হাদির ওপর হামলায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না: সিইসি
মাঝে মাঝে দুই–একটা খুনখারাবি হয়। ওসমান হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। নির্বাচনে এসবের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। ইসি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সবাইকে নিয়ে নির্বাচনে যাবে ইসি। দুশ্চিন্তা করা যাবে না।দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ২০২৪ সালের চেয়ে অনেক ভালো বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সিইসি বলেন, ‘তখন মানুষ ঘুমাতে পারতো না। এখন মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরে বক্স কালভার্ট এলাকায় রিকশায় যাচ্ছিলেন ওসমান হাদি। এ সময় একটি মোটরসাইকেল থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওসমান হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন।এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নির্ভর করে তারুণ্যের শক্তির ওপর। তরুণরা যেমন ঊনসত্তর, একাত্তর ও চব্বিশে তাদের শক্তি দেখিয়েছে। এই নির্বাচন ঐতিহাসিক নির্বাচন। কেননা পোস্টাল ভোটিং হচ্ছে। এবার গণভোটও হবে। ইসির এই সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে তরুণদের অংশগ্রহণ থাকলে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল নির্বাচন করা ইসির জন্য সহজ হবে।’এইচএ
বাসভবন-কার্যালয় প্রস্তুত, সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছরের নির্বাসনের পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গুলশানে তাঁর সম্ভাব্য বাসভবন ও দলীয় কার্যালয়ের সংস্কারকাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।বিএনপির লন্ডন শাখা সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত যাত্রীবাহী ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানটি প্রথমে সিলেটের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সেখান থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। তাঁর সঙ্গে একমাত্র কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানেরও ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।গত শনিবার রাজধানীর গুলশানের গুলশান এভিনিউ সড়কে ১৯৬ নম্বর বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির সামনে দুটি গেট। গেট দুটির সামনে বসানো হয়েছে স্টিলের ব্যারিকেড। আর সড়কের ওপর স্থাপন করা হয়েছে তিনটি নিরাপত্তা বাক্স। বাড়ির প্রাচীর ও ভেতরে রুমগুলো সাদা রঙে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির নিরাপত্তায় রয়েছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। একই সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টি তদারকি করছেন চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।বাড়ির আশপাশ: গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বর থেকে উত্তর দিকে চলে গেছে গুলশান এভিনিউ সড়ক। এই সড়কে রয়েছে অন্তত দুটি দেশের দূতাবাস। বাড়ির ঠিক সামনে তিনটি বহুতল ভবন। এ ছাড়া একতলা একটি স্থাপনা ও আরেকটি বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। বাড়ির উত্তর পাশে তিনতলা পুরাতন ভবন রয়েছে। বাড়ির দক্ষিণ পাশের ৭৯ নম্বর সড়কেই বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’। বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের বাসভবনের অবস্থান পাশাপাশি। ১৯৬ নম্বর বাড়ি থেকে ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। দেয়ালের ওপর কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তারেক রহমানের সম্ভাব্য বাড়ির সামনে তিনটি পুলিশ বক্স স্থাপন করা হচ্ছে। আর বেগম জিয়ার বাড়ির সামনে চারটি পুলিশ বক্স আগে থেকেই রয়েছে। দেড় বিঘা আয়তনের বাড়িটি বেগম খালেদা জিয়ার নামে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর এই বাড়ির জায়গাটি বেগম খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। দীর্ঘ সময় তাঁর দখলে না থাকলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে নামজারির কাগজ বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। বাড়িটিতে তিন বেড রুম, ড্রয়িং, ডাইনিং ও লিভিং রুম রয়েছে। ফাঁকা জায়গায় কিছু গাছও আছে। দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাড়ির ভেতরে সংস্কারকাজ চলছে। নতুন দরজা-জানালা লাগানো হয়েছে। তবে সংস্কার শেষ না হওয়ায় কোনো আসবাব আনা হয়নি। যেখানে দলীয় কাজ করবেন: জানা গেছে, গুশলানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়েই দলীয় কাজ করবেন তারেক রহমান। এ জন্য ভবনটির দ্বিতীয় তলায় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছাড়াও আরেকটি কামরা প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে আগে বসতেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরই মধ্যে মহাসচিবের কামরা চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের নিচতলায় সরিয়ে আনা হয়েছে। এই কার্যালয়টিরও সংস্কার করা হচ্ছে। কার্যালয়ের প্রধান গেটে লাগানো হয়েছে রিমোট কন্ট্রোল দরজা। রয়েছে পকেট গেটও। ভবনের পেছনের অংশের ফাঁকা জায়গায় টিনের শেড লাগানো হয়েছে। ভবনের দেয়ালে রং করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও একটি কামরা প্রস্তুত করা হয়েছে তারেক রহমানের জন্য।তারেক রহমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা: বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য বিশেষ ডিজাইনের বুলেটপ্রুফ গাড়ি আনা হয়েছে। চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্য সংখ্যা আগে ছিল ১০ জন। এখন তা বাড়িয়ে ২৫ জনের বেশি করা হয়েছে। তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর বলেন, ‘সিএসএফ গঠিত কিছু অবসরপ্রাপ্ত অফিসার ও সৈনিক দিয়ে। চেষ্টা করা হয়, এসএসএফে যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদের রাখতে। সিএসএফ সাধারণ ক্রাউড নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু কারো যদি কোনো আত্মঘাতী কিছু করার পরিকল্পনা থাকে, সেটা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সে রকম সক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। গড়ে ওঠা সহজও নয়। তবে আমি বলি, এসএসএফ সবচেয়ে উপযুক্ত। সিএসএফ তারেক রহমানের নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম নয়। তারা উনার বাসার নিরাপত্তা দেবে। কিন্তু উনি যখন মুভ করবেন, যখন জনগণের সঙ্গে মিশবেন তখন নিরাপত্তার দিক থেকে কোনো আপস করা যাবে না। এটা করার জন্য আছে এসএসএফ। এ কাজে তারাই কিন্তু সবচেয়ে দক্ষ। তাদের ট্রেনিং দেওয়া হয় ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে। কোন কোন জায়গা থেকে হুমকি আসতে পারে, তারা সেদিকেই নজর রাখে। তাই ডিফেন্স ম্যানেজমেন্টের জন্য এসএসএফ সেরা।’বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বাড়ির সংস্কারের বিষয়টি তদারকি করছেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন। তিনি বলেন, নতুন বাসার সংস্কার চলছে, শেষ হয়নি। তবে উনার মা যেখানে থাকেন, সেখানেও তিনটি রুম রেডি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চাইলে ওখানেও উঠতে পারেন।বিএনপির প্রস্তুতি: তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিনটিকে ‘অবিস্মরণীয়’ করে রাখতে চায় দলটি। এ জন্য তারেক রহমানের ফেরার দিন রাজধানী ঢাকায় স্মরণকালের বৃহত্তম জনসমাগম ঘটানোর পরিকল্পনা করছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে সাংগঠনিক প্রস্তুতি, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সার্বিক কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই এ-সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে। কেন্দ্রীয় বিএনপির সমন্বয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।বিএনপির নেতারা বলছেন, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে সারা দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ ঢাকায় আসবেন। বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু করে গুলশান-বনানী পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় জনসমাগম ঘটবে।এই প্রস্তুতির ইঙ্গিত সম্প্রতি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব নিজেও। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক দলীয় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান যেদিন বাংলাদেশে পা দেবেন, সেদিন যেন সারা বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে।’ বিএনপি সেদিন দেশের রাজনৈতিক চেহারা বদলে দিতে চায় বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি। এরপর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ছুটির দিনেই তারেক রহমানের দেশে ফেরার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।তারেক রহমান ২০০৭ সালে এক-এগারোর পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান। এর পর থেকে তিনি যুক্তরাজ্যেই আছেন। তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ৫ ডিসেম্বর দেশে আসেন হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ তাঁর শাশুড়ি ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে।গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। মা খালেদা জিয়া গত মাসের শেষ দিকে গুরুতর অসুস্থ হয় পড়লে তারেক রহমানের দেশে ফেরা কবে, সে আলোচনা আরও জোরদার হয়। গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দেশে ফেরার তারিখ ঘোষণা করা হয়।তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে দলের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও আবেগঘন ঘটনা হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দীপ্ত করবে। এর প্রভাব নির্বাচনী মাঠে পড়তে পারে। এ কারণেই তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিন ঢাকায় বৃহৎ জনসমাগম ঘটিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী ঢেউ তুলতে চায় দলটি।এসকে/আরআই
জাতীয়
সব দেখুন
আগামীকাল সাময়িক বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল
নিরাপত্তার স্বার্থে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ৪০ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারা জাম্প অনুষ্ঠিত হবে। প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে আগামী ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ১১টা ৫০ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে।যাত্রীদের যাত্রী সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।এইচএ
হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় গুজবে সয়লাব ফেসবুক : ফ্যাক্টওয়াচ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে ব্যাপক গুজব ও ভুয়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে শনাক্ত করেছে ফ্যাক্টওয়াচ।ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগরে শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ফেসবুকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ভুয়া ফটোকার্ড, এআই জেনারেটেড ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ফ্যাক্টওয়াচের মনিটরিংয়ে এমন একাধিক বিভ্রান্তিকর দাবি নজরে এসেছে।ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সম্প্রচার মাধ্যম আরটিভির নাম ও লোগো ব্যবহার করে একটি ভুয়া ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়ানো হয়। এতে ডিএমপি কমিশনার সূত্রে দাবি করা হয়, ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীরা জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে যাচাইয়ে দেখা যায়, আরটিভি এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। তাদের ভেরিফায়েড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা ওয়েবসাইটেও এ ধরনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বরং একই ছবি ব্যবহার করে গত ১৩ ডিসেম্বর আরটিভির ফেসবুক পেজ থেকে ভিন্ন একটি ফটোকার্ড প্রকাশ করা হয়, যার শিরোনাম ছিল— ‘হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের শনাক্ত করেছে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার।’ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, একই দিন ডিএমপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজেও ওই ভুয়া ফটোকার্ডটিকে ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।ভুয়া ফটোকার্ডটি উদ্ধৃত করে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক বক্তব্যে মন্তব্য করেছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। পরে তিনি বিষয়টিকে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ বলে দুঃখ প্রকাশ করেন।প্রায় একই দাবিতে দৈনিক কালবেলার নাম ও লোগো ব্যবহার করেও একটি ভুয়া ফটোকার্ড ছড়ানো হয়। এতে লেখা ছিল— ‘ওসমান হাদির ওপর হামলায় জামায়াত-শিবির জড়িত।’ ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, কালবেলার ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে এমন কোনো ফটোকার্ড বা প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।তবে ১২ ডিসেম্বর কালবেলার ফেসবুক পেইজে প্রচারিত একটি আসল ফটোকার্ড পাওয়া গেছে, যার শিরোনাম ছিল— ‘ওসমান হাদির সর্বশেষ অবস্থা জানালেন চিকিৎসক।’ ওই ফটোকার্ডের শিরোনাম পরিবর্তন করে মিথ্যা দাবি প্রচার করা হচ্ছে।এ ছাড়া বিবিসি বাংলার নাম ও লোগো ব্যবহার করে একাধিক ভুয়া ফটোকার্ড ছড়ানো হয়েছে। এসব ফটোকার্ডে লেখা ছিল— ‘সাদিক কায়েমকে প্রার্থী করার জন্য হাদিকে সরিয়ে দিতে শিবিরের হামলা’ এবং ‘হাদির ওপর হামলাকারীকে আগেও দুইবার জামিন করিয়েছেন শিশির মনির।’ফ্যাক্টওয়াচের যাচাইয়ে দেখা যায়, বিবিসি বাংলার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ, তাদের অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে এমন কোনো প্রতিবেদন নেই। পাশাপাশি এসব ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টও বিবিসি বাংলার প্রকৃত ফটোকার্ডের সঙ্গে মিলছে না। ফলে বিবিসি বাংলার নামে ছড়ানো এসব ফটোকার্ড ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।অন্যদিকে, ‘আমার দেশ’ পত্রিকার নাম ও লোগো ব্যবহার করে একটি ফটোকার্ডে দাবি করা হয়, ‘ওসমান হাদিকে গুলি করা ঘাতকের কল লিস্টে সাদিক কায়েমের নম্বর।’ তবে গত ১৩ ডিসেম্বর আমার দেশ পত্রিকা তাদের ফেসবুক পেইজে জানায়, এই ফটোকার্ডটি ভুয়া এবং তাদের নামে ফেইক কার্ড তৈরি করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।ফ্যাক্টওয়াচ আরও জানায়, ‘রুখে দাঁড়াও বিডি’ নামের একটি ওয়েবসাইট থেকেও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। ওয়েবসাইটটির ডোমেইন গত ৩ নভেম্বর নিবন্ধন করা হয়। সেখানে খুব কম কনটেন্ট রয়েছে এবং সেগুলো বিশ্লেষণে এটি একটি প্রোপাগান্ডামূলক সাইট বলে মনে হয়েছে।শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দিন সন্দেহভাজন ঘাতকের মুখের মাস্ক পরা ছবি বিশ্লেষণ করে একটি পোস্ট দেয় ডিজিটাল ইনভেস্টিগেটিভ মিডিয়া ‘দ্য ডিসেন্ট’। এর পর ফেসবুকে মাস্কহীন এক ব্যক্তির ছবি ছড়িয়ে দাবি করা হয়, তিনি হাদির বন্ধুর ছোট ভাই এবং ছবিটি সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া।ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, যাচাইয়ে দেখা গেছে ছবিটি এআই জেনারেটেড। একাধিক এআই ইমেজ শনাক্তকারী টুল ছবিটিকে কৃত্রিমভাবে তৈরি বলে নিশ্চিত করেছে।এ ছাড়া ‘হাদির ওপর হামলাকারী গ্রেফতার’ দাবি করে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়ানো হয়। সেখানে ক্যাপশনে বলা হয়, হামলাকারী পাহাড়িয়া এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ঢাকা থেকে সিলেট পালানোর সময় ধরা পড়ে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে ভিডিওটিও এআই জেনারেটেড বলে প্রমাণিত হয়েছে। ৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে অস্বাভাবিক একটি হাত দেখা যায়, যা দিয়ে ওই সন্দেহভাজন হামলাকারীকে ধরে রাখা হয়েছে। কিন্তু হাতটির বিপরীতে কোনো মানুষের উপস্থিতি নেই। এই ধরনের অস্বাভাবিকতা এআই জেনারেটেড কনটেন্টে দেখা যায়।ফেসবুকে আরও একটি গুজবে ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমের সঙ্গে সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ছবি শেয়ার করে দাবি করা হয়, তারা একসঙ্গে চা পান করছিলেন।ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, ছবিটিও সম্পূর্ণ এআই জেনারেটেড, বাস্তব কোনো ছবি নয়।ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, দেশে চলমান গুজব, ভুয়া তথ্য ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট প্রতিরোধে তারা কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত এবং সেন্টার ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড কোয়ালিটেটিভ স্টাডিজ (সিকিউএস) পরিচালিত একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা।সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া ভিডিও, অপতথ্য ও গুজব ছড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে। এসব তথ্য যাচাই করে সত্য তুলে ধরার পাশাপাশি গুজব প্রতিরোধে নিয়মিত কাজ করছে ফ্যাক্টওয়াচ।ইখা
হাদিকে সিঙ্গাপুর নিতে ঢাকায় পৌঁছেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
গুলিবিদ্ধ ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদিকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে। তাকে সিঙ্গাপুর নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে।আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টা ২০ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে অসপ্রে এভিয়েশনের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ দুপুরে আহত ওসমান হাদিকে নিয়ে ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। এর আগে রোববার শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মেডিকেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল এবং ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি এর মধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাক্সিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তার চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আরও জানানো হয়, হাদির চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।প্রধান উপদেষ্টা ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয়।প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান ড. ইউনূসকে জানিয়েছেন, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং অপরিবর্তিত রয়েছে।গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয় নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি রিকশায় করে যাওয়ার পথে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রসীদের হামলার শিকার হন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে করে এসে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।এইচএ
হাদির ওপর হামলায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না: সিইসি
মাঝে মাঝে দুই–একটা খুনখারাবি হয়। ওসমান হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। নির্বাচনে এসবের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। ইসি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সবাইকে নিয়ে নির্বাচনে যাবে ইসি। দুশ্চিন্তা করা যাবে না।দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ২০২৪ সালের চেয়ে অনেক ভালো বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সিইসি বলেন, ‘তখন মানুষ ঘুমাতে পারতো না। এখন মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরে বক্স কালভার্ট এলাকায় রিকশায় যাচ্ছিলেন ওসমান হাদি। এ সময় একটি মোটরসাইকেল থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওসমান হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন।এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নির্ভর করে তারুণ্যের শক্তির ওপর। তরুণরা যেমন ঊনসত্তর, একাত্তর ও চব্বিশে তাদের শক্তি দেখিয়েছে। এই নির্বাচন ঐতিহাসিক নির্বাচন। কেননা পোস্টাল ভোটিং হচ্ছে। এবার গণভোটও হবে। ইসির এই সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে তরুণদের অংশগ্রহণ থাকলে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল নির্বাচন করা ইসির জন্য সহজ হবে।’এইচএ
হাদিকে গুলি করা অভিযুক্ত মাসুদের ভারতে গিয়ে সেলফি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলির ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের তোলা সেলফি ও ফোন নম্বর প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক মাধ্যমে তিনি ভারতে পালানোর পর মাসুদের তোলা একটি ছবি প্রকাশ করেন।পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের লেখেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের সংগঠক ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী মোটরবাইকচালক আলমগীর হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় (১২ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার পর জাহাঙ্গীর কবির নানকের পিএস মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব, ফয়সাল করিম মাসুদকে এই ভারতীয় নম্বরটি জোগাড় করে দেন বলে বিশেষ গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়।’‘+৯১৬০০১৩৯৪০** এই নম্বরটি ব্যবহার করে কয়েকটি নম্বরে নিজেদের এই সেলফি পাঠান ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান।যে সকল নম্বরে এই ছবিটি পাঠানো হয়, তার একটি ইন্টারসেপ্ট করে এই ছবিটি পাওয়া যায়, যা গতকাল ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে তোলা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’এর আগে, গত ১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে করে এসে চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করা হয়। তাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।ইখা
আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।গতকাল রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন- মারিয়া কিশপট্ট ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।সাইবার রিলেটেড ইস্যু, অভিযোগ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোহাম্মদ রফিক আহমেদ।তিনি বলেন, সাইবার রিলেটেড ইস্যু। অভিযোগ গ্রহণ করেছি। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।থানায় দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে নানাভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।এতে বলা হয়, অভিযুক্তদের এসব বক্তব্য ও অনলাইন কার্যক্রমের কারণে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পাচ্ছে। ফলে তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, সহিংসতা এবং অবকাঠামো ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে।এদিকে, একই রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।এইচএ
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা ২০ মিনিটের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্টন থানার ডিউটি অফিসার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) রকিবুল হাসান।তিনি জানান, ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।মামলার বাদী কে জানতে চাইলে এএসআই জানান, তার এক আত্মীয় এ মামলার বাদী হয়েছেন। তবে তিনি বাদীর নাম বলতে পারেননি। মামলাটি তদন্ত করছেন পল্টন থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইয়াসিন মিয়া।মামলার নম্বর জানতে চাইলে রকিবুল হাসান জানান, সেনসিটিভ মামলা, এই মামলার নম্বর আমার জানা নেই।এদিকে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের মধ্যে গুলির ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক, বর্ডার দিয়ে মানুষ পাচারকারী চক্রের দুইজন এবং অভিযুক্ত ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও অপর এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।শরিফ ওসমান হাদি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক এবং অভ্যুত্থান-অনুপ্রাণিত সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন ‘ইনকিলাব মঞ্চে’র মুখপাত্র। তিনি ঢাকার ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন হাদি এবং এ লক্ষ্যে নিয়মিত গণসংযোগ করছিলেন তিনি।গত ১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে করে আসা দুই আততায়ীর একজন চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন হাদি। তার অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ অবস্থায় সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে হাদিকে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।হাদির ওপর হামলাকারী ২ আততায়ীর একজন সন্দেহভাজন ‘ফয়সাল করিম’ তার সঙ্গেই কিছুদিন ধরে নির্বাচনী প্রচার কাজে যুক্ত ছিলেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকেও তাকে সন্দেহভাজন হামলাকারী ধরে নিয়ে নাগরিকদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এই ফয়সাল করিম নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার নেতা ছিলেন।এবি
হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে সোমবার
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে একটি এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।যদিও প্রথমে হাদিকে সোমবার থাইল্যান্ডে নিতে চেয়েছিল তার পরিবার।কিন্তু রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং অপরিবর্তিত রয়েছে।সোমবার দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মেডিকেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল এবং ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাক্সিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তার চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।ওসমান হাদির চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।এফএস
সর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুন
বাসভবন-কার্যালয় প্রস্তুত, সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছরের নির্বাসনের পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গুলশানে তাঁর সম্ভাব্য বাসভবন ও দলীয় কার্যালয়ের সংস্কারকাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।বিএনপির লন্ডন শাখা সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত যাত্রীবাহী ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানটি প্রথমে সিলেটের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সেখান থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। তাঁর সঙ্গে একমাত্র কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানেরও ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।গত শনিবার রাজধানীর গুলশানের গুলশান এভিনিউ সড়কে ১৯৬ নম্বর বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির সামনে দুটি গেট। গেট দুটির সামনে বসানো হয়েছে স্টিলের ব্যারিকেড। আর সড়কের ওপর স্থাপন করা হয়েছে তিনটি নিরাপত্তা বাক্স। বাড়ির প্রাচীর ও ভেতরে রুমগুলো সাদা রঙে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির নিরাপত্তায় রয়েছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। একই সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টি তদারকি করছেন চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।বাড়ির আশপাশ: গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বর থেকে উত্তর দিকে চলে গেছে গুলশান এভিনিউ সড়ক। এই সড়কে রয়েছে অন্তত দুটি দেশের দূতাবাস। বাড়ির ঠিক সামনে তিনটি বহুতল ভবন। এ ছাড়া একতলা একটি স্থাপনা ও আরেকটি বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। বাড়ির উত্তর পাশে তিনতলা পুরাতন ভবন রয়েছে। বাড়ির দক্ষিণ পাশের ৭৯ নম্বর সড়কেই বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’। বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের বাসভবনের অবস্থান পাশাপাশি। ১৯৬ নম্বর বাড়ি থেকে ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। দেয়ালের ওপর কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তারেক রহমানের সম্ভাব্য বাড়ির সামনে তিনটি পুলিশ বক্স স্থাপন করা হচ্ছে। আর বেগম জিয়ার বাড়ির সামনে চারটি পুলিশ বক্স আগে থেকেই রয়েছে। দেড় বিঘা আয়তনের বাড়িটি বেগম খালেদা জিয়ার নামে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর এই বাড়ির জায়গাটি বেগম খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। দীর্ঘ সময় তাঁর দখলে না থাকলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে নামজারির কাগজ বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। বাড়িটিতে তিন বেড রুম, ড্রয়িং, ডাইনিং ও লিভিং রুম রয়েছে। ফাঁকা জায়গায় কিছু গাছও আছে। দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাড়ির ভেতরে সংস্কারকাজ চলছে। নতুন দরজা-জানালা লাগানো হয়েছে। তবে সংস্কার শেষ না হওয়ায় কোনো আসবাব আনা হয়নি। যেখানে দলীয় কাজ করবেন: জানা গেছে, গুশলানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়েই দলীয় কাজ করবেন তারেক রহমান। এ জন্য ভবনটির দ্বিতীয় তলায় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছাড়াও আরেকটি কামরা প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে আগে বসতেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরই মধ্যে মহাসচিবের কামরা চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের নিচতলায় সরিয়ে আনা হয়েছে। এই কার্যালয়টিরও সংস্কার করা হচ্ছে। কার্যালয়ের প্রধান গেটে লাগানো হয়েছে রিমোট কন্ট্রোল দরজা। রয়েছে পকেট গেটও। ভবনের পেছনের অংশের ফাঁকা জায়গায় টিনের শেড লাগানো হয়েছে। ভবনের দেয়ালে রং করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও একটি কামরা প্রস্তুত করা হয়েছে তারেক রহমানের জন্য।তারেক রহমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা: বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য বিশেষ ডিজাইনের বুলেটপ্রুফ গাড়ি আনা হয়েছে। চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্য সংখ্যা আগে ছিল ১০ জন। এখন তা বাড়িয়ে ২৫ জনের বেশি করা হয়েছে। তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর বলেন, ‘সিএসএফ গঠিত কিছু অবসরপ্রাপ্ত অফিসার ও সৈনিক দিয়ে। চেষ্টা করা হয়, এসএসএফে যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদের রাখতে। সিএসএফ সাধারণ ক্রাউড নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু কারো যদি কোনো আত্মঘাতী কিছু করার পরিকল্পনা থাকে, সেটা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সে রকম সক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। গড়ে ওঠা সহজও নয়। তবে আমি বলি, এসএসএফ সবচেয়ে উপযুক্ত। সিএসএফ তারেক রহমানের নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম নয়। তারা উনার বাসার নিরাপত্তা দেবে। কিন্তু উনি যখন মুভ করবেন, যখন জনগণের সঙ্গে মিশবেন তখন নিরাপত্তার দিক থেকে কোনো আপস করা যাবে না। এটা করার জন্য আছে এসএসএফ। এ কাজে তারাই কিন্তু সবচেয়ে দক্ষ। তাদের ট্রেনিং দেওয়া হয় ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে। কোন কোন জায়গা থেকে হুমকি আসতে পারে, তারা সেদিকেই নজর রাখে। তাই ডিফেন্স ম্যানেজমেন্টের জন্য এসএসএফ সেরা।’বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বাড়ির সংস্কারের বিষয়টি তদারকি করছেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন। তিনি বলেন, নতুন বাসার সংস্কার চলছে, শেষ হয়নি। তবে উনার মা যেখানে থাকেন, সেখানেও তিনটি রুম রেডি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চাইলে ওখানেও উঠতে পারেন।বিএনপির প্রস্তুতি: তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিনটিকে ‘অবিস্মরণীয়’ করে রাখতে চায় দলটি। এ জন্য তারেক রহমানের ফেরার দিন রাজধানী ঢাকায় স্মরণকালের বৃহত্তম জনসমাগম ঘটানোর পরিকল্পনা করছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে সাংগঠনিক প্রস্তুতি, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সার্বিক কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই এ-সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে। কেন্দ্রীয় বিএনপির সমন্বয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।বিএনপির নেতারা বলছেন, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে সারা দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ ঢাকায় আসবেন। বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু করে গুলশান-বনানী পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় জনসমাগম ঘটবে।এই প্রস্তুতির ইঙ্গিত সম্প্রতি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব নিজেও। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক দলীয় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান যেদিন বাংলাদেশে পা দেবেন, সেদিন যেন সারা বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে।’ বিএনপি সেদিন দেশের রাজনৈতিক চেহারা বদলে দিতে চায় বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি। এরপর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ছুটির দিনেই তারেক রহমানের দেশে ফেরার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।তারেক রহমান ২০০৭ সালে এক-এগারোর পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান। এর পর থেকে তিনি যুক্তরাজ্যেই আছেন। তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ৫ ডিসেম্বর দেশে আসেন হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ তাঁর শাশুড়ি ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে।গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। মা খালেদা জিয়া গত মাসের শেষ দিকে গুরুতর অসুস্থ হয় পড়লে তারেক রহমানের দেশে ফেরা কবে, সে আলোচনা আরও জোরদার হয়। গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দেশে ফেরার তারিখ ঘোষণা করা হয়।তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে দলের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও আবেগঘন ঘটনা হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দীপ্ত করবে। এর প্রভাব নির্বাচনী মাঠে পড়তে পারে। এ কারণেই তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিন ঢাকায় বৃহৎ জনসমাগম ঘটিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী ঢেউ তুলতে চায় দলটি।এসকে/আরআই
বাসভবন-কার্যালয় প্রস্তুত, সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছরের নির্বাসনের পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গুলশানে তাঁর সম্ভাব্য বাসভবন ও দলীয় কার্যালয়ের সংস্কারকাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।বিএনপির লন্ডন শাখা সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত যাত্রীবাহী ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানটি প্রথমে সিলেটের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সেখান থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। তাঁর সঙ্গে একমাত্র কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানেরও ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।গত শনিবার রাজধানীর গুলশানের গুলশান এভিনিউ সড়কে ১৯৬ নম্বর বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির সামনে দুটি গেট। গেট দুটির সামনে বসানো হয়েছে স্টিলের ব্যারিকেড। আর সড়কের ওপর স্থাপন করা হয়েছে তিনটি নিরাপত্তা বাক্স। বাড়ির প্রাচীর ও ভেতরে রুমগুলো সাদা রঙে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির নিরাপত্তায় রয়েছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। একই সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টি তদারকি করছেন চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।বাড়ির আশপাশ: গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বর থেকে উত্তর দিকে চলে গেছে গুলশান এভিনিউ সড়ক। এই সড়কে রয়েছে অন্তত দুটি দেশের দূতাবাস। বাড়ির ঠিক সামনে তিনটি বহুতল ভবন। এ ছাড়া একতলা একটি স্থাপনা ও আরেকটি বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। বাড়ির উত্তর পাশে তিনতলা পুরাতন ভবন রয়েছে। বাড়ির দক্ষিণ পাশের ৭৯ নম্বর সড়কেই বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’। বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের বাসভবনের অবস্থান পাশাপাশি। ১৯৬ নম্বর বাড়ি থেকে ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। দেয়ালের ওপর কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তারেক রহমানের সম্ভাব্য বাড়ির সামনে তিনটি পুলিশ বক্স স্থাপন করা হচ্ছে। আর বেগম জিয়ার বাড়ির সামনে চারটি পুলিশ বক্স আগে থেকেই রয়েছে। দেড় বিঘা আয়তনের বাড়িটি বেগম খালেদা জিয়ার নামে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর এই বাড়ির জায়গাটি বেগম খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। দীর্ঘ সময় তাঁর দখলে না থাকলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে নামজারির কাগজ বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। বাড়িটিতে তিন বেড রুম, ড্রয়িং, ডাইনিং ও লিভিং রুম রয়েছে। ফাঁকা জায়গায় কিছু গাছও আছে। দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাড়ির ভেতরে সংস্কারকাজ চলছে। নতুন দরজা-জানালা লাগানো হয়েছে। তবে সংস্কার শেষ না হওয়ায় কোনো আসবাব আনা হয়নি। যেখানে দলীয় কাজ করবেন: জানা গেছে, গুশলানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়েই দলীয় কাজ করবেন তারেক রহমান। এ জন্য ভবনটির দ্বিতীয় তলায় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছাড়াও আরেকটি কামরা প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে আগে বসতেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরই মধ্যে মহাসচিবের কামরা চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের নিচতলায় সরিয়ে আনা হয়েছে। এই কার্যালয়টিরও সংস্কার করা হচ্ছে। কার্যালয়ের প্রধান গেটে লাগানো হয়েছে রিমোট কন্ট্রোল দরজা। রয়েছে পকেট গেটও। ভবনের পেছনের অংশের ফাঁকা জায়গায় টিনের শেড লাগানো হয়েছে। ভবনের দেয়ালে রং করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও একটি কামরা প্রস্তুত করা হয়েছে তারেক রহমানের জন্য।তারেক রহমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা: বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য বিশেষ ডিজাইনের বুলেটপ্রুফ গাড়ি আনা হয়েছে। চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্য সংখ্যা আগে ছিল ১০ জন। এখন তা বাড়িয়ে ২৫ জনের বেশি করা হয়েছে। তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর বলেন, ‘সিএসএফ গঠিত কিছু অবসরপ্রাপ্ত অফিসার ও সৈনিক দিয়ে। চেষ্টা করা হয়, এসএসএফে যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদের রাখতে। সিএসএফ সাধারণ ক্রাউড নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু কারো যদি কোনো আত্মঘাতী কিছু করার পরিকল্পনা থাকে, সেটা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সে রকম সক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। গড়ে ওঠা সহজও নয়। তবে আমি বলি, এসএসএফ সবচেয়ে উপযুক্ত। সিএসএফ তারেক রহমানের নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম নয়। তারা উনার বাসার নিরাপত্তা দেবে। কিন্তু উনি যখন মুভ করবেন, যখন জনগণের সঙ্গে মিশবেন তখন নিরাপত্তার দিক থেকে কোনো আপস করা যাবে না। এটা করার জন্য আছে এসএসএফ। এ কাজে তারাই কিন্তু সবচেয়ে দক্ষ। তাদের ট্রেনিং দেওয়া হয় ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে। কোন কোন জায়গা থেকে হুমকি আসতে পারে, তারা সেদিকেই নজর রাখে। তাই ডিফেন্স ম্যানেজমেন্টের জন্য এসএসএফ সেরা।’বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বাড়ির সংস্কারের বিষয়টি তদারকি করছেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন। তিনি বলেন, নতুন বাসার সংস্কার চলছে, শেষ হয়নি। তবে উনার মা যেখানে থাকেন, সেখানেও তিনটি রুম রেডি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চাইলে ওখানেও উঠতে পারেন।বিএনপির প্রস্তুতি: তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিনটিকে ‘অবিস্মরণীয়’ করে রাখতে চায় দলটি। এ জন্য তারেক রহমানের ফেরার দিন রাজধানী ঢাকায় স্মরণকালের বৃহত্তম জনসমাগম ঘটানোর পরিকল্পনা করছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে সাংগঠনিক প্রস্তুতি, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সার্বিক কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই এ-সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে। কেন্দ্রীয় বিএনপির সমন্বয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।বিএনপির নেতারা বলছেন, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে সারা দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ ঢাকায় আসবেন। বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু করে গুলশান-বনানী পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় জনসমাগম ঘটবে।এই প্রস্তুতির ইঙ্গিত সম্প্রতি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব নিজেও। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক দলীয় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান যেদিন বাংলাদেশে পা দেবেন, সেদিন যেন সারা বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে।’ বিএনপি সেদিন দেশের রাজনৈতিক চেহারা বদলে দিতে চায় বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি। এরপর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ছুটির দিনেই তারেক রহমানের দেশে ফেরার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।তারেক রহমান ২০০৭ সালে এক-এগারোর পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান। এর পর থেকে তিনি যুক্তরাজ্যেই আছেন। তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ৫ ডিসেম্বর দেশে আসেন হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ তাঁর শাশুড়ি ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে।গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। মা খালেদা জিয়া গত মাসের শেষ দিকে গুরুতর অসুস্থ হয় পড়লে তারেক রহমানের দেশে ফেরা কবে, সে আলোচনা আরও জোরদার হয়। গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দেশে ফেরার তারিখ ঘোষণা করা হয়।তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে দলের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও আবেগঘন ঘটনা হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দীপ্ত করবে। এর প্রভাব নির্বাচনী মাঠে পড়তে পারে। এ কারণেই তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিন ঢাকায় বৃহৎ জনসমাগম ঘটিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী ঢেউ তুলতে চায় দলটি।এসকে/আরআই
সোমবার হাদিকে থাইল্যান্ডে নিতে চায় তার পরিবার
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামীকাল সোমবার থাইল্যান্ডের ব্যাংকক হাসপাতালে নিতে চায় তার পরিবার।রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র বলছে, হাদিকে প্রথমে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তবে পরবর্তীতে পরিবারের ইচ্ছায় তার গন্তব্য পরিবর্তন করে ব্যাংকক করার চিন্তা চলছে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আব্দুল আহাদ জানান, হাদি এখনও সম্পূর্ণ আশঙ্কামুক্ত নন। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি আলোচনাধীন।আরডি
হাদির অবস্থা অপরিবর্তিত, বিদেশে নেয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে: চিকিৎসক
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হতে পারে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে। এ বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির পাশে রয়েছেন তিনি।আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, ওসমান হাদি এখনো ডিপ কোমায় আগের অবস্থায় আছেন। তার শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। তবে ইন্টারনাল রেসপন্স আছে।তিনি জানান, ওসমান হাদিকে তার পরিবার ও ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি তার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে। অবস্থা বিদেশে নেওয়ার মতো উন্নতি হলেই নেওয়া হবে।এর আগে সকাল ১০টার দিকে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওসমান হাদি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। চিকিৎসক ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন। সেই সময় আগামীকাল সোমবার রাতে শেষ হবে।এরও আগে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মাথায় গুলি করা হয় ওসমান হাদিকে। চলন্ত রিকশায় থাকা তাকে মোটরসাইকেলে এসে দুর্বৃত্তরা গুলি করে পালিয়ে যায়। হাদি এখন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা এখনও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।এইচএ
‘হাদিকে খুনের চেষ্টাকারীর সহযোগীরা হাসপাতাল পর্যন্ত চলে এসেছিল’
সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি। এখন তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে।হাদিকে হত্যার চেষ্টা করেছে যারা, সেই তাদের সহযোগীরা হাসপাতাল পর্যন্ত চলে এসেছিল। এমনটাই দাবি করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও ডাকসু সদস্য ফাতিমা তাসনিম জুমা। তিনি সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টে এমন দাবি করেন।ঘটনার দুই দিন হতে চলেছে, তবে এখনও হত্যাকারীকে ধরতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এখানে তাদের সদিচ্ছার অভাব দেখতে পাচ্ছেন জুমা। তিনি বলেন, ‘যে আসামী অলরেডি একবার গ্রেপ্তার হয়েছে তার সকল তথ্য সংস্থাগুলোর কাছে আছে। তবুও তাকে চিহ্নিত করতে পারছেনা, আঁটকাতে পারছেনা এইটা আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়।’তিনি বিশ্বাস করেন আসামী এখনও দেশ ছেড়ে পালায়নি। তার কথা, ‘দ্বিতীয়ত, আমাদের বিশ্বাস আসামী পালায়নি, পালিয়ে গিয়েছে বলে হতাশা তৈরি করে দায়মুক্তি নিতে চাইছে, অথবা পালাতে সহযোগিতা করার একটা প্লান এটা।’এরপরই তিনি জানান, হাদিকে হত্যাকারীর সহযোগীরা হাসপাতাল পর্যন্ত চলে এসেছিল। তিনি বলেন, ‘এই প্লান একজন করেনি, একজন এক্সিকিউট করেনি। এই পুরো সিন্ডিকেট এখনো এক্টিভ এবং খুনিদের সহযোগিরা হাসপাতালে এসেছিল বলেও আমাদের কাছে তথ্য এসেছে।’তিনি শেষে এসে ওসমান হাদিসহ সবার নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘পুরো সিন্ডিকেটকে আমরা জীবিত গ্রেপ্তার দেখতে চাই। ওসমান ভাইয়ের নিরাপত্তা সহ সকলের নিরাপত্তা জোরদার করেন। অনেক কষ্ট করে ধৈর্য্য ধরে আছি আমরা। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ পারবো না।’ইখা
সুদানে ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর শাহাদাতে জামায়াতের শোক
সুদানের আবেই এলাকায় অবস্থিত জাতিসংঘের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী সদস্য শাহাদাত বরণের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) তিনি এক বিবৃতিতে শোক জানান।বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, আফ্রিকার সুদানের আবেই এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এই হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ জন সদস্য শাহাদাত বরণ করেছেন এবং আরও ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।তিনি আরও বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা মানবতার বিরুদ্ধে এক জঘন্য অপরাধ। আমি এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এই হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করছি এবং শহীদদের পরিবার ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় তাদের এই আত্মত্যাগে আমরা বীর জাতি হিসেবে গর্বিত।তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের অধীনে পৃথিবীর বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ও সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব নিষ্ঠা ও বীরত্বের সঙ্গে পালন করে চলেছেন। এ পর্যন্ত বাংলার সাহসী শান্তি সেনারা কম্বোডিয়া, সাবেক যুগোস্লাভিয়া, ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুর, আফ্রিকার সিরেরালিওন, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদানসহ বিভিন্ন দেশে জটিল ও চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সেসব দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই অর্জন ও কৃতিত্ব বিশ্ববাসীর ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই অর্জন বিশ্ববাসীর ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলার অকুতোভয় সেনাদের সাহস, ধৈর্য ও বীরত্বের স্বাক্ষরে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মর্যাদা ও সুনাম আরও সুদৃঢ় হয়েছে। প্রকৃত অর্থেই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী’ এখন একটি ব্র্যান্ড নেম।তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অমূল্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে।তিনি বলেন, আমি নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করার জন্য এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য মহান রবের কাছে কায়মনোবাক্যে দোয়া করছি। আহতদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বিশ্বশান্তি মিশনে নিয়োজিতদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্ববাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।এইচএ
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন খন্দকার মোশাররফ
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে তিনি বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক রওনা হন।বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেন, খন্দকার মোশাররফ হোসেন সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। এর আগে, চলতি বছরের গত ২১ জানুয়ারি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তিনি সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে তিনি দেশবাসীর মাধ্যমে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া চেয়েছেন বলে জানান শায়রুল কবির খান।এইচএ
হাদির ওপর হত্যাচেষ্টা দেশকে মেধাহীন করার ষড়যন্ত্র: আসিফ মাহমুদ
চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর দেশকে নেতৃত্বহীন ও মেধাহীন করার উদ্দেশ্যে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা একাত্তরে পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে দেশকে মেধাহীন করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করেছিল। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সেই স্বপ্ন অনুযায়ী স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের প্রাপ্তি এখনও অনেক কম বলে তিনি মন্তব্য করেন।তিনি আরো বলেন, 'চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর দেশকে নেতৃত্বহীন করার জন্য ওসমান হাদির ওপর হামলা করা হয়েছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে দেশকে মেধাহীন করতে চেয়েছিল, একইভাবে সম্প্রতি হাদিকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে মেধাহীন করার চেষ্টা করছে জুলাইয়ের পরাজিত শক্তি।'আসিফ মাহমুদ আরও দাবি করেন, এ ধরনের ষড়যন্ত্রে জড়িতরা অনেককে ‘হিট লিস্টে’ রেখেছে। তিনি বলেন, 'একাত্তরে যেমন হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়েছিল, তেমনি এবারও এই ফ্যাসিবাদী শক্তি পরাজিত হবে।'তিনি আরও বলেন, 'একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তিকে যেভাবে পরাজিত করা হয়েছিল, আজও কেউ সফল হতে পারবে না। এদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।' এইচএ
চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ার’ নামে একটি বহুতল ভবনের ভূগর্ভস্থ গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ১২ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনো আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস এর পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিভিল ডিফেন্সের অধিদপ্তরে পরিচালক তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে আরো ২৪ ঘন্টা সময় লাগবে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, শনিবার ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পাওয়ার ৮ মিনিটের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে কেরানীগঞ্জ, সদরঘাট ও সিদ্দিকবাজারসহ বিভিন্ন ফায়ার স্টেশন থেকে মোট ২০টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়।ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাবালে নূর টাওয়ারের বেজমেন্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা আশপাশের ভবনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পাঁচটি ভবনের বেজমেন্টে আগুন ছড়ানোর তথ্য পাওয়া গেছে। এসব ভবনের মধ্যে দুটি ১০ তলা, দুটি পাঁচ তলা এবং একটি তিনতলা ভবন রয়েছে।আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৫ জনকে বিভিন্ন সিঁড়ি ব্যবহার করে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিল্ডিং কোড অনুসরণ না করায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার বড় ধরনের আশঙ্কা নেই। তিনি আরও জানান, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও সময় লাগতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।এদিকে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে।আরডি
যাত্রাবাড়ীতে রাস্তা পারাপারের সময় বাসের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় রাস্তা পারাপারের সময় বাসের ধাক্কায় আনোয়ারা বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক দুপুর ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসা (পথচারী) স্বপন আহমেদ জানান, দুপুর দেড়টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা ধনিয়া কলেজ এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় আনোয়ারা বেগম গুরুতর আহত হন। পরে এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরও জানান, নিহত আনোয়ারার গ্রামে বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার আলী এলাকার মৃত নাজিম উদ্দিনের মেয়ে। বর্তমানে রসুলপুর, ধনিয়াতে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।এসআর
রাজধানীতে ১২ তলা ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
রাজধানীর বাবুবাজারে একটি ১২ তলা ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। জমেলা টাওয়ার নামে ওই ভবনে আগুন লাগে।ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ শাহজাহান কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ভোরে জমেলা টাওয়ার নামে ১২ তলা ভবনের নিচতলায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। কেরানীগঞ্জ, সদরঘাট ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের মোট ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।এসআর
রাজধানীতে চলন্ত বাসে আগুন
রাজধানীর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত বাসে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার। রোজিনা আক্তার বলেন, আমাদের কাছে খবর আসে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত বাসে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে বারিধারা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও বাসে যাত্রী ছিল কি না জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।এফএস
রাজধানীতে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় ২ শিক্ষার্থী নিহত
রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেলের আরোহী ২ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে ওই দুই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহতরা হলেন- আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এআইইউবি) ছাত্র ইরাম রেদওয়ান (২৫) ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) ছাত্র অপু আহমেদ (২৫)।নিহতদের সহপাঠী তাওসিফ বলেন, দুই বন্ধু একটি বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন। কোনাপাড়া এলাকায় উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একটি ময়লার গাড়ি তাদের ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন তারা। পরে খবর পেয়ে আমরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে অপুকে মৃত ঘোষণা করেন এবং তার কিছুক্ষণ পরেই ইরাম রেদওয়ানকেও মৃত ঘোষণা করে। তিনি আরও বলেন, তাদের দুজনের বাসা শানারপাড় চিটাগাং রোড এলাকায়। এই ঘটনায় সিটি কর্পোরেশনের ঘাতক গাড়িটি (নম্বর ঢাকা মেট্রো শ-১৪০৫৭৪) পুলিশ জব্দ করেছে। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ওই দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি আরও বলেন, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ডেমরা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।এমআর-২
‘বিধবা বোনকে কু প্রস্তাব দেয়ার প্রতিবাদ করায় শহিদকে খুন’
যশোর সদর উপজেলার পাগলাদাহ গ্রামের মাঠপাড়ার ইজিবাইক চালক শহিদুল ইসলাম শহিদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো, একই গ্রামের মানিক মিয়া জমাদারের ছেলে ইরান হোসেন ও আনারুল ইসলামের ছেলে রিয়াজ। ডিবি পুলিশ চৌগাছা উপজেলার মালিগাতি গ্রাম থেকে তাদের আটক করে।এদিকে, শহিদ হত্যার ঘটনায় আটক দুইজনসহ ৭ জনকে আসামি করে নিহতের পিতা বশির আহম্মেদ কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন। মামলার অপর আসমিরা হল, পাগলাদাহ গ্রামের মাঠপাড়ার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে মিরাজ, আলিফ, রিয়াজ ও একই গ্রামের আমিনুল।মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নিহত শহিদের বিধবা বোন শাহিদা বেগমের ইজিবাইক ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত শহিদ ও আসামি মিরাজ। মাঝেমধ্যে মিরাজ ইজিবাইক নিতে তাদের বাড়িতে আসতো। শহিদের বিধবা বোনকে কুপ্রস্তাব দেয় মিরাজ। বিষয়টি জানাজানি হলে শহিদ এর প্রতিবাদ করে। এতে আসামি মিরাজ ক্ষিপ্ত হয়ে শহিদকে খুন জখমের হুমকি দেয়। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বাড়ির সামনের দোকানে আসামিদের সাথে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে শহিদকে গুরুতর জখম করে আসামিরা। আহত শহিদকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার রাতে যশোরের ডিবি পুলিশ ওই দুইজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনিছুর রহমান খাঁন আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, অন্য আাসমিদের আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এনআই
স্কুলছাত্রী নাদিরার মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মামলা
যশোর সদর উপজেলার ইছালীর রামকৃষ্ণপুর গ্রামের স্কুলছাত্রী নাদিরা আক্তারকে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে প্রেমিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে এবার আদালতে মামলা হয়েছে।রবিবার(১৪ ডিসেম্বর) নাদিয়ার ফুফা একই গ্রামের নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আছাদুল ইসলাম অভিযোগটি গ্রহণ করে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে।আসামিরা হলো- একই গ্রামের প্রতিবেশী নাছির উদ্দিন মোল্যা ও তার দুই ছেলে নাজমুল ইসলাম ও হোসেন মোল্যা, নজরুল মোল্যার ছেলে মিরাজুল ইসলাম, মৃত আমিন মোল্যার ছেলে ফয়জুর রহমান, আদিল মোল্যার ছেলে বাবলু মোল্যা, মৃত হারেজ মোল্যার ছেলে ও নাজমুলের চাচা কামাল হোসেন এবং বাহারুলের ছেলে নাইম।এর আগে নাদিরা মা শিল্পী বেগম এ ঘটনায় প্রেমিক নাজমুলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও পর্নোগ্রাফি আইনে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এদিকে, নাদিরা হত্যার আসামিদের আটক ও দ্রুত বিচারের মাধ্যমে শাস্তির দাবিতে রোববার সকালে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নাদিরার পিতা কুয়েত প্রবাসী। নাদিরা আক্তার ইছালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। আসামিরা সকলেই তাদের প্রতিবেশী। নাদিরার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে নাজমুল। পরবর্তীতে নজমুল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে নাদিয়া তাকে বিয়ের চাপ দিলে চরিত্রহীন বলে অপবাদ দিয়ে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। নাজমুলের করা ভিডিও দেখিয়ে ব্যাকমেইল করে বিদেশ থেকে নাদিরার পিতার পাঠানো টাকা ও গহনা নিয়ে নেয়। তারপরও নাদিরা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে আসামিরা জনতে পেরে তাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়। এতে অপমানিত হয়ে নাদিরা আসামিদের বাড়ির সামনে আমগাছে ঝুলে আত্মহত্যা করে।এনআই
নির্বাচনী পথসভায় অংশ নেওয়ায় পুলিশের এএসআই বরখাস্ত
সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের এক সদস্য অংশ নিয়েছেন, এমন অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে এ–সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ওই ঘটনার জেরে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য এএসআই (সশস্ত্র) মো. মহিবুল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় ওই পুলিশ সদস্য জামায়াতের স্লোগান সংবলিত একটি গান পরিবেশন করছেন।জানা গেছে, ঘটনাটি গত ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা এলাকায় ওই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মনার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভায় দলটির জেলা ও বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতা বক্তব্য দেন।এদিকে ওই ঘটনার জেরে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুলিশ সদস্য কারী মহিবুল্লাহকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় 'গত ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা সদর থানাধীন কাটিয়া ০১ নং ওয়ার্ড আমতলা মোড়ে স্থানীয় সদর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের জামায়াতের আমির মোঃ জিয়াউর রহমান এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটা) আসনের মনোনীত প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক এর দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের নির্বাচনী পথসভায় এএসআই (সশস্ত্র)/৭৩৭ মহিবুল্লাহ কারী মহিবুল্লাহ, বিপি-৯৪১৩১৬৯১৩৭ (বর্তমানে যশোর জেলায় কর্মরত) পোষাক পরিহিত অবস্থায় অংশগ্রহণ করে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন মর্মে জানা যায়। আর আই পুলিশ লাইন্স, যশোরের মাধ্যমে জানা যায় যে, তিনি গত ২৬/১১/২০২৫ খ্রি. হতে ১৫ দিনের (আরআরএল ছুটিতে রওনা করেন এবং ছুটি শেষে ১২/১২/২০২৫ খ্রি. কর্মস্থলে হাজির হন। ছুটি ভোগরত অবস্থায় নিজ বাড়ি নড়াইল জেলায় অবস্থান না করে পুলিশের পোষাক পরিহিত অবস্থায় ভিন্ন জেলা সাতক্ষীরায় এসে জামায়াতের রাজনৈতিক পথসভায় ইসলামী সংঙ্গীত পরিবেশন ও বক্তব্য প্রদান করেন, যা পুলিশের পেশাদারিত্ব এবং ভাব-মূর্তি ক্ষুন্ন করে। তার সহিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সে জানায় যে, আমি উক্ত পথসভায় উপস্থিত হয়ে ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন ও বক্তব্য প্রদান করি মর্মে জানান। বিষয়টি রেঞ্জ ডিআইজ, খুলনা ও পুলিশ সুপার, যশোরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। উক্ত পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।' অভিযোগ প্রসঙ্গে এএসআই (সশস্ত্র) মো. মহিবুল্লাহ বলেন, 'তিনি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেননি। তার দাবি, মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি গান গেয়েছি। এ নিয়ে সংবাদ করার দরকার নেই'সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন বলেন, 'অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।'এনআই
বেনাপোল রেলপথে পণ্য আমদানিতে ধস
বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্যের প্রধান প্রবেশদ্বার বেনাপোল রেলপথে আমদানিতে নেমেছে নজিরবিহীন ধস। বেনাপোল-পেট্রাপোল রেল স্টেশন দিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানি। গত ছয় মাস ধরে আসেনি কোনো খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য সামগ্রী। ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে হতাশা ও উৎকণ্ঠা। বাড়ছে অনিশ্চয়তা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে এ রেলরুটে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমেছে প্রায় ২৯ হাজার মেট্রিক টন, যা গত দশ বছরে সর্বোচ্চ পতন। এতে কমছে সরকারের রাজস্ব আয়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও রেলপথে আমদানি বাড়বে এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।ভারতীয় রেলওয়ের রেক সরবরাহ সংকট, বেনাপোল স্টেশনের দুর্বল অবকাঠামো, আধুনিক যন্ত্রাংশের অভাব, শ্রমিক সংকট এবং কাস্টমস, রেল ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতাকে এ ধসের প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা।রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেলপথে আমদানির পরিমাণ ছিল এক লাখ সাত হাজার ২০০ মেট্রিক টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা নেমে এসেছে ৭৮ হাজার ২০০ মেট্রিক টনে। এ পতনকে চরম উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।বর্তমানে ক্লিংকার, স্টোনচিপ, কয়লা, খাদ্যশস্য, সিমেন্টের কাঁচামাল, তুলা, ট্রাক্টর এবং গার্মেন্ট উপকরণ রেলরুটে আসা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। গত অর্থ বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ২৯ হাজার মেট্রিকটন পণ্য আমদানি কম হয়েছে।বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন বলেন, ‘আগে প্রতি সপ্তাহে চার থেকে ছয়টি রেক পাওয়া যেত। এখন কোনো কোনো সপ্তাহে একটি রেকও আসে না। এমন অনিশ্চয়তার ওপর ব্যবসা চলে না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে সড়কপথে ঝুঁকছি।’তিনি আরও বলেন, ‘ভারতীয় রেলের রেক সময়মতো না আসা আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ। দিন ধরে পণ্য আটকে থাকে, লোকসান গুণতে হয়।’একই অভিযোগ আমদানিকারক মো. সাইফুল ইসলামের। তিনি বলেন, ‘গত ১২ বছর ধরে রেলরুটে পণ্য আনছি। রেলরুটে যে সুবিধা আছে বাল্ক কার্গো সস্তায় আনা যায় সেটা আমরা পাই না। বেনাপোল রেলস্টেশনের অবকাঠামো পুরনো, ফর্কলিফট কম, শ্রমিক সংকট সবসময়ই থাকে। ফলে, একটি রেক খালাস করতেই দিন শেষ হয়ে যায়। ভারতের পেট্রাপোলে যে রেক দুই ঘণ্টায় খালাস হয়, তা বেনাপোলে লাগে আট থেকে দশ ঘণ্টা। এতে ব্যবসার হিসাব মেলে না।’বন্দর ব্যবহারকারী ও ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রেলে পণ্য আমদানিতে স্বল্প সময়ে কম খরচে তারা লাভবান হতো। সরকারও রাজস্ব পেতো অনেক। এই বন্দর দুটি দিয়ে রেলে আমদানি হতো খাদ্যপণ্য, কাঁচামাল, কটনসহ বিভিন্ন পণ্য ও ট্রাক্টর। ভিসাজটিলতাসহ দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে গত ছয় মাস ধরে বেনাপোল-পেট্রাপোল রেল স্টেশন দিয়ে আসেনি কোনো খাদ্যপণ্য বা কাঁচামাল। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সরকার, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়ীসহ বন্দর ব্যবহারকারীরা।বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, ‘রেলপথই হচ্ছে দেশের সবচেয়ে সস্তা পরিবহন ব্যবস্থা। এ রুটে আমদানি কমে গেলে পরিবহন খরচ বাড়বে, আর তা সরাসরি বাজারে পণ্যের দামের ওপর প্রভাব ফেলবে।’ এ অবস্থায় ভারতীয় রেলের সঙ্গে স্থায়ী রেক সরবরাহ চুক্তি, আধুনিক রেলটার্মিনাল নির্মাণ, দ্রুত খালাস ব্যবস্থা এবং কাস্টমস, রেল ও বন্দর তিনপক্ষের সমন্বয় বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।বেনাপোল রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার আয়নাল হাসান বলেন, ‘গত ছয় মাসে ট্রেনে চাল, গম, ভুট্রা, মরিচ, পেঁয়াজ, আলুসহ কোনো খাদ্যপণ্য আসেনি। রেক সংকট আমাদের নিয়ন্ত্রণে নয়। ভারতীয় রেলওয়ে নিয়মিত রেক সরবরাহ না করায় আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। তবে আগামীতে সমস্যা কাটলে রেলে পণ্য আমদানি বাড়ার আশা করছে রেল কর্তৃপক্ষ।’বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামিম হোসেন বলেন, ‘রেলপথে আমদানি কমে যাওয়া আমাদের জন্যও উদ্বেগজনক। রেলপথ দ্রুত নিরাপদ এবং বাল্ক পরিবহনে লাভজনক হওয়ার কথা। কিন্তু রেলের সমস্যা, ইয়ার্ড সংকট ও ভারতীয় রেলওয়ের অনিয়মিত রেক সরবরাহের কারণে ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। আমরা রেলবিভাগ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করছি যাতে খালাসের সময় কমে, কাগজপত্রের জটিলতা দূর হয়।’ইখা
দামুড়হুদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি, ইউএনওর ক্ষোভ
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারদের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কর্মকর্তা উবায়দুর রহমান সাহেল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবং এ বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলেও মত প্রকাশ করেন।রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উবায়দুর রহমান সাহেল। নির্ধারিত সময়ের কয়েক মিনিট পরে অনুষ্ঠান শুরু করলেও হাতে গোনা মাত্র ৬/৭ জন কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার ভূমি কে, এইচ তাসফিকুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মেজবাহ্ উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মশিউর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবু হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নিলীমা আক্তার হ্যাপী, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিলে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসের অনুষ্ঠান হয়তো শুরু করায় সম্ভব হতো না।আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ঠিক সেসময় রাজাকার, আলবদর, আলশামস পাকিস্তানি বাহিনী এদেশের বুদ্ধিজীবিদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মম ভায়ে হত্যা করে। আজকের দিনে দেশপ্রেমিক সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবি হত্যার মাধ্যমে এদেশকে পঙ্গু করে দেয়ার অপচেষ্টা করেছে বর্বর পাকহানাদার বাহীনি। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ। দিবসটির আলোচনা সভা শেষে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মামুনুর রশিদ।এসআর
ফটিকছড়িতে অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড়-টিলা-কৃষি জমি, হুমকিতে পরিবেশ
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। মাটিকারবারীদের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা ও সোনাফলা কৃষি জমির উর্বর মাটিও। প্রশাসনের অভিযান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।জানা যায়, উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, নারায়ণহাট, দাঁতমারা, বাগানবাজার, সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি ও কাঞ্চন নগর, ধর্মপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে সর্বদলীয় একাধিক সিন্ডিকেট। রাজনৈতিক দল ও পদবীকে পুঁজি করে গড়ে উঠা মাটিখেকোরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে দিনদিন। তারা দিনে ঘুমান, সন্ধ্যা নামলেই কাটেন পাহাড় ও টপ সয়েল। ভোর হলেই বন্ধ হয়। যার কারণে হুমকিতে পড়ছে ফসল উৎপাদন। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।অপরদিকে, কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা রোধে অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। তবে কৌশল বদলে দিনের বেলার পরিবর্তে রাতে কাটা হচ্ছে মাটি। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফসলি জমি ও টিলা থেকে মাটি কাটছেন অন্তত অর্ধশতাধিক সিন্ডিকেট। মাটিদস্যুরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বেপরোয়াভাবে এক্সকেভেটর দিয়ে ফসলি জমির টপসয়েল কেটে ডাম্পট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে ইটভাটা, পুকুর, ডোবা ও নতুন বাড়ির জায়গায় মাটি ভরাট করছে। মাটি কাটায় নিয়োজিত ড্রাম ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান থেকে মাটি পড়ে সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, ধূলিময় সড়কে চলাচলে মানুষজনকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।সরেজমিনে গত শনি ও রবিবার (১৩ ও ১৪ নভেম্বর) দু'দিন উপজেলার পাইন্দং, হারুয়ালছড়ি, নানুপুর, ভূজপুর, বাগানবাজার ইউনিয়নের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখা মেলে পরিবেশ ধ্বংসের এমন ভয়াবহতার চিত্র। অনুসন্ধানে জানা যায়, পাইন্দংয়ের ফকিরাচাঁন, হালদার পাড়, আমতল, এলাকায় রাতের আঁধারে কয়েকটি স্কেভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে কৃষিজমির মাটি। ভূজপুর ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গলাচিপা এলাকায় স্থানীয় মো. রাশেদের নেতৃত্বে ৪/৫ জনের একটি সিন্ডিকেট রাতের আঁধারে এস্কেভেটর দিয়ে কেটে নেওয়া হয়েছে বিশালাকার টিলা।এসব মাটি ড্যামট্রাকে পরিবহন করে যাচ্ছে কাজীরহাট বাজারের একাধিক কৃষি জমি ভরাট কাজে। একই কায়দায় হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের আপন ব্রীকফিল্ড সংলগ্ন, বাংলাবাজার সরকার বাড়ি এলাকায় কাটা হয়েছে টিলা। একইভাবে ভূজপুর ইউনিয়নের আছিয়া চা বাগান সংলগ্ন মা আমেনা লেয়ার ফার্মের পাশে মোঃ আরিফ নামে এক ব্যক্তির মুরগীর ফার্ম তৈরির জন্য কাটা হয়েছে বিশালাকার টিলা।একই দৃশ্য বাগানবাজার ইউনিয়নের লালমাই এলাকায়। যেখানে ভবন নির্মাণের জন্য দিনদুপুরে কাটা হচ্ছে উচুঁ পাহাড়-টিলা। লালমাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্থানীয় মনির ও মফিজের নেতৃত্বে ফেলুডার সাহায্যে কেটে সাবাড় করা হয়েছে ব্যবসায়ী মো. হাসেমের টিলা। মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করেন হাসেমের ছেলে মাহবুব। তিনি বলেন, 'আমরা যাদেরকে দিয়ে মাটি কাটিয়েছি তারা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে।’ তবে কাদেরকে দিয়ে মাটি কাটিয়েছেন, তাদের নাম বলতে পারেননি তিনি।এ ছাড়াও একই ইউনিয়নের বাগমারা এলাকায় মাহবুবুল হকের টিলা, গার্ডের দোকানে নবী মাস্টারের টিলা, গার্ডের দোকান এলাকার লায়েসের নেতৃত্বে কাটা হচ্ছে কৃষি জমি। এতে স্থানীয়রা বাঁধা দিলে তাদেরকে দেওয়া হয় নানা হুমকিধমকি। তবে মাটি কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে মো. লায়েস বলেন, ‘আমি এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত নই।’বাগানবাজার এলাকার নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা জানান, 'যে দল ক্ষমতায় আসে, সে দলের লোকেরাই পাহাড়-টিলা কর্তন করে। মাটিখেকোরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে না, প্রতিবাদ করে না।'চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের রিসার্স অফিসার মোঃ আশরাফ উদ্দিন বলেন, 'কর্তনকৃত এসব স্থান পরিদর্শন করে শীঘ্রই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাটি কাটার সংবাদ পেলে যত রাতই হোক অভিযান পরিচালনা করছি। টিলা-পাহাড় ও কৃষি জমির টপসয়েল কাটা মারাত্মক অপরাধ।'ইখা
সাজেকে অস্থিতিশীলতার অপচেষ্টা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
পার্বত্য চট্টগ্রামের সাজেক এলাকায় ইউপিডিএফ কর্তৃক বনবিভাগের সরকারি স্থাপনায় হামলা, অবৈধ দখল ও পর্যটকদের গমনাগমন পথ বন্ধ করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের বাঘাইহাট সেনা জোনের দ্রুত হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং পর্যটকদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করা হয়।প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মাসালং সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন দক্ষিণ একুজ্জাছড়ি পাড়ার ১৪ মাইল এলাকায় ইউপিডিএফ-এর একটি সশস্ত্র গ্রুপ বনবিভাগের সরকারি জমি অবৈধ দখল করে আদালতের রায় উপেক্ষা করে কথিত স্কুল নির্মাণের অপচেষ্টা চালায়। গত ১৪ ডিসেম্বর (রবিবার) বনবিভাগ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ওই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।এর প্রতিক্রিয়ায় ইউপিডিএফ নেতা সজীব চাকমার নেতৃত্বে সশস্ত্র ব্যক্তিরা মাসালং বাজার এলাকায় বনবিভাগের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে আশরাফুল নামে এক বনরক্ষী গুরুতর আহত হন। একই সঙ্গে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ কেটে ও গুড়ি ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হলে সাজেকে গমনাগমনরত পর্যটকরা আটকা পড়েন।ঘটনার পর বাঘাইহাট সেনা জোনের মাসালং সেনা ক্যাম্প ও বাঘাইহাট জোন সদর থেকে সেনাবাহিনীর একাধিক টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সড়কের বাধা অপসারণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা এবং পর্যটকদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী সর্বদা সতর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়। পাশাপাশি বাঘাইহাট জোনের আওতায় শিক্ষা সহায়তা, চিকিৎসা সেবা, উপকরণ বিতরণসহ নানা সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন কার্যক্রম ও সন্ত্রাস দমন অভিযান আগামীতেও চলমান থাকবে।এসআর
লক্ষ্মীপুরে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক
লক্ষ্মীপুরে পুলিশের চেকপোস্টে ধরা পড়েছে টেকনাফের মাদক কারবারি মোশারফ হোসেন (৪০)। পুলিশ তল্লাশি করে তার কাছ থেকে ৯৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী।এর-আগে, সন্ধ্যার দিকে রায়পুর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাপন চক্রবর্তী তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রায়পুর বাসস্ট্যান্ডে পাবলিক টয়লেট এলাকায় চেকপোস্ট পরিচালনা করে মাদক কারবারি মোশারফ হোসেনকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৯৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। মোশারফ হোসেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ পৌরসভার (৩নং ওয়ার্ড) কে-কে পাড়ার মোজাম্মেল ওরফে মোয়াজ্জেমের ছেলে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী জানান, আসামীর বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। এবং মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।এসআর
ডাব খেয়ে গাছের চূড়ায় যুবকের ঘুম, উদ্ধার করলো ফায়ার সার্ভিস
ডাব পাড়তে উঁচু নারিকেল গাছে ওঠেন শাহেন শাহ আলী (৩৫)। এরপর একটি ডাবের পানি পান করে গাছের চূড়ায় ঘুমিয়ে পড়েন। নিচ থেকে স্থানীয়রা ডাকাডাকি করলেও এতে সায় দেননি শাহেন শাহ। এ সময় হইচই পড়ে যায় আশপাশে।লোকজন জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে গাছের চূড়া থেকে তাকে উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে আনে।রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কাশিমনগর ঈদগাহ মাঠের পাশে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় পারভেজ হোসেন বলেন, গাছে উঠে ডাব খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া ওই যুবক কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী। তার বাড়ির ঠিকানা হিসেবে উত্তরবঙ্গে দাবি করেছেন। তবে বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেননি। আমরা অনেক চেষ্টা করেও তাকে নামাতে পারিনি।গাছ থেকে নামতে বললে শাহেন শাহ আলী বলেন, জমি ও গাছ আল্লাহর। আমি আল্লাহর গাছ থেকেই ডাব পাড়ছি।রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লিডার রেজাউল করিম বলেন, শাহেন শাহ আলী নামের এক ব্যক্তি নারিকেল গাছের চূড়ায় উঠে পড়েন। উঁচুতে বসে তিনি ডাব খান। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে তাকে গাছ থেকে নামার জন্য বলি। তিনি অনঢ় থাকেন। অনেক পরে মইয়ের সাহায্যে তাকে নিচে নামিয়ে আনা হয়। এসময় তিনি রশিতে বেঁধে সাতটি ডাব নামান। পরে তাকে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে নামিয়ে দেওয়া হয়।এফএস
চকরিয়ায় মরা মুরগী বিক্রির অভিযোগে বিক্রেতাকে জরিমানা
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরের সোসাইটি কাঁচাবাজারে দিনেদুপুরে মরা মুরগী জবাই করে বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নজরে আসার পর তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে মৃত মুরগী জবাই করে বিক্রির অভিযোগে মোহাম্মদ কালু নামের এক দোকানীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।রবিবার (১৪ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের চিরিংগা কাঁচাবাজারে এই অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) রুপায়ন দেব।এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম, চকরিয়া পৌরসভার স্যানিটরি ইন্সপেক্টর হায়দার আলী ও আদালতের পেশকারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।চকরিয়া পৌরসভা স্যানিটরি ইন্সপেক্টর মোঃ হায়দার আলী বলেন, পৌরশহরের সোসাইটি কাচাঁবাজারে এক মুরগী ব্যবসায়ী মৃত মুরগী জবাই করে বিক্রির অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার(ভুমি) রুপায়ন দেব ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।এ সময় মৃত মুরগী জবাই করে বিক্রির অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। এছাড়া অভিযানে বাজারের বিভিন্ন মুদির দোকানে মালামাল বিক্রিতে মূল্য তালিকা টাঙ্গানোর নির্দেশ প্রদান করেন। ভবিষ্যতে মূল্য তালিকার না টাঙ্গালে জরিমানা করার সতর্কতা প্রদান করেন।চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপায়ন দেব বলেন, মৃত মুরগী জবাই করে বিক্রির অপরাধে অভিযুক্ত দোকানীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই বাজারের মুদির দোকানগুলোকে মূল্য তালিকা টাঙ্গানোর নির্দেশ দেয়া হয়। জনস্বার্থে ভেজাল বিরোধী এধরণের অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।এনআই
সিরাজদিখানে জামায়াতের শ্রমিক সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে জামায়াতে ইসলামী ও শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগাদান করেছেন। রবিবার(১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলার সিরাজদিখান উপজেলার চোকদারপাড়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলে জামায়াত নেতাকর্মীরা যোগদান করেন। উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মনির হোসেনের নেতৃত্বে যোগদান করা শতাধিক নেতাকর্মীর হাতে ধানের শীষ তুলে দিয়ে বরণ করে নেন মুন্সিগঞ্জ-১ (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ মো. আব্দুল্লাহ। দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপি দলীয় প্রার্থী বলেন, সবারই জ্ঞানবুদ্ধি আছে। আল্লাহ তােমাদের (জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী) স্মরণশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। যে দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী, তাকে কি জনগণ কখনো পছন্দ করবে-প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি আরো বলেন, তারা এতদিন পরে বুঝতে পেরেছে, বিএনপিই সঠিক দল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষকের দল। এসময় উপজেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মনির হোসেন বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও তারেক রহমানের ৩১ দফায় অনুপ্রানিত হয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছি।দোয়া মাহফিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম হায়দার আলী, সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন ও মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান হাওলাদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম সিদ্দিক মোল্লা, বয়রাগাদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো.হাবিব সরকার, ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজমুল হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইয়াসিন সুমন, সদস্য সচিব শাহাদাৎ সিকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেনস প্রমুখ।এনআই
বিমানবন্দরে সৌদি প্রবাসীর ঘুষের অভিযোগ ভাইরাল, যা বললো বেবিচক
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সৌদিপ্রবাসী যাত্রীর কাছে ঘুস দাবির অভিযোগের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগ গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঘুসের অভিযোগ আনা ওই যাত্রীর নাম মো. শাহ আলম। সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে তার নির্ধারিত যাত্রার সময় ছিল দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে চেক-ইন কাউন্টার বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও যাত্রীসেবার কথা বিবেচনায় রেখে সৌদি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ পাঁচ মিনিট পর সাড়ে ১১টায় কাউন্টার বন্ধ করে।তখন যাত্রী শাহ আলম ঢাকা থেকে রিয়াদে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেলা ১১টা ২৮ মিনিটে হেভি লাগেজ গেট-১ দিয়ে প্রবেশ করেন এবং ১১টা ৩১ মিনিটে চেক-ইন কাউন্টারে উপস্থিত হন। পরে সৌদি এয়ারলাইন্স তাকে জানায়, ফ্লাইটের লোড কনফার্ম করা হয়ে গেছে। তাই যাত্রীর চেকিং সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে পরবর্তী ফ্লাইটের জন্য টিকিট রি-শিডিউল করতে তাকে এয়ারলাইন্সের অফিসে পাঠায়।বেবিচক জানায়, সৌদি এয়ারলাইন্সের নিয়ম অনুযায়ী রি-শিডিউলের ক্ষেত্রে ৮০০ রিয়াল এবং নতুন আসনের জন্য খালি থাকা সাপেক্ষে আসনের শ্রেণি অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। এজন্য ওই যাত্রীর কাছে ৩৩ হাজার টাকা টিকিট রি-শিডিউলিং চার্জ হিসেবে চাওয়া হয়।যাত্রী শাহ আলম পরে এয়ারলাইন্সের অফিস থেকে ১১টা ৪২ মিনিটে বের হয়ে কাউন্টারে এসে ভিডিও শুরু করেন। এসময় কাউন্টারের সামনে হট্টগোল শুরু হয়। তিনি উত্তেজিত হওয়ায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) সদস্যরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর এভসেক সদস্য এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের সহযোগিতায় ৩৪ হাজার ৩৩২ টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে তিনি শনিবার টিকিট রি-শিডিউল করেন। পরে এদিন দুপুরে তিনি সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।এনআই
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শামীমের বাড়িতে শোকের মাতম
সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বাংলাদেশি সৈনিক শামীম রেজার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। প্রিয়জন হারানোর বেদনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্বজনেরা। এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।নিহত সৈনিক শামীম রেজার বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামে। তাঁর বাবা আলমগীর ফকির। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম রেজা ছিলেন সবার বড়। পরিবার ও এলাকাবাসীর কাছে তিনি ছিলেন শান্ত স্বভাবের, দায়িত্বশীল ও পরিশ্রমী একজন তরুণ।পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শামীম রেজা ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দান করেন। কর্মজীবনের শুরু থেকেই তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। চলতি বছরের ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে সুদানে যান। সেখানে দায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসী হামলায় তিনি নিহত হন।রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে শামীম রেজার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, উঠানজুড়ে স্বজন ও প্রতিবেশীদের ভিড়। ঘরের বাইরে বসে বিলাপ করছেন পরিবারের সদস্যরা। সদ্য নির্মিত একতলা বাড়ির ভেতরে শোকাহত মা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।নিহত শামীম রেজার বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমার ছেলে দেড় বছর আগে বিয়ে করেছে। এখনো তার কোনো সন্তান হয়নি। কত স্বপ্ন ছিল ছেলেকে নিয়ে। অন্তত শেষবারের মতো আমার ছেলের লাশটা দেখতে চাই।’নিহত সৈনিকের ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘গতকাল টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকেই আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই—ভাই আর নেই। গত শুক্রবারই সে বাড়িতে ভিডিও কলে কথা বলেছিল। তখনও কিছু বুঝতে পারিনি।’শামীম রেজার মৃত্যুর খবরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতারাও শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।পরে বিকেলে রাজবাড়ী জেলায় দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর একটি টিম শামীমের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার বিষয়ে আশ্বস্ততা দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে এবং তাদের যে কোন দরকারে আমরা পাশে থাকবো। আগামী ১৭ ডিসেম্বর নাগাদ মরদেহ দেশে আনা হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।উল্লেখ্য, ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুদানে আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে গত (শনিবার) স্থানীয় সময় আনুমানিক দুপুর ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কতৃক ড্রোন হামলা পরিচালনা করা হয়। উক্ত হামলায় দায়িত্বরত ৬ (ছয়) জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন এবং ৮ (আট) জন শান্তিরক্ষী আহত হন।আরডি
গার্মেন্টস শ্রমিকের স্ত্রীকে অপবাদ দিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের স্ত্রীকে (২৭) পরকীয়া ‘অপবাদ’ দিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার সময় উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় রাতেই দুইজনকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ।শনিবার রাত সাড়ে ৮টার সময় মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এসে ওই গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, ৫ মাস বয়সী শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এসময় গোড়াই ইউনিয়নের বটটেকী গ্রামের ছমির উদ্দিনের ছেলে প্রভাবশালী ময়লা ব্যবসায়ী আজাহার মিয়া (৪২), একই গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে রাজিব মিয়া (৩৫) তার ঘরের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে পরপুরুষ রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে তারা ওই গৃহবধুর ঘরে প্রবেশ করেন। আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে তারা তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও শিল্প কারখানায় কর্মরত স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে শারিরীক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে শ্লীলতাহানি ঘটান তারা। কিন্তু ওই নারী জন্মনিরোধক আবরণ আনার কথা বলে কৌশলে ঘর থেকে বের হয়ে ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে গোড়াই শিল্প কারখানায় কর্মরত স্বামীর কাছে যান। পরে রাতে মির্জাপুর থানায় দুইজনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন।এদিকে ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন অভিযুক্তরা। তাদের দুজনের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাদের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। এলাকার একাধিক মানুষ বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে। সন্ধ্যার পর মদপান করে এলাকায় রংবাজি করাই তাদের কাজ। বাসার মালিক আহম্মদ আলী বলেন, আমি বাসা করার শুরু থেকেই অভিযুক্তরা নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতো। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটিয়ার সাথে যা হয়েছে তা শতভাগ সত্য।মির্জাপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, ভুক্তভোগী ওই নারীর একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মামলা নেয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।এনআই
ফরিদপুরে হালি পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক
পেঁয়াজের রাজধানী হিসেবে পরিচিত ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ফসলি জমিতে হালি পেঁয়াজের চারা রোপণের ধুম পড়েছে। শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে ভোর থেকেই মাঠে নেমে পড়ছেন কৃষক ও কৃষিশ্রমিকরা। দল বেঁধে সারিবদ্ধভাবে চলছে পেঁয়াজ রোপণের কর্মযজ্ঞ -দম ফেলার ফুরসত নেই কারও।সালথার কৃষকদের প্রধান অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজ। বছরের অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণে এ ফসলের ওপরই নির্ভরশীল অধিকাংশ কৃষক। তাই প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও প্রতিদিন খুব সকালে মাঠে নামছেন তারা।কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সালথা উপজেলায় ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হালি পেঁয়াজ চাষ হয় এই উপজেলাতেই। তবে গত মৌসুমে পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কিছু কৃষক এবার বিকল্প ফসলের দিকে ঝুঁকেছেন বলেও জানা গেছে।সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঠান্ডা ও কুয়াশা উপেক্ষা করে একেকটি জমিতে দুজন করে শ্রমিক ছোট হাত নাঙ্গল দিয়ে মাটির ফাঁক তৈরি করছেন। অন্যদিকে ২৫-৩০ জনের একটি দল সারিবদ্ধভাবে বসে পেঁয়াজের চারা রোপণ করছেন। পাশাপাশি আরেক দল শ্রমিক হালি পেঁয়াজের চারা উত্তোলন করে এনে জমিতে কর্মরত শ্রমিকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। চারা রোপণ শেষ হলেই শ্যালোমেশিন দিয়ে সেচ এবং প্রয়োজনীয় সার ও ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে।সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের পুরুরা গ্রামের কৃষক সিরাজ মোল্লা বলেন, “এবার ১৫ কেজি পেঁয়াজের বীজ বপণ করেছি। সেই চারা দিয়ে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে হালি পেঁয়াজ রোপণ করছি। প্রতি বিঘায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম যদি এমনই থাকে, তাহলে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। তবে আশা করছি এবার ফলন ও দাম দুটোই ভালো হবে।”একই উপজেলার সালথা গ্রামের কৃষক আবু মোল্লা বলেন, “আমাদের এলাকার বেশিরভাগ মানুষ পাট ও পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল। এই দুই ফসলের দাম ভালো হলে সারা বছর স্বস্তিতে থাকা যায়। গতবার পেঁয়াজে লোকসান হলেও এবার ঝুঁকি নিয়েই চাষ করছি।”সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন সিকদার জানান, “সালথা উপজেলা পেঁয়াজ চাষের জন্য বিখ্যাত। এ বছর এখানে ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে হালি পেঁয়াজ রোপণের কাজ চলছে। কৃষকদের সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।”সব মিলিয়ে সালথাজুড়ে এখন পেঁয়াজ আবাদের ব্যস্ত সময়। ভালো ফলন ও ন্যায্যমূল্যের আশায় দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।ইখা
বরগুনায় ১০২ কেজি হরিণের মাংস নিয়ে শিকারি আটক
বরগুনার পাথরঘাটায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের বিশেষ অভিযানে ১০২ কেজি হরিণের মাংসসহ এক শিকারিকে আটক করেছে।আটককৃত ব্যক্তির নাম মোঃ লিটন (৪৯)। তিনি মোঃ রুস্তম আলীর পুত্র এবং পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী এলাকার বাসিন্দা।রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর রাত ৩টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার ০৭ নং কাঠালতলী ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ডের কাঠালতলী গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ রাত আনুমানিক তিনটার দিকে বিসিজি স্টেশন পাথরঘাটা একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে উক্ত এলাকা থেকে অবৈধভাবে শিকার করা হরিণের ১০২ কেজি মাংস উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য এক লক্ষ দুই হাজার টাকা।অভিযানে হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত মোঃ লিটনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অবৈধভাবে হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার বিএন জানায়, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্ধারকৃত হরিণের মাংসসহ আটক ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, উপকূলীয় ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধ শিকার ও পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ড রোধে তাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।এসআর
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের মারামারি, আহত ১০
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে বরিশালে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে শহীদ বেদীর সম্মুখে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহতরা হলেন- মহানগরীর ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আলাউদ্দিন হাওলাদার, মহিলা দল নেত্রী রিনা বেগম, মরিয়ম, ইউনুস হাওলাদার।মহিলা দল নেত্রী মরিয়ম অভিযোগ করেন, বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে তারা মিছিল নিয়ে ঢুকলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে ব্যানার, ফুলের তোড়া ভেঙে ফেলে।বরিশাল মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন অভিযোগ করেন, শহীদ বেদীতে ফুল দেয়ার উদ্দেশ্যে র্যালি নিয়ে আসার সময় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেন।তিনি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য আমি এসেছিলাম। কিন্তু হামলার মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বরিশালে ধানের শীষের ভরাডুবি ঘটাবে।’এবিষয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনের ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, বেদীর সড়কটি সরু আর নেতাকর্মীদের ভিড়ও ছিল অনেক। তবে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা তা তার জানা নেই।এইচএ
হাজারো শ্রমিকের কর্মকৌশল বিচ্ছিন্ন চরে
ভোরের আকাশে সূর্যের আলো ফোঁটার সাথে সাথেই আবাদি জমিতে শুরু হয় হাজারখানেক অস্থায়ী কৃষি শ্রমিকের এক কর্মকৌশল। পশ্চিমাকাশে সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত চলে নিপুণতার প্রতিযোগীতা। কেউ পাওয়ার টিলার চালিয়ে জমি চাষ দিচ্ছে, কেউ কেউ দলবেঁধে জমি প্রস্তুত ও তরমুজ গাছের পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কেউবা সহকর্মীদের ক্ষুধা মেটানোর খাবার যোগানে শামিল হচ্ছে। প্রতিদিনের এই কর্ম-আয়োজন ৬ হাজার ৪৩৭ একর আয়তন বেষ্টিত বিচ্ছিন্ন 'চর' মুজিবনগরে। এই চরটি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আওতাধীন। পুরো চরঘেরা তেতুলিয়া নদী। চরের কয়েকটি জায়গায় মানুষের বসতি হলেও এক চতুর্থাংশই আবাদি জমি। নদীপথে খেয়া পারাপারেই এখানকার বাসিন্দাদের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম।রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরো চরঘুরে এসব শ্রমিকের এই কর্মকৌশল দেখা গেছে। প্রধানত রসালো ফল তরমুজ আবাদের জন্য প্রতি বছরের অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত এ চার মাস তারা শ্রম বিনিময় করেন। ফসল তোলার পর আবার নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন এসব শ্রমিক। ক্ষেতের পাশে ছনের দোচালা খাটিয়ে অস্থায়ী বসতি স্থাপন করেছেন শ্রমিকরা। এমন অস্থায়ী বসতির সংখ্যা প্রায় শখানেক। অস্থায়ী শৌচাগারও স্থাপন করেছেন।বিগত তিন বছর তরমুজের ফলন ভালো হওয়ায় তরমুজ চাষিদের মাঝে প্রাণোচ্ছলতা দেখা গেছে এ অঞ্চলে। তেতুলিয়া নদীসহ মিলিত খালগুলোতে মিঠা পানির উৎস থাকায় এ চরে তরমুজের আবাদ প্রতি বছরই বাড়ছে। এমনটায় জানিয়েছেন, শ্রম বিনিময় করতে আসা চর কলমি এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক মো. হোসেন। তিনি বলেন, 'তরমুজ চাষের জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে তরমুজ বিক্রি করা পর্যন্ত পরিচর্যার জন্য মাসিক চুক্তি ভিত্তিক কাজ করেন শ্রমিকরা। আমি প্রতি মাসে ২২ হাজার টাকা করে তিন মাসের চুক্তি ভিত্তিক কাজ করছি। থাকা খাওয়া তরমুজ চাষির। এই জমির পাশে টং ঘরে রাতে ঘুমাই, দিনে কাজ করি।' মো. হোসেন এর মতো একই চরে হাজারখানেক শ্রমিক তরমুজ চাষের জমিতে কর্ম ব্যস্ত সময় পার করছেন।ওই সময় তরমুজ গাছের পরিচর্যা করছিলেন মুজিব নগর ইউনিয়নের তরমুজ চাষি মো. ইসমাইল। তরমুজ আবাদের বিষয়ে কথা হয়েছে তার সাথে। তিনি তার কাজ শেষে বলেন, '১৩ একর জমিতে থাই সুপার, থাই কিং ও আরলি ওয়ান জাতের তরমুজ চাষ করেছি। গত বছর ১৫ গন্ডা জমির তরমুজ ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করেছিলাম। আল্লাহ রহমত করলে এ বছর ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। শেষ পর্যন্ত ২০ লাখ টাকা খরচ হবে। যেহেতু আগাম চাষ করেছি, তাই এই তরমুজগুলো কেজি দরে বিক্রি করবো। ৬ থেকে ১০ কেজি ওজনের তরমুজ আমার জমিতে আছে।'একই এলাকার কৃষক রাকিব হোসেন ৩ কানি (৪৮০ শতাংশ) জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। ৩০ হাজার টাকা করে কানিপ্রতি লগ্নি নিয়েছেন। তার মোট খরচ সাড়ে চার লাখ টাকা হবে। ১১ থেকে ১২ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। পাশের ৬ কানি (৯৬০ শতাংশ) জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন কৃষক আবুল হাসেম। তিনি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৩২ হাজার টাকা করে কানিপ্রতি লগ্নি নিয়েছেন। তার ১১ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে।ওই চরের আবাদি জমির মালিকরা জানান, প্রতি কানি (১৬০ শতাংশ) জমি ৩০ থেকে ৪০ হাজার করে লগ্নি দিয়েছেন। যা, গত বছর ছিলো ২২ থেকে ২৬ হাজারের মধ্যে। তরমুজ চাষের জন্য অনেক কৃষক গত বছর লগ্নির টাকা দিয়ে রেখেছেন।কৃষি ব্যাংক চরফ্যাশন শাখা ব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, 'বিগত বছরে কৃষকদের কৃষি প্রনোদনার আওতায় ৪% সুদে ঋণ দেওয়া হয়েছে, তবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া সাধারণত ১২% হারে কৃষকদের ঋণ দেওয়া হয়। বিনা জামানতে বর্গা চাষী কৃষকদের ঋণ সহায়তা দিয়ে থাকি। কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই আমরা কৃষকদের ঋণ প্রদান করে থাকি।'উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১০ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে তরমুজের আবাদ গত অর্থবছরের তুলনায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজমুল হুদা বলেন, 'চরফ্যাশন উপজেলার চরাঞ্চলগুলো তরমুজ চাষের 'আতুড়ঘর'। এখানকার মাটি খুবই উর্ভর। এ উপজেলায় ৬ হাজার তরমুজ চাষি রয়েছে। এছাড়াও তরমুজ উৎপাদন প্রকৃয়ায় ৫০ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। বিশেষকরে মুজিব নগর ইউনিয়নে ৫ হাজার একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন কৃষকরা। পশ্চিমাঞ্চলের এই এলাকাটিতে মিঠা পানির উৎস থাকায় অর্থাৎ তেঁতুলিয়া নদীতে মিঠা পানি থাকায় তরমুজ চাষিরা বেশি ঝুঁকছে।'এসআর
বরিশালে চেতনানাশক মিশিয়ে শতবর্ষী নারীকে হত্যা, গুরুতর অসুস্থ দম্পতি
চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে একটি পরিবারের সবাইকে অচেতন করে দুর্ধর্ষ ভাবে চুরি করে সব নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার সংলগ্ন মরন সাহার বাড়িতে।তবে ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ঘটেছে মরন সাহার বাড়িতে ঘটেছে।এঘটনায় ঘর মালিক মরন সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা মৃত্যুবরণ করেছেন। একই সঙ্গে গুরুতর অসুস্থ (অচেতন) অবস্থায় মরন সাহা (৫৫) ও তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহা (৪৮) উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে মরন সাহা শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও তার স্ত্রী সন্ধ্যা বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।স্থানীয়রা ধারণা কনছেন, বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) গভীর রাতে মরন সাহার বাড়িতে ঢুকে দুর্বৃত্তরা অচেতনকারী স্প্রে ব্যবহার করে পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও অন্যান্য সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায় পালিয়ে যায়।স্প্রের প্রভাবে পরিবারের তিন সদস্য অচেতন হয়ে পড়েন। এতে মরণ সাহা ও তার স্ত্রী গুরুতর আহত হলেও তার বৃদ্ধ মা অঞ্জনা গাড়ি মারা যায়। তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।পানি যাতীয় বিষাক্ত দ্রব্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে ধারনা করা যাচ্ছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকাটা ভালো। তবে মরন সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।বাড়ির পাশে থাকা এক স্থানীয় বৃদ্ধ বলেন, রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তরা বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরে ভেতরে প্রবেশ করে। প্রবেশের পর তারা প্রথমেই স্প্রে ব্যবহার করে সবাইকে অচেতন করে ফেলে। এরপর ঘর তছনছ করে খুঁজে সব মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কিভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত নয়। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে চেতনানাশক ঔষধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। মৃত্যু ব্যক্তির লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।এদিকে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে সব লুটে নিয়ে যাওয়ার ঘটানাটি পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও প্রশাসনের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি করেছেন।এসআর
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেন দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর রাত ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসের দোতালায় জানালার কাচ ভেঙে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পাশের একটি ভবন থেকে লাঠির সাথে গামছায় পেট্রোল লাগিয়ে আগুন ভিতরে দেয়। গামছা পুড়ে ছাই মেঝেতে পড়ে থাকে।এ সময় অফিসের লোকজনের টের পেয়ে ছুটে আসলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসের নৈশপ্রহরী মোস্তফা হাওলাদার জানান, আমি রাত ২ টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। আগুনের বিষয়টি শুরুতে টের পাইনি। টের পেলে ৯৯৯ কল দিতাম। পরে বিষয়টি নজরে আসলে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করি।মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার বাসুদেব সরকার জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমাদের কোন ছুটি নেই আমি গতকাল রাত ১১টার সময় অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় যাই। সকালে অফিসে আসলে এমন পরিস্থিতি দেখি তবে অফিস এবং অফিসের কোন নথিপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তিনি আরও বলেন ১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার জন্য একটি মহল এইরকম ঘটনা ঘটাতে পারে। আমি বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাদের, নির্বাহী অফিসার এবং থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেছি নিরাপত্তা দেয়ার জন্য।মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শেখ হেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্বৃত্তরা ভবনের পিছনের থাই গ্লাসের জানলা খুলে ফেলেছে কৌশলে। তারপর আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। তবে বিষয়টি টের পাওয়ার কারণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এসআর
ময়মনসিংহে পাইলিং কাজের সময় পাশের পাঁচতলা ভবন হেলে পড়েছে
ময়মনসিংহ নগরের গুলকিবাড়ি এলাকায় একটি বহুতল ভবনের পাইলিং কাজ চলাকালে পাশের একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ভবনটির সব বাসিন্দাকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকায় গ্রিনল্যান্ড ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেডের একটি ২০ তলা ভবন নির্মাণের পাইলিং কাজ চলছিল। কাজের একপর্যায়ে হঠাৎ পাশের পাঁচতলা ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভবনটি একদিকে কাত হয়ে পড়লে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ভাড়াটে ও মালিক সবাই বাসা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ভবনটি আরও হেলে পড়া ঠেকাতে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে পাশ থেকে মাটি সরিয়ে নেওয়া এবং ভরাটের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ঝুঁকি বিবেচনায় ভবনটি ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইংল্যান্ডপ্রবাসী এস. এম. রিয়াজুল আমিনের মালিকানাধীন পাঁচতলা ভবনটির পাশেই একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ২০ তলা ভবনের বেজমেন্টসহ নির্মাণকাজ করছিল। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভবনটির নিচতলায় ফাটল দেখা দেয়। ফাটল বাড়তে থাকলে ভবনটি হেলতে শুরু করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ভিড় করেন।ভবন মালিকের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘রাতে ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দেওয়ার বিষয়টি ডেভেলপার কোম্পানিকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ রাখতে বলে।’ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ‘পাশের একটি বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কারণে পাঁচতলা ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে।’গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অর্ণব বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভবনটির বর্তমান অবস্থা ভালো নয়। তাই ভবনটি ব্যবহার না করতে মালিককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনা আল মজিদ বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর পরিদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’এ ঘটনায় ভবন নির্মাণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নকশা অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাটি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।এ বিষয়ে গ্রিনল্যান্ড ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।ইখা
নেত্রকোনায় রাতে একযোগে তিন স্থানে আগুন, ২৯ ছাগল পুড়ে ছাই
নেত্রকোনার কাইলাটি এলাকায় গভীর রাতে একসাথে আলাদা তিনটি স্থানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুনে একটি ফার্মের ২৯ টি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মালিকের দাবি প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি। অন্যদিকে রাতের আধারে নেত্রকোনায় নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ লীগের মশার মিছিল হয়েছে। গতকাল রাতে নেত্রকোনার সদর উপজেলার কাইলাটি এলাকায় একই সময়ে তিনটি স্থানে আগুন ধরিয়ে দেয় দূরবৃত্তরা। এসময় কাইলাটি এলাকার ব্রাদার্স মাল্টিপারপাস ফার্ম এ দেয়া আগুনে একটি আধাপাকা ঘর ও সেখানে থাকা আসবাবপত্র, হাঁস মুরগী ও মাছের খাদ্য পুড়ে যায় এছাড়াও একটি ছাগলের ঘরে আগুন দিলে সেখানে থাকা ২৯টি ছাগল পুড়ে মারা যায়। এছাড়াও শহরের চল্লিশা কান্দা মোড়ে একটি খড়ের ঘরে আগুন দেয়। ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খানে আলম খান ও ব্রাদার্স মাল্টিপারপাস ফার্মের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ শাহ্ রফিকুর রহমান জানায়, রবিবার ভোর রাতে হঠাৎ করে আগুন দেখতে পায় ব্রাদার্স মাল্টিপারপাস ফার্মের এক কর্মচারী পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে খবর দিলে ভোর ৬ টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনীর ৪টি ইউনিট। এ সময় তারা জানায় ৪টার দিকে খবর পেয়ে তদারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পরে ২ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রে আসে। ফার্মেও মালিকের দাবী দূবৃত্তদের দেয়া আগুনে তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ২৫ লাখ টাকারও বেশি।এদিকে চল্লিশাকান্দা মোড়ে দেয়া আগুনে একটি খড়ের ঘর পুড়ে যায় ও কালইলাটি গ্রামেরাস্তার পাশে থাকা একটি খড়ের গাদায় আগুন দেয় তারা। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষ থেকে।কাইলাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাজমুল হক জানান, এই ফার্মটি অনেকদিন ধরে এখানে এটি একটি বড় ধরনের প্রতিষ্ঠান । গত ৩০ বছর ধরে ইউনিয়নে এমন নাশকতা হতে দেখিনি। একই সাথে তিন জায়গায় এরকম নাশকতা পূর্বপরিকল্পিত। এটা সঠিক বিচার হওয়া উচিত।অন্যদিকে নেত্রকোনায় রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের মশার মিছিলের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা এরপর হয়তো এ আগুন লাগানোর ঘটনাটি ঘটিয়েছে।এসআর
ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেন বকশীগঞ্জ বিএনপির সাবেক সভাপতি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এ যোগ দিয়েছেন বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলনের আমির (চরমোনাই পীর) সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঙ্গে দেখা করে তিনি ইসলামী আন্দোনে যোগ দেন। এ সময় ইসলামী আন্দোলনের বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জের বেশ কিছু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর তিনি ইসলামী আন্দোলনের প্রাথমিক সদস্য ফরম পুরন করেন।জানা যায়, আবদুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। টানা চারবার বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ২০১৬ সালে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। আবদুর রউফ তালুকদার ও তার কর্মী সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল তার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নতুন কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে। দফায় দফায় বৈঠক হলেও সমঝোতা না হওয়ায় ২০২৫ সালে গঠিত উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটিতে তিনি ও তার সমর্থকরা স্থান পান নি। গত ১৯ নভেম্বর সমাবেশ করে জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র এমপি পদে প্রার্থীতা ঘোষনা করেন তিনি। সেই লক্ষেই তার কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে আসছিলেন। হঠাৎ গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন উঠে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিয়ে এই আসনে ৮ দলীয় জোটের প্রার্থী হবেন আবদুর রউফ তালুকদার। অবশেষে শনিবার বরিশাল গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের হাত ধরে দলে যোগ দেন বিএনপির এই সাবেক নেতা। তবে প্রার্থীতা নিয়ে কোন কথা বলেন নি ইসলামী আন্দোলনের নেতারা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন, ‘আবদুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তবে নির্বাচন নিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের আগে কোন মন্তব্য করতে চাই না।’ এ ব্যাপারে জানতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।ইখা
বাকৃবির এগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্সের সভাপতি খালিদ, সম্পাদক শাকিব
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স, বাংলাদেশ এর ২০২৫–২৬ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির সভাপতি হিসেবে খালিদ হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. শাকিব আহমেদ মনোনীত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে কৃষি অনুষদের ডিন অফিসে কমিটির আত্মপ্রকাশ হয়। অনুষ্ঠানে এগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের আহ্বায়ক আব্দুল্লা আল মুন্নার সভাপতিত্বে এবং আশিকুর রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল আলীম, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আহমদ খায়রুল হাসানসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।কমিটির সহসভাপতি পদে রয়েছেন ইফরান ইউসুফ শিহাব, শামীমা আক্তার, মিথিলা আক্তার তমা ও আইরিন রহমান প্রমি। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন মো. সাইদুর রহমান, হুমায়রা ইসলাম, হাবিউল্লাহ হাবিব ও আলী আহসান অপূর্ব।সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন ছাব্বির হোসেন রিজন, খাদিমুল ইসলাম জিহান, শাজনীন আক্তার তৃশা ও মমতাজ জাহান মুক্তি। এ ছাড়া কোষাধ্যক্ষ পদে মো. বেলাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক পদে আলিনূর রহমান, উপ-দপ্তর সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল নাঈম, প্রচার সম্পাদক পদে এ টি এম তাহমিদ, উপ-প্রচার সম্পাদক পদে আশহাব নাহীন রওনক, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. কাউসার আহমেদ মিজান এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. আসিফ শামস আকাশ দায়িত্ব পেয়েছেন।এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে রয়েছেন মো. তাওহীদ আল আবিদ, নুসরাত-ই-জাহান এশা, তৌহিদা জাহান রিপা, মো. আশিকুর রহমান সোহান, মোছা. মুর্শিদা খাতুন, নাজমুল আলম নোবেল ও সৌরভ তাম্বুলি।বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, ‘গ্রামের একজন সাধারণ কৃষককে সাহায্য করার জন্য এটি একটি অসাধারণ সংগঠন। তবে সংগঠনটির কার্যপরিধি বৃদ্ধির জন্য দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিষয়ক শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে।’ইখা
নেত্রকোনায় চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলায় জুয়েল মিয়া (৩২) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে দায়িত্ব হস্তান্তর না করেই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক উধাও হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।জুয়েল মিয়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে।শ্বাসকষ্ট, গলাব্যাথা, জ্বর নিয়ে আটপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া রোগী জুয়েল মিয়া (৩২) নামের এক রোগী গত মঙ্গলবার (৯ডিসেম্বর) আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। গত বুধবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: আজিমুল সাদাত সুমনকে ডেকেও পায়নি রোগীর স্বজনসহ নার্সরা। এক পর্যায়ে আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোরে রোগী জুয়েল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে এই খবরে সকাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: আজিমুল সাদাত সুমন দায়িত্বভার না দিয়েই উধাও হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মৃত জুয়েল মিয়া উপজেলার তেলিগাতি ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে।জুয়েলের স্ত্রী লাকী আক্তার বলেন, ভর্তির পর হাসপাতালের নিয়মিত রাউন্ডের চিকিৎসক রোগীকে মাত্র একবার দেখেন। এরপর অবস্থার অবনতি হলে রাতে ডিউটিরত চিকিৎসক ডা: আজিমুল সাদাত সুমনকে নার্সকে সাথে নিয়ে ডাকলেও তিনি আসেননি। কর্তব্যরত নার্স অমৃতা হাজং স্বীকার করে বলেন, সবাই মিলে এতো ডেকেও স্যারকে আমরা আনতে পারিনি। যা খুবই দুঃখজনক। মারা যাওয়ার পরেও অন্তত একবার দেখে যেতে পারতেন।আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উত্তম কুমার পাল জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। হাসপাতালে মাত্র চিকিৎসক তিনজন। তার ডিউটি সকালে শেষ হওয়ার কথা। তিনি রাতের রোগীদের সেবায় থাকা অবস্থায় উচিৎ ছিলো রোগীর পাশে থাকা। তিনি সকালে দায়িত্ব হস্তান্তর করে না যাওয়াটা খুবই দু:খের। আমরা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এফএস
প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উপদেষ্টার দপ্তরের নির্দেশে তদন্ত শুরু
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ‘অনুমোদনবিহীন’ স্কয়ার ক্লিনিকে অপারেশনের ১২ ঘণ্টার মধ্যে কৃষ্ণা রানী নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুনানি গ্রহণ ও লিখিত বক্তব্য সংগ্রহের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।এর আগে গত ১০ অক্টোবর রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে নীলফামারীতে কৃষ্ণা রানীর মৃত্যু হয়। দেবীগঞ্জ পৌর এলাকার করতোয়া সেতু টোল পয়েন্ট সংলগ্ন দেবীগঞ্জ স্কয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপারেশনের মাধ্যমে তার কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। অপারেশনের পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও সময়মতো চিকিৎসক উপস্থিত না থাকা, পর্যাপ্ত জরুরি সেবা না পাওয়া এবং দ্রুত রেফার না করার অভিযোগ ওঠে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সে সময় সময়ের কণ্ঠস্বরসহ একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।ঘটনার পর প্রশাসন দেবীগঞ্জ স্কয়ার ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। পরে লাইসেন্স পাওয়ায় কিছুদিন পর সেখানে পুনরায় সিজার কার্যক্রম শুরু হয়, যা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠে স্থানীয়দের মধ্যে। এর আগেও ওই ক্লিনিকে অপারেশনের কয়েক ঘণ্টা পর অন্তত তিন নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ ছিল।পরবর্তীতে প্রকাশিত সংবাদগুলো স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টার দপ্তরের দৃষ্টিগোচর হলে বিষয়টি তদন্তের জন্য সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. মো. আমীর হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সদস্যসচিব হিসেবে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো: লুৎফুল কবির এবং সদস্য হিসেবে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. আফিফা জিন্নাত আফি দায়িত্ব পান।পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) শুনানিতে ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ডা. শিখা মনি ও ডা. রুহুল আমিন রুপু, তৎকালীন নার্সবৃন্দ, নিহত প্রসূতির স্বামী দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের দেবীডুবা এলাকার ধর্ম নারায়ণ এবং সময়ের কণ্ঠস্বরের পঞ্চগড় প্রতিনিধি নাজমুস সাকিব মুন উপস্থিত থেকে লিখিত বক্তব্য দাখিল করেন।তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দাখিলকৃত বক্তব্য ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে দ্রুত প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।ইখা
কুড়িগ্রামের দুই সেনাসদস্য সুদানে শহিদ, ‘নীরব হওয়ার’ শেষ বার্তা শান্তর
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত ছয়জন বাংলাদেশি সেনা সদস্যের মধ্যে কুড়িগ্রামের দুই বীর সন্তানের মৃত্যুতে জেলাজুড়ে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) নিহত এই দুই সেনাসদস্যের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, শোকে বিহ্বল পরিবার।নিহত সেনাসদস্য শহিদ শান্ত মণ্ডলের বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাটমাধাই ডারারপাড় গ্রামে। তার বাবা সাবেক সেনাসদস্য (মৃত) নুর ইসলাম মণ্ডল এবং মা সাহেরা বেগম। শান্তর বড় ভাই সোহাগ মণ্ডল সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তিনি কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে ল্যান্স করপোরাল পদে রয়েছেন।নিহত শান্ত মণ্ডলের স্বজনরা জানান, ‘উপরওয়ালা আমাকে আরও ধৈর্যশীল করুক। আমি আরও নীরব হতে চাই।’ পরিবারের সঙ্গে কথা বলে নিজের ফেসবুকের স্টোরিতে এই কথা লিখে মিশনের দায়িত্ব পালনে যান শান্ত মণ্ডল। তার দু’ঘণ্টা পর পরিবারের কাছে খবর আসে শান্তর আরও নীরব হওয়ার খবর। সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন শান্ত। পরিবারে নেমে আসে আহাজারি। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বৃষ্টি নির্বাক। মায়ের চিৎকার চলে অবিরত।শান্তর স্ত্রী বৃষ্টি জানান, ‘শনিবার রাত ৮টার দিকে শেষ কথা হয়েছে শান্তর সঙ্গে। সে সময় বলেছিল ডিউটিতে যাবে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আত্মীয়ের মাধ্যমে খবর পান তারা। একই সময় কথা হয় মায়ের সঙ্গেও।শান্তর ছোট ভাই সজিব বলেন, ‘শনিবার রাত ৮টার দিকে সে ফেসবুকে স্টোরি দিয়েছে। লিখেছে ‘উপরওয়ালা আমাকে আরও ধৈর্যশীল করুক। আমি আরও নীরব হতে চাই।’ এর দুই আড়াই ঘণ্টা পর খবর পাওয়া যায় সে বেঁচে নেই।’নিহত শান্তর পরিবার জানায়, ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদান করেন শান্ত। চলতি বছরের নভেম্বরে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে যান। সেখানে দায়িত্ব পালনকালে হামলায় মারা যায়।ছেলের মৃত্যুর সংবাদে শান্ত মণ্ডলের মা সাহেরা বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। সন্তানের মরদেহ দেখার আকুতি জানাচ্ছেন বারবার। প্রতিবেশী ও স্বজনদের কান্নায় পুরো এলাকা ভারী হয়ে উঠেছে। সুদানে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত আরেক শান্তিরক্ষী মমিনুল ইসলামের (৩৮) বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের পারুলেরপাড় গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। বাড়িতে স্ত্রী ও দুই মেয়ে, মা-বাবা, ভাই রয়েছে। বড় মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ছোট মেয়ের বয়স চার বছর।মমিনুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার মৃত্যুর খবরে বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা বাড়িতে ভিড় করছেন। মমিনুলের মৃত্যু শোকে স্ত্রী ও মা মূর্ছা যাচ্ছেন। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা তাদের সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করছেন।মমিনুলের বাবা আব্দুল করিম বলেন, ‘আমার ছেলে অনেক ভালো মানুষ। এলাকার সবাই তাকে ভালোবাসে। আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন বলেই হয়তো তার শহীদি মৃত্যু হয়েছে। এখন আমরা তার লাশের অপেক্ষায় আছি।’এফএস
শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার বাড়ী গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে চলছে শোকের মাতম
সুদানে জাতিসংঘের(ইউএন)শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মধ্যে একজন লন্ড্রি কর্মচারী সবুজমিয়ার বাড়ী গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়।ভাগ্য বদলের স্বপ্ন নিয়ে দেশের সীমানা পেরিয়ে আফ্রিকার দেশ সুদানে গিয়েছিলেন সেনাসদস্য সবুজ মিয়া (৩৫)। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন হলো না। সেনাবাহিনীর সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে সুদানে ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার এই তরুণ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সবুজ মিয়া ২০১০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করলেও পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর আশায় কখনো পিছপা হননি তিনি। সর্বশেষ গত ৭ নভেম্বর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে সুদানে যান সবুজ।গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে সেখানে দায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সবুজ মিয়াসহ ৬ সেনাসদস্য। রাতে তার মৃত্যুর খবর পৌঁছে গেলে মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে যায় গ্রামের বাড়ী। সবুজ মিয়া গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহাদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগনবানপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা। তার বাবা মৃত হাবিদুল ইসলাম। দুই ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন পরিবারের প্রধান ভরসা। দেড় বছর আগে বিয়ে করেন সবুজ। আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারটির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি।সরেজমিনে শহীদ সবুজের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে চলছে শোকের মাতম। বাড়ীর আঙিনা ও আশপাশে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর ভিড়। কেউ নীরবে চোখ মুচছেন, কেউ আবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। উঠানে বসে থাকা মা সকিনা বেগম বারবার ছেলের নাম ধরে ডাকছেন। ভেতরের ঘরে স্ত্রী নুপুর বেগম নির্বাক হয়ে বসে আছেন, হঠাৎ হঠাৎ কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। পুরো বাড়িজুড়ে ভারি হয়ে উঠেছে শোকের পরিবেশ।ছেলের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ মা সকিনা বেগম বলেন, ও বলেছিল, মা আর একটু কষ্ট করো। আমি ফিরে এলে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আল্লাহ আমার ছেলেটাকে ফিরিয়ে দিল না।স্বামী হারানোর শোকে ভেঙে পড়া স্ত্রী নুপুর বেগম বলেন, আমাদের সংসারটা নতুন ছিল। এত তাড়াতাড়ি সব শেষ হয়ে যাবে ভাবিনি। আমার জীবনের সব স্বপ্ন ওর সাথেই শেষ হয়ে গেল।সবুজ মিয়ার মৃত্যুতে পুরো ছোট ভগনবানপুর গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এলাকাবাসী জানান, তিনি ছিলেন শান্ত স্বভাবের, পরিশ্রমী ও ভদ্র একজন মানুষ। পরিবারের সুখের জন্যই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে কাজ করতেন।এলাকাবাসী দ্রুত নিহত সবুজ মিয়ার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি শোকাহত পরিবারের পাশে রাষ্ট্রীয় সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।এনআই
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেও স্মরণে নেই শহীদ আব্দুল কাদের মিয়া
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হলেও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী আব্দুল কাদের মিয়ার কবর জিয়ারত করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহলে ক্ষোভ ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে দেবীগঞ্জ সরকারি কলেজের শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান। এতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।তবে দিবসটির কর্মসূচিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবী আব্দুল কাদের মিয়ার কবর জিয়ারতের কোনো আয়োজন না থাকায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ ও শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শহীদ বুদ্ধিজীবী আব্দুল কাদের মিয়া ১৯৩০ সালের ১ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার জামিরতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি চাকরিসূত্রে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর ২৭ মার্চ তিনি দেবীগঞ্জ থানায় বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত পতাকা উত্তোলন করে দেবীগঞ্জকে স্বাধীন ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তিনি মুক্তিকামী যুবকদের প্রশিক্ষণ দেন, থানার অস্ত্রশস্ত্র তাদের হাতে তুলে দেন এবং নিজেও প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অস্ত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তিনি ভারতের হলদিবাড়ি এলাকায় যান বলেও জানা গেছে।১৯৭১ সালের ৩১ মে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি আহত হন। পরদিন ১ জুন সকালে পাকিস্তান-সমর্থিত শান্তি কমিটির সহযোগিতায় পাকিস্তানি সেনারা তাকে আটক করে দেবীগঞ্জের ব্রুজেরডাঙ্গা এলাকায় নিয়ে হত্যা করে এবং লাশ মাটিচাপা দেয়। স্বাধীনতার পর ওই স্থান থেকে তাঁর জুতা, মোজা, আংটি ও কলম উদ্ধার করা হয়।স্বাধীনতার দীর্ঘদিন পর ১৯৯৯ সালে সরকারিভাবে শহীদ পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাদের মিয়াকে শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। তাঁর স্মরণে দুই টাকার স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি দেবীগঞ্জে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পঞ্চগড় পুলিশ লাইনে একটি গ্রন্থাগার এবং একটি সড়ক তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে।স্থানীয়দের অভিযোগ, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে তাঁর কবর জিয়ারত না হওয়া দুঃখজনক এবং ইতিহাসের প্রতি অবহেলার শামিল। ভবিষ্যতে দিবসটির কর্মসূচিতে শহীদ আব্দুল কাদের মিয়ার কবর জিয়ারত অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তারা।এসআর
নাশকতাকারীদের দেশত্যাগ রোধে হিলি সীমান্তে বিজিবির সর্তকতা, টহল জোরদার
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীরা যাতে সীমান্ত অতিক্রম করে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেলক্ষ্যে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে বাড়তি সতর্কতামুলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিজিবি।রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে হিলি সীমান্তে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিজিবির পক্ষ থেকে বাড়তি টহল দেওয়া হচ্ছে। বাড়তি সদস্য মোতায়েনসহ গোয়েন্দা নজরদাড়ি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় বিজিবির পক্ষ থেকে চেকপোষ্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন ব্যাক্তি যানবাহন ও মোটরসাইকেলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল লতিফুল বারীবিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের পোষ্টগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে,আমরা সতর্ক আছি বা থাকবো। যাতে কোনভাবেই অপরাধীরা সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে।’ইখা
নওগাঁয় ট্রাক চাপায় নিহত ১
নওগাঁয় ট্রাক চাপায় মোতালেব (৫০) নামে এক অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অটোরিকশায় থাকা আরও তিন যাত্রী আহত হয়েছেন। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৬ টার দিকে সদর উপজেলার কাঁঠালতলী-রানীনগর আঞ্চলিক সড়কের পিরোজপুর এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত অটোরিকশা চালক মোতালেব রাণীনগর উপজেলার খট্রশর গ্রামের মৃত বরকত আলীর ছেলে। আহতরা হলেন, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার মহেন্দ্রপুর গ্রামের আলম খন্দকারের ছেলে আজগর হোসেন(৩১), নওগাঁ সদর উপজেলার পিরোজপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত জামালের স্ত্রী মালেকা বেওয়া(৫০) এবং সদর উপজেলার শিমুলিয়া মন্ডলপাড়া এলাকার আব্দুল লতিফের কণ্যা জেরিন (২০)। স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানাযায়, নওগাঁ থেকে তিনজন যাত্রী নিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা রাণীনগরের দিকে যাচ্ছিলো। অটোরিকশাটি রাণীনগর- কাঁঠালতলী আঞ্চলিক সড়কের পিরোজপুর নামক স্থানে পৌঁছালে নওগাঁ শহর অভিমুখী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ট্রাকটি উল্টে সড়কের নিচে পড়ে যায় এবং অটোরিকশাটি যাত্রীসহ ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে। ঘটনাস্থলেই ট্রাক চাপায় অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা বাকিদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নিয়ামুল হক বলেন, ট্রাক অটোরিকশা সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।এনআই
‘নিজামী-গোলাম আযম দেশের সূর্যসন্তান ও দেশপ্রেমিক’ বলায় ছাত্রদল-শিবির হট্টগোল
পাবনায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসের অনুষ্ঠানে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, গোলাম আজমকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এদেশের সূর্য সন্তান ও দেশপ্রেমিক বলায় প্রতিবাদ জানিয়ে হট্টগোল করেছে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।রবিবার(১৪ ডিসেম্বর) সকালে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের আব্দুস সাত্তার মিলনায়তনে এই হট্টগোল হয়।শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে কলেজ শাখা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারী মামুন আল হাসান বলেন, উপস্থিত সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে দাঁড়িয়ে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।এরপর তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আলোচনার শুরুতেই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। একইসাথে স্মরণ করছি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এদেশের সূর্য সন্তান মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, গোলাম আযম সহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দেশপ্রেমিক সকল মানুষদের।একথার পরই প্রতিবাদ জানান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। তারা অনুষ্ঠান বয়কট করলে একপর্যায়ে শুরু হয় হট্টগোল। বেশকিছু সময় শিবির নেতাদের সাথে ছাত্রদল নেতাদের কথা কাটাকাটি ও হট্টগোল হয়। শিবির নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদে মিলনায়তনের ভেতরেই বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।এ বিষয়ে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান এই বক্তব্যর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ছাত্র শিবিরকে তা প্রত্যাহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়েছেন।তিনি বলেন, 'এবার বিজয়ের মাস শুরু হয়েছে পাকিস্তান জিন্দাবাদ শ্লোগান দিয়ে। এটা বাঙালী জাতীর জন্য অত্যান্ত লজ্জার। আগামী দিনে ইসলামী ছাত্র শিবির আবারও এমন বক্তব্য ও শ্লোগান দিলে আমরা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে তাঁদের দাঁতভাঙা জবাব দেবো।'তবে এ প্রসঙ্গে কলেজ শাখা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারী মামুন আল হাসান বলেন বলেন, 'অনুষ্ঠানটি ছিল বুদ্ধিজীবী দিবস নিয়ে। কিন্তু ছাত্রদল নেতা তাঁর বক্তব্যের পুরোটাই জামায়াত শিবির নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বহির্ভূত ও নিজস্ব আদালত তৈরী করে জামায়াতের যে সকল নেতাদের হত্যা করেছে সেসব নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। মৃত মানুষদের নিয়ে বিষোদগার করেছেন। তাঁরা পূর্ব কল্পিতভাবেই অনুষ্ঠানটি পন্ড করার চেষ্টায় ছিলেন। আমরা এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।'এনআই
নওগাঁয় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
নওগাঁয় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ডাক বাংলো মাঠে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দীক নান্নু। প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপি মনোনিত নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের প্রার্থী ফজলে হুদা বাবুল। মহাদেবপুর উপজেলা ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠি এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।এ সময় প্রধান বক্তা বলেন, ‘গত ১৭ বছর যাবত আন্দোলন সংগ্রামের ফলে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুর মুখে এখন খালেদা জিয়া। দেশের এ সংকটময় পরিস্থিতিতে আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার ভিষণ প্রয়োজন। দেশের মানুষ তার পাশে আছে। মানুষের দোয়া আর ভালোবাসায় তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। বিএনপি এবং দেশের হাল ধরবেন।’ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম শহীদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দীক নান্নু। এ সময় আরও বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল আলম গোল্ডনসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন- মহাদেবপুর ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠি সেকেন্দার আলী ও যুগ্ম সদস্যসচিব মতিউর রহমান মতি।প্রধান অতিথি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু বলেন, ‘যারা দীর্ঘদিন রাজপথে ছিলেন সবাই কথা দিয়েছিলাম ধানের শীষ যার আমরা তার। তাহলে কেন বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তারেক রহমান ও খালেদা জিয়াকে ভালবাসলে সবাই ধানের শীষের পক্ষে কাজ করুন। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা করার আহ্বান জানাই।’ অন্যাথায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।ইখা
জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পাবিপ্রবির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ভবনের তৃতীয় তলার ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ও অন্যান্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।এ সময় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম আব্দুল-আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ভাইস প্রেডিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাসানরি হানাওয়া।এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। এ ছাড়াও পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধা শূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেঁছে নিয়েছি কারণ আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি। আমাদের শিক্ষার্থীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করতে চাই। আমরা যোগদানের পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষারমান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। পাবিপ্রবি এবং পাবনাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকস্তরে পরিচিত করতে চাই। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও পাবনাবাসী উপকৃত হবেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় ওই এলাকার পরিবেশ পরিবর্তনে বড় ভূমিকা পালন করে। আমরা পাবনাবাসীকে নতুন সংস্কৃতি (ডাইমেশন) উপহার দিতে চাই।’তিনি আরও বলেন, ‘সমঝোতা চুক্তির কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা জাপানের স্বনামধন্য বিশ্বিবদ্যালয়ে বৃত্তি পাবে। তারা গবেষণা করতে পারবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতা অর্জন করে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করবে। আমরা কেবল সমঝোতা স্মারক করেই শেষ করব না, এটা যাতে কার্যকর হয় সে ব্যবস্থাও করব। এর ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ই একাডেমিকভাবে লাভবান হবে।’অধ্যাপক ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারিত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুইপক্ষই লাভবান হব।’সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ রাসেল আল আহম্মেদসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ইখা
দেশি মাছের অভাব, ভাটা পড়েছে শুঁটকি উৎপাদনে
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া গ্রামটি শুঁটকির গ্রাম হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিতি। এখানকার উৎপাদিত দেশিয় ছোটমাছের শুঁটকি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়াতে এর কদর রয়েছে দেশজুড়ে। শুধু দেশেই নয়, ভারতেও রয়েছে এখানকার শুঁটকির কদর।তবে এখন ভরা মৌসুম হলেও মাছের অভাবে ভাটা পড়েছে শুঁটকি উৎপাদনে। অল্পস্বল্প যে মাছ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে।আত্রাই উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে প্রায় ২৫০ মেট্রিকটন শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বাজার মূল্যে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এখানকার উৎপাদিত শুঁটকির বাজার মূলত দেশের রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও ঢাকায়। রপ্তানি হয় ভারতেও। এ উপজেলায় একসময় ৪০ জন ব্যবসায়ী শুঁটকি উৎপাদনে জড়িত থাকলেও বর্তমানে ১৫-১৮ জন ব্যবসায়ী শুঁটকি উৎপাদন কাজে জড়িত।সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, আত্রাই রেল স্টেশনের দুই পাশ শুঁটকির মাছ শুকানোর চাতাল। নারী-পুরুষরা মাছ কাটা, ধোয়া, লবণ লাগিয়ে চাতালে শুকাতে দিচ্ছেন। সকালে রোদে দেওয়া ভেজা মাছগুলোও কেউ কেউ এপিঠ-ওপিঠ উল্টে রাখছেন। মাছের অভাবে অনেক চাতাল ফাঁকাও পড়ে থাকতে দেখা যায়।স্থানীয় শুঁটকি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আত্রাই উপজেলা একটি বিল অধ্যুষিত এলাকা। উপজেলার মধ্যদিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। পাশাপাশি ছোট যমুনা নদী ও আরও রয়েছে শতাধিক খাল-বিল। এসব নদী ও খাল-বিলের পানি কমতে শুরু করলে বাজারে উঠতে শুরু করে দেশীয় প্রজাতির টেংরা, পুঁটি, খলসে, টাকি, শোল, চাঁদাসহ নানা জাতের মাছ। কিন্তু চায়না দুয়ারি, সুতি, কারেন্ট ও ভাদাই জালের অবাধ ব্যবহারে পানি কমলে এবছর দেখা নেই মাছের। মাছের অভাবে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বন্ধ ছিলো অধিকাংশ চাতাল। এতে চাহিদা অনুযায়ী শুঁটকি উৎপাদন করতে পারছেন না। এছাড়াও শুঁটকি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকেরা কর্মহীন হয়ে পড়ছে।শুঁটকি ব্যবসায়ী ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের রামপদ শীল বলেন, ‘এ বছরের মাছের খুব অভাব। বাজারে যেটুকু মাছ পাওয়া যাচ্ছে তাও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। মানভেদে প্রতি কেজি ১০০-২২০ কেজিতে মাছ কিনতে হচ্ছে। প্রতিদিন ২০-২৫ মণ মাছের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাজার ও মৎস্য আড়ত ঘুরে ৭-১০ মণের বেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী শুঁটকি উৎপাদন করতে পারছি না।’ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান ও সবদুল প্রামানিক বলেন, ‘কয়েকবছর আগেও এই সময় শুঁটকি পল্লী মুখোর থাকতো। কিন্তু এখন বর্ষার শুরুতেই সুতি, দুয়ারি ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরায় বাজারে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। মাছ পাওয়া গেলে এতদিন দুই-আড়াই মাস ব্যাবসা করা যেত। মাছের অভাবে অনেক চাতাল বন্ধ আছে। এ অবস্থায় চাতালের কাজে জড়িত নারী-পুরুষ শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়ছেন।’নারী শ্রমিক আনজুমান বেগম বলেন, ‘মাছের অভাবে কাজ কমে গেছে। এই শুঁটকি মাছের চাতালে কাজ করে যে টাকা পায়, তা দিয়েই সংসার চলে। কাজ না পেয়ে অনেেেক বসে থাকে।আত্রাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘শুঁটকির সঙ্গে জড়িতদের নিরাপদ ও মানসম্মতভাবে শুঁটকি তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অসাধু উপায়ে মাছ শিকার বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’এসআর
হবিগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের কেউ যেনদেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সেজন্য হবিগঞ্জ সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী চেকপোস্ট স্থাপন করে বিশেষ টহল পরিচালিত হচ্ছে।৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: তানজিলুর রহমান জানান, ওই ঘটনার পর থেকে ৫৫ বিজিবি অধীনস্থ ১৬টি বিওপি সমূহ হতে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত বিশেষ টহল পরিচালনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সম্ভাব্য পলায়ন ও অবৈধ পারাপারের স্থানগুলো চিহ্নিত করে সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।তিনি জানান, ৫৫ বিজিবি হবিগঞ্জ জেলার প্রায় ১০৩ কিলোমিটার সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করছে। সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের পাশ্ববর্তী দেশে পলায়ন ও সব ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। যেকোনো সন্দেহজনক তথ্য সম্পর্কে এলাকাবাসীকে নিকটস্থ বিজিবি বিওপিকে অবহিত করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।ইখা
দুই দিন যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত, সংরক্ষণ, বিদ্যুৎ লাইন উন্নয়ন এবং গাছপালার শাখা-প্রশাখা কাটার জন্য সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আগামী ২ দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ও রোববার (১৪ ডিসেম্বর) নির্ধারিত সময়ের জন্য এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিলেট পিডিবির বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এবং বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলীরা পৃথক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত—১১ কেভি শিবগঞ্জ ফিডার ও ১১ কেভি উপশহর ফিডারের আওতাধীন ও আশপাশের এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।এই এলাকাগুলো হলো—শিবগঞ্জ, টিলাগড়, সবুজবাগ, বোরহানবাগ, হাতিমবাগ, লামাপাড়া, রাজপাড়া।বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৩৩/১১ কেভি লাক্কাতুড়া উপকেন্দ্রের আওতাধীন ১১ কেভি ফিডারের ও আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এই এলাকাগুলো হলো—কাকুয়ারপাড়, এয়ারপোর্ট থানা, বাইশটিলা, ওসমানী বিমানবন্দর এক্সপ্রেস, ধোপাগুল, বনশ্রী, বাদামবাগিচা, পাহাড়িকা, বড়বাজার, লাক্কাতুড়া স্টেডিয়াম, লাক্কাতুড়া বাজার, মুসলিমপাড়া, মালনীছড়া, রূপসা আবাসিক, আবদানি, ফরিদাবাদ, সিলভার সিটি, কেওয়াছড়া, হিলুয়াছড়া চা বাগান, মহালদিক, উমদারপাড়া, লিলাপাড়া, দাপনাটিলা, কালাগুল, লালবাগ, পীরেরগাঁও, ছালিয়া, রঙ্গিটিলা, সালুটিকরঘাট।লাক্কাতুড়া উপকেন্দ্রের বড় বাজার, বনশ্রী ও বাদামবাগিচা ফিডারের আওতাধীন এলাকাগুলো হলো—বনশ্রী, বাদামবাগিচা, ইলাশকান্দি, উদয়ন, চৌকিদেখী, আনার মিয়ার গলি, বাঁশবাড়ি গলি, সিলসিলা গলি, রূপসা গলি, মোল্লাপাড়া গলি, মালনীছড়া, মুসলিমপাড়া, লাক্কাতুড়া বাজার।পিডিবি জানায়, কাজ শেষ হলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করেছে কর্তৃপক্ষ।এমআর-২
সিলেটে মধ্যরাতে ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার ভূমিকম্প
সিলেটে মধ্যরাতে মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে প্রথমবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এরপর ২টা ২৫ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিলেট।ভারতের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ভূকম্পনটির মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫ এবং গভীরতা ছিল ২০ কিলোমিটার। পরেরটির মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। এর গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার।এদিকে রাত ৩টা ৩৮ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। এর গভীরতা ছিল ১৫ কিলোমিটার।এছাড়া রাত ২টা ৫৪ মিনিট ৩ সেকেন্ডে মিয়ানমারে ৩ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার খবর জানায় ভারতের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের উত্তর মান্দালয় থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে।এরআগে, রাজধানীতে গত ৪ ডিসেম্বর ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্র ছিল ৪ দশমিক ১। এই ভূমিকম্পের গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার এবং এর উৎপত্তি টঙ্গী থেকে ৩৩ কিলোমিটার উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এবং নরসিংদীর ৩ কিলোমিটার উত্তরে।এরআগে, সোমবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৫৭ মিনিটে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কক্সবাজার শহর, উখিয়া, চকরিয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ভূমিকম্প অনুভব করেন। ওই দিনের ভূমিকম্পের আঘাতে কোনো ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে, কম্পনের স্থায়িত্ব ছিল কয়েক সেকেন্ড। ভূমিকম্পের মাত্র ছিল ৪ দশমিক ৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার।এরআগে, শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। নরসিংদীর মাধবদীতে উৎপত্তি হওয়া এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। এতে উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন, ঢাকায় চার ও নারায়ণগঞ্জে এক শিশুসহ তিন জেলায় মোট ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন কয়েক শত মানুষ।এবি
রাস্তা নিয়ে গ্রামবাসীর দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০
সিলেটের বিশ্বনাথে রাস্তা নিয়ে গ্রামবাসীর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণ, বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগও পাওয়া গেছে।খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।সোমবার সকালে দশঘর ইউনিয়নের বল্লব গ্রামের রাস্তা নিয়ে লন্ডন প্রবাসী সাইদ আলী (৭০) ও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গ্রামবাসীর পক্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২৩ জন।আহতরা হলেন- ছনফর আলী (৩৫), আলালা (৩০), কামাল (২৭), নজির (৪৫), আব্দুল হান্নান (৬৫), ফারুক (৪০), হুসিয়ার (৫৫), হুমায়ুন (২২), মাজহারুল (২০), জুবেক (২০), শরিফ (১৮), দিলাল (৩৭), রাহি (২০), রবিউল (৩০), সাহেব আলী (২৫), জুনুর (২৫), মুহিনুর (২৭), ফারুক (১৮), কবির (৩৫), সোয়া আলম (৩৫), মাজহারুল (১৮), নোমান (১৮) ও আছকর (৩৫)।তবে লন্ডন প্রবাসী সাইদ আলী তার পক্ষের আহতদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।গ্রামবাসীর পক্ষে আহত দিলাল মিয়াসহ কয়েকজন জানান, প্রায় ৩০-৩৫ বছরের পুরাতন জনবহুল একটি রাস্তার কিছু অংশ সম্প্রতি প্রবাসীদের উদ্যোগে আরসিসি ঢালাই করা হয়। আর এই ঢালাই করা রাস্তা ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে ভাঙার কাজ শুরু করেন লন্ডন প্রবাসী সাইদ আলী। এ সময় গ্রামবাসী বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের লোকজন কয়েকটি ককটেলও বিস্ফোরণ ঘটান।এদিকে স্থানীয় নুর আলী মেম্বার জানান, সকালে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লন্ডন প্রবাসী সাইদ আলী ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে রাস্তা ভাঙার কাজ শুরু করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।জানতে চাইলে লন্ডন প্রবাসী সাইদ আলী বলেন, তার ভূমির উপর দিয়ে রাস্তা নেওয়া হয়েছে; কিন্তু তাকে না জানিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন রাস্তা পাকা করেছেন। তাই তিনি ওই পাকা অংশ ভাঙতে গেলে গ্রামের লোকজন হামলা চালিয়ে তার কয়েকজন লোককে আহত করেছে। এছাড়াও তার বাড়িতে হামলা করে ঘর ভাঙচুর, একটি হালচাষের ট্রাকটর ও একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। লুটপাট করে নেওয়া হয়েছে গরু-ছাগলও।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এনআই
হবিগঞ্জে ট্রাক চাপায় স্কুলশিক্ষক নিহত
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় ট্রাক চাপায় রূপজিত কর রাজু (৩৬) নামে স্কুল শিক্ষক মারা গেছেন। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের নতুনবাজার এলাকার বেন্দারপুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত রাজু উপজেলার মিরপুর সানশাইন মডেল হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক এবং বানিয়াগাঁও গ্রামের নিপেশ করের ছেলে। এ ঘটনায় সানশাইন মডেল হাই স্কুলের সকল পরীক্ষা স্থগিত করে শোক পালনে একদিনের বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার সকালে চাকরিজীবী স্ত্রীকে কুলাউড়ার উদ্দেশ্যে মিরপুর বাজার থেকে বাসে তুলে দেওয়ার পর রাজু কর বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর এলাকার আরও দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর–শ্রীমঙ্গল আঞ্চলিক মহাসড়ক ধরে নতুনবাজার এলাকায় হাঁটতে যান। সকাল ৭টার দিকে বেন্দারপুল এলাকায় পৌঁছালে শ্রীমঙ্গলগামী একটি সবজি বোঝাই ট্রাক তাদের চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।দুর্ঘটনায় রূপজিত কর রাজু ও ফুরঞ্জন দেব গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক রূপজিতকে মৃত ঘোষণা করেন। ফুরঞ্জন দেবকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ইখা
অনলাইন ভোট
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করা হবে। আপনি কি এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?
আন্তর্জাতিক
সব দেখুন
কলম্বিয়ায় স্কুলবাস খাদে পড়ে নিহত ১৭
কলম্বিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি স্কুলবাস খাদে পড়ে অন্তত ১৭ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন। বাসটিতে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কসহ মোট ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন।রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে আনতিওকিয়া বিভাগের গভর্নর আন্দ্রেস জুলিয়ান এই দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করেন। বাসটি ক্যারিবীয় উপকূলীয় শহর টোলু থেকে মেডেলিনের দিকে যাচ্ছিল এবং এতে লিসেও আনতিওকেনো হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ছিলেন।তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা সমুদ্রসৈকতে তাদের গ্র্যাজুয়েশন উদযাপন শেষে ফিরছিলেন। ডিসেম্বরের এমন সময়ে এই দুর্ঘটনা পুরো সম্প্রদায়ের জন্যই “অত্যন্ত বেদনাদায়ক” বলে তিনি মন্তব্য করেন।স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এল কলোম্বিয়ানো জানায়, ভোর আনুমানিক ৫টা ৪০ মিনিটে রেমেদিওস ও সারাগোসা সংযোগকারী সড়কের এল চিসপেরো এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বাসটি প্রায় ৮০ মিটার গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার কারণ এখনও তদন্তাধীন।স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভ্রমণটি স্কুলের আনুষ্ঠানিক কোনো কার্যক্রম ছিল না; এটি শিক্ষার্থীরাই নিজেরা আয়োজন করেছিলেন। নিহতদের মধ্যে বাসচালক জনাতান তাবোর্দা কোকাকোলোও রয়েছেন, যিনি পর্যটন পরিবহন সংস্থা প্রিকালচারের হয়ে কাজ করতেন। আনতিওকিয়া পর্যটন নেটওয়ার্ক তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার সময় তিনি ক্যারিবীয় উপকূল থেকে মেডেলিনে ফিরছিলেন।সেগোভিয়ার মেয়র এডউইন কাস্তানেদা জানান, আহতদের বয়স ১৬ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে। তাদের সেগোভিয়া ও রেমেদিওসের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রেমেদিওসের সান ভিসেন্তে দে পল হাসপাতালে ১৬ জন আহতকে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১২ জন কিশোর।দুর্ঘটনার পর লিসেও আনতিওকেনো হাই স্কুল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে জানায়, “আমাদের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ২০২৫ সালের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা যারা এই ভ্রমণে অংশ নিয়েছিল, এই গভীর শোকের মুহূর্তে আমরা তাদের এবং আমাদের পুরো সম্প্রদায়ের পাশে আছি।” শোকের প্রতীক হিসেবে স্কুলটি তাদের প্রোফাইল ছবিতে কালো ফিতা যুক্ত করেছে।এদিকে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা সংস্থা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রেমেদিওস পৌরসভার আওতাধীন সেগোভিয়া-আনতিওকিয়া মহাসড়কে ঘটে যাওয়া এই সড়ক দুর্ঘটনায় তারা গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। সংস্থাটি জানায়, দুর্ঘটনার কারণ ও নিহত-আহতের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত চালাচ্ছে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরিবহন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা সংস্থা সবাইকে সচেতন ও দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানাচ্ছে। ট্রাফিক আইন মেনে চলা এবং ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ এড়ানোর মাধ্যমে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব, যা কলম্বিয়ার অসংখ্য পরিবারকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।ইখা
বাংলাদেশি শান্তিকর্মীদের ওপর হামলা, সুদানকে সতর্কবার্তা জাতিসংঘের
সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হওয়ার ঘটানার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেই সঙ্গে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, এ ধরনের তৎপরতা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।গতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, “সুদানের কাদুগ্লিতে জাতিসংঘের ঘাঁটিতে ভয়াবহ ড্রোন হামলার জেরে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর এ ধরনের হামলা পুরোপুরি অন্যায্য এবং এ ধরনের ঘটনা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করা হতে পারে।“আমি সবাইকে জাতিসংঘের কর্মী এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য তাদের বাধ্যবাধকতা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। জবাবদিহিতা থাকা দরকার।”এক্সবার্তায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের প্রতিও সহানুভূতি জানিয়েছেন গুতেরেস।এবি
এবার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হাঙ্গেরি
একের পর এক শিশু নির্যাতন কেলেঙ্কারির ঘটনায় কার্যকর কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন দেশটির হাজার হাজার মানুষ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানী বুদাপেস্টে অরবানের পদত্যাগের দাবিতে ওই বিক্ষোভ করেছেন তারা।২০১০ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর হাঙ্গেরিতে শিশুদের সুরক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অরবান। তবে গত কয়েক বছরে দেশটিতে একাধিক শিশু নির্যাতন কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হয়েছে। কেলেঙ্কারির এসব ঘটনায় ভিক্টর অবরবান নেতৃত্বাধীন দেশটির সরকারের ভিত কেঁপে উঠছে।ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার হাঙ্গেরিতে অনুষ্ঠিত সরকারবিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির বিরোধী দল টিসজার নেতা পিটার মাগিয়ার। গত সেপ্টেম্বরে রাজধানী বুদাপেস্টের একটি সংশোধনাগারে কিশোর নির্যাতনের নতুন অভিযোগ সামনে আসার পর ওই কর্মসূচি পালন করে দলটি।সংশোধনাগারের নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সজোলো স্ট্রিট কিশোর সংশোধনাগারের পরিচালক এক কিশোরের মাথায় লাথি মারছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ওই সংশোধনাগারের চার কর্মীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দেশটির সরকার এ ধরনের সব শিশু প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি পুলিশের তত্ত্বাবধানে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।শনিবার দেশটির রাজধানী বুদাপেস্টের কুয়াশচ্ছন্ন রাস্তায় ‘শিশুদের সুরক্ষা দাও!’ লেখা ব্যানার নিয়ে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন। এ সময় অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা। কয়েক বছর আগের এক শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতি সংহতি জানাতে কেউ কেউ নরম খেলনা ও মশালও বহন করেন।শুক্রবার দেশটির সংবাদমাধ্যম মাগিয়ার ২০২১ সালের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্র পরিচালিত সেবাকেন্দ্রগুলোতে থাকা শিশুদের এক পঞ্চমাংশেরও বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছিল।শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৭৩ বছর বয়সী পেনশনভোগী জুজসা সালাই এএফপিকে বলেন, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সঙ্গে যা করা হচ্ছে, তা নিয়ে আমরা ক্ষুব্ধ। যদিও অরবানের সরকার বলেছে, সন্দেহজনক শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।আগামী এপ্রিলে হাঙ্গেরিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত ১৫ বছরের শাসনকালে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম ম্যান্ডিনারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অরবান বলেছেন, শিশু নির্যাতনের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এই ধরনের ঘটনাকে অগ্রহণযোগ্য ও অপরাধমূলক বলে অভিহিত করেছেন তিনি। তিনি বলেন, এমনকি কিশোর অপরাধীদের সঙ্গেও এভাবে আচরণ করা উচিত নয়।শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া দেশটির নাগরিকরা বলেছেন, অরবানের প্রতিক্রিয়া যথেষ্ট নয়। ১৬ বছর বয়সী ডেভিড কোজাক এএফপিকে বলেন, সাধারণত এ ধরনের ঘটনার পর কোনও সরকারই টিকে থাকতে পারে না।গত বছর জনগণের প্রচণ্ড চাপের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট কাটালিন নোভাক। রাষ্ট্র পরিচালিত শিশুদের একটি বিদ্যালয়ের এক উপপরিচালককে ক্ষমা করে দেওয়ার ঘটনায় প্রবল চাপের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের পরিচালকের করা যৌন নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।কোজাক বলেন, নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, এটি সরকারের কাছে সমস্যা নয়। সমস্যা হলো বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।সূত্র: এএফপি।এমআর-২
পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতির অনুমোদন দিল ইসরায়েল
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণে আরেকটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। পশ্চিম তীরজুড়ে ১৯টি বসতি স্থাপনকারীদের আউটপোস্টকে বৈধতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা।এই সিদ্ধান্তের আওতায় ১৯টি আউটপোস্টকে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈধ ঘোষণা ও নতুনভাবে প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটি আউটপোস্ট রয়েছে যেগুলো ২০০৫ সালের গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে ইসরায়েলের তথাকথিত ‘ডিসএনগেজমেন্ট পরিকল্পনা’র সময় সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ জানান, ইসরায়েলের সব ধরনের বসতি কার্যক্রম অবৈধ এবং এটি আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক বৈধতা সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলোর সরাসরি লঙ্ঘন।উল্লেখ্য, এসব আউটপোস্ট শুধু আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ীই নয় বরং ইসরায়েলের নিজস্ব আইন অনুসারেও অবৈধ। সাধারণত ভবিষ্যতে সরকারিভাবে অনুমোদন পাওয়ার লক্ষ্যেই বসতি স্থাপনকারীরা এসব আউটপোস্ট গড়ে তোলে। নতুন করে বৈধতা পাওয়া অনেক আউটপোস্টই পশ্চিম তীরের ভেতরের এলাকায় অবস্থিত যা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে আরও বিচ্ছিন্ন করে তুলছে।ফিলিস্তিনের ‘কলোনাইজেশন অ্যান্ড ওয়াল রেজিস্ট্যান্স কমিশন’-এর প্রধান মুয়ায়্যাদ শাবান এই সিদ্ধান্তকে একটি বিপজ্জনক উত্তেজনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দেয় যে দখলদার সরকার ফিলিস্তিনি ভূমিতে সংযুক্তীকরণ, বর্ণবাদ এবং পূর্ণমাত্রার ইহুদিকরণ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়।এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ইসরায়েল ২২টি নতুন বসতি স্থাপনের ঘোষণা দেয়। বসতি পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন পিস নাউ জানায়, এটি গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বসতি সম্প্রসারণের ঘোষণা। এছাড়া বুধবার (১০ ডিসেম্বর) পশ্চিম তীরের তিনটি পৃথক বসতিতে প্রায় ৮০০টি নতুন আবাসন ইউনিট নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়।পিস নাউ জানায়, এসব সিদ্ধান্ত একটি সুপরিকল্পিত ধারা অনুসরণ করছে যার উদ্দেশ্য বসতিগুলোতে পরিকল্পনা প্রক্রিয়াকে ‘স্বাভাবিক’ করে তোলা এবং আন্তর্জাতিক মহলের নজর ও সমালোচনা কমিয়ে আনা।সূত্র : সিএনএনএমআর-২
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় হামাসের সিনিয়র কমান্ডার রায়েদ সাদের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি। জানা যায়, গেল অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর এটি হামাসের সিনিয়র কোনো নেতার প্রাণহানির প্রথম ঘটনা।রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী শনিবার জানিয়েছে, গাজা শহরের কাছে এক হামলায় রায়েদ সাদ নিহত হয়েছেন। গাজায় সবশেষ ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। রোববার এক ভিডিও বিবৃতিতে বলা হয়, সাদের হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে হামাসের গাজাপ্রধান খলিল আল-হায়্যা ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন, যা গত অক্টোবরে কার্যকর হয়েছিল। গতকাল (শনিবার) হামাস কমান্ডারের সবশেষ হত্যাকাণ্ডসহ ইসরাইলের অব্যাহত লঙ্ঘনের (যুদ্ধবিরতি) পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মধ্যস্থতাকারীদের, বিশেষ করে মার্কিন প্রশাসন এবং চুক্তির প্রধান গ্যারান্টার হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি দখলদারদের (ইসরাইল) যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সম্মান করতে এবং এটি বাস্তবায়নে বাধ্য করতে আহ্বান জানাচ্ছি। অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এসব হামলায় কমপক্ষে ৩৮৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। সূত্র: আল জাজিরাএমআর-২
অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্র সৈকতে ভয়াবহ বন্দুক হামলা, নিহত ১০
অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।দেশটির জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি জানায়, নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ সেখানে সক্রিয় বন্দুকধারীর খবর পেয়ে অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় এরই মধ্যে দুই সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে ও অভিযান চলমান।এদিকে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানায়, বন্ডাই এলাকায় একাধিক গুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে প্রাথমিকভাবে কতজন আহত হয়েছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। পত্রিকাটি আরও জানায়, স্থানীয় বাসিন্দারা ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় একের পর এক পুলিশ গাড়ি প্রবেশ করতে দেখেছেন ও আশপাশে কিছু মানুষকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।অস্ট্রেলিয়ার আরেক সংবাদমাধ্যম ৭নিউজ বলেছে, স্থানীয়রা গুলির শব্দ শুনে সমুদ্রসৈকত থেকে শত শত মানুষকে প্রাণভয়ে দৌড়ে পালাতে দেখেছেন।তাৎক্ষণিকভাবে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ পরে নিশ্চিত করেছে, এই ঘটনায় একাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে ঠিক কতজন মারা গেছেন, সে বিষয়ে এখনো সংখ্যা জানানো হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, দুই হামলাকারীকে ‘নিরস্ত্র’ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুরো এলাকা তল্লাশি করে সম্ভাব্য ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইএডি) খুঁজে দেখা হচ্ছে।পুলিশ আরও জানায়, ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তবে তাদের আঘাতের মাত্রা এখনো স্পষ্ট নয়। এই হামলার সঙ্গে বন্ডাই বিচে চলমান কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সম্পর্ক আছে কি না, সে বিষয়েও এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।ঘটনার সময় বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হনুক্কার প্রথম দিনের অনুষ্ঠান চলছিল বলে জানা গেছে। ‘চানুকা বাই দ্য সি ২০২৫’ নামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের একটি ডিজিটাল ফ্লায়ারে দেখা যায়, এটি রোববার বিকেল ৫টা থেকে সমুদ্রসৈকতের শিশুদের খেলার মাঠের কাছে আয়োজন করার কথা ছিল।এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পাশের ব্রন্টে বিচে অবস্থানকালে তিনি একটানা প্রায় ২০টি গুলির শব্দ শুনতে পান। শুরুতে কেউ তেমন গুরুত্ব না দিলেও পরে টামারামা ও বন্ডাই বিচের আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখে সন্দেহ তৈরি হয়। এরপরই মোবাইল ফোনে একের পর এক বন্ডাইয়ে গুলির খবর আসতে শুরু করে।এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। তিনি বন্ডাইয়ের পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ ও মর্মান্তিক’ বলে বর্ণনা করেছেন। এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের কমিশনার ও নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছেন।আলবানিজ বলেন, আমরা নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেলে আরও আপডেট দেওয়া হবে। তিনি আরও যোগ করেন, পুলিশ ও জরুরি সেবাকর্মীরা ঘটনাস্থলে জীবন রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন।সূত্র: বিবিসিএমআর-২
কম্বোডিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষ, থাইল্যান্ডে কারফিউ ঘোষণা
কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্তে তীব্র সংঘাতের পর নিজেদের সীমান্তবর্তী ত্রাত প্রদেশে কারফিউ জারি করেছে থাইল্যান্ড। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় যুদ্ধবিমান, কামান ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে তারা।গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া পুনরায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে রাজি হয়েছে। তার এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই সীমান্তে গোলাগুলি, হামলা ও পাল্টা হামলা শুরু হয়।গত মে মাসে এক কম্বোডিয়ার সেনা থাই সেনাদের হামলায় নিহত হন। এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। এরমধ্যে চলতি মাসে কম্বোডিয়ায় বিমান হামলা চালায় থাইল্যান্ড। এই সংঘর্ষের জেরে দুই দেশের হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যত হয়ে পড়েন।থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল সুরশান্ত কোংসিরি এক সংবাদ সম্মেলনে কারফিউ জারির ঘোষণা দেন। তিনি জানান, থাইল্যান্ড সংলাপে বসতে রাজি। তবে এরআগে কম্বোডিয়াকে হামলা চালানো বন্ধ করতে হবে।থাইল্যান্ড প্রদেশটির মোট পাঁচটি অঞ্চলে কারফিউ জারি করেছে। এটি কম্বোডিয়ার কোহ কোং প্রদেশের পাশে অবস্থিত। তবে কারফিউর আওতায় পর্যটন দ্বীপ কোহ চাং এবং কোহ কোদ থাকবে না। এরআগে দেশটির সেনাবাহিনী পূর্বাঞ্চলের সাকেও প্রদেশে কারফিউ জারি করেছিল। যা এখনো বহাল আছে।এরআগে থাইল্যান্ডের সঙ্গে থাকা সব ধরনের সীমান্ত ক্রসিং বন্ধের ঘোষণা দেয় কম্বোডিয়া। এ দুই দেশের মধ্যে রয়েছে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত। ঔপনেবিশ আমলে ভাগ করা এ সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সীমান্তবর্তী কিছু অঞ্চল নিজেদের বলে দাবি করে তারা।সূত্র: রয়টার্সএমআর-২
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর হামলা, নিহত ২
যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালে বন্দুকধারীর হামলায় ২ জন নিহত হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। খবর আলজাজিরার।সন্দেহভাজন হামলকারী কালো কাপড় পরা ছিলেন এবং পায়ে হেঁটে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। সেখানে কোনো ধরনের অস্ত্র পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন রোড আইল্যান্ডের মেয়র ব্রেট স্মাইলি।তিনি বলেন, শনিবার বিকাল ৪টা ৫ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হামলার ব্যাপারে জানতে পারে। তখন জরুরি নম্বর ৯১১ থেকে ফোন আসে। আমি নিশ্চিত করতে পারছি দুজন মারা গেছেন এবং আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন। হতাহতের এ সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেননি মেয়র স্মাইলি। তিনি বলেছেন, ঘটনা এখনো তদন্তনাধীন।বিকাল ৪টা ২২ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি জরুরি বার্তা জারি করে। তারা জানায় বারুস এবং হোলে ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে সক্রিয় বন্দুকধারী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দরজা বন্ধ, ফোন সাইলেন্ট এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকতে বলা হয়।তবে পুলিশ ওই ভবনে গিয়ে কোনো বন্দুকধারীকে পায়নি। হামলাকারী সেখানে কিভাবে প্রবেশ করেছে আবার বেরিয়ে গেছে তারা সেটি এখনো নিরুপণ করতে পারেনি।হামলার কিছুক্ষণ পর অনলাইনে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। ফলে এ নিয়ে দুই রকমের খবর পাওয়া যায়।এছাড়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রথমে বন্দুকধারীকে আটকের তথ্য জানালেও; পরবর্তীতে সেখান থেকে সরে আসেন।এমআর-২
সিরিয়ায় ২ মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনায় কঠোর প্রতিশোধের হুমকি ট্রাম্পের
সিরিয়ার পালমায়রাতে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএসের হামলায় মার্কিন ২ সেনা ও এক দোভাষী নিহত হয়েছেন। তিন মার্কিনি নিহত হওয়ার ঘটনায় আইএসআইএসের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) আইএসআইএসের এক সদস্য অতর্কিতভাবে হামলা চালান। এই সেনারা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে যৌথ টহল দিচ্ছিলেন।ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “সিরিয়ায় তিন অসাধারণ দেশপ্রেমিকের মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি। নিহতদের মধ্যে দুজন সেনা এবং বেসামরিক দোভাষী আছেন। আমরা আহত তিনজনের জন্যও প্রার্থনা করছি। নিশ্চিত হওয়া গেছে তারা চিকিৎসায় বেশ ভালো উন্নতি করছেন। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার ওপর আইএসআইএসের হামলা। এই হামলা হয়েছে সিরিয়ার খুবই বিপজ্জনক জায়গায়। যেখানে সিরিয়ার সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সারা হামলার ঘটনায় খুবই ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত হয়েছেন। এ ঘটনায় কঠোর প্রতিশোধ নেওয়া হবে।”গত বছর স্বৈরশাসক বাসার আল-আসাদকে হটিয়ে সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেয় আহমেদ আল-সারার ইসলামপন্থি দল। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিরিয়ার সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। গত মাসে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করেন সারা।বাসার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এটিই দেশটিতে মার্কিন সেনাদের ওপর চালানো প্রথম কোনো হামলা।সিরিয়ার এক সেনা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হামলার সময় সিরীয় ও মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা আলোচনা করছিলেন। পালমায়রার একটি সামরিক ঘাঁটিতে এ ঘটনা ঘটে।তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, যেখানে হামলা হয়েছে সেখান সিরিয়ার বর্তমান সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।সূত্র: আল-আরাবিয়াএমআর-২
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে চান তিনি। একই সঙ্গে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা খুব বেশি দূরে নয় বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার তুর্কমেনিস্তানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন এরদোয়ান।তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চলমান ‘ব্যাপক শান্তি উদ্যোগ’ পর্যালোচনা করেছেন দুই নেতা। এ সময় ইউক্রেন শান্তি প্রচেষ্টায় তুরস্কের সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এরদোয়ান।তুর্কমেনিস্তান সফর শেষে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এরদোয়ান বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গেও ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে চাই। শান্তি খুব দূরে নয়—আমরা তা দেখতে পাচ্ছি।’বৈঠকে এরদোয়ান রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে প্রস্তাব দেন, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জ্বালানি স্থাপনা ও বন্দরকে কেন্দ্র করে সীমিত আকারের যুদ্ধবিরতি সব পক্ষের জন্যই উপকারী হতে পারে।শনিবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের আরেক বিবৃতিতে এরদোয়ান বলেন, কৃষ্ণসাগরকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করা উচিত নয়। তাঁর মতে, এতে রাশিয়া ও ইউক্রেন—উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি কৃষ্ণসাগরে নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।এর মধ্যেই ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা ও একটি জাহাজ মালিক জানিয়েছেন, শুক্রবার ইউক্রেনের দুটি বন্দরে রাশিয়ার হামলায় খাদ্যপণ্য বহনকারী একটি জাহাজসহ তুরস্কের মালিকানাধীন তিনটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েক দিন আগে মস্কো ইউক্রেনকে সমুদ্রপথে বিচ্ছিন্ন করার হুমকিও দিয়েছিল।আরডি
বিনোদন
সব দেখুন
চার সন্তানের বাবা হয়েও প্রেমিকার সঙ্গে বাগদান সারলেন অর্জুন
দুই সংসার, চার সন্তান তবু প্রেম থেমে নেই। বলিউড অভিনেতা অর্জুন রামপাল আবারও শিরোনামে, তবে এবার নতুন কোনও সিনেমা নয়, ব্যক্তিগত জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য। দীর্ঘদিনের সঙ্গী, মডেল ও ফ্যাশন ডিজাইনার গ্যাব্রিয়েলা ডিমিট্রিয়েডসের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন তিনি।সম্প্রতি অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর একটি পডকাস্টে একসঙ্গে অতিথি হয়ে আসেন অর্জুন ও গ্যাব্রিয়েলা। সেখানেই ছয় বছরের সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে গিয়ে নিজেদের বাগদানের খবরটি নিশ্চিত করেন এই তারকা জুটি। যদিও এখনই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন না তারা, তবে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতেই এই বাগদান বলে জানান অর্জুন।অভিনেতার কথায়, তারা দীর্ঘদিন ধরেই লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন এবং ইতিমধ্যে তাদের সংসারে এসেছে দুই সন্তান। অর্জুন জানান, সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি স্বচ্ছতা ও একনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী। পডকাস্টে সম্পর্ক ও যৌনতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, একজন সঙ্গীর সঙ্গে গভীর মানসিক ও শারীরিক সংযোগই একটি সম্পর্ককে শক্ত করে তোলে।অর্জুন রামপালের ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রে। ১৯৯৮ সালে মডেল মেহের জেসিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। সেই সংসারে জন্ম নেয় দুই কন্যা মাহিকা ও মায়রা। তবে ২০১৯ সালে তাদের দাম্পত্যে ইতি টানে বিচ্ছেদ। একই বছর থেকেই গ্যাব্রিয়েলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অর্জুন।গ্যাব্রিয়েলা অর্জুনের চেয়ে প্রায় ১৫ বছরের ছোট হলেও বয়সের ব্যবধান তাদের সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলেনি বলেই জানান অভিনেতা। বরং দুজনের চিন্তাভাবনা ও ব্যক্তিত্বের মিলই এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে বলে মনে করেন তিনি। একসময় বন্ধুমহল থেকে এই সম্পর্ক নিয়ে আপত্তির কথাও শুনতে হয়েছিল অর্জুনকে, কিন্তু সব সমালোচনার ঊর্ধ্বে উঠে নিজের সিদ্ধান্তেই অটল ছিলেন তিনি।বর্তমানে গ্যাব্রিয়েলার সঙ্গে অর্জুনের দুই সন্তান আরিক ও আরিভ। সব মিলিয়ে চার সন্তানের বাবা অর্জুন রামপাল। নতুন করে বাগদানের মাধ্যমে নিজের জীবনের আরেকটি অধ্যায় শুরু করলেন এই বলিউড তারকা যেখানে প্রেম, দায়িত্ব আর পারিবারিক বন্ধনের এক ভিন্ন গল্প উঠে এলো।এবি
ফেসবুকে রিচ বাড়াতে ভুয়া ‘বিয়ে’র পোস্ট দিলেন অভিনেতা
অভিনেতা শরীফুল ইসলামকে হঠাৎ দেখা গেল বিয়ের সাজে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিয়ের ছবি প্রকাশ করেছেন, সেখানে তার সঙ্গে কনে সাজে দেখা গেছে এক তরুণীকে। সেই পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’ মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়।সেই পোস্টে অনুরাগী থেকে শুরু করে সহকর্মীরা শুভকামনা জানিয়ে মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন, কবে বিয়ে করেছেন, এমনকি কনে সম্পর্কেও জানতে চাচ্ছেন।এমতাবস্থায় অভিনেতা শরীফুল জানান, তিনি বিয়ে করেননি। তার ফেসবুকের রিচ কমে গেছে। রিচ বাড়াতেই এমনটা করেছেন।তিনি বলেন, ‘আমি আসলে বিয়ে করিনি। কিন্তু বিয়ের সাজে ছবি দিয়েছি। চেয়েছি সবাই একটু কৌতূহলী হোক। আমাকে নিয়ে আগ্রহ দেখাক, সে জন্য একটু সাসপেন্স তৈরি করছি।’ এরপর অভিনেতা শরীফুল বলেন, ‘কদিন ধরেই ফেসবুক পেজের রিচ ডাউন। এহন তো সবাই নানান রকম কিছু করে ফেসবুকে রিচ বাড়ানোর জন্য। ফেসবুকে রিচ কমে গেছে। তাই ছবিটি পোস্ট করেছি, এখন সবাই মন্তব্য করতাছে। আমিও সবাইকে বলছি এটা শুটিংয়ের ছবি।’অভিনেতার পোস্ট করা সেই ছবিটি মূলত ‘সুদখোরের সুন্দরী বউ’ নাটকের। নাটকের সহশিল্পী নুসরাত সুলতানা। এটি শরীফুলের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হবে বলে জানা গেছে।এমআর-২
আমির-কারিনাকে নিয়ে আবার শুটিং ফ্লোরে ‘থ্রি ইডিয়টস’
রাজকুমার হিরানি পরিচালিত বলিউড ব্লকবাস্টার ‘থ্রি ইডিয়টস’। ২০০৯ সালে মুক্তি পায় এটি। মাঝে ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও র্যাঞ্চো, রাজু আর ফারহানদের ‘বন্ধুত্ব’ আজও মুগ্ধ করে চলেছে।‘থ্রি ইডিয়টস’ শুধু একটা সিনেমা ছিল না—বরং একটি প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠেছিল বিশ্বাস, স্বপ্ন আর বন্ধুত্বের নতুন সংজ্ঞা। জনপ্রিয় পরিচালক রাজকুমার হিরানির সহজ-সরল কিন্তু গভীর গল্প বলার ধরণ, আমির খান– আর মাধবন- শর্মন জোসি ত্রয়ীর প্রাণবন্ত অভিনয় এবং হাস্যরস ছবিটিকে এমন জায়গায় পৌঁছে দেয়, যা আজও ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে একটি আলাদা অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। সেই ছবির গান, সংলাপ, চরিত্র -সবই দর্শকের মনে রয়ে গেছে স্থায়ী ছাপ হিসেবে।থ্রি ইডিয়টস মুক্তির পর সময়ের স্রোতে ১৫ বছর কেটে গেছে। কিন্তু দর্শকদের মধ্যে সিনেমাটির স্মৃতি এখনও চিরসবুজ। তাই ছবিটির সিক্যুয়েল ‘থ্রি ইডিয়টস ২’ আসছে শুনেই আনন্দিত সিনেমাপ্রেমীরা। একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, সিক্যুয়েলের চিত্রনাট্য ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে এবং আগামী বছর থেকেই শুরু হবে শুটিং। জানা গেছে, প্রথম ছবির প্রধান অভিনেতা আমির খান, করিনা কাপুরসহ মূল টিম—আবারও ফিরছেন এই সিক্যুয়ালে। নির্মাতাদের বিশ্বাস প্রথম ছবির যে ‘ম্যাজিক’ দর্শককে আবেগে ভাসিয়েছিল, সেটি আবারও ফিরতে চলেছে।সিক্যুয়েলের গল্প প্রথম ছবির পর থেকেই শুরু হবে না, বরং সময় এগোবে অনেকটা—পুরো ১৫ বছর। প্রথম ছবির ক্লাইম্যাক্সে যে তিন বন্ধু আলাদা পথে হাঁটতে শুরু করেছিল, এইবার তারা আবার এক হবে নতুন অভিযানে। তাদের জীবনে এই দীর্ঘ সময়ে কী বদল এসেছে? রাঞ্চোর দর্শন, ফারহানের স্বপ্ন আর রাজুর সংগ্রাম—এসবই নতুনভাবে গল্পে ফিরে আসতে পারে সম্পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের প্রেক্ষাপটে। ঠিক এই কারণেই অনেকেই মনে করছেন, সিক্যুয়েলটি হবে আরও ‘রিয়েল’ম আরও আবেগঘন।নির্মাতা দল জানিয়েছে, নতুন গল্পে আছে হাসি, আছে কান্না, আছে নিজেদের কাছে ফিরে আসার আনন্দ—ঠিক যেমনটা ছিল প্রথম ছবিতে। শুধু তাই নয়, বর্তমান সময়ের শিক্ষাব্যবস্থা, প্রতিযোগিতা আর জীবনের দৌড়ঝাঁপ—এসবকেও ছবির গল্পে নতুন করে দেখা যেতে পারে। ফলে, ছবিটি শুধু স্মৃতির নস্টালজিয়া নিয়েই ফিরছে না, বরং নতুন প্রজন্মের জন্যও তৈরি করছে আরেকটি বার্তা-নির্ভর বিনোদন।বলিউডে ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘থ্রি ইডিয়টস’ শুধু একটা সিনেমা ছিল না—বরং একটি প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠেছিল বিশ্বাস, স্বপ্ন আর বন্ধুত্বের নতুন সংজ্ঞা। জনপ্রিয় পরিচালক রাজকুমার হিরানির সহজ-সরল কিন্তু গভীর গল্প বলার ধরণ, আমির খান– আর মাধবন- শর্মন জোসি ত্রয়ীর প্রাণবন্ত অভিনয় এবং হাস্যরস ছবিটিকে এমন জায়গায় পৌঁছে দেয়, যা আজও ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে একটি আলাদা অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। সেই ছবির গান, সংলাপ, চরিত্র -সবই দর্শকের মনে রয়ে গেছে স্থায়ী ছাপ হিসেবে।থ্রি ইডিয়টস মুক্তির পর সময়ের স্রোতে ১৫ বছর কেটে গেছে। কিন্তু দর্শকদের মধ্যে সিনেমাটির স্মৃতি এখনও চিরসবুজ। তাই ছবিটির সিক্যুয়েল ‘থ্রি ইডিয়টস ২’ আসছে শুনেই আনন্দিত সিনেমাপ্রেমীরা। একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, সিক্যুয়েলের চিত্রনাট্য ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে এবং আগামী বছর থেকেই শুরু হবে শুটিং।জানা গেছে, প্রথম ছবির প্রধান অভিনেতা আমির খান, করিনা কাপুরসহ মূল টিম—আবারও ফিরছেন এই সিক্যুয়ালে। নির্মাতাদের বিশ্বাস প্রথম ছবির যে ‘ম্যাজিক’ দর্শককে আবেগে ভাসিয়েছিল, সেটি আবারও ফিরতে চলেছে।সিক্যুয়েলের গল্প প্রথম ছবির পর থেকেই শুরু হবে না, বরং সময় এগোবে অনেকটা—পুরো ১৫ বছর। প্রথম ছবির ক্লাইম্যাক্সে যে তিন বন্ধু আলাদা পথে হাঁটতে শুরু করেছিল, এইবার তারা আবার এক হবে নতুন অভিযানে। তাদের জীবনে এই দীর্ঘ সময়ে কী বদল এসেছে? রাঞ্চোর দর্শন, ফারহানের স্বপ্ন আর রাজুর সংগ্রাম—এসবই নতুনভাবে গল্পে ফিরে আসতে পারে সম্পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের প্রেক্ষাপটে। ঠিক এই কারণেই অনেকেই মনে করছেন, সিক্যুয়েলটি হবে আরও ‘রিয়েল’ম আরও আবেগঘন।নির্মাতা দল জানিয়েছে, নতুন গল্পে আছে হাসি, আছে কান্না, আছে নিজেদের কাছে ফিরে আসার আনন্দ—ঠিক যেমনটা ছিল প্রথম ছবিতে। শুধু তাই নয়, বর্তমান সময়ের শিক্ষাব্যবস্থা, প্রতিযোগিতা আর জীবনের দৌড়ঝাঁপ—এসবকেও ছবির গল্পে নতুন করে দেখা যেতে পারে। ফলে, ছবিটি শুধু স্মৃতির নস্টালজিয়া নিয়েই ফিরছে না, বরং নতুন প্রজন্মের জন্যও তৈরি করছে আরেকটি বার্তা-নির্ভর বিনোদন।এইচএ
প্রায় ৩০ হাজার বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন হৃতিক
২০০০ সাল। মুক্তি পেল বলিউড সিনেমা ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’। আর এই এক ছবিতেই রাতারাতি পাল্টে গেল হৃতিক রোশনের জীবন। প্রথম ছবিতেই তার আকাশছোঁয়া সাফল্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, মাত্র এক মাসের মধ্যে তার কাছে প্রায় ৩০ হাজার বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল! সম্প্রতি ভারতীয় একটি জনপ্রিয় টক শো-তে অংশ নিয়ে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের সেই উন্মাদনার কথাই শোনালেন বলিউডের এই ‘গ্রিক গড’।হৃতিক জানান, সিনেমাটি সুপারহিট হওয়ার পর তার বাড়ির সামনে প্রতিনিয়ত ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকত। বিশেষ করে তরুণী ও তাদের অভিভাবকরা হৃতিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য অধীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতেন। প্রতিদিন সকালে জানালার পর্দা সরালেই হৃতিক দেখতেন বাড়ির প্রধান ফটকে দীর্ঘ লাইন।পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর গল্প ভক্তদের এই বিশাল ভিড় সামলানো তখন হৃতিকের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল। অভিনেতা জানান, সেই সময় ভক্তদের চোখ এড়িয়ে নিজের প্রেমিকা সুজান খানের সঙ্গে দেখা করতে মাঝেমধ্যে বাড়ির পেছনের দরজা ব্যবহার করতেন তিনি। সামনের গেটে যখন হাজারো তরুণী তার একঝলক পাওয়ার আশায় দাঁড়িয়ে, তখন পেছনের দরজা দিয়ে চুপিচুপি প্রেমিকার কাছে ছুটতেন হৃতিক।সাফল্য ও ব্যক্তিগত জীবন পর্দায় সুপুরুষ চেহারা, নাচ এবং অভিনয়ের জাদুতে হৃতিক তখন ভারতীয় তরুণ প্রজন্মের কাছে সেনসেশন। তবে ৩০ হাজার বিয়ের প্রস্তাব বা আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা কোনো কিছুই তাকে তার ভালোবাসা থেকে টলাতে পারেনি। ভক্তদের হৃদয় ভেঙে ২০০০ সালেই অভিনেতা সঞ্জয় খানের কন্যা ও তার বাল্যবন্ধু সুজান খানকে বিয়ে করেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুতেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও তার জনপ্রিয়তায় তখন বিন্দুমাত্র নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।এসআর
অর্থ-বাণিজ্য
সব দেখুন
ডিসেম্বরের ১০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৯ কোটি ডলার
ডিসেম্বরের প্রথম ১০ দিনেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সে নতুন গতি দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে দেশে এসেছে ১২৯ কোটি মার্কিন ডলার, অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন ‘গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১০৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।’তিনি আরো বলেন, ‘শুধু ১০ ডিসেম্বর একদিনেই দেশে এসেছে ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৩২ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮.৪০ শতাংশ বেশি।’এর আগে চলতি অর্থবছরের মধ্যে নভেম্বরেই রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল সর্বোচ্চ—মোট ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার।অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে এসেছে যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর আগস্ট ও জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরজুড়ে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৩০.৩২ বিলিয়ন (৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ) ডলার, যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহের রেকর্ড।এইচএ
আমদানির পরও কমেনি পেঁয়াজের দাম, স্বস্তি মৌসুমি সবজিতে
শীতের আগমনে বাজারে সবজির আনাগোণা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি দাম। বাজারে বেগুন, পেঁপেসহ কয়েকটি সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমলেও মৌসুমি সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দামে এখনও লাগেনি শীতের ছোঁয়া; ফলে স্বস্তি মিলছে না ক্রেতাদের।বাজারে আমদানির পর পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও এখনো সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আসেনি। যদিও বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে। তবে এখনো প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকার বেশি।বাজারে এখন নতুন আলুর দাম কমতির দিকে। প্রতি তিন কেজি আলুর প্যাকেজ হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। অর্থাৎ, কেজি পড়ছে ৩৩ টাকা। আর প্রতি কেজি নতুন আলু খুচরায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।বাজারে দেখা গেছে, গত মৌসুমে উৎপাদিত প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ১৪০-১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে নতুন আসা মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে, কোথাও কোথাও অবশ্য ১৩০ টাকাতেও বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।বিক্রেতা আবু হোসেন বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি থাকার কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কম হলেও তা দেশি পেঁয়াজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চড়া দামে বিক্রি করছেন আমদানিকারকরা।তিন-চারদিন আগে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দেশের পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা কমেছিল। কিন্তু শেষ দুদিনের মধ্যেই দাম আবার বেড়ে যায়।গত নভেম্বরের শুরুতে হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে পেঁয়াজের বাজার। তখন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম ১১০-১২০ টাকায় স্থিতিশীল হয়। সবশেষ ১০-১২ দিন আগে ফের পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে, দাম ওঠে ১৫০-১৬০ টাকায়। এরপরই আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।পেঁয়াজের চড়া দামের মধ্যেও ভোক্তার স্বস্তি কিছুটা ফিরছে সবজিতে। কারণ, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় নানান ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। এরমধ্যে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে আলুর দাম নেমে এসেছে ৪০ টাকার নিচে।খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমে বরবটি, বেগুন ও করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। একইভাবে কেজিতে ঢ্যাঁড়স ও পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।অন্যদিকে, ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম আরও কমেছে। মাঝারি আকারের এ দুটি সবজির প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।এছাড়া বেশ কয়েক মাস নিম্নমুখী ডিম ও মুরগির বাজার। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। পাড়া-মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা দামে।বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০-১৬০ টাকার মধ্যে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০-২৭০ টাকায়। পোল্ট্রি মুরগির বিক্রেতারা বলছেন, শীতে সবজির প্রচুর সরবরাহ থাকলে মুরগি ও ডিমের চাহিদা কিছুটা কমে যায়। এ কারণেই দাম কমেছে।গত রোববার প্রতি লিটার বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে যথাক্রমে ৬ ও ৭ টাকা। এছাড়া প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ১৬ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয় ৩৩ টাকা। এতে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে হয় ১৯৫ টাকা। যা আগে ছিল ১৮৯ টাকা।৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯২২ টাকা থেকে বেড়ে ৯৫৫ টাকা হয়েছে। এছাড়া এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম এখন ১৭৬ টাকা এবং প্রতি লিটার পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৬ টাকায়। তবে বাজারে অন্য মুদি পণ্যগুলোর দাম অনেকটাই অপরিবর্তিত দেখা গেছে।এসএম
ফের ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো রিজার্ভের পরিমাণ
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তবে আইএমএফের নির্ধারিত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করলে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।এর আগে গত ৬ নভেম্বর রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। ওই সময়ে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে তা ছিল ২৮ বিলিয়ন ডলার।তবে এর তিনদিন পর ৯ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের জন্য ১৬১ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আকুর দায় পরিশোধের পর দেশের গ্রস রিজার্ভ ৩১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে অবস্থান করে। এরপর থেকে ৩০ ও ৩১ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ছিল রিজার্ভ।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাইয়ে মে-জুন মেয়াদের আমদানি ব্যয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ আকুকে ১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল—যা ছিল সর্বশেষ বড় অঙ্কের বিল। এরপর ২০২৩ সালের পুরো সময়জুড়ে দ্বিমাসিক আকু বিল কমে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে ছিল।২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে আকু বিল আবার বাড়তে শুরু করে। চলতি বছরের মে-জুনে বিলের পরিমাণ পৌঁছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইউএনইএসক্যাপ) আকু প্রতিষ্ঠা করে। ইরানের তেহরানভিত্তিক এ সংস্থার মাধ্যমে ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা—মোট ৯টি দেশের আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তি করা হয়।অন্যদিকে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহকে সহায়তা দিতে ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক।গতকাল বৃহস্পতিবার ১৬টি ব্যাংক থেকে মোট প্রায় ১৫ কোটি মার্কিন ডলার (১৪৯ মিলিয়ন ডলার) কেনা হয়েছে। এসময় প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২২.২৫ টাকা থেকে ১২২.২৯ টাকা পর্যন্ত। কাট-অফ রেট ১২২.২৯ টাকা, যা মাল্টিপল প্রাইস নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ পর্যন্ত নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ২৬৬ কোটি ৩০ লাখ (২.৬৬ বিলিয়ন ডলার) ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৩ জুলাই থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা শুরু করে। ওই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এখন পর্যন্ত এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করা হয়েছে।এসএম
দেশের বাজারে বেড়েছে স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ (শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর) থেকে স্বর্ণ বিক্রি হবে নতুন দামে। তবে আগের দামেই বিক্রি হবে রুপা।সবশেষ গত ১১ ডিসেম্বর রাতে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়েছে সংগঠনটি।নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।এর আগে, সবশেষ গত ২ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ১ হাজার ৪৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ৩ ডিসেম্বর থেকে।এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৮৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৭ বার, আর কমেছে মাত্র ২৭ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।এইচএ
দামে খুশি গদখালীর ফুল চাষিরা, ৫ কোটি টাকা ব্যবসার আশা
বিজয় দিবসকে সামনে রেখে যশোরের গদখালীর ফুল চাষিরা মৌসুমের প্রথম বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন। চাহিদা বাড়ায় তারা আসন্ন ইংরেজি নববর্ষের বাজার নিয়েও আশাবাদী। এভাবে দাম থাকলে চলতি বছর লাভবান হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন তারা। চাষি নেতারা বলছেন, বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলের ফুল চাষিরা প্রায় ৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবেন।গত কয়েক মাসের পরিশ্রমে গদখালীর মাঠগুলোতে ফুটেছে গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্ল্যাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকা সহ বিভিন্ন প্রকারের ফুল। মৌসুমের প্রথম বাজারে চাষিরা ফুলের ভালো দাম পেয়েছেন।সরজমিনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) গোলাপ প্রতি পিস ৫-৭ টাকা, গ্ল্যাডিওলাস কালার ভেদে ৬-১৪ টাকা, জারবেরা ৮-১২ টাকা, রজনীগন্ধা ৫-৭ টাকা, একশ’ পিস চন্দ্রমল্লিকা ২০০-৩০০ টাকায় এবং এক হাজার হলুদ গাঁদা ৪০০ ও বাসন্তি কালারের গাঁদা ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।চাষিদের মতে, গত কয়েক মাস ধরে ফুলের বাজার ভালো যাচ্ছে এবং আগামী দিনগুলোতে দাম আরও বাড়ার আশা রয়েছে। বিশেষ করে আসন্ন ইংরেজি নববর্ষের বাজার নিয়েও আশাবাদী। আজিজুর রহমান নামের এক ফুল চাষি বলেন, ‘বাজারের অবস্থা গত বছরের তুলনায় খুবই ভালো। সব ধরনের ফুলের দাম সন্তোষজনক। পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত এই দাম অব্যাহত থাকলে আগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো।’চাষি জালাল উদ্দিন জানান, ‘এবার জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস ও চন্দ্রমল্লিকা চাষ করেছি। গত এক মাস ধরে ফুলের দাম ভালো আছে। সামনের দিনগুলোতে দাম আরও বাড়বে। যদি এই উর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকে, উৎপাদন খরচ উঠে যাবে এবং লাভও হবে।’আরেক চাষি আব্দুল মঈন বলেন, ‘৪০০ গোলাপ ফুল নিয়ে এসেছি। দাম ৫ টাকা প্রতি পিস বলা হয়েছে, কিন্তু আমি আরও একটু বেশি আশা করছি। সামনে বিজয় দিবস এবং আসন্ন শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে দাম বাড়বে। আশা করছি, এই দাম বাড়ার ধারা পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। চলতি বছর আমরা ফুল বিক্রি করে লাভবান হতে পারব।’গালিব হোসেন নামে আরেক চাষি বলেন, ‘চলতি বছর গরম থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গোলাপের দাম ৫ টাকার নিচে নামেনি। অন্যান্য ফুলের দামও সমানভাবে আছে। প্রতিদিন ফুলের দাম বাড়ছে। তবে মাঠে ফুলের ধরন কমে গেছে। আগে ১ বিঘা গোলাপ বাগান থেকে ২৫০০-২৬০০ ফুল পাওয়া যেত, এখন সেটা কমে ৫০০-৬০০ এ দাঁড়িয়েছে। চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় আমরা দাম একটু বেশি পাচ্ছি। সার ও কীটনাশকের দাম যদি নাগালের মধ্যে থাকতো, তবে একটু স্বস্তি পেতাম।’ফুলের বাজার মূল্য নিয়ে ব্যবসায়ীরাও সন্তুষ্ট। সোহরাব নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা চাষিদের কাছ থেকে ফুল কিনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রেতাদের কাছে পাঠাই। চলতি বছর শুরু থেকেই ফুলের দাম একটু বেশি। আমরা ক্রয়মূল্য থেকে সামান্য লাভ রেখে বিক্রি করি। এছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে দাম অতিরিক্ত না হয়, সেদিকেও নজর রাখি। এই মাত্রায় যে লাভ হচ্ছে তাতে আমি সন্তুষ্ট।’রিপন হোসেন নামে অপর এক ব্যবসায়ী জানান, ‘ফুলের দাম মানের ওপর নির্ভর করে। বাজারে পর্যাপ্ত ফুল রয়েছে এবং চাহিদাও ভালো। ফলে বাজার এখন ভালো যাচ্ছে। চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন, এতে আমাদেরও খুশি। চাষি ভালো থাকলে ব্যবসায়ীরাও ভালো থাকবেন।’এদিকে, গদখালী ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ফুলের দাম সন্তোষজনক। চাহিদা ও বাজার দর চাষিদের জন্য অনুকূলে রয়েছে। আমাদের প্রায় পাঁচ হাজার ফুল চাষি আছেন। তারা প্রত্যেকে যদি বিজয় দিবসকে সামনে রেখে অন্তত দশ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেন, তাহলে পাঁচ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করা যাবে। তবে আমি আশাবাদী, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে এর চেয়েও বেশি টাকার ফুল বিক্রি করবে এ অঞ্চলের চাষিরা।”কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, যশোরে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে চাষিরা ১৩ ধরনের ফুল চাষ করেন।এইচএ
‘দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দিয়ে তাদের প্রতি ঘৃণার সাংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে’
অতীতের দুর্নীতিবাজদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করে সমাজে তাদের প্রতি ঘৃণার সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দুদকের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভবিষ্যতে যেন দুর্নীতি আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে এ জন্য প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। সেইসঙ্গে অতীতের দুর্নীতিবাজদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা এবং সমাজে তাদের প্রতি ঘৃণার সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।তিনি বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারকারীদের শুধু কারাগারে রাখলেই শাস্তি পূর্ণ হয় না। তাদের বিরুদ্ধে সমাজে ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সামাজিক প্রতিরোধই দুর্নীতিকে ঠেকানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়।অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ভবিষ্যতে দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে কেবল আইনি ব্যবস্থাই নয়, সমগ্র সমাজকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে। দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট না করলে তাদের দৌরাত্ম্য কমবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।এমআর-২
সিডিএফ’র বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
ক্রেডিট এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিডিএফ)-এর ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিগত বৎসরের কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং ২০২৫-২০২৬ সালের কর্ম পরিকল্পনা ও বাজেট অনুমোদন করা হয়।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের “মিডিয়া বাজার” কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিডিএফ এর চেয়ারম্যান মুর্শেদ আলম সরকার। এসসময় সংগঠনটির সাধারণ পরিষদের সদস্যগণসহ পর্যবেক্ষণ অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে জনাব মুর্শেদ আলম সরকার চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর মেয়াদকালে ক্রেডিট এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিডিএফ) এর কর্মকাণ্ড ও অর্জিত মূল সাফল্যগুলো উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি ক্ষুদ্র অর্থায়ন সেক্টরের উন্নয়ন ও কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাবার জন্য তিনি সিডিএফ ব্যবস্থাপনাকে ধন্যবাদ জানান। ক্ষুদ্রঋণে তহবিল যোগানে ব্যাংকিং সেক্টরের অবদানের প্রশংসা করে মুর্শেদ আলম সরকার বলেন, ‘সিডিএফ জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণ সেক্টরের অ্যাডভোকেসি, লবিং, গবেষণা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একমাত্র প্রতিনিধিত্বশীল নেটওয়ার্কিং সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।’তিনি আরও বলেন, সিডিএফ কর্তৃক ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাসমূহের মধ্যে আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সম্পর্ক সৃষ্টির ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। উক্ত সভায় সিডিএফ-এর কোষাধ্যক্ষ জনাব মোঃ রবিউল ইসলাম আর্থিক বিবরণী ও বাজেট ২০২৫-২৬ পেশ করেন। এছাড়া নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সিডিএফ-এর বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৪-২৫ উপস্থাপন করেন। তিনি সিডিএফ-এর প্রতি আস্থা রেখে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সিডিএফ সদস্য-সংস্থাসমূহের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।আরডি
ডিসেম্বরের ১০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৯ কোটি ডলার
ডিসেম্বরের প্রথম ১০ দিনেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সে নতুন গতি দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে দেশে এসেছে ১২৯ কোটি মার্কিন ডলার, অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন ‘গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১০৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।’তিনি আরো বলেন, ‘শুধু ১০ ডিসেম্বর একদিনেই দেশে এসেছে ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৩২ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮.৪০ শতাংশ বেশি।’এর আগে চলতি অর্থবছরের মধ্যে নভেম্বরেই রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল সর্বোচ্চ—মোট ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার।অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে এসেছে যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর আগস্ট ও জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরজুড়ে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৩০.৩২ বিলিয়ন (৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ) ডলার, যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহের রেকর্ড।এইচএ
আমদানির পরও কমেনি পেঁয়াজের দাম, স্বস্তি মৌসুমি সবজিতে
শীতের আগমনে বাজারে সবজির আনাগোণা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি দাম। বাজারে বেগুন, পেঁপেসহ কয়েকটি সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমলেও মৌসুমি সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দামে এখনও লাগেনি শীতের ছোঁয়া; ফলে স্বস্তি মিলছে না ক্রেতাদের।বাজারে আমদানির পর পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও এখনো সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আসেনি। যদিও বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে। তবে এখনো প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকার বেশি।বাজারে এখন নতুন আলুর দাম কমতির দিকে। প্রতি তিন কেজি আলুর প্যাকেজ হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। অর্থাৎ, কেজি পড়ছে ৩৩ টাকা। আর প্রতি কেজি নতুন আলু খুচরায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।বাজারে দেখা গেছে, গত মৌসুমে উৎপাদিত প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ১৪০-১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে নতুন আসা মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে, কোথাও কোথাও অবশ্য ১৩০ টাকাতেও বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।বিক্রেতা আবু হোসেন বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি থাকার কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কম হলেও তা দেশি পেঁয়াজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চড়া দামে বিক্রি করছেন আমদানিকারকরা।তিন-চারদিন আগে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দেশের পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা কমেছিল। কিন্তু শেষ দুদিনের মধ্যেই দাম আবার বেড়ে যায়।গত নভেম্বরের শুরুতে হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে পেঁয়াজের বাজার। তখন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম ১১০-১২০ টাকায় স্থিতিশীল হয়। সবশেষ ১০-১২ দিন আগে ফের পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে, দাম ওঠে ১৫০-১৬০ টাকায়। এরপরই আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।পেঁয়াজের চড়া দামের মধ্যেও ভোক্তার স্বস্তি কিছুটা ফিরছে সবজিতে। কারণ, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় নানান ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। এরমধ্যে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে আলুর দাম নেমে এসেছে ৪০ টাকার নিচে।খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমে বরবটি, বেগুন ও করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। একইভাবে কেজিতে ঢ্যাঁড়স ও পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।অন্যদিকে, ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম আরও কমেছে। মাঝারি আকারের এ দুটি সবজির প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।এছাড়া বেশ কয়েক মাস নিম্নমুখী ডিম ও মুরগির বাজার। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। পাড়া-মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা দামে।বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০-১৬০ টাকার মধ্যে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০-২৭০ টাকায়। পোল্ট্রি মুরগির বিক্রেতারা বলছেন, শীতে সবজির প্রচুর সরবরাহ থাকলে মুরগি ও ডিমের চাহিদা কিছুটা কমে যায়। এ কারণেই দাম কমেছে।গত রোববার প্রতি লিটার বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে যথাক্রমে ৬ ও ৭ টাকা। এছাড়া প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ১৬ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয় ৩৩ টাকা। এতে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে হয় ১৯৫ টাকা। যা আগে ছিল ১৮৯ টাকা।৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯২২ টাকা থেকে বেড়ে ৯৫৫ টাকা হয়েছে। এছাড়া এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম এখন ১৭৬ টাকা এবং প্রতি লিটার পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৬ টাকায়। তবে বাজারে অন্য মুদি পণ্যগুলোর দাম অনেকটাই অপরিবর্তিত দেখা গেছে।এসএম
ফের ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো রিজার্ভের পরিমাণ
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তবে আইএমএফের নির্ধারিত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করলে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।এর আগে গত ৬ নভেম্বর রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। ওই সময়ে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে তা ছিল ২৮ বিলিয়ন ডলার।তবে এর তিনদিন পর ৯ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের জন্য ১৬১ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আকুর দায় পরিশোধের পর দেশের গ্রস রিজার্ভ ৩১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে অবস্থান করে। এরপর থেকে ৩০ ও ৩১ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ছিল রিজার্ভ।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাইয়ে মে-জুন মেয়াদের আমদানি ব্যয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ আকুকে ১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল—যা ছিল সর্বশেষ বড় অঙ্কের বিল। এরপর ২০২৩ সালের পুরো সময়জুড়ে দ্বিমাসিক আকু বিল কমে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে ছিল।২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে আকু বিল আবার বাড়তে শুরু করে। চলতি বছরের মে-জুনে বিলের পরিমাণ পৌঁছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইউএনইএসক্যাপ) আকু প্রতিষ্ঠা করে। ইরানের তেহরানভিত্তিক এ সংস্থার মাধ্যমে ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা—মোট ৯টি দেশের আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তি করা হয়।অন্যদিকে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহকে সহায়তা দিতে ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক।গতকাল বৃহস্পতিবার ১৬টি ব্যাংক থেকে মোট প্রায় ১৫ কোটি মার্কিন ডলার (১৪৯ মিলিয়ন ডলার) কেনা হয়েছে। এসময় প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২২.২৫ টাকা থেকে ১২২.২৯ টাকা পর্যন্ত। কাট-অফ রেট ১২২.২৯ টাকা, যা মাল্টিপল প্রাইস নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ পর্যন্ত নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ২৬৬ কোটি ৩০ লাখ (২.৬৬ বিলিয়ন ডলার) ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৩ জুলাই থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা শুরু করে। ওই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এখন পর্যন্ত এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করা হয়েছে।এসএম
দেশের বাজারে বেড়েছে স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ (শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর) থেকে স্বর্ণ বিক্রি হবে নতুন দামে। তবে আগের দামেই বিক্রি হবে রুপা।সবশেষ গত ১১ ডিসেম্বর রাতে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়েছে সংগঠনটি।নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।এর আগে, সবশেষ গত ২ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ১ হাজার ৪৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ৩ ডিসেম্বর থেকে।এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৮৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৭ বার, আর কমেছে মাত্র ২৭ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।এইচএ
দামে খুশি গদখালীর ফুল চাষিরা, ৫ কোটি টাকা ব্যবসার আশা
বিজয় দিবসকে সামনে রেখে যশোরের গদখালীর ফুল চাষিরা মৌসুমের প্রথম বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন। চাহিদা বাড়ায় তারা আসন্ন ইংরেজি নববর্ষের বাজার নিয়েও আশাবাদী। এভাবে দাম থাকলে চলতি বছর লাভবান হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন তারা। চাষি নেতারা বলছেন, বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলের ফুল চাষিরা প্রায় ৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবেন।গত কয়েক মাসের পরিশ্রমে গদখালীর মাঠগুলোতে ফুটেছে গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্ল্যাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকা সহ বিভিন্ন প্রকারের ফুল। মৌসুমের প্রথম বাজারে চাষিরা ফুলের ভালো দাম পেয়েছেন।সরজমিনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) গোলাপ প্রতি পিস ৫-৭ টাকা, গ্ল্যাডিওলাস কালার ভেদে ৬-১৪ টাকা, জারবেরা ৮-১২ টাকা, রজনীগন্ধা ৫-৭ টাকা, একশ’ পিস চন্দ্রমল্লিকা ২০০-৩০০ টাকায় এবং এক হাজার হলুদ গাঁদা ৪০০ ও বাসন্তি কালারের গাঁদা ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।চাষিদের মতে, গত কয়েক মাস ধরে ফুলের বাজার ভালো যাচ্ছে এবং আগামী দিনগুলোতে দাম আরও বাড়ার আশা রয়েছে। বিশেষ করে আসন্ন ইংরেজি নববর্ষের বাজার নিয়েও আশাবাদী। আজিজুর রহমান নামের এক ফুল চাষি বলেন, ‘বাজারের অবস্থা গত বছরের তুলনায় খুবই ভালো। সব ধরনের ফুলের দাম সন্তোষজনক। পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত এই দাম অব্যাহত থাকলে আগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো।’চাষি জালাল উদ্দিন জানান, ‘এবার জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস ও চন্দ্রমল্লিকা চাষ করেছি। গত এক মাস ধরে ফুলের দাম ভালো আছে। সামনের দিনগুলোতে দাম আরও বাড়বে। যদি এই উর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকে, উৎপাদন খরচ উঠে যাবে এবং লাভও হবে।’আরেক চাষি আব্দুল মঈন বলেন, ‘৪০০ গোলাপ ফুল নিয়ে এসেছি। দাম ৫ টাকা প্রতি পিস বলা হয়েছে, কিন্তু আমি আরও একটু বেশি আশা করছি। সামনে বিজয় দিবস এবং আসন্ন শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে দাম বাড়বে। আশা করছি, এই দাম বাড়ার ধারা পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। চলতি বছর আমরা ফুল বিক্রি করে লাভবান হতে পারব।’গালিব হোসেন নামে আরেক চাষি বলেন, ‘চলতি বছর গরম থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গোলাপের দাম ৫ টাকার নিচে নামেনি। অন্যান্য ফুলের দামও সমানভাবে আছে। প্রতিদিন ফুলের দাম বাড়ছে। তবে মাঠে ফুলের ধরন কমে গেছে। আগে ১ বিঘা গোলাপ বাগান থেকে ২৫০০-২৬০০ ফুল পাওয়া যেত, এখন সেটা কমে ৫০০-৬০০ এ দাঁড়িয়েছে। চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় আমরা দাম একটু বেশি পাচ্ছি। সার ও কীটনাশকের দাম যদি নাগালের মধ্যে থাকতো, তবে একটু স্বস্তি পেতাম।’ফুলের বাজার মূল্য নিয়ে ব্যবসায়ীরাও সন্তুষ্ট। সোহরাব নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা চাষিদের কাছ থেকে ফুল কিনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রেতাদের কাছে পাঠাই। চলতি বছর শুরু থেকেই ফুলের দাম একটু বেশি। আমরা ক্রয়মূল্য থেকে সামান্য লাভ রেখে বিক্রি করি। এছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে দাম অতিরিক্ত না হয়, সেদিকেও নজর রাখি। এই মাত্রায় যে লাভ হচ্ছে তাতে আমি সন্তুষ্ট।’রিপন হোসেন নামে অপর এক ব্যবসায়ী জানান, ‘ফুলের দাম মানের ওপর নির্ভর করে। বাজারে পর্যাপ্ত ফুল রয়েছে এবং চাহিদাও ভালো। ফলে বাজার এখন ভালো যাচ্ছে। চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন, এতে আমাদেরও খুশি। চাষি ভালো থাকলে ব্যবসায়ীরাও ভালো থাকবেন।’এদিকে, গদখালী ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ফুলের দাম সন্তোষজনক। চাহিদা ও বাজার দর চাষিদের জন্য অনুকূলে রয়েছে। আমাদের প্রায় পাঁচ হাজার ফুল চাষি আছেন। তারা প্রত্যেকে যদি বিজয় দিবসকে সামনে রেখে অন্তত দশ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেন, তাহলে পাঁচ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করা যাবে। তবে আমি আশাবাদী, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে এর চেয়েও বেশি টাকার ফুল বিক্রি করবে এ অঞ্চলের চাষিরা।”কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, যশোরে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে চাষিরা ১৩ ধরনের ফুল চাষ করেন।এইচএ
শিক্ষাঙ্গন
সব দেখুন
কওমী মাদ্রাসার বোর্ড পরীক্ষার সময়সূচি এগিয়ে আনা হয়েছে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কওমী মাদ্রাসার বোর্ড পরীক্ষার সময়সূচি এগিয়ে আনা হয়েছে। দাওরায়ে হাদিসের পাশাপাশি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য বিভিন্ন পরীক্ষার তারিখ পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেফাকের খাস কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি জানান, পরীক্ষা বিভাগের প্রস্তাবনার আলোকে বেফাকের অধীনে বোর্ড পরীক্ষা ২৭ রজব ১৪৪৭ হিজরি মোতাবিক ১৭ জানুয়ারি ২০২৬ শনিবার শুরু হবে এবং ৪ শাবান ১৪৪৭ হিজরি মোতাবিক ২৪ জানুয়ারি ২০২৬ শনিবার শেষ হবে। শুক্রবারসহ মোট আট দিন এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।ওই সভায় বেফাকের খাস কমিটির সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়াসহ অন্য সদস্যরা।এর আগে হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) পরীক্ষার সময়সূচিও পরিবর্তন করা হয়। ১৪ ডিসেম্বর আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যানের নির্দেশে অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪৪৭ হিজরি মোতাবিক ৭ বা ৮ শাবান এবং ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী ২৭ জানুয়ারি ২০২৬ মঙ্গলবার দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলবে এবং ১৬ বা ১৭ শাবান ১৪৪৭ হিজরি মোতাবিক ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শেষ হবে। পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে ইংরেজি তারিখই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, শুক্রবার পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে। বাকি নয় দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে। প্রথম দিন তিরমিযী শরীফ আউওয়াল এবং শেষ দিন মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ (রহ.)-এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।উল্লেখ্য, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পরীক্ষা আয়োজন নিশ্চিত করতেই কওমী মাদ্রাসার উভয় বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।ইখা
বাকৃবিতে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) যথাযথ মর্যাদা ও গভীর ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শোক র্যালি, পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ, আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি ও বাকৃবি শিক্ষক সমিতি।রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় বৈশাখী চত্বর থেকে বধ্যভূমি পর্যন্ত শোক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল ৮টায় বধ্যভূমি ও গণকবর স্মৃতিফলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।পরে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, মহিলা সংঘ, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সামাজিক, পেশাজীবী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবিরসহ সিনিয়র শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।এছাড়া সকাল সাড়ে ৯টায় বাকৃবি শিক্ষক সমিতির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিটি সেন্টারে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে এবং প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকারের সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মহিলা সংঘের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, যুগে যুগে ন্যায় ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনো গণতন্ত্র ও ধর্মীয় স্বকীয়তা ধ্বংসের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ২০২৪ সালে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের গণআন্দোলন না হলে দেশে আরেকটি ১৪ ডিসেম্বরের মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।উল্লেখ্য, দিবসটি উপলক্ষে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।আরডি
যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ২১ ডিসেম্বর
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (যবিপ্রবিসাস) নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী ২০২৫ সালের ষষ্ঠ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ রাফিউল হাসান, নির্বাচন কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. ইঞ্জি. ইমরান খান এবং নির্বাচন কমিশনার ও তথ্য কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী মোট ৭ টি পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক, প্রচার প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে একজন করে মোট সাতজন প্রার্থী নির্বাচিত হবেন।এ ছাড়াও তফসিল সূত্রে জানা যায়, ১৪ ডিসেম্বর ভোটার তালিকা প্রকাশ, ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে ১৭ ডিসেম্বর ১২টা মনোনয়ন ফরম বিতরণ, ১৭ ডিসেম্বর দুপুর ২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম জমা, ২০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার ও বিকেল ৩ টায় প্রার্থীর তালিকা প্রকাশিত হবে।ভোট কেন্দ্র হিসেবে যবিপ্রবির ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরকে নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোট চলবে ২১ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। ভোট গণনা শেষে একই দিনে বিকেল ৪টার মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। উল্লেখ্য, যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি-২০২৪ এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন মোঃ ওয়াশিম আকরাম ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন এ টি এম মাহফুজ।ইখা
জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পাবিপ্রবির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ভবনের তৃতীয় তলার ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ও অন্যান্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।এ সময় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম আব্দুল-আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ভাইস প্রেডিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাসানরি হানাওয়া।এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। এ ছাড়াও পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধা শূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেঁছে নিয়েছি কারণ আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি। আমাদের শিক্ষার্থীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করতে চাই। আমরা যোগদানের পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষারমান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। পাবিপ্রবি এবং পাবনাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকস্তরে পরিচিত করতে চাই। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও পাবনাবাসী উপকৃত হবেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় ওই এলাকার পরিবেশ পরিবর্তনে বড় ভূমিকা পালন করে। আমরা পাবনাবাসীকে নতুন সংস্কৃতি (ডাইমেশন) উপহার দিতে চাই।’তিনি আরও বলেন, ‘সমঝোতা চুক্তির কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা জাপানের স্বনামধন্য বিশ্বিবদ্যালয়ে বৃত্তি পাবে। তারা গবেষণা করতে পারবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতা অর্জন করে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করবে। আমরা কেবল সমঝোতা স্মারক করেই শেষ করব না, এটা যাতে কার্যকর হয় সে ব্যবস্থাও করব। এর ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ই একাডেমিকভাবে লাভবান হবে।’অধ্যাপক ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারিত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুইপক্ষই লাভবান হব।’সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ রাসেল আল আহম্মেদসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ইখা
তথ্য-প্রযুক্তি
সব দেখুন
গুগল ফটোসে এআই আপনাকে যে সুবিধা দেবে
বর্তমান সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) আমাদের দৈনন্দিন কাজকে আরও সহজ এবং দ্রুত করে তুলেছে। প্রযুক্তি থেকে শুরু করে প্রায় সব ক্ষেত্রেই এর ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার গুগল তার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম গুগল ফটোসে যুক্ত করতে চলেছে একাধিক শক্তিশালী এআই ফিচার, যা ছবি এডিটিং-এর ধারণায় এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।গুগল ফটোস অ্যাপে আসা এই নতুন এআই-চালিত সুবিধাগুলির মধ্যে অন্যতম হলো, ছবির ত্রুটি তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধন করার ক্ষমতা। প্রায়শই আমরা পারিবারিক বা বিশেষ দিনের ছবিতে দেখি যে কেউ চোখ বন্ধ করে ফেলেছে, কারো মুখে হাসি নেই, বা কেউ ভুল করে সানগ্লাস পরে আছে। আগে এমন ছবি ঠিক করার জন্য বড় এবং জটিল সফটওয়্যারের প্রয়োজন হতো। এখন ব্যবহারকারী সরাসরি গুগল ফটোসে গিয়ে শুধু মুখে কম্যান্ড দিলেই এআই নিজে থেকেই ছবিটি প্রাকৃতিকভাবে ঠিক করে দেবে।এই স্বয়ংক্রিয় সম্পাদনার জন্য কমান্ডগুলি হবে খুবই সহজ, যেমন— ‘হেল্প মি এডিট’ → ‘রিমুভ সানগ্লাসেস’ বা ‘ওপেন মাই আইস’ অথবা ‘এডিটেড স্মাইল’। এআই এই কমান্ড অনুযায়ী কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ছবিটিকে নিখুঁত করে তুলবে।এর ফলে নতুন করে ছবি তোলার দরকার পড়বে না এবং বিশেষ মুহূর্তের ছবিগুলিকে সহজেই পারফেক্ট করে তোলা সম্ভব হবে।এছাড়াও, গুগলের নিজস্ব এবং জনপ্রিয় ইমেজ জেনারেটর ‘ন্যানো বানানা’ এখন সরাসরি গুগল ফটোস অ্যাপের সাথে যুক্ত হয়েছে। এই এআই টুলটি কয়েক মুহূর্তের মধ্যে যে কোনো সাধারণ ছবিকে সম্পূর্ণ নতুন স্টাইল বা থিমে সাজিয়ে দেবে।এর সুবিধা হলো, কোনো আলাদা সফটওয়্যার বা ডিজাইন দক্ষতা ছাড়াই সাধারণ ছবি থেকে অসাধারণ কাল্পনিক ইমেজ বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট তৈরি করা যাবে।আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল নিয়ে এসেছে ‘ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ এডিটিং’ সুবিধা। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী মুখে কমান্ড দিলেই এআই ছবি এডিট করে দেবে। একই সঙ্গে, নতুন একটি ফটো এডিটর ইন্টারফেস আনা হয়েছে, যেখানে টাচ বা জেসচারের মাধ্যমেও পরিবর্তন আনা যাবে। ফলে যারা এডিটিংয়ে ততটা অভ্যস্ত নন, তারাও সহজেই ছবিকে নিজেদের পছন্দমতো সাজিয়ে নিতে পারবেন।এই নতুন ফিচারগুলি নিঃসন্দেহে গুগল ফটোস ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।এইচএ
ফেসবুক অ্যাপে বড় পরিবর্তন
মেটা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফেসবুক এবার তার মূল উদ্দেশ্যগুলোতে ফিরে আসছে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ, ছবি শেয়ার এবং মার্কেটপ্লেস। বেশ কিছু বছর মেটাভার্সে মনোনিবেশ করার পর, এবার খরচ কমানো এবং ব্যবহারকারীর আগ্রহ ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে তারা নতুন করে ফেসবুকের অভিজ্ঞতা পরিবর্তন করছে।বিশ্বজুড়ে ব্যবহারকারীর সংখ্যা অগণিত হলেও, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু বাজারে তরুণ ব্যবহারকারীর প্রবৃদ্ধি থেমে গিয়েছিল। তাই জেন–জেড প্রজন্মকে ধরে রাখার জন্য ফেসবুক নতুন ফিচার নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মার্কেটপ্লেসের গুরুত্ব বৃদ্ধি। মার্কেটপ্লেস এখন তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়, কিন্তু আগে এটি অ্যাপের ‘More’ মেনুর ভিতরে ছিল। নতুন আপডেটে মার্কেটপ্লেসকে নিচের নেভিগেশন বারে তুলে আনা হয়েছে, যেখানে থাকবে রিলস ও বন্ধু সংক্রান্ত অপশন।ফেসবুকে বন্ধুত্ব-কেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা আরও জোরদার করতে প্রোফাইল ট্যাব আগের অবস্থানে রাখা হয়েছে এবং ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ মতো সেটিংস কাস্টমাইজ করতে পারবে। ছবি দেখার ধরনও বদলানো হয়েছে—ডাবল ট্যাপ করে ইনস্টাগ্রামের মতো লাইক করা যাবে এবং ছবিগুলো একটি গ্রিডে সাজানো হবে, ক্লিক করলে ফুল স্ক্রিনে দেখা যাবে। সার্চ পেজেও ইন্টারেকটিভ গ্রিড ডিজাইন যোগ করা হচ্ছে, যাতে ছবি ও ভিডিও আরও গভীরভাবে দেখা যাবে। স্টোরি ও পোস্ট তৈরি করাও সহজ হচ্ছে, মিউজিক যোগ করা এবং বন্ধু ট্যাগ করার সুবিধা সামনে আনা হয়েছে।কমেন্ট সেকশনেও নতুন ফিচার এসেছে, যেমন সহজ রিপ্লাই, বেশি দৃশ্যমান ব্যাজ, পিনিং টুল এবং মডারেশন টুল উন্নত করা হয়েছে। বিরক্তিকর মন্তব্য অ্যানোনিমাস রিপোর্ট করার সুবিধাও দেয়া হয়েছে। ব্যবহারকারীরা ফিডে কোন পোস্ট পছন্দ না হলে তার কারণ জানাতে পারবে, যা ফিডকে আরও ব্যক্তিগতকৃত করবে।সবশেষে, ফেসবুকে প্রোফাইলে আগ্রহ, শখ, ভ্রমণ তথ্যসহ নানা তথ্য যোগ করা যাবে, যা মিল থাকা বন্ধুদের সঙ্গে সংযোগ বাড়াবে। তবে এই তথ্য ফিডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাবে না; ব্যবহারকারী চাইলে বন্ধ করতে পারবে।পরিবর্তনগুলো আগামী কয়েক সপ্তাহে সারা বিশ্বে চালু হবে, যদিও নেভিগেশন, সার্চ ও কমেন্ট সংক্রান্ত কিছু পরিবর্তন শুধুমাত্র মোবাইল সংস্করণে দেখা যাবে। ফেসবুকের এই নতুন দিকনির্দেশনা মূলত ব্যবহারকারীর বন্ধুত্ব এবং যোগাযোগকে সহজ ও আরও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে।এইচএ
আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম। এ অবস্থায় মজুত ও পাইপলাইনে থাকা আনঅফিসিয়াল বিক্রি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে।নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অননঅফিসিয়াল ফোন বিক্রির জন্য বিক্রেতারা মার্চ মাস পর্যন্ত সময় পাবেন। অর্থাৎ মার্চ পর্যন্ত আনঅফিসিয়াল ফোন কিনলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা নিবন্ধিত হবে। এসব ফোন বন্ধ হবে না। মার্চ মাসের পর থেকে আর আনঅফিসিয়াল ফোন বিক্রির আরও কোনো সুযোগ থাকবে না।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে হ্যান্ডসেট উৎপাদক, বিটিআরসি ও মোবাইল ব্যবসায়ীদের মধ্যে হওয়া বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের সভাপতি মো. আসলাম।এ বিষয়ে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সরকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন বলেও জানান তিনি। এদিকে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে এনইআইআর সিস্টেম সংস্কারের দাবিতে কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।মোবাইল ফোন বিক্রেতাদের আন্দোলন বিষয়ে তিনি বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে আন্দোলন প্রত্যহারের বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হবে।আরডি
চ্যাটজিপিটি থেকে কপি-পেস্ট করে পড়াচ্ছেন শিক্ষকেরা
শিক্ষা ক্ষেত্রে গত কয়েক বছর ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়তে থাকায় এক নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাজ্যের স্ট্যাফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে তাদের জন্য এআই ব্যবহার করে কোর্স ও লেকচার তৈরি করা হচ্ছে।শিক্ষার্থীদের দাবি, এআই দিয়ে তৈরি এসব কোর্সে সন্দেহজনক ফাইলের নাম ও অপ্রত্যাশিত ভয়েসওভার উচ্চারণ শোনা যাচ্ছে, যা পড়াশোনার মান কমিয়ে দিচ্ছে। তাদের মতে, কোর্সের বেশিরভাগ অংশ এআই-নির্ভর হওয়ায় তারা শিক্ষকের জ্ঞান ও পড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জেমস ও ওয়েনসহ ৪১ জন শিক্ষার্থী ২০২৪ সালে স্ট্যাফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে কোডিং মডিউলের ওপর কোর্সে ভর্তি হন। এই কোর্সের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বা সফটওয়্যার প্রকৌশলী হওয়ার কৌশল শেখানো। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, পুরো এক টার্ম ধরে কোর্সটিতে এআই দিয়ে তৈরি স্লাইড ও মাঝে মাঝে একটি এআই ভয়েসওভার ব্যবহার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এটিকে তাদের জীবনের দুই বছর নষ্ট করার শামিল বলে অভিযোগ করেছেন এবং এর মাধ্যমে সবচেয়ে সস্তা উপায়ে কোর্স তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করছেন। শিক্ষার্থীদের প্রধান ক্ষোভের কারণ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিমুখী নীতি। শিক্ষার্থীদের যদি তাদের বাড়ির কাজ বা ক্লাসে এআই ব্যবহার করতে দেখা যায়, তবে তাদের নীতি লঙ্ঘনে অভিযুক্ত করা হয় এবং একাডেমিক অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করা হয়। অথচ তাদেরই এআই দিয়ে পড়ানো হচ্ছে। এক অধ্যাপকের সঙ্গে বিতর্কের সময় শিক্ষার্থী জেমস এই অসঙ্গতির কথা তুলে ধরেন।বারবার বিশ্ববিদ্যালয়কে এআই-নির্ভর লেকচার সম্পর্কে জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ এখনো কোর্স শেখানোর জন্য এআই দিয়ে তৈরি সামগ্রী ব্যবহার করছে এবং একটি বিবৃতির মাধ্যমে এআই ব্যবহারের ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করছে।যুক্তরাজ্যের শিক্ষা বিভাগ এআই ব্যবহারকে শিক্ষার উন্নয়নে স্বাগত জানালেও, শিক্ষকদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য এটি হতাশাজনক হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে। একটি জরিপে দেখা গেছে, তিন হাজার ২৮৭ জন শিক্ষকের মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশ তাদের শিক্ষাদানে এআই টুল ব্যবহার করছেন।অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে এআই ব্যবহারকারী অধ্যাপকদের সম্পর্কে নেতিবাচক রিভিউ পোস্ট করে অভিযোগ করছেন যে শিক্ষকেরা চ্যাটজিপিটি থেকে কপি-পেস্ট করে এনে পড়াচ্ছেন।স্ট্যাফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা শিক্ষা ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার ও নৈতিকতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ানএইচএ
জাপানের বাজারে এলো মানব ওয়াশিং মেশিন
জাপানের বাজারে এসেছে ‘মানব ওয়াশিং মেশিন’। ব্যবহারকারী একটি পডে শুয়ে ঢাকনা বন্ধ করলেই কাপড়ের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।‘হিউম্যান ওয়াশার অব দ্য ফিউচার’ নামের এই যন্ত্রের একটি মডেল গত অক্টোবরে ওসাকায় এক প্রদর্শনীতে প্রদর্শন করা হয়। সে সময় যন্ত্রটি দেখার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ে গিয়েছিল। জাপানি প্রতিষ্ঠান ‘সায়েন্স’ যন্ত্রটি তৈরি করেছে। এটি ১৯৭০ সালে ওসাকায় আয়োজিত এক্সপোতে প্রদর্শিত একটি পুরোনো পণ্যের আধুনিক সংস্করণ। গত শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) নির্মাতা কোম্পানি সায়েন্স-এর মুখপাত্র সাচিকো মায়েকুরা বলেন, ‘আমাদের কোম্পানির প্রেসিডেন্ট তখন ১০ বছরের শিশু ছিলেন। সেই প্রদর্শনী থেকেই তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই মেশিন শুধু শরীর নয়, মনও পরিষ্কার করে দেবে।’ একই সাথে ব্যবহারকারীর হৃদস্পন্দন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক লক্ষণও পর্যবেক্ষণ করবে।ওসাকার একটি হোটেল প্রথম ক্রেতা হিসেবে একটি মানব ওয়াশিং মেশিন কিনেছে এবং অতিথিদের জন্য সেবা চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।মূখপাত্র মায়েকুরা বলেন, ‘মেশিনটির মূল আকর্ষণ হলো- এটি খুবই বিরল একটি যন্ত্র। আমরা প্রায় ৫০টি মেশিন বানানোর পরিকল্পনা করছি।’ যন্ত্রটির বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ কোটি ইয়েন (৩ লাখ ৮৫ হাজার মার্কিন ডলার)।এইচএ
১৬ ডিসেম্বর থেকে অনিবন্ধিত মুঠোফোন বন্ধে কঠোর সরকার
সরকার ১৬ ডিসেম্বর থেকে মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন প্রক্রিয়া (এনইআইআর) চালু করতে যাচ্ছে। যা টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা জোরদার ও অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করবে। এই নতুন উদ্যোগের ফলে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নিবন্ধনবিহীন, চুরি হওয়া কিংবা অনুমোদনবিহীন আমদানি করা মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।নতুন ব্যবস্থার আগাম ঘোষণা পাওয়ার পর অনিবন্ধিত মোবাইল ডিভাইসের দাম বাড়ার আশঙ্কায় বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। তবে সাধারণ মানুষ বিশেষত ছাত্র-যুবকরা অভিযোগ করছেন, সরকারি শুল্ক ও ভ্যাটের কারণে অফিসিয়াল ফোনের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় তারা পছন্দের ফোন কেনার সুযোগ পাচ্ছেন না। একটি ২০ হাজার টাকার ফোনে ৫৭ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত হয়ে এর দাম ৫০ হাজার টাকারও বেশি হয়ে যাচ্ছে।অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা অনিবন্ধিত ফোন আমদানিতে ৫৭ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন। মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির সভাপতি মো. আসলাম বলেন, সরকার যদি আলোচনায় না আসে, তাহলে ব্যবসায়ীরা রাজপথে নামার পথে বাধ্য হবে।ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব জানান, দেশে ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল প্রতারণায় অবৈধ স্মার্টফোন ব্যবহৃত হচ্ছে, যা বন্ধ করতে সরকার এই কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, মোবাইল ফোন চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থে এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।নির্বাচনের আগে অবৈধ ডিভাইসকেন্দ্রিক অপরাধ দমন, সুলভ দামে মোবাইল সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি এই লক্ষ্য নিয়েই ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর কার্যকর করার সিদ্ধান্ত সরকার নেয়।আইসিটি বিভাগ জানিয়েছে, এনইআইআর চালুর আগের দিন পর্যন্ত নেটওয়ার্কে থাকা সব মোবাইল ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। পরবর্তীতে বিদেশ থেকে ফোন আনার ক্ষেত্রে অনলাইনে নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে। এইচএ
আইন-আদালত
সব দেখুন
সাবেক বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অর্ধবেলা বন্ধ সুপ্রিম কোর্ট
সাবেক বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি এএফএম মেজবাহ উদ্দিনের মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ আধাবেলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারকাজ বন্ধ থাকবে এবং বসবে না চেম্বার আদালতও।আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে সকালে ৭ বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিনের মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধায় আজ আপিল বিভাগ প্রথমার্ধের পর আর বসবে না। এছাড়া হাইকোর্ট বিভাগ (লাঞ্চের পর) দ্বিতীয়ার্ধে বসবে না। সেই সঙ্গে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতও আজ বসবে না।এর আগে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক বিচারপতি এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন (৮০)। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।সিনিয়র অ্যাডভোকেট এএফএম মেজবাহ উদ্দিন ১৯৭৭ সালের ৩ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০০ সালের ২৮ মে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। দুই বছর দায়িত্ব পালনের পর তাকে আর স্থায়ী বিচারপতি করা হয়নি। এরপর তিনি আবার আইন পেশায় ফিরে আসেন। ২০০৯-২০১০ সেশনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন এ আইনজীবী।তার মেয়ে অ্যাভোকেট সীমন্তী আহমেদ জানান, বনানী গোরস্থানে অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিনকে দাফন করা হবে।এইচএ
প্রবাস
সব দেখুন
বোলজানোতে কোচ কোম্পানির কর্মীদের উৎসবমুখর মিলনমেলা
ইতালিতে তাজা হিমায়িত খাদ্যপণ্যের জন্য পরিচিত কোচ (Koch) কোম্পানির কয়েক শতাধিক কর্মীর অংশগ্রহণে মিলনমেলা ও নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ইতালির বোলজানো শহরে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়। কোম্পানির মালিকপক্ষ কর্মীদের সম্মানে এই নৈশভোজের আয়োজন করে।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কোচ কোম্পানিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্তিন গোজার ও টমাসো গোজার। এ ছাড়া অন্যান্য কর্মকর্তারা সার্বিক সহযোগিতা করেন। এ সময় কোম্পানিতে ৫ বছর, ১০ বছর ও ২০ বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনকারী কর্মীদের সম্মাননা ও পুরস্কার দেওয়া হয়। পাশাপাশি কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্রিসমাস ডে উপহার।বোলজানোতে শতাধিক কর্মীর উপস্থিতিতে নাচ, গান ও আনন্দঘন পরিবেশে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো অনুষ্ঠানস্থল। অনুষ্ঠানে বক্তব্যে কোম্পানির মালিকপক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের কর্মীদের পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার প্রশংসা করেন।উল্লেখ্য, কোচ কোম্পানি ১৯৮০ সালে ইতালির বোলজানোতে পিটার গোজারের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘদিন ধরে এটি হিমায়িত খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ও গর্বিত নাম হিসেবে পরিচিত।কোচের জনপ্রিয় পণ্যের মধ্যে রয়েছে পিৎজা, পাস্তা ও অন্যান্য হিমায়িত খাদ্যসামগ্রী। প্রতিষ্ঠানটি পাইকারি বাণিজ্যের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক খুচরা চেইনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।গুণগত মান ও পণ্যের বৈচিত্র্যের কারণে ইতোমধ্যে কোচ কোম্পানির শাখা বিস্তৃত হয়েছে অস্ট্রিয়া, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, স্পেন, পর্তুগাল, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক ও ফ্রান্সসহ আরও বিভিন্ন দেশে।এসআর
লাইফস্টাইল
সব দেখুন
নিজেকে অন্যদের কাছে সম্মানিত করবে যে কাজগুলো
কিছু মানুষ যেখানেই যান, অন্যের কাছে সব সময় সম্মানিত হন। মানুষ তাদের কথা শোনে এবং তাদের সাথে ভালো আচরণ করে। সম্মান অর্জন ক্ষমতাশালী বা জনপ্রিয় হওয়ার বিষয় নয়, এটি অন্যদের সঙ্গে আপনি কীভাবে আচরণ করেন এবং প্রতিদিন নিজেকে কীভাবে পরিচালনা করেন তার ওপর নির্ভর করে। ছোট ছোট কিছু অভ্যাস ধীরে ধীরে সম্মান তৈরি করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কাজগুলো আপনাকে সম্মানিত করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্মান অর্জন আসলে অন্যদের সঙ্গে আপনার আচরণ এবং প্রতিদিনের ব্যক্তিগত পরিচালনার ওপর নির্ভরশীল। এটি এমন এক শিল্প যা রাতারাতি তৈরি হয় না, বরং ছোট ছোট কিছু অভ্যাস ধীরে ধীরে গড়ে তোলে আপনার মর্যাদা। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কাজগুলো আপনাকে অন্যদের কাছে সম্মানিত করবে।প্রথমত এবং প্রধানত, কথা রাখা বা প্রতিশ্রুতি পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ তাদেরকেই সম্মান করে যারা নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য। আপনি যখন কোনো প্রতিশ্রুতি দেন—তা সময়মতো কোনো মিটিংয়ে উপস্থিত হওয়া হোক, কোনো কাজ সম্পন্ন করা হোক বা কোনো গোপনীয়তা রক্ষা করা হোক—তা আপনাকে দায়িত্বশীল প্রমাণ করে।মনে রাখবেন, ছোটখাটো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা কমিয়ে দিতে পারে।দ্বিতীয়ত, কম কথা বলা এবং বেশি শোনা একটি শক্তিশালী অভ্যাস। মনোযোগ দিয়ে অন্যের কথা শুনতে পারাটা একটি শিল্প যা প্রায়শই আমরা অবমূল্যায়ন করি। যখন আপনি কাউকে বাধা না দিয়ে বা বিচার না করে মনোযোগ দেন, তখন সেই ব্যক্তি আপনার কাছে নিজেকে নিরাপদ ও মূল্যবান মনে করে।শ্রদ্ধা একটি পারস্পরিক বিষয়; আপনি যত বেশি শুনবেন, অন্যরা তত বেশি আপনার কথা শুনতে আগ্রহী হবে।এছাড়াও, সবার প্রতি সদয় হওয়া আপনার চরিত্রের দৃঢ়তা প্রকাশ করে। দয়া দেখানোর জন্য অর্থ খরচের প্রয়োজন নেই, ভালো ব্যবহার করাই যথেষ্ট। ধন্যবাদ বলা, ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বা ছোট কোনো সাহায্য করা অন্যের মনে আপনার জন্য একটি স্থায়ী ইতিবাচক ছাপ তৈরি করবে। কারণ মানুষ মনে রাখে আপনি তাদের কেমন অনুভব করালেন, এবং প্রকৃত দয়া সবসময়ই প্রশংসা অর্জন করে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিশৃঙ্খলার মধ্যে শান্ত থাকতে পারা। চাপের মুখে বা কঠিন পরিস্থিতিতেও যারা নিজেদের শান্ত মনোভাব বজায় রাখতে পারে, তারা অন্যদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। কঠিন পরিস্থিতিতে মেজাজ হারানো বা আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া দেখানো আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে। এর পরিবর্তে আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক সচেতনতা অনুশীলন করা আপনার প্রতি শ্রদ্ধা বৃদ্ধি করে।পরিশেষে, নিজের ওপর ক্রমাগত কাজ করা এবং শেখার অভ্যাস গড়ে তোলা মানুষকে সম্মানিত করে। ক্রমাগত শেখা—তা বই পড়া, নতুন দক্ষতা অর্জন বা আত্ম-প্রতিফলনের মাধ্যমেই হোক না কেন—তা আপনার নম্রতা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। এই অভ্যাস আপনাকে বিনয়ী ও নিরহংকারী রাখে।পাশাপাশি, আপনি যখন আপনার জ্ঞান অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেন এবং তাদেরও শিখতে সাহায্য করেন, তখন বিনিময়ে আপনি তাদের সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হবেন। এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলোই একজন ব্যক্তিকে দীর্ঘমেয়াদে সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে।এইচএ
