪৪টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের এবং দেশের ভেতরে বিদেশি নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের তথ্য তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবরে দেশে–বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।দেশের অভ্যন্তরে এক মাসের ব্যবধানে ক্রেডিট কার্ডে খরচ বেড়েছে ১৯৭ কোটি টাকা বা প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ। আর বিদেশে খরচ বেড়েছে ৭৮ কোটি টাকা বা সাড়ে ১৮ শতাংশের বেশি। গত অক্টোবরে দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডে খরচ করা হয়েছে ২ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা। আর অক্টোবরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিরা খরচ করেছেন ৪৯৯ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ৪২১ কোটি টাকা। বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ ব্যবহার এখন যুক্তরাষ্ট্রে। অক্টোবরে দেশটিতে খরচ হয়েছে ৮৪ কোটি টাকা ,সেপ্টেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ৭৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে খরচ বেড়েছে ৭ কোটি টাকা বা সোয়া ৮ শতাংশের বেশি। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগস্টের পটপরিবর্তনের আগে চিকিৎসা ও ভ্রমণে বাংলাদেশিদের অন্যতম গন্তব্য ছিল ভারত। কিন্তু পটপরিবর্তনের পর ভিসা প্রদানে কড়াকড়ির কারণে দেশটিতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। যার ফলে দেশটিতে কমে গেছে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারও।তার বদলে চিকিৎসা ও ভ্রমণের জন্য থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরকে বেছে নিচ্ছেন বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিদেশে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে যত অর্থ খরচ করেন, তার ২৮ শতাংশের বেশি বা প্রায় এক–তৃতীয়াংশ খরচ হয় যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ডে। অক্টোবরে বিদেশে খরচ হওয়া ৪৯৯ কোটি টাকার মধ্যে ১৪১ কোটি টাকায় খরচ হয়েছে এই দুই দেশে। ক্রেডিট কার্ডে খরচের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ছিল ভারত। দেশটিতে অক্টোবরে বাংলাদেশিরা খরচ করেছেন ৫৪ কোটি টাকা, যা আগের মাসের চেয়ে চার কোটি টাকা বেশি।বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে খরচের দিক থেকে থাইল্যান্ডের পর বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে সিঙ্গাপুরে। দেশটিতে অক্টোবরে বাংলাদেশিরা খরচ করেছেন ৪৩ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ৩০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে দেশটিতে ক্রেডিট কার্ডে খরচ ১৩ কোটি টাকা বেড়েছে। এদিকে দেশে–বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে।গত অক্টোবরে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে ১২৯ কোটি টাকা খরচ করেছেন। সেপ্টেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ১১১ কোটি টাকা। এফএস

    Loading…