রাজধানীতে ডাকাতের হাতে জিম্মি রুপালি ব্যাংকের শাখা, ঘিরে রেখেছে র্যাব-পুলিশ
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চুনকটিয়া রুপালি ব্যাংকের শাখা ডাকাতের হাতে জিম্মির খবর পাওয়া গেছে।আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুপুরের দিকে ব্যাংকের ভেতরে ডাকাত ঢুকেছে খবর পেয়ে লোকজন জড়ো হতে শুরু করে। এর মধ্যে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব এসে উপস্থিত হয়। ব্যাংকের গেটের ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে রাখা হয়েছে। ভেতরে গ্রাহক থাকতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ভেতর থেকে একটি গুলির আওয়াজও পাওয়া গেছে। ব্যাংকের ভেতরে কর্মকর্তা–কর্মচারীসহ উপস্থিত সবাইকে ডাকাত দল জিম্মি করে রেখেছে।তারা আরও জানান, ব্যাংকের এই শাখাটিকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব। তাঁরা এ ভেতর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মাইকিং করছেন।দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের ভেতরে দুই থেকে তিনজন ডাকাত অবস্থান করছে।অভিযান চলমান থাকায় তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এবি
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদর দফতর পিলখানায় ঘটে যাওয়া সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে নতুন কোনো তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে না, কারণ এ বিষয়ে দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন না করার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার এই ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গড়িমসি করছে।তদন্ত কমিশনের দাবি জানিয়ে আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে। আন্দোলনের চাপে সেদিনই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার পর পিলখানা সদর দফতরে গুলির শব্দ শোনা যায়। বিডিআর সপ্তাহের কর্মসূচি চলায় প্রথমে এটি রুটিন অনুশীলন মনে হলেও কিছু সময়ের মধ্যেই বিদ্রোহের খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্রোহীরা পিলখানার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে।সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, হুইপ মির্জা আজম, এবং সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন। পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্রোহীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।বিদ্রোহ দমনে প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পিলখানার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগে। ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিদ্রোহ শেষ হয়। পিলখানা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর গণকবর থেকে উদ্ধার করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ বহু মানুষের লাশ।এই বর্বর হত্যাকাণ্ড পুরো জাতিকে হতবাক করে দেয়। ঘটনাটি সামরিক বাহিনীর ইতিহাসে এক অন্ধকার অধ্যায়। ঘটনার পর বাংলাদেশ রাইফেলসের নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়।এসএফ
জাতীয়
সব দেখুন
‘বিডিআর বিদ্রোহ নয়, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’
২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে "বিদ্রোহ" নয়, বরং পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করেছেন শহীদ কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী মেহরিম ফেরদৌসি। তিনি উল্লেখ করেন, ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করার ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয় এবং এটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার ষড়যন্ত্রের অংশ।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেওয়ার পর শহীদ পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।মেহরিম ফেরদৌসি বলেন:"এটি বিদ্রোহ ছিল না। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সেদিন সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী করা হয়েছে। লাশ পোড়ানোর ব্যবস্থা, পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে যাওয়া—সবকিছুই নৃশংসভাবে ঘটেছে।""সৎ ও তুখোড় সেনা কর্মকর্তাদের এমনভাবে হত্যা করা হয়েছে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার ষড়যন্ত্রের অংশ।" "আমাদের কাছে আজও পরিষ্কার নয় কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।"তৎকালীন বিডিআরের ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে ব্যারিস্টার রাকিন আহমেদ এবং অন্যান্য শহীদ পরিবারের সদস্যরাও এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও প্রকাশ্য বিচারের দাবি জানান।২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত এই ঘটনা সারা দেশকে স্তম্ভিত করে। বিদ্রোহের আড়ালে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, তাদের পরিবার এবং অন্যান্যদের হত্যা করা হয়।শহীদ পরিবারের দাবিঘটনাটি "বিদ্রোহ" নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।প্রকাশ্য তদন্ত ও দোষীদের বিচার নিশ্চিত করা।হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ ও ষড়যন্ত্র উদঘাটন।এসএফ
আইএমএফ চাইলেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চাইলেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এর পরিবর্তে দুর্নীতি বন্ধের মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমিয়ে ভর্তুকি কমানো হবে জানিয়েছেন তিনি।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। সরকারের এ কৌশলে আইএমএফও সম্মত বলে জানান উপদেষ্টা।এদিকে চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের জন্য চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ের বিষয়টি ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদ বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হবে। বোর্ডে অনুমোদন হলে ১০ ফেব্রুয়ারি তা ছাড় করা হবে বলে জানা গেছে।চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দরকষাকষি করতে ৩ ডিসেম্বর থেকে আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে আছেন। মিশন শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও এসব তথ্য জানান।ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা আইএমএফের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি।তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক আইএমএফ। অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি ও ব্যাংক খাতের সংস্কার চলমান রাখতে হবে।এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসনের প্রতিও জোর দেন আইএমএফের মিশন প্রধান।ক্রিস পাপাজর্জিও আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সংস্কারেই গুরুত্ব দিচ্ছে আইএমএফ। সঠিকভাবে খেলাপিঋণ চিহ্নিত করতে হবে। আর্থিক খাত পুনর্গঠনের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।এবি
ইজতেমা ময়দানের নিষেধাজ্ঞা খুব তাড়াতাড়ি কেটে যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শুধু নির্বাচন নয় যে কোন কিছুর জন্য পুলিশ প্রস্তুত। আমাদের পজিশন হলো- যারা অপরাধ করেছে, তারা অপরাধী,তাদের শাস্তির আওতায় আসতেই হবে। তাদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। আমরা তাদের কঠোর হস্তে দমন করবো এবং তারা আইনের আওতায় অবশ্যই আসতে হবে।’বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলার আইন শৃঙ্খলা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলার কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন, ইজতেমা ময়দানের নিষেধাজ্ঞা খুব তাড়াতাড়ি কেটে যাবে। এখন পরিস্থিতি মোটামুটি নরমাল হয়ে গেছে। যেহেতু ৩১, ১ ও ২ বিশ্ব ইজতেমার যে ডেট আছে জুবায়েরপন্থীদের ওই ডেটেই হবে।’স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘২ লাখ ২ হাজার আছে, যারা অপারেশনাল পুলিশ। প্রায় ১২ হাজারের মত সিভিল ও অন্যান্য। পুলিশ এখন পুরোপুরি ফাংশনাল। র্যাব, বিজবি, আনসার ও অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোন অসুবিধা হবে না।মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর রাফিসহ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস, কৃষি অধিদপ্তর ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
হাসিনা-টিউলিপের রাশিয়া সফর: রূপপুর প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
রাশিয়ার সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তিতে বিশাল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই চুক্তিতে ৪ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৩ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে টিউলিপ সিদ্দিক তার খালা, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগ দেন। ওই সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে হাসিনা এবং টিউলিপ উপস্থিত ছিলেন। এই সফরে রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের পাশাপাশি একটি ১ বিলিয়ন পাউন্ডের অস্ত্রচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের চুক্তিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। টিউলিপের সঙ্গে তার পরিবারের কিছু ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হওয়ায় এই বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে। লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টিউলিপের এই সফর এবং চুক্তি নিয়ে কোনো ভূমিকা ছিল না। তারা দাবি করেছে, তিনি এমপি হওয়ার এক দশক আগের ঘটনা এটি, এবং তিনি শুধুমাত্র তার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে, টিউলিপের রাজনৈতিক বিরোধীরা এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের মতে, এই সফর এবং সংশ্লিষ্ট ছবি-ভিডিওতে দেখা যায় যে, টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবারের উপস্থিতি এই চুক্তির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। এসএফ
আগামী বাজেটে করের চাপ থেকে সুরক্ষা পাবে গরিব মানুষ: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নানা শঙ্কাজনক কথা বললেও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এত খারাপ না, তবে চ্যালেঞ্জ আছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে গরিব মানুষকে করের চাপ থেকে সুরক্ষা দেওয়া হবে।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ের আগে তৃতীয় পর্যালোচনা করতে আইএমএফের ১০ সদস্যের একটি দল ঢাকা সফর করছে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সংস্থাটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপে আছে। গণঅভ্যুত্থান, বন্যা ও সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণের কারণে বছর শেষে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। সময়মতো অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করায় ক্রমান্বয়ে অর্থনীতি স্বাভাবিক হচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থাটি আরও জানায়, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এখনো ধীরগতি ও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ব্যাংক থেকে মূলধন বের হয়ে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে চাপে ফেলেছে।তবে দেশের অবস্থা এতো খারাপ না মন্তব্য করে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফ নানা শঙ্কাজনক কথা বললেও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এত খারাপ না, তবে চ্যালেঞ্জ আছে। উপদেষ্টা আরও বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপকে টাকা দেয়া হয়েছে মানবিক কারণে। না হলে শ্রমিকদের বেতন দিতে পারত না। যে চুরি করেছে তাকে শাস্তি দিতে হবে। শ্রমিকদের কষ্ট দেয়া যাবে না। এছাড়া আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে গরিব মানুষকে করের চাপ থেকে সুরক্ষা দেয়া হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা শুধু ফাঁকফোকর খোঁজে। ঠিকমতো কর দেয় না। ৫০ কোটি টাকা ব্যবসা করে ৪ কোটি টাকা ট্যাক্স দিতে চায় না। এদিকে, বাংলাদেশে সফররত আইএমএফের প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও জানিয়েছেন, চতুর্থ কিস্তির সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার বাংলাদেশ ফ্রেব্রুয়ারির শেষে পাবে। একই পরিমাণ অর্থ পাবে পঞ্চম কিস্তিতে। সেই কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে মার্চ বা এপ্রিলে চতুর্থ পর্যালোচনা করবে আইএমএফ। মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, বাংলাদেশের জন্য ভালো খবর হলো আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬.৭ শতাংশে দাঁড়াবে। ওইসময় মূল্যস্ফীতিও ৫-৬ শতাংশে নেমে যাবে। তবে করছাড়ের সংস্কৃতি থেকে বের হওয়া, ব্যাংকখাতের সংস্কারে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রণয়ন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার উপর জোর দিতে হবে।এবি
কায়রোয় প্রধান উপদেষ্টা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার মিশরের রাজধানী কায়রোয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।ডি-৮ (ডেভেলপিং এইট) অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার ২০২৪ সালের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে মিশরের কায়রোতে। বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই সম্মেলনে অংশ নিতে গত বুধবার মিশরে পৌঁছান।ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ড. ইউনূস এবং শাহবাজ শরিফ উভয়ে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।ডি-৮ সংস্থা উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিশর, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, এবং নাইজেরিয়া এর সদস্য। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখা হয়।এসএফ
অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ নির্বাচন করবে না: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ (উপদেষ্টা) রাজনীতি করে না। তাই আমরা কেউ নির্বাচনও করব না।সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, কোনো উপদেষ্টা নির্বাচন করতে চাইলে পরিষদ থেকে বেরিয়ে রাজনৈতিক দলে যেতে হবে। ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করা যাবে না।আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক বহাল প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সবাই যদি মনে করে নির্বাচন নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার করবে অথবা নতুন কাউকে যুক্ত করা হবে তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইনে যে সময়সীমা রয়েছে সেটি কীভাবে সমাধান হবে।তবে এখনই এ বিষয়ে হাত দেওয়া হবে না বলে জানান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।স্থলবন্দর পরিদর্শনের সময় নৌ পরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান, গোয়াইনঘাটের ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম, তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানসহ অনেকে।এবি
নির্বাচনে আঃলীগের অংশগ্রহণে কোনো বাধা দেখছি না: বদিউল আলম মজুমদার
আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে কোনো বাধা দেখছেন না নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে মুক্ত আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে এ নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন কমিশন কোনো ধরনের বাধা দেবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এসময় বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অতীতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ায় নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারেনি। তবে এবারের নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসনসহ নির্বাচনী কর্মকর্তারা সব ধরনের প্রভাব মুক্ত থাকবেন। যে কারণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি। সব রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শেষে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার প্রস্তাব পেশ করা হবে বলেও জানান নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান। এবি
সর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুন
অসুস্থতার কারণে মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে যোগ দেবেন না খালেদা জিয়া
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে যোগ দিতে পারবেন না বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। অসুস্থতার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, "খালেদা জিয়া গত পরশু রাত থেকে অসুস্থ। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার ২১ ডিসেম্বরের সমাবেশে উপস্থিত থাকার পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।" জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাত জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে ২১ ডিসেম্বর এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়ার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালেদা জিয়া সাজামুক্ত হন। এরপর তিনি ৭ আগস্ট নয়াপল্টনে বিএনপির একটি সমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর সশরীরে অংশ নেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষবারের মতো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এসএফ
অসুস্থতার কারণে মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে যোগ দেবেন না খালেদা জিয়া
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে যোগ দিতে পারবেন না বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। অসুস্থতার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, "খালেদা জিয়া গত পরশু রাত থেকে অসুস্থ। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার ২১ ডিসেম্বরের সমাবেশে উপস্থিত থাকার পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।" জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাত জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে ২১ ডিসেম্বর এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়ার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালেদা জিয়া সাজামুক্ত হন। এরপর তিনি ৭ আগস্ট নয়াপল্টনে বিএনপির একটি সমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর সশরীরে অংশ নেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষবারের মতো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এসএফ
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রেস সচিবের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী: ফখরুল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী ও অস্পষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি। 'নির্বাচন নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে বিএনপি হতাশ’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেয়া ড. ইউনূসের ভাষণে নির্বাচনের সময় একেবারে অস্পষ্ট। নির্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ নেই। তিনি ও তার প্রেস সচিবের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী। এমন বক্তব্য বিভ্রান্তি ছড়াবে। আমরা হতাশ হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রত্যাশা করে।তিনি বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রীক সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। রাজনৈতিক দল ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা উচিত।‘বিএনপি সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ আশা করে’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নতুন কমিশন গঠন হয়ে গেছে, অতি দ্রুত নির্বাচন সম্ভব। ঘোষিত টাইমলাইন যৌক্তিক হয়নি। এই সময়, শেখ হাসিনার আমলে যত নির্বাচন হয়েছে তার সবই অবৈধ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।এদিকে মঙ্গলবার (১৭ ডিসম্বের) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে শফিকুল আলম বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। নির্বাচনী রোডম্যাপ খুব স্পষ্ট দেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত তারিখ কী? সেটা নির্ভর করবে সংস্কারের ওপর। প্রধান উপদেষ্টা একটা সময় দিয়ে দিয়েছেন। এর চেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ কী হতে পারে? আপনি আশা করতে পারেন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এখন আপনি যদি বলেন মনোনয়ন দাখিলের সময় কবে? সেটা নির্বাচন কমিশন দেবে। ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদ।এ সময় উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ, কবে মনোনয়ন দাখিল হবে এগুলো নির্বাচন কমিশনের কাজ। সরকারের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। এর আগে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।অধ্যাপক ইউনূস বলেন, যদি অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয় তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।এবি
জনগণ ইসলামী দলের মধ্যে ঐক্য কামনা করছে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য কামনা করছে। বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা পূরণের ব্যবস্থা যেন আল্লাহ করে দেন এ দোয়াই করি।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন তিনি। শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নেতারা এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। এখনো তারা ইসলামী আদর্শের উপর অটল ও অবিচল আছেন এবং সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াতে ইসলামী ও নেজামে ইসলাম পার্টি সবসময়েই পরস্পরের কাছাকাছি থেকে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও নেজামে ইসলাম পার্টি যার যার জায়গা থেকে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার যে আকাঙ্ক্ষা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা পূরণ করার জন্য আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। মতবিনিময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির আল্লামা সারওয়ার কামাল আজিজী, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল মাজেদ আতাহারী, মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান মাহমুদী ও মাওলানা ডা. ইলিয়াস খান প্রমুখ।এবি
প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইমস্কেলের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি
২০১৩ সালের জাতীয়করণে অন্তর্ভুক্ত প্রাথমিক ৪৮৭২০ শিক্ষকদের ‘জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাইমস্কেল সংক্রান্ত বিধির বিপরীতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ১২ আগস্টের প্রজ্ঞাপন’ বাতিলের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে দলটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।শিক্ষকদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ফয়সাল মাহমুদ শান্ত।তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ১২ আগস্টের চিঠি দেওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী অবসরে যাওয়া শিক্ষকরা সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছিলেন। অনেক শিক্ষক সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে মৃত্যুবরণও করেছেন। দুঃখজনক হলে সত্য যে বর্তমানে যারা পিআরএল, পেনশনে যাচ্ছেন তারা ওই পত্রের কারণে অমানবিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আবার অনেকে ন্যায্য পাওনা না পেয়ে অসুস্থতায় ভুগছেন এবং কেউ ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন, যা সম্পূর্ণ অমানবিক ও বেআইনি। ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি শিক্ষকদের অবর্ণনীয় কষ্ট লাঘবে বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে জরুরি ভিত্তিতে সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আপনাদের মাধ্যমে আমাদের নিম্নবর্ণিত দাবি বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। অবৈধ পত্রটি বাতিল করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা যেন কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্যের শিকার জাতীয়করণ করা শিক্ষকরা ৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছেন, শিক্ষকদের অমানবিক কষ্টের কথা বিগত স্বৈরাচার সরকারের প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব কেউই কোনো প্রকার গুরুত্ব দেননি। অবশেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিগত সরকার বিতাড়িত হয়। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বারবার সদয় দৃষ্টি কামনা করা হয়। কিন্তু আজ অবধি এ বিষয়ে কোনো প্রকার পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিক্ষকরা মর্মাহত ও সংক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে অতি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবিটি দ্রুত সময়ে মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ সপ্তাহের মধ্যে আমরা শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠি দেব। ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার শিক্ষকদের দাবি মনে নেবে বলে আশা করছি।সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব ড. আতিক মুজাহিদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, কেন্দ্রীয় সদস্য মোল্লা ফারুক এহসান, জয়নাল আবেদিন শিশির, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি আলী আক্কাস, মহাসচিব মহিউদ্দিন খন্দকার, আবুল কালাম আজাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এবি
সালমান রহমানের দাড়ি কামানো নিয়ে যা বললেন ডা. জাহিদ
আওয়ামী লীগ নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, এত পরিমাণ গুম খুন ও লুট করেও শেষ রক্ষা হয়নি। নিজেকে বাঁচার ভয়ে আপনি (সালমান এফ রহমান) নিজের দাড়ি কামিয়েছেন। অতএব অহংকার পতনের মূল। প্রত্যেকটা কাজের হিসাব কিন্তু আগামী প্রজন্মের কাছে দিতে হবে। কেউ হয়তো নেদারল্যান্ড গেছেন। কলকাতা গেছেন। কেউ চট করে ঢুকার চেষ্টা করছেন। সৎ সাহস থাকলে ঢুকেন বিচারের মুখোমুখি হোন।বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ডা. জাহিদ বলেন, আমরা রাষ্ট্র মেরামত করার লক্ষ্যে ৩১ দফা নিয়ে কাজ করছি। অতিদ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। এরশাদের পতনের সময় কতদিন পর নির্বাচন হয়েছিলো সেটি সবারই মনে থাকার কথা। নির্বাচন করতে কতদিন লাগে সেটি দেশের মানুষ জানে। যেহেতু পতিত স্বৈরাচার সরকার সাড়ে ১৫ বছরে দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। সেজন্যই সব রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বতীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করছেন। কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে।তিনি অন্তর্বতী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, সব সংস্কার তো আপনারা করতে পারবেন না। কখন নির্বাচন হবে সেটা স্পষ্ট করুন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন একরকম, আবার তার প্রেস সচিব বলেন, আরেক রকম। আপনাদেরকে তো আমরাই সবাই মিলে সহযোগিতা করছি। আপনার কে কথা বলবেন দায়িত্ব নিয়ে বলুন। না হলে মানুষ বিভ্রান্ত হবেন।তিনি আরো বলেন, মানুষের দুর্বিষহ জীবন। এখান থেকে উত্তরণের জন্য জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। পতিত স্বৈরাচার সরকারের প্রেত্মাত্মারা এখনো ঘাপটি মেরে আছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনুন। তবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। যারা দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করতে চায় তাদেরকে দেশবাসী স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে ইনশাআল্লাহ।সভাপতির বক্তব্যে জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, স্বাধীনতার মাস ডিসেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের স্বাধীনতার গৌরব ছিনতাই করতে চায়। বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ যুদ্ধ করে অপরিসীম ত্যাগ শিকার করেছেন। আমরা নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যকে ঘৃণা করি, প্রত্যাখ্যান করি। ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে সেটি কেউ বিনষ্ট করতে পারবেন না। আগামীতেও সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করবে ইনশাআল্লাহ।সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, নরেন্দ্র মোদির মন্তব্য বাংলাদেশের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার শামিল। রক্ত দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে আমরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে পিছপা হবোনা।বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই সরকারকে অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। যদি কোনো উপদেষ্টা কিংস পার্টি গঠনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার কল্পনা করেন সেটি হবে ভুল চিন্তা। কারণ আমরা লড়াই করতে জানি। রাজপথে এখনও আছি।এসএফ
ভোটের রোডম্যাপ নিয়ে বিএনপির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন
ভোটের রোডম্যাপ নিয়ে বিএনপির যে প্রত্যাশা ছিলো তা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। সরকার আন্তরিক হলে ৪-৬ মাসের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব বলেও জানান তিনি।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীর কড়াইল এলাকায়, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সালাউদ্দিন আহমেদ। এ সময় গণতান্ত্রিক যাত্রায় কোনো কৌশল প্রয়োগ না করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।বিএনপির এই নেতা বলেন, ভোটের অপেক্ষায় আছে, তাই যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার সেরে ভোটের আয়োজন করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ব্যর্থতায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অনেক ফ্যাসিবাদের দোসররা পালিয়ে গেছে। দোসরদের পালাতে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের চিহ্নিত করার দাবিও জানান তিনি।এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংবিধানে এ ব্যবস্থা পুরোপুরি ফিরে আসা দেশ ও জাতির জন্য ইতিবাচক।এসএফ
বিএনপির প্রত্যেক কর্মীকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিএনপির জনসমর্থন দেখে কিছু শক্তি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে, তবে তাদের ষড়যন্ত্র থামেনি। তিনি বিএনপির সকল নেতাকর্মীকে এসব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তারেক রহমান বলেন, দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে বিএনপির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পৌঁছাতে হবে এবং জনগণের আস্থা অর্জন করা প্রতিটি কর্মীর জন্য প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার বাসন থানার টেকনগপাড়ায় সাগর-সৈকত কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত "রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি" শীর্ষক এক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তারেক রহমান বলেন, "বিএনপির প্রত্যেক কর্মীকে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। এটাই রাজনৈতিক কর্মীর সবচেয়ে বড় সফলতা।" তিনি আরও বলেন, জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে এবং তাদের আস্থা অর্জন করা একজন রাজনৈতিক কর্মীর দায়বদ্ধতা। জনগণ যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট দিতে পারে, সে পরিবেশ তৈরি করার জন্য বিএনপি কাজ করবে। বিএনপি কখনোই জাল ভোট, কারচুপি বা ভোটাধিকার হরণে বিশ্বাসী নয়, বরং জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দিতে চায়।তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, "যারা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে, তাদের কঠোরভাবে রুখে দিতে হবে।" রাষ্ট্র মেরামতের জন্য জনগণের সমর্থন অর্জন জরুরি এবং এ সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়, তা তিনি উল্লেখ করেন।তারেক রহমান বলেন, আসন্ন নির্বাচনে সফল হতে হলে বিএনপির নেতাকর্মীদের জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। আগামী নির্বাচন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও কঠিন হবে। তাই সকল নেতাকর্মীকে জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে হবে এবং তাদের সমর্থন ধরে রাখতে হবে।এ কর্মশালায় গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্যা মাহমুদা হাবিবা, কেন্দ্রীয় সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, বিএনপি নেতা আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, শাহ রিয়াজুল হান্নান সহ আরও অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে তাদের মতামত ও প্রতিক্রিয়া জানান এবং তারেক রহমান তাদের উত্তর দেন।এসএফ
চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
দুই শিক্ষার্থী হত্যা, জড়িতদের ধরতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে একদল শিক্ষার্থী। হত্যাকারীদের আইনের আওতায় না আনলে রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর রামপুরা ব্রিজে বিক্ষোভ সমাবেশ এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।সমাবেশে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাজিফা জান্নাত বলেন, বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অথচ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি দুই শিক্ষার্থী হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদ বিন রনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা হচ্ছে ছাত্র-জনতা। এখন ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে এই সরকারের কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।এর আগে, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার বিচারের দাবিতে বুধবার বিকেল ৪টার পর ব্রিজে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা প্রতিবাদ সমাবেশ করলে ব্রিজের পূর্ব পাশের দুই লেন বন্ধ হয়ে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় এদিকে সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে মশাল মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি রামপুরা ব্রিজ হয়ে মেরুল বাড্ডার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ঘুরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে এসে শেষ হয়।উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর ভোরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহানকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সীমান্ত। এর দুই দিন পর ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেলে তার মৃত্যু হয়।এসএফ
কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন
রাজধানীর কড়াইলে বৌ-বাজার বস্তিতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাঁচটি ইউনিট।ঘটনাস্থলে যাচ্ছে আরও ৪টি ইউনিট।বুধবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তাদের বেশ কয়েকটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থালে গেছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত সে বিষয়ে এখনো জানা যায়নি।ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাকিবুল ইসলাম বলেন, বিকাল সোয়া ৪টার দিকে কড়াইল বৌ-বাজার বস্তিতে আগুন লাগার খবর আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাঁচটি ইউনিট। আরও চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। যানজটের কারণে রাস্তায় আটকে আছে।দেশের অন্যতম বড় বস্তি এই কড়াইল বস্তিতে তিন লাখেরও বেশি মানুষ বাস করে।মূলত, গুলশান ও মহাখালীর মাঝামাঝি বনানী লেকপাড় এলাকায় কয়েক দশক আগে এই বস্তি গড়ে ওঠে।এসএফ
ঢামেকেও সাদ-জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষ
ইজতেমা মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৪০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসক। পরে ঢাকা মেডিকেলেও দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় হাসপাতালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।জানা যায়, ঢাকা মেডিকেলে আহতদের আনা হলে তাদের মধ্যে বেলাল হোসেন (৫৫) নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহতদের মধ্যে একজন জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়াল্টিতে (ওসেক) লাইফ সাপোর্টে আছেন।এদিকে বুধবার সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালের ভেতরে কয়েক দফায় সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরে হাসপাতালে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়।জুবায়েরপন্থি সমর্থকরা জানান, আজ সমন্বয়কসহ সকালে দুই গ্রুপের মিটিং হওয়ার কথা। কিন্তু সাদপন্থিরা ইজতেমা মাঠে ঢুকে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা জোর করে ইজতেমা মাঠে ঢুকে ঘুমন্ত মানুষের ওপর হামলা চালায়।জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, টঙ্গী এলাকা থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় হাসপাতালে এখন পর্যন্ত আহত ৪০ জন এসেছেন। এদের মধ্যে বেলাল হোসেন নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একজন জরুরি বিভাগের ওসেকে লাইফ সাপোর্টে আছেন।তিনি জানান, সংঘর্ষের পর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হাসপাতালে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এসএফ
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিভা গ্রেফতার
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল মল্লিক বলেন, আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নিষিদ্ধের পরও রাজনৈতিক তৎপরতার চেষ্টা চালাচ্ছে গ্রেফতার রিভাসহ সংগঠনের অনেকে। তিনি আরও জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে নানা সময়ে ‘বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের’ জন্য আলোচিত রিভা ইডেন কলেজের মার্কেটিং বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
রাজধানীর দক্ষিণখানে ট্রাকচাপায় নিহত ১
রাজধানীর দক্ষিণখানে ট্রাকচাপায় মাহমুদুল হাসান মাসুম (৩৮) নামে মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি গাজীপুর পুবাইলে ইউনিলিভার ডিপোর পরিবহন শাখায় চাকরি করতেন।রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণখান শহিদনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক দুপুর সোয়া ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।মৃত মাসুমের সহকর্মী এনামুল হক ওয়াসির জানান, তারা দক্ষিণখান ময়নারটেক এলাকায় থাকেন। এবং দুজনই গাজীপুর পুবাইলে ইউনিলিভার ডিপোতে চাকরি করেন। মাসুম পরিবহন শাখায় ছিলেন। সকালে বাসা থেকে মোটরসাইকেল যোগে অফিসে যাচ্ছিলেন। মাসুম মোটরসাইকেলের পিছনে বসা ছিলেন। দক্ষিণখান শহিদনগর এলাকায় আসলে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান। এসময় একটি ট্রাক মাসুমকে চাপা দেয়। তিনি নিজেও সামান্য আহত হন। পরে মাসুমকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।মাসুমের বন্ধু হাসিবুল কবির জানান, তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার দশবাহা গ্রামে। মাসুমের বাবার নাম মৃত ইব্রাহিম খলিল। দক্ষিণখান ময়নাটেক এলাকায় থাকতো। সকালে মোটরসাইকেল যোগে গাজীপুর অফিসে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হোন।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।এআই
কুষ্টিয়া সীমান্তে ২৬ লাখ টাকার কোকেন ও ফেনসিডিল উদ্ধার করল বিজিবি
কুষ্টিয়ায় মালিকবিহীন অবস্থায় ০.৫৩০ কেজি ভারতীয় কোকেন এবং ১০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় জেলার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী তালতলার ঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন অবস্থায় মাদকগুলো উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন, কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন ৪৭ বিজিবিএর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান, পিএসসি। এ সময় বিজিবি সুত্রে আরও জানা যায়, নাঃ সুবেঃ মো. শাহাবুদ্দিন এর নেতৃত্বে আশ্রায়ন বিওপির টহল দল কর্তৃক সীমান্ত পিলার ১৫৩/১০-এস হতে আনুমানিক ১.৫ কিঃমিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাল তলার ঘাট নামক স্থানে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় কোকেন ০.৫৩০ কেজি এবং ভারতীয় ফেন্সিডিল ১০ বোতল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক সিজার মূল্য ২৬,৫৪,০০০/- (ছাব্বিশ লক্ষ চুয়ান্ন হাজার) টাকা। উদ্ধারকৃত কোকেন ও ফেন্সিডিল এর বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানায় জিডি এন্ট্রি করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এআই
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া যশোরের ভাইরাল ভিডিওটি জঙ্গি নাকি অভিনয়ের দৃশ্য
যশোর সদর উপজেলার রামনগরের জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার একটি অনুষ্ঠানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে মুখোশ পরে একজন আরবিতে বক্তব্য দিচ্ছেন। তার নিরাপত্তার জন্য দুই পাশে মুখোশ পরা দুই জন অস্ত্রহাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এদিকে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তোলপাড় চলছে সারা দেশজুড়ে। অনেকে এটিকে জঙ্গি সমাবেশ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তবে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, জঙ্গিবাদের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। গত ১৭ ডিসেম্বর বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যেমন খুশি তেমন সাজোর একটি চিত্র। বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, রামনগরের এক মাদ্রাসায় যেমন খুশি তেমন সাজো অনুষ্ঠানে তিন ইসলামি সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অভিনয় করেছে তিন মাদ্রাসার ছাত্র। যেহেতু বন্দুকে লেখা ছিল না খেলনা বন্দুক, যেহেতু সন্ত্রাসীদের পোশাকে লেখা ছিল না অভিনয়ের পোশাক, তাই অনেকেই বুঝতে পারেনি যে অভিনয় চলছে। আমিও বুঝতে পারিনি। নাটিকাটিতে কোরানের যে দুটো সুরা উচ্চস্বরে পড়া হয়েছে, সে দুটো সুরা কতল এবং জিহাদের পক্ষে । ছাত্ররা নাকি সন্ত্রাসী হামাসের ভূমিকায় অভিনয় করেছে, কেউ কেউ বলেছে আইসিসের ভূমিকায়। তবে প্রশ্ন হলো, এরা কি জিহাদের বা সন্ত্রাসের পক্ষে মেসেজ দিচ্ছে, নাকি বিপক্ষে? ধামাচাপাবাজেরা বলবেন, সন্ত্রাসের বিপক্ষে। সন্ত্রাসের বিপক্ষে কি না, তা ফ্যাক্টচেক করায় পারদর্শিরা একবার চেক করুন তো! মাদ্রাসার শত শত ছাত্র কী শিখলো, জিহাদে যেতে হবে, নাকি জিহাদকে বর্জন করতে হবে, ফ্যাক্টচেক করে জানান দ্রুত। যশোরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আমিনুর রহমান মামুন মন্তব্য করেছেন, জিহাদের পক্ষে না বিপক্ষে কোন ম্যাসেজ দিলেন আপনারা? কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মগজে কোনটি গেথে গেল - এর জবাব কে দেবে?মহুয়া চৌধুরী ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করে বলেছেন, এগুলো মিঃ: ফারুকী র উর্বর মস্তিষ্কের ফল। সে বলেছিলো ইসলামকে সাংস্কৃতিক রুপ দেবে। যেমন খুশি তেমন সাজো একটি রুপক। ম্যাসেজ ভিন্ন।কন্টেন্ট ক্রিয়েটর যশোরের ছেলে বি কে লিটন মন্তব্য করেছেন, আমি গেছিলাম সেখানে ! তিনি আরও বলেন, যশোর জামিয়া ইসলামিয়া রামনগর রাজারহাট যশোর। প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতী লুৎফুর রহমান ফারুকী। ভিডিও আসছে এই বিষয় নিয়ে এই মাদ্রাসা যেমন খুশি তেমন সাঁজের অনুষ্ঠানের অংশ ভাইরাল হয়েছে মাত্র। এটা কেউ সিরিয়াস নিবেন না।যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর ই আলম জানান, মাদরাসা অনুষ্ঠানের ভিডিওতে দেখা যায়, অস্ত্রহাতে মুখে মুখোশ পরা দুইজন দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। আর মাঝে আরবিতে বক্তব্য দিচ্ছে একজন। এছাড়া মঞ্চে কয়েকজনকে বসে আছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে। ভিডিওটি জেলা পুলিশের সাইবার টিমের নজরে আসে। পরে একাধিক টিম অনুসন্ধানে নামে। তবে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে দৃশ্যটি আসলে যেমন খুশি তেমন সাজো মঞ্চে অভিনয়ের একটি দৃশ্য। যেখানে মাদরাসার তিন ছাত্র অভিনয়ে অংশ নেয়। এছাড়াও অস্ত্র সাদৃশ্য বস্তু দুটি উদ্ধার করে দেখা যায় কর্কশীট দিয়ে তৈরী খেলনা অস্ত্র। ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম্যে ভাইরাল করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। এই বিষয়ে, জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার মুহতামিম মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, গত ১৭ ডিসেম্বর মাদরাসায় বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যেমন খুশি তেমন সাজোর একটি চিত্র জঙ্গি সমাবেশ বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করা হয়েছে৷ জঙ্গিবাদের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই৷ অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে সেটা অভিনয়ে বোঝানো হয়েছে। আরবিতে দেয়া বক্তব্য অনুবাদ করলেই বোঝা যাবে৷ তাদের হাতে বানানো খেলনা অস্ত্র ছিল। এবি
শার্শা সীমান্ত থেকে একইদিনে ৩ মরদেহ উদ্ধার
যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে সাকিবুল হাসান (৩০) নামে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে বিএসএফের নির্যাতনে শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত থেকে একই দিনে তিন বাংলাদেশীর লাশ উদ্ধার করলো পুলিশ।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে শার্শা উপজেলার অগ্রভ‚ লোট গ্রামের কাদেরের মোড়ের নিচে চাঁদআলীর বাঁশবাগানের সামনে ইছামতী নদীর পাড়ে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।নিহত সাকিবুল হাসান যশোরের চৌগাছা উপজেলার শাহাজাদপুর গ্রামের জামিল ঢালির ছেলে।এর আগে সকালে অগ্রভ‚ লোট সীমান্ত থেকে জাহাঙ্গীর আলম (৫০) ও পুটখালি সীমান্ত থেকে সাবু হোসেন (৩৫) এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাবু হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত আরিফ হোসেনের ছেলে ও জাহাঙ্গীর আলম একই থানার কাগজপুর গ্রামের মৃত ইউনুচ আলী মোড়লের ছেলে।বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ৮/১০ জনের একটি চোরাচালানী দল অবৈধ পথে ভারত সীমান্তে চোরাচালানী পণ্য আনতে যায়। এদের মধ্যে ৩/৪ জন ভারতীয় বিএসএফের হাতে আটক হয়। বাকীদের কোন খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। বিএসএফ আটকদের বেদম মারপিট করে। মৃত্যু নিশ্চিত করে সীমান্তের ইছামতি নদীর পাড়ে ফেলে রেখে দেয়। স্থানীয় লোকজন মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দেয়। পরে সকালে দুইটি ও বিকেলে একটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। উদ্ধারকৃত মরদেহ গুলোর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাতে দড়ি ও বাধা আছে।সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কি ভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে আমরা তদন্ত করছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে মৃত্যুর কারণ জানাতে পারবো বলে তিনি জানান।খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শার্শার সীমান্তের ইছামতি নদীর পাড় থেকে সকালে দুইটি ও বিকেলে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের পরিচয়ও পাওয়া গেছে। তাদের গায়ে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এআই
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের মাসিক কল্যান ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের প্যারেড পরিদর্শন ও মাসিক কল্যান সভা এবং অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ লাইন্স প্যারেড গ্রাউন্ডে অভিবাদন গ্রহণ ও প্যারেড পরিদর্শন করেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান। জেলা পুলিশের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও সদস্যগণ মাস্টার প্যারেডে অংশগ্রহণ করেন। প্যারেড পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার মহোদয় প্যারেডে অংশগ্রহণকারী সকল অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় তিনি জেলা পুলিশের সকল সদস্যদেরকে মহন বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জনান এবং ডিসিপ্লিন মেনে পেশাদারিত্বের সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে ব্রতী হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। মাস্টার প্যারেডে প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আতোয়ার রহমান। পরে পুলিশ লাইন্স সভা কক্ষে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত দায়িত্বে (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) এর সঞ্চালনায় মাসিক কল্যাণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পুলিশের সুযোগ্য পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। কল্যান সভার প্রক্কালে পূর্বের চাহিদার ভিত্তিতে কুষ্টিয়া সদর মডেল থানা ও খোকসা থানার অনুকূলে বরাদ্দকৃত পিকাপ গাড়ির চাবি হন্তান্তর করেন পুলিশ সুপার মহোদয়।কল্যাণ সভায় বিগত মাসের কল্যাণ সভায় প্রস্তাবিত কল্যাণমূলক প্রস্তাবসমূহ অনুমোদনক্রমে বাস্তবায়ন করা হয় এবং একই সাথে জেলা পুলিশের সকল থানা-ফাঁড়িসহ অন্যান্য ইউনিটে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান এবং পুলিশের বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। কল্যাণসভা শেষে অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অপরাধ পর্যালোচনা সভায় জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা, অফিসার ফোর্সদের রোলকলের মাধ্যমে নিয়মিত ব্রিফ প্রদান, ড্রেসরুল যথাযথভাবে প্রতিপালন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, মিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, মুলতবি মামলা ও স্পর্শকাতর মামলা সমূহের অগ্রগতি ও জেলার গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়। এসময় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আতোয়ার রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার, মিরপুর সার্কেল আব্দুল খালেক, জেলার পুলিশ অফিসে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক গন, সকল থানার অফিসার ইনচার্জ গন ,অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা, ডিআইও-১ জেলা বিশেষ শাখা,কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান), কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্সের আরআই সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।এআই
মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষানবিশ নারী আইনজীবীর মৃত্যু
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব নামক স্থানে দুটি মটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত রোমানা আক্তার মেহেরপুর শহরের কাশ্যব পাড়ার মৃত খোকন আলীর কন্যা। তিনি ঢাকা জেলা জজ আদালতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরো তিন জন।জানা যায়, মেহেরপুর থেকে গাংনী যাওয়ার পথে গাড়াডোব নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হন ৪ জন। রোমানা আক্তার কে গুরুতর আহত অবস্থায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ সময় বাকি তিনজনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার তারিক আহমেদ জানান, গুরুতর আঘাতের ফলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগত কোন কাজে মেহেরপুর থেকে গাংনীর উদ্দেশ্যে চাচাতো ভাই বাবুকে সাথে করে রওনা দেয় রোমানা আক্তার।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল করিম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।পিএম
কুমিল্লায় জুবায়েরপন্থিদের বিক্ষোভ, ঢাকা চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ
তাবলিগ জামাতের ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিচার দাবিতে কুমিল্লায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন জুবায়েরপন্থিরা। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ১১টায় আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তারা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এর আগে সকাল ৯ টা থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। কুমিল্লার উলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সমাবেশের কারণে মহাসড়কের দু’পাশে অন্তত ৬ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সমাবেশে তারা দাবি জানান, রাতের অন্ধকারে সাদপন্থি যারা নিরীহ তাবলিগ জামাতের সাথীদের হত্যা করেছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। কুমিল্লার জেলার সব মসজিদ থেকে সাদপন্থিদের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।তারা আরও দাবি জানান, যে ধারায় ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেভাবে সাদপন্থিদেরও নিষিদ্ধ করতে হবে। এ সময় বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া মুফতি শামসুল ইসলাম জিলানী বলেন, ‘সাদপন্থিদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আমরা এখানে জড়ো হয়েছি। আমাদের সঙ্গে হাজার হাজার ওলামায়ে কেরাম ও সাথীরা আছেন। আমরা ইজতেমা মাঠে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’ পরে জুবায়েরপন্থীরা এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জড়ো হন। পরে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি জমা দেন তারা। এ সময় স্মারকলিপিতে সাতটি দাবি উল্লেখ করেন তারা। এদিকে, বিক্ষোভের পরে এক ফেসবুক পোস্টে মুফতি জিলানি লিখেন- ‘আমাদের এই বিক্ষোভের কারণে মহাসড়কে যাত্রীদের যে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ এইচএ
নোয়াখালীতে সেনাবাহিনীর ভুয়া ক্যাপ্টেনসহ আটক ২
নোয়াখালীর সদর উপজেলা থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয়ে প্রতারণা করার সময় এক ভুয়া সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। একই সময়ে ভুয়া ক্যাপ্টেনের সহযোগী এক এডভোকেটকেও আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- জেলার সুবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চরজুবলী গ্রামের শামসুল হকের ছেলে ভুয়া ক্যাপ্টেন আকরাম হোসেন (৩৮) ও তার সহযোগী সদর উপজেলার চুলডগী গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে এডভোকেট মোহাম্মদ জলিল হোসেন (৩৯)। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। জানা গেছে, ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির ক্যাপ্টেন নাবিল রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বর এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে ভুয়া ক্যাপ্টেন আকরাম হোসেন ও তার সহযোগী এডভোকেট মোহাম্মদ জলিল হোসেনকে আটক করে। অভিযোগ রয়েছে, ভুয়া ক্যাপ্টেন আকরাম ও তার সহযোগী অ্যাডভোকেট জলিল ভুয়া ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকার মানুষের থেকে মামলা মীমাংসার প্রলোভনে টাকা আদায় করে আসছে। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, আটককৃতরা থানা হেফাজতে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এইচএ
ছাত্রহত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুরের আলোচিত যুবলীগ ক্যাডার আরজু গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করে ছাত্র হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও যুবলীগ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত আশরাফ উদ্দিন আরজুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর মজুপুরে এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে চার শিক্ষার্থীকে হত্যা মামলার ঘটনায় গত ৫ আগস্টের পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম ব্রিজ ও বাজারের তমিজ মার্কেট এলাকায় গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও হামলা চালান আরজু। সাবেক যুবলীগ নেতা, স্থানীয় চেয়ারম্যান এ কে এম সালাউদ্দিন টিপুর সহযোগী হিসেবে এই হামলায় অংশ নেন তিনি। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ আল আফনান, ওসমান গনি ও সাব্বির হোসেনসহ ৪ শিক্ষার্থী নিহত হন। তিন শতাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এই ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় আরও একাধিক মামলার আসামি আশরাফ উদ্দিন আরজু।লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মোন্নাফ সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করে ৪ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় আরজুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছি। তার বিরুদ্ধে ছাত্রহত্যা, পুলিশের উপর হামলাসহ আরও একাধিক মামলা রয়েছে।উল্লেখ্য, আশ্রাফ উদ্দিন আরজু ২০১৯ সালে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পুলিশের উপর হামলা ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি। এছাড়াও ২০১৬ সালের লক্ষ্মীপুর সদর থানার ২৮-০৬-২০১৬ইং তারিখের ৪৮নং হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি।এইচএ
চকরিয়ায় ব্রিকস ফ্যাক্টরিতে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাষ্টার মাইন্ড অটো ব্রিকস ফ্যাক্টরির মেশিনে পড়ে মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন শাহিন (১৮) ও মোহাম্মদজিহান (২০) নামের দুই ফ্যাক্টরি শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চকরিয়া পৌরসভা ১নম্বর ওয়ার্ডস্থ বেতুয়া বাজার সড়ক লাগোয়া তরছপাড়ায় সদ্য নির্মিত মাষ্টার অটো ব্রিকস ফ্যাক্টরিতে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। অটো ব্রিকস ফ্যাক্টরিতে নিহত শ্রমিক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন শাহিন উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘুনিয়া এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে ও অপরজন মো. জিহান চকরিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাহারিয়াঘোনা এলাকার রুহুল কাদেরের ছেলে।অটো ব্রিকস ফ্যাক্টরির মেশিনে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, অন্যান্য দিনের ন্যায় ঘটনার দিন সন্ধ্যার সময় ব্রিকস ফ্যাক্টরির মেশিনে কর্মরত শ্রমিকরা কাজ শেষ করেন। তৎমধ্যে নির্মাণ শ্রমিক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন শাহিন ও মোহাম্মদ জিহান ব্রিকস ফ্যাক্টরির বিদ্যুৎ চালিত মিক্সার মেশিন পরিস্কার করতে যান। ওই সময় ব্রিকসের নির্মাণ শ্রমিক দু’জনই মিক্সার মেশিনের পাখায় আটকে গেলে ফ্যাক্টরির অন্যান্য শ্রমিকরা দেখে মেশিন বন্ধ করে তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মোস্তাকিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে পৌঁছে নিহতদের প্রাথমিক সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।অপরদিকে, নির্মাণ শ্রমিক শাহিন ও জিহানের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন হাসপাতালে ছুটে আসেন। এসময় নিহতের মরদেহ দেখে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্বজনদের কান্নার আওয়াজে পুরো হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। ঘটনার পর থেকে অটো ব্রিকসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও মালিকেরা গাঁ ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা যায়।চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুর কাদের ভুঁইয়া অটো ব্রিকস ফ্যাক্টরিতে দুই শ্রমিক নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।এআই
পেকুয়ায় ডাম্পার ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৫
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সিএনজি অটোরিকশা ও ডাম্পার ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাচঁজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল সাতটার দিকে পেকুয়ার টইটং ইউনিয়নের হাজির বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মধ্যে ৪ জনের আংশিক পরিচয় পাওয়া গেলেও বাকী একজনের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।সিএনজি চালক পেকুয়ার ধনিয়াকাটার ছৈয়দ আলমের ছেলে মনিরুল মান্নান, একই যানবাহনের যাত্রী চট্টগ্রাম হাটহাজারী এলাকার ফিরোজ, তার স্ত্রী শারমিন এবং তাদের শিশু সন্তানের নাম জানা যায়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত আরেকজনের পরিচয়ও সনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিএনজি অটোরিকশাটি পেকুয়া থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে হাজি বাজার এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতমুখী ড্রাম্পার ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে। এতে সিএনজি চালকসহ ৪জন যাত্রী গুরুত্বর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং অপর একজন শিশুটিও চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে মারা যায় বলে জানা গেছে। এব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, টইটং এর হাজির বাজার এলাকায় সিএনজি ডাম্পার মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। ঘটনার পরপরই ডাম্পারটি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।এআই
মির্জাপুরে গ্রাম পুলিশকে সম্মাননা স্মারক প্রদান
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় প্রথম বারের মতো ১১৮ জনের মধ্যে ৬ গ্রাম পুলিশকে সম্মাননা স্বারক প্রদান করেছে থানা পুলিশ।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে থানা প্রাঙ্গণে গ্রাম পুলিশদের হাতে সম্মাননা স্বারক ক্রেস্ট তুলে দেন, মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন।পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন, জামুর্কী ইউনিয়নের তিনজন গ্রাম পুলিশ আফজাল সিকদার, সুভাষ রাজবংশী, মজনু মিয়া, তরফপুর ইউনিয়নের রুবেল মিয়া, আনাইতারা ইউনিয়নের জুলহাস, বানাইল ইউনিয়নের আব্দুল মালেক।এসময় মির্জাপুর থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন, সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।এব্যাপারে মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, প্রথমবারের মতো টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় সারা উপজেলায় ১১৮ জন গ্রাম পুলিশদের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৬ গ্রাম পুলিশকে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।এআই
শুরায়ী নেজামের ইজতেমা নির্ধারিত সময়েই হবে: মিডিয়া সমন্বয়ক
আগামী বছরে নির্ধারিত সময়েই বিশ্ব ইজতেমা পালন করা হবে। সাদপন্থিরা ইজতেমা করতে চাইলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন তাবলীগ জামায়াতের শুরায়ী নেজাম (জুবায়েরপন্থিদের) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।এ সময় হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, সাদপন্থিদের হামলায় তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। এই হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা করা হবে। মাওলানা সাদের অনুসারীদের ইজতেমা করার অনুমতি না থাকলেও তারা জোড় করে ঢুকে প্রশাসনের আদেশ অমান্য করেছে। সাদপন্থিরা যদি ইজতেমা মাঠ দখলের চেষ্টা করে তাহলে সাধারণ মুসল্লিরা তাদের প্রতিহত করবে।এইচএ
সাভারে নারী পোশাক শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা উন্নয়নে "অপরাজিতা" প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
পোশাক খাতের নারী পোশাক শ্রমিকদের নিরাপদ মর্যাদাপূর্ণ জীবন, কর্মদক্ষতা উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ নিশ্চিতে "অপরাজিতা - Collective Impact on Future of Work in Bangladesh" প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের মূল্যায়ন এবং শিখন বিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সাভার উপজেলা পরিষদের হলরুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।এই কর্মশালাটির মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রকল্পের অগ্রগতি ও অর্জিত অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা। সুইডেনের H&M ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে CARE, VERC, WaterAid, Save the Children, Swisscontact Bangladeshসহ ১৪টি সংগঠন।কর্মশালায় verc এর নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ আবুবকর সরকার।এছাড়াও কর্মশালাটিতে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রতিনিধি ও বিভিন্ন কমিউনিটির সদস্য, অংশীদার সংস্থা এবং বিভিন্ন পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।কর্মশালায় প্রকল্পটির বিভিন্ন অংশীদার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম ও প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।এইচএ
রাজধানীতে ডাকাতের হাতে জিম্মি রুপালি ব্যাংকের শাখা, ঘিরে রেখেছে র্যাব-পুলিশ
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চুনকটিয়া রুপালি ব্যাংকের শাখা ডাকাতের হাতে জিম্মির খবর পাওয়া গেছে।আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুপুরের দিকে ব্যাংকের ভেতরে ডাকাত ঢুকেছে খবর পেয়ে লোকজন জড়ো হতে শুরু করে। এর মধ্যে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব এসে উপস্থিত হয়। ব্যাংকের গেটের ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে রাখা হয়েছে। ভেতরে গ্রাহক থাকতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ভেতর থেকে একটি গুলির আওয়াজও পাওয়া গেছে। ব্যাংকের ভেতরে কর্মকর্তা–কর্মচারীসহ উপস্থিত সবাইকে ডাকাত দল জিম্মি করে রেখেছে।তারা আরও জানান, ব্যাংকের এই শাখাটিকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব। তাঁরা এ ভেতর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মাইকিং করছেন।দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের ভেতরে দুই থেকে তিনজন ডাকাত অবস্থান করছে।অভিযান চলমান থাকায় তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এবি
ইজতেমা ময়দানের নিষেধাজ্ঞা খুব তাড়াতাড়ি কেটে যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শুধু নির্বাচন নয় যে কোন কিছুর জন্য পুলিশ প্রস্তুত। আমাদের পজিশন হলো- যারা অপরাধ করেছে, তারা অপরাধী,তাদের শাস্তির আওতায় আসতেই হবে। তাদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। আমরা তাদের কঠোর হস্তে দমন করবো এবং তারা আইনের আওতায় অবশ্যই আসতে হবে।’বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলার আইন শৃঙ্খলা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলার কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন, ইজতেমা ময়দানের নিষেধাজ্ঞা খুব তাড়াতাড়ি কেটে যাবে। এখন পরিস্থিতি মোটামুটি নরমাল হয়ে গেছে। যেহেতু ৩১, ১ ও ২ বিশ্ব ইজতেমার যে ডেট আছে জুবায়েরপন্থীদের ওই ডেটেই হবে।’স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘২ লাখ ২ হাজার আছে, যারা অপারেশনাল পুলিশ। প্রায় ১২ হাজারের মত সিভিল ও অন্যান্য। পুলিশ এখন পুরোপুরি ফাংশনাল। র্যাব, বিজবি, আনসার ও অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোন অসুবিধা হবে না।মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর রাফিসহ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস, কৃষি অধিদপ্তর ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অর্থ সংকটে থমকে আছে সফি আলমের চিকিৎসা
ঢাকায় নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা না করালে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে থাকবে মো. সফি আলম (১৪)। অর্থাভাবে ছেলের উন্নত চিকিৎসা অনিশ্চিত হওয়ায় দিশেহারা পরিবার। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে বাবা মো. বসু এর অসহায়ত্বের ছাপ স্পষ্ট দেখা গেছে। পেশায় তিনি দিনমজুর। ৩ ছেলে ও স্ত্রীসহ ৫ সদস্যদের সংসারের দায়িত্ব একাই তার কাঁধে।গত মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে মো. সফি আলমের বাড়িতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ওইদিন নারিকেল গাছের চুড়া থেকে পড়ে তার ডান পায়ের দুটি হাড় ভেঙে যায়। তার বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাসন পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সে মো. বসু এর মেঝো ছেলে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মো. সফি আলম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে শয্যাশায়ী। অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে না পেরে বিছানায় দিন-রাত পার করছেন।মো. সফি আলমের বাবা মো. বসু (৫৬) বলেন, 'আমার ছেলের ডান পায়ের দুটি হাড় ভেঙে গেছে। চরফ্যাসনের ডাক্তার বলেছে আমার ছেলেকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করাতে। কিন্ত উন্নত চিকিৎসা করানোর মতো আমার সামর্থ্য নাই। আপনাদের সাহায্য ছাড়া আমার ছেলের উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব না।'এদিকে ছেলের ওষুধের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে রান্নার চুলাও জ্বালাতে পারেননি মো. সফি আলম এর মা লিলুফা। তিনি বলেন, 'আমার ছেলের চিকিৎসা করাতে না পারলে পঙ্গু হয়ে যাবে। ওর বাবার সামান্য আয়ে কোনমতে সংসার চলে। ঢাকায় নেওয়ার মতো টাকা আমাদের নাই। মানুষের সাহায্য ছাড়া কোন উপায় নাই।'ছেলে মো. সফি আলমকে পঙ্গুত্ব জীবন থেকে বাঁচাতে সবার কাছে সাহায্য চেয়েছেন তার বাবা মো. বসু। তিনি তার বিকাশ নম্বর (+৮৮০১৭৬১২৭৫০৪৮) প্রকাশ করেছেন।এইচএ
বরিশালে ট্রাকচাপায় মায়ের মৃত্যু, বেঁচে গেল কোলের শিশু
বরিশাল নগরের নথুলল্লাবাদ এলাকায় ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে এক মায়ের মৃত্যু হলেও তার ১৩ মাস বয়সী শিশু কন্যা অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের বিপরীতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মাসুমা খাতুন (২৮) বরিশাল নগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কলসগ্রামের বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমানের স্ত্রী।নিহতের স্বজন আদনান অলি জানান, মাসুমা খাতুন তার স্বামী মিজানের সাথে মোটরসাইকেলে দুই সন্তানকে নিয়ে নগরের টেক্সটাইল এলাকায় বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন। নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের সামনে একটি রিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ সময় পেছন থেকে বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মাসুমা ও তার কোলের শিশুকন্যা রাস্তায় পড়ে যায়। ট্রাকের চাকার নিচে মাথা পিষ্ট হয়ে মাসুমার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়, তবে শিশুটি অক্ষত থাকে।বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির শিকদার জানান, ঘটনার পর দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ ও স্থানীয়রা ট্রাক ও চালক সাইফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এআই
লাকুটিয়া খাল পরিস্কারের পরও জনদুর্ভোগ, উদাসীন বিসিসি
বরিশালের লাকুটিয়া খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান শুরুর দেড় মাস পরও ময়লা-আবর্জনার সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। খাল থেকে উত্তোলন করা আবর্জনা খালের পাশেই স্তুপ করে রাখা হয়েছে। যা এখন নতুন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং জনপ্রতিনিধির অভাবে ভুক্তভোগীরা সঠিক সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নাগাল পাচ্ছেন না। তবে সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে ময়লা অপসারণ করা হবে।সূত্রমতে, গত ১ নভেম্বর, শুক্রবার বরিশাল জেলা প্রশাসন এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে লাকুটিয়া খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়। বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এ অভিযানের উদ্বোধন করেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে খালটি পরিষ্কার না হওয়ায় পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং সামান্য বৃষ্টিতেই আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। এই পরিস্কার অভিযানের ফলে খাল থেকে ময়লা ও আবর্জনা অপসারণ করা হয়। কিন্তু সেই ময়লা খালের পার ও আশপাশের রাস্তার পাশে স্তূপ করে রাখা হয়, যা এখন ধুলাবালিতে রূপ নিয়েছে। বর্তমান শুষ্ক মৌসুমে ফেলে রাখা আবর্জনা থেকে ধুলাবালি ছড়িয়ে পরিবেশ দূষণের সৃষ্টি হয়েছে। এতে পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং আশপাশের সাধারণ মানুষ ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন।স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, খাল পরিস্কার হওয়ায় আমরা প্রথমে আশান্বিত হয়েছিলাম। কিন্তু খালের পাশে ময়লা ফেলে রাখায় সেই সমস্যাই এখন আমাদের জন্য নতুন দুর্ভোগের কারণ হয়েছে। ধুলার কারণে ঘরবাড়ি নোংরা হচ্ছে, আর রাস্তা দিয়ে হাঁটাও কঠিন হয়ে পড়েছে। সিটি করপোরেশন যদি দ্রুত ময়লা সরিয়ে নিতো, তাহলে এই দুর্ভোগ হতো না। স্থানীয় প্রবীন বাসিন্দা লিয়াকত আলী জানান, খাল পরিস্কার হওয়ায় পানি চলাচল শুরু হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লা আবর্জনা এই শুস্ক মৌসুমে সঠিক নিয়মে অপসারণ এবং খাল খনন করা না হলে জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানিপ্রবাহ পুরোপুরি সচল হবে না। খালের পাশে থাকা বিসিক শিল্প নগরীর কলকারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিক নিয়মে না করায়ও খালে ময়লা আবর্জনা বাড়ছে।সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অল্প সময়ের মধ্যে ময়লা অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীলতা না থাকায় এবং জনপ্রতিনিধি না থাকায় তাদের অভিযোগ জানানোর জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ফলে সমস্যা দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে।সচেতন নাগরিকদের মতে, খাল পরিষ্কার করার পর ময়লার সঠিক ব্যবস্থাপনা না করলে পুরো উদ্যোগই ব্যর্থ হবে। এছাড়া ময়লা জমে থাকা যেমন পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে, তেমনি ধুলাবালি বায়ু দূষণের মাধ্যমে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে বলে উল্লেখ করে তারা বলেন, খাল পরিস্কার অভিযানের সাফল্য ধরে রাখতে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন।বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী মুঠোফোনে বলেন, সমস্যার বিষয়ে তিনি জেনেছেন। খুব শীঘ্রই করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ময়লা ও আবর্জনা অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এইচএ
কুয়াকাটায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে ধান লুটের অভিযোগ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় লুমা রাখাইন নামের এক রাখাইনের সাড়ে ৭ একর সম্পত্তির প্রায় ২৫০ মণ ধান লুট করে নেয়ার অভিযোগ ওঠে মহিপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলী আক্কাসের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ওই রাখাইন। অভিযোগ করে তিনি জানান, আমার বাবার কাছ থেকে পাওয়া এবং আমার ভাইয়ের কাছ থেকে ক্রয় করা ৭.১৮ একর সম্পত্তি আমি আজীবন ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ করে বিনপির নেতা কুপরামর্শ দিয়ে আমার ভাইয়ের দারা সম্পত্তি দখলের পায়তারা করে আমার নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে ২০২২ সালে, পরে ৫ আগস্টের পরে এই ভূমিধস্যুরা মাথাচারা দিয়ে ওঠে। হঠাৎ করে গতকাল ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার আমার জমিতে আমার বর্গাচাষী ধান কাটা শুরু করলে ওই বিএনপির নেতা ৩০-৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী টিম নিয়ে এসে লাঠিসোঠা আর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদেরকে ধাওয়া দিয়ে সব ধানগুলো লুট করে নিয়ে যায়। লিখিত বক্তব্য লুমা রাখাইন আরো বলেন, বাবা জীবিত থাকাকালে পুরো সম্পত্তি স্থানীয় মংফরম তালুকদারের কাছে মৌখিকভাবে বিক্রি করে তবে কোনো প্রকার রেজিস্ট্রি দলিল হয়নি তার আগে আমার বাবা মৃত্যুবরণ করে। এমবস্থায় আমি মংচিং কবিরাজের মেয়ে লুমা রাখাইনের আর কোনো সম্পত্তি না থাকায় বাবার নেয়া পুরো টাকা মংফরম তালুকদারকে ফেরত দিয়ে পুরো সম্পত্তি ফেরত আনি। এই বিষয়টি কলাপাড়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে এভিডেভিট করে নিয়ে আসি ২০০৪ সালে। পরবর্তীর্তে এই সম্পতির বি,এস আমার নামে এবং খাজনা দিয়ে আসছি নিয়মিত। আমার বাবার আরো এক ছেলে থাকায় আমার আপন ভাই এমংচি ওরফে ইয়াইমংচিং প্রায় ৪৫ বছর বারমা থাকার পরে ২০১০ সালে দেশে ফিরে আসলে তার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি দাবি করলে আমি তার পাওনা ২.৪০ একর সম্পত্তি ফেরত দেই। পরে আবার আমার ভাই তার সেই ২.৪০ একর সম্পত্তি আমার কাছে বিক্রি করে।এতদিন আমি সেই পুরো সম্পত্তি ভোগদখল করলে বিএনপি নেতা আক্কাস আলীর ছেলে রাব্বি হাং, ফিরোজ হাং, জাফর হাং, মোঃ কাদের, মোঃ জলিল মোল্লাসহ অনেকে এই লুটে সহযোগীতা করেন। লুট করে নেয়ার আগে আরো একবার চেষ্টা করলে পুরো বিষয়টা আমি কুয়াকাটা পৌর বিএনপি এবং লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাজে জানালে তারা কাগজপত্র দেখে আক্কাসকে জমির কাছে যেতে নিষেধ করে। এর পরও তিনি আমার ধান লুট করে নেয়। তাকে যে নিষেধ করা হয়েছে। তার স্বাক্ষী জমায়াতের কুয়াকাটা পৌর আমির মাওঃ মাঈনুল ইসলাম মন্নান, মহিউদ্দিন মুসুল্লী সুলতান, আলাউদ্দিন মুসুল্লীসহ বেশ কয়েকজন বিএনপির নেতা।তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করে বিএনপি নেতা আলী আক্কাস বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা আমার বিরুদ্ধে বিএনপির লোকজন ষড়যন্ত্র করছে। আমরা কখনো এই সম্পত্তি ভোগদখল করিনি। আর ধান লুটের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।মহিপুর থানা যুবদলের আহব্বায়ক মো. সিদ্দিক মোল্লা বলেন, আমি বিষয়টি এখনো অজানা। এলাকায় ছিলাম না আসতেছি। তবে এই অভিযোগ যদি সত্যি হয় তা হলে সাংগঠনিকভাবে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিবো। কারণ সন্ত্রাস বা লুট কারীদের জায়গা দলে নেই।এইচএ
বরিশাল পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান, দুই দালাল আটক
বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে দুই দালালকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে দুদকের বরিশাল অফিসের সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহার ও খন্দকার কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল ওই অভিযানে অংশ নেয়।অভিযানে আটককৃতরা হলেন- শাহিদা বেগম ও জাকির হোসেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশন বরিশাল কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এইচ এম আক্তারুজ্জামান বলেন, নিয়মবহির্ভূতভাবে কাজের অভিযোগ পেয়ে দুদক অভিযান চালিয়ে দুজন দালালকে আটক করেছে।জানা যায়, বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্যে সেবাপ্রত্যাশীরা মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন।দালাল চক্রের সঙ্গে ওই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।এআই
অবকাঠোমোগত সব সুবিধা থাকা স্বত্ত্বেও মাথা তুলতে পারছে না নাকুগাঁও স্থলবন্দর
সবরকম অবকাঠামোগত সুবিধা থাকার পরেও শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে কাঙ্খিত পণ্য আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ২১টি পণ্য আমদানির কথা থাকলেও শুধুমাত্র পাথর আমদানীর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে বন্দরটি।একটা সময় এই বন্দরে ভারত ও ভুটান থেকে প্রতিদিন শতাধিক পাথর বোঝাই ট্রাক আসতো। সেখানে এখন ভারত ও ভুটান থেকে গড়ে মাত্র ২০-২৫টি ট্রাক আসছে। রপ্তানী কার্যক্রম নেই বললেই চলে। এতে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। উচ্চ পর্যায়ের নজরদারি ছাড়া এ বন্দরের গতি বাড়ানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। এ দিকে বিধি অনুযায়ী পণ্য আমদানি করলে সহযোগিতার কথা জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বৃটিশ আমল থেকেই নাকুগাঁও বন্দরটি চালু ছিল চেকপোষ্ট হিসেবে। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর এটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৭ সনে প্রায় ৩৩ বছর পর বন্দরটি ইমগ্রেশন চেকপোষ্ট সহ স্থল শুল্ক বন্দর হিসেবে পুনরায় চালু হয়। আমদানী করা হয় ভারতীয় কয়লা এবং পাথর। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বারাঙ্গাপাড়া থানার ডালু স্থল শুল্ক ষ্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত এই বন্দরটি খুব দ্রুত সম্ভাবনাময় স্থল বন্দর হিসেবে পরিচিতি পায়।২০১৪ সালে ভারত থেকে পণ্য গ্রহণ, সংরক্ষণ, কাষ্টমস কর্তৃক রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুবিধা ও সেবা প্রদানের লক্ষে নাকুগাঁওকে পূণাঙ্গ স্থল বন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যায়ে ১৩ দশমিক ৪৬ একর জায়গায় গড়ে তোলা হয় নিরাপত্তা প্রাচীর, ৪শ’ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়্যার হাউজ, ওপেন ইয়ার্ড, একশ’ মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়েব্রীজ, দ্বীতল অফিস ভবন, ব্যারাক ভবন, টয়লেট কমপ্লেক্স, পাওয়ার হাউজ ভবন, শ্রমিক-ড্রাইভারদের জন্য গোসলখানা, ২টি ওয়াচ টাওয়ার, বৈদ্যুতিকরণ, সিকিউরিটি রুম. ৪টি ফ্ল্যাড লাইট। দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ।২০১৫ সালের ১৮ জুন পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর হিসেবে এই বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়। অনুমতি দেওয়া হয় গবাদিপশু, মাছের পোণা, তাজা ফলমূল, গাছগাছড়া, বীজ, গম, পাথর , কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনা পাথর, পিঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বলক্লে, কোয়ার্টাজ, শুটকি ও সুপারি। এছাড়াও সকল বৈধ পণ্য রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ে কোন তদারকি না থাকার কারণে কয়লা ও পাথরের মধ্যে আটকে পড়ে বন্দরের কার্যক্রম। বর্তমানে ভারতের পরিবেশবাদিদের বাঁধার কারণে কয়লা আমদানীও বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু সীমিত আকারে ভারত এবং ভূটান থেকে পাথর আমদানী করা হচ্ছে। কালে-ভদ্রে দুএক গাড়ী সিমেন্ট, তাঁতের শাড়ি ও মশারি রপ্তানি করা হলেও, এর হিসেব খুবই নগণ্য। ফলে বন্দরের স্থাপনা সমূহ অব্যবহৃত থেকে নষ্ট হচ্ছে। আগ্রহ হারাচ্ছে আমদানীকরাকরা। আমদানী-রপ্তানীকারক সমিতির হিসেব অনুযায়ী বন্দরে প্রায় তিন শতাধিক ব্যবসায়ী নিয়মিত ব্যবসা করতো। বর্তমানে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০/৭০ এ।আমদানীকারকরা জানান, যে সমস্ত পণ্য আমদানী করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় পক্ষের অনীহার কারণে সে সব পণ্য আমদানী করা যায় না। তারা জানান, নাকুগাঁও বন্দর থেকে ৩শ’ কিলোমিটার দূরে ভারতের আসামের জগির রোড এলাকায় এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় শুটকি মাছের বাজার। যা আমদানী করতে এখানকার ব্যবসায়ীদের প্রচন্ড আগ্রহ। কিন্তু ভারতীয় কাষ্টমসের অসহযোগিতার কারণে তারা তা আনতে পারেন না। এ ছাড়া তাজা ফলমূল, আদা পেঁয়াজ, রসুন সহ অন্যান্য পণ্য আমদানি ও বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানীতেও একই সমস্যা। তারা মনে করেন দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ছাড়া এ বন্দরের গতি ফেরানো সম্ভব না।বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য মতে, এই বন্দর দিয়ে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২ কোটি ৮৯ লাখ ২৪ হাজার ২শ’ ১৪ টাকা, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ২ কোটি ২৭ লাখ ৪৬ হাজার ২শ’ ৮১ টাকা, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ৫ কোটি ৫৬ লাখ ১৪ হাজার ৬ শ’ ১৪ টাকা ও চলতি অর্থবছওে অক্টোবর পর্যন্ত ১২ কোটি ১৯ লাখ ৭৪ হাজার নিরানব্বই টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। এছাড়াও কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ ১ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় করেছে।বন্দরের আমদানী রপ্তানীকারক সমিতির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, শেরপুরসহ এই বেল্টে শুঁটকি মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই বন্দর দিয়ে শুটকি, কয়লা পাথর, সুপারি, ফলমূল ও ফ্লাই অ্যাশসহ অন্যান্য পণ্যও আনতে এখানকারএইচএ
ময়মনসিংহে ভারতীয় কম্বলসহ ৩ জন গ্রেফতার
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ভারতীয় কম্বলসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারাকান্দা-ধোবাউড়া সড়কের হরিয়াগাই বাজারের নেপালের মোড় এলাকা থেকে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে কম্বলসহ তাদেরকে আটক করে।আটককৃতরা হলেন- শফিকুল ইসলাম ((২৩), মনির হোসেন (২২) ও গাড়ি চালক মো. আলী (২৪)। আটককৃতরা সকলে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. টিপু সুলতান জানান, ধারণা করা হচ্ছে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এসব ভারতীয় কম্বল পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকায় যাচ্ছিল। যৌথবাহিনীর টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার ধোবাউড়া-তারাকান্দা সড়কের হরিয়াগাই বাজারের নেপাল মোড় এলাকা থেকে অবৈধ ভারতীয় কম্বলসহ তিনজনকে আটক করে।তিনি আরও জানান, দুপুরে যৌথবাহিনী উদ্ধারকৃত পরিবহনকারী পিকআপ ভ্যান, ৪শত ৮০ পিস ভারতীয় কম্বল এবং তিনজনকে তারাকান্দা থানায় সোপর্দ করেছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এআই
দেওয়ানগঞ্জে অনাবাদি পতিত জমিতে বাদামের বাম্পার ফলন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি শুকিয়ে গেছে উঠেছে অসংখ্য বালুচর। আর এই জেগে উঠা ধু ধু বালুচরে বাদামের চাষ করেছে চরাঞ্চলের কৃষকেরা। ইতোমধ্যে বাদাম গাছের সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে পুরো বালুচরের মাঠ। এখানকার বেলে মাটি বাদাম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাই চরাঞ্চলের কৃষকরা তাদের বেলে মাটির জমিতে বাদাম চাষ করছেন। অনাবাদি পতিত জমিতে যেখানে কোন ফসল উৎপাদন হয়না সেখানে চার অঞ্চলের কৃষকেরা বাদাম চাষাবাদ করছে। সুস্বাদু, মুখোরচক ও ভিটামিনসমৃদ্ধ এই ফসল একদিকে যেমন খাদ্য যোগান দিয়ে থাকে অন্যদিকে তেলের চাহিদা পূরণ করে। বাদাম ক্ষেত থেকে কচিপাতা কেটে কৃষকরা তাদের গরু-ছাগলের খাওয়ান। এতে গরু-ছাগল তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্যবান হচ্ছে। তাছাড়া অন্য ফসলের মতো বাদামের জমিতে তেমন একটা সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। শুধু সময়মতো বীজ বুনে বাদাম ঘরে তোলার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়। বীজরোপণের দুই থেকে ৩ মাসের মধ্যেই বাদাম তুলে সংগ্রহ ও হাট-বাজারে বিক্রি করা হয়।বাহাদুরাবাদ ইউনিয়ন এর আজিজলপুর গ্রামের কৃষক শেখ মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম বলেন, গতবছর আমার জমি তে ভুট্টা সহ অন্যান্য আবাদ হত কিন্তু এবছরে নদীর স্রোতে জমিতে বালু পড়ে অনাবাদি পতিত জমিতে পরিনত হয় পরে বাদাম চাষাবাদ করি বিঘাপ্রতি খরচ ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা, বাদাম বিক্রি করব বিঘাপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের টিনেরচর যমুনা নদীর পাড়ের এলাকার কৃষক আবুল হোসেন বলেন, আমার জমিতে বালু আর বালু অন্য কোনো ফসল হয় না। আশা করি দাম ভালো পাব ও লাভবান হবো। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আলমগীর আজাদ জানান, দেওয়ানগঞ্জে ২০২ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষাবাদ হয়েছে। অনাবাদি পতিত বালুচরের জমিতে কোনো ফসল হয় না সেখানে আমরা কৃষকদের বাদাম চাষের জন্য পরামর্শ দেই কৃষকেরা আমাদের পরামর্শ নিয়ে বাদাম চাষ করে এবং কৃষকদের আমরা সবসময় পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা করছি এ বছরে বাদামের বাম্পার ফলন হবে। এইচএ
নিখোঁজের ২ দিন পর পুকুরে মিলল ওসমানের মরদেহ
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নিখোঁজের ২ দিন পর পুকুর থেকে আলী ওসমান (৫২) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের পূর্ব বাকলজোড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আলী ওসমান একই উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ধানশিরা গ্রামের মৃত মনফর আলীর ছেলে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আলী ওসমানের মানসিক সমস্যা ছিল। চলতি মাসের গত ১৫ তারিখ পূর্ব বাকলজোড়া গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন আলী ওসমান। এরপর সেখান থেকে নামাজের জন্য বের হয়ে আর ফিরেননি। এরপর পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আত্মীয়র বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরের একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় আলী ওসমানের মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান,আলী ওসমানের মানসিক সমস্যা ছিল৷ ধারনা করা হচ্ছে নামাজের জন্য অজু করতে গিয়ে পুকুরে পরে যান।তিনি আরও বলেন,পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে এবং কোন অভিযোগ না থাকায় তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু হবে। এফএস
সরিষাবাড়ীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিজয় দিবসের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে পৌরসভার গণময়দান মাঠে জমায়েতের মাধ্যমে শোভাযাত্রার সূচনা হয়। শোভাযাত্রাটি শিমলা বাজারসহ পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সমাপ্তি অনুষ্ঠানের জন্য শোভাযাত্রাটি আরামনগর বাজারের জি.কে প্লাজার সামনে এসে সমাবেশে রূপ নেয়।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা দুলাল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল।উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মনির হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন: নুরুল হক জামালী, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ,অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, কর্ম পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আছিমুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি প্রভাষক শামীম হোসাইন সোহেল, উপজেলা জামায়াতের শুরা সদস্য ডা. গোলাম রব্বানী, পৌর আমির খালেদ সাইফুল্লাহ সাঈম, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান সোহাগ, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, উপজেলা (উত্তর) ছাত্রশিবিরের সভাপতি বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।এসএফ
গাইবান্ধায় বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তির তালিকায় ছেলে শিক্ষার্থীর নাম!
গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভর্তির লটারির ফলাফলে ষষ্ঠ শ্রেণির তালিকায় নাম এসেছে মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ছেলে শিক্ষার্থীর। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) লটারির তালিকার একাধিক ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। প্রকাশিত ফলাফলের দেখা গেছে, গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির মর্নিং শিফটের ৩০ নম্বর তালিকায় নাম এসেছে মোস্তাফিজুর রহমানের। তার পিতার নাম মো. রেজাউল মিয়া ও মাতার নাম মোছা. রুবি বেগম।এ বিষয়ে গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানি না। যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তবে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) এ.কে.এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানি না। ভুলক্রমে এমনটা হতে পারে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তার ভর্তি বাতিল করা হবে।এআই
দিনাজপুরের খানসামায় মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
দিনাজপুরের খানসামায় মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের আরাজী যুগিরঘোপা গ্রামের বেনুপাড়া থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুজাতা রানী রায় (২৪) ওই গ্রামের ভক্ত রায়ের স্ত্রী এবং তার মেয়ে নীলাদ্রি রানী রায় (৬)। পার্শ্ববর্তী পার্বতীপুর উপজেলার বিলাইচন্ডী ইউনিয়নের বাঘাচড়া গ্রামের ঝাউপাড়ার অমিত্য রায়ের মেয়ে ও নাতনী।জানা যায়, ২০১৮ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। ভক্ত রায় পেশায় একজন দর্জি।পরিবার সূত্রে জানা যায়, সুজাতা প্রতিদিন সন্ধ্যা বাতি দিয়ে থাকে। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা বাতি না দেওয়ায় তার জা চন্দনা তাকে তার শয়ন কক্ষে ডাকতে যায়। ডাকতে গিয়ে দরজা বন্ধ পায়। এরপর দরজায় সজরে ধাক্কা দিলে ঘর অন্ধকার দেখতে পায়। আলো জ্বালিয়ে দেখে তাদের ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। এরপর চিৎকার করলে পরিবারসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে।মেয়ের পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তারা হত্যা করে নাটক সাজিয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক বলেন, মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত ঘরে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। যেখানে মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করা হয় নাই।তবে সুইসাইড নোটের লেখা ভিকটিমের কি'না তা পরীক্ষা নিরীক্ষা সাপেক্ষে জানা যাবে। লাশ দুটির সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।এফএস
পঞ্চগড় সীমান্ত থেকে কিশোরকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
পঞ্চগড়ের সেনপাড়া সীমান্তে ওয়াসিম (১৫) নামে এক কিশোরকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার বিকেলে জেলার অমরখানা ইউনিয়নের সেনপাড়া সীমান্তে মেইন পিলার ৭৪৬ এর কাছ থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় ভারতের গোড়ালবাড়ী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা। ঘটনাটি সমাধানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ওয়াসিমসহ ৪-৫ জন সেনপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। এ সময় ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোড়ালবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ওয়াসিম বিএসএফের হাতে আটক হয়। পরে তাকে গোড়ালবাড়ী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, "আটক কিশোরকে ফেরত আনতে আমরা কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব পাঠিয়েছি।"এফএস
উলিপুরে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দুই দিনব্যাপী কর্মশালা
'যত্নে রাখি শিশু ও মা গড়ি আগামীর সম্ভাবনা' এই প্রতিপাদ্যে কুড়িগ্রামের উলিপুরে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় দুইদিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়ের পুষ্টি, শিশুর সংবেদনশীল ও উদ্দীপনামূলক যত্ন মডিউল-১ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় অডিটোরিয়াম হলরুম উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে, ইউনিসেফ ও বিশ্ব খাদ্য প্রোগ্রামের সহযোগিতায় এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সখিনা খাতুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোছা. জেবুন নেছা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন প্রমূখ। এ সময় ট্রেইনার ও প্রশিক্ষণ নিতে আসা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ১০০ জন স্বাস্থ্য সহকারী উপস্থিত ছিলেন। এআই
হরিপুরে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ ও জিংক ধানের বীজ বিতরণ
মানবদেহে পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও জিংক ধানের চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার প্রান্তিক ২০০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিনামূল্যে জিংক ও আয়রন সমৃদ্ধ ব্রি ১০০ জাতের ধানের বীজ প্রদান করা হয়েছে।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আরডিআরএস বাংলাদেশ এর আয়োজনে 'আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (IFPRI) হারভেস্ট প্লাস প্রোগ্রাম' রিঅ্যাক্ট-ইন প্রকল্পের আওয়তায় উপজেলার ডাঙ্গিপাড়া ও ভাতুরিয়া ইউনিয়ন ফেডারেশন কার্যালয় মাঠে অগ্রণী কৃষক প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হুসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মানস কুমার রায়।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, 'আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (IFPRI) হারভেস্ট প্লাস প্রোগ্রাম' এর রিঅ্যাক্ট- ইন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান আরডিআরএস বাংলাদেশ ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষি ও পরিবেশ টেকনিক্যাল কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রবিউল আলম, মো. মামুনুর রশিদ মামুন, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সুপারভাইজার শসিউল ইসলাম, সহ স্থানীয় কৃষক-কৃষাণিরা।অনুষ্ঠানে অতিথিরা, মানব দেহে জিংকের উপকারিতা, অভাবজনিত লক্ষণ ও জিংকের ঘাটতি পূরণের উপায়সহ জিংক এবং আয়রন সমৃদ্ধ ধানের বিভিন্ন জাত, উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ে আলোচনা করেন। সুস্থ, সবল ও মেধাবী সমাজ গড়তে দিনে একবার হলেও জিংক সমৃদ্ধ চালের ভাত খাওয়ার ও জিংক ধানের চাষ বৃদ্ধি করার পরামর্শ প্রদান করেন। আর এসব জাতের ধান মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছাতে ও সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করার এবং পরবর্তীতে প্রত্যেক কৃষককে তাদের উৎপাদিত ৪ কেজি করে ধানের বীজ ৩ জন কৃষককে প্রদান করার নির্দেশ দেন তারা।পরে কৃষক-কৃষাণীদের ৪ কেজি করে জিংক ধানের বীজ প্রদান করা হয়।এআই
শাহজাদপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি
প্রকাশ্য দিবালোকে ঐশী জুয়েলার্স নামের একটি স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ৪শ’ ভরি রুপাসহ আনুমানিক ২২ লাখ টাকার গহনা নিয়ে গেছে চোরেরা। চুরি শেষে দোকানে নতুন তালা লাগিয়ে চলে যায় চোরেরা।আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের মণিরামপুর বাজার স্বর্ণপট্টীতে। এই ঘটনায় স্বর্ণপট্টীর স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।পরে সিসিটিভি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৭টায় দোকানের তালা ভেঙে একজন ব্যক্তি মুখে মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ পড়ে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে শোকেস ও ড্রয়ার থেকে স্বর্ণালংকার, রুপার গহনা ও নগদ টাকা নিয়ে চলে যায়। এসময় দোকানের লকার অক্ষত ছিল। দুপুরে শাহজাদপুর সরকারি কলেজের শৌচাগারের ঝুড়িতে দোকানের মূল তাল খুঁজে পায় স্থানীয়রা।দোকান মালিক রিংকু কুমার পাল বলেন, সকালে ভাগিনা দোকান খুলতে এসে নতুন তালা লাগানো দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়, দ্রুত দোকানে এসে দুটি নতুন তালা লাগানো দেখতে পাই। পরে বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে পুলিশে খবর দেয়। এই ঘটনায় ১৫ ভরি সোনার গহনা ও ৪শ’ ভরি রুপার গহনাসহ মোট আনুমানিক ২২ লাখ টাকার অলঙ্কার চুরি করেছে।শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম আলী বলেন, স্বর্ণপট্টীর ঐশী জুয়েলার্সে চুরি হয়েছে সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে চুরির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।এইচএ
নাটোরে ডাকাতির অভিযোগে নারীসহ গ্রেপ্তার ৬
নাটোরের নলডাঙ্গায় ডাকাতের অভিযোগে নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতি হওয়া একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।গ্ৰেফতারকৃতরা হলেন- নওগাঁ জেলার মান্দা থানার আবিদ্য গ্ৰামের নাসিরুদ্দিন প্রামানিকের ছেলে মো. শান্ত ইসলাম (২৪), একই জেলার একই থানার চক-বালু গ্রামের গয়েশ উদ্দিনের ছেলে মো. রাকিবুল হাসান (২৩), রানীনগর উপজেলার বিসিয়া গ্রামের ইউসুফ সর্দারের ছেলে মো. নাঈম সরদার (২৪), বদলগাছি থানার কলার পালশা মধ্যপাড়ার আব্দুল মন্ডলের ছেলে মো. আসাদুল ইসলাম (৪২), বদলগাছি থানার বিলাসবাড়ি এলাকার মৃত আলম হোসেনের মেয়ে মোছাঃ নিশা (২২), এবং নওগাঁ সদরের আরজি নওগাঁ মহল্লার মৃত আহাদ আলীর ছেলে মো. হারুনুর রশিদ (৫২)।নলডাঙ্গা থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নাটোর শহরের বনবেল ঘড়িয়া এলাকার মৃত হাফিজ উল্লাহর ছেলে আব্দুস সোবাহান (৪৫) প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৪ নভেম্বর রাত দুইটার দিকে নাটোর শহরের একতার মোড়ে যাত্রী বহনের জন্য অবস্থানকালে অজ্ঞাতনামা ৫ জন পুরুষ এবং ১ জন মহিলা যাত্রী তার অটোরিক্সা রিজার্ভ নেয়। যাত্রী নিয়ে নওগাঁ জেলার আত্রাই এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা করে। পরবর্তীতে রাত আড়াইটার দিকে নলডাঙ্গা হতে আত্রাইগামী মহাসড়কের বীরকুৎসা (দুর্লভপুর) ১ম ব্রীজের উপর পৌঁছামাত্র যাত্রীবেশে ডাকাতরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো চাকু দিয়ে আব্দুস সোবাহানকে কুপিয়ে জখম করে ফেলে দেয়। পরে আসামিরা সোবহানের ব্যক্তিগত মোবাইল, টাকাসহ ব্যাটারী চালিত অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নিয়ে নাটোরে ফিরে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। চিকিৎসা শেষে ১৮ ডিসেম্বর ডাকাতির শিকার আব্দুস সোবহান বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাতাদলের সদস্যদের সনাক্ত করে বগুড়া এবং নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে। এসময় ডাকাতি হওয়া ব্যাটারী চালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে সোপর্দ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এআই
পাবনায় ট্রলির চাপায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
পাবনা সদর উপজেলায় অবৈধ বালুবহনকারী ট্রলির চাপায় মাসুদ রানা নামের এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এঘটনায় অভিযুক্ত চালককে আটক করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনার সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাসুদ রানা সুজানগর উপজেলার কামালপুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত।বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, দুপুরে পাবনা থেকে কামালপুর পুলিশ ফাঁড়িতে যাচ্ছিলেন মাসুদ রানা। এসময় শ্রীপুরে পৌছালে পেছন থেকে চাপা দেয় ট্রলিটি। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যান। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং চালককে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন।আহসান হাবিব আকাশ, সুমন হোসেন ও পিয়াসসহ স্থানীয়রা জানান, ট্রলিটি ভাড়ারা থেকে বালু নিয়ে ওই এলাকায় নামিয়ে আবার বালু মহলে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সরকার পতনের পর এলাকায় বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল কিন্তু সম্প্রতি আবারও বালু উত্তোলন শুরু হওয়ায় রাস্তা-ঘাটে বালুবহনকারী যানবাহন ব্যাপক আকারে বেড়েছে। বালুবহনকারী গাড়িগুলেো বেপরোয়াভাবে চলাচল করে।এআই
উল্লাপাড়ায় ৩ দিনব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধন
উল্লাপাড়ায় কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩ দিনব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মেলার উদ্বোধন করেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর উল্লাপাড়া অফিস এ মেলার আয়োজন করেন। অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত এর সভাপতিত্বে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ জেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আ:জা:মু আহসান শহীদ সরকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহাব, সদস্য সচিব মো. আজাদ হোসেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক শাহজাহান আলী, সেক্রেটারী খায়রুল ইসলাম, উপজলো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেহেদী হাসান, রিফাত হোসেন, ইয়াছিন তালুকদার রহিত প্রমুখ। ৩ দিনব্যাপী কৃষি মেলায় মোট ২০টি প্রদর্শনী স্টল স্থান পেয়েছে। এআই
সিআইপি হলেন ওমান প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর ইসলাম
বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর স্বীকৃতিস্বরূপ সিআইপি'র (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) সম্মাননা পেলেন জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের কৃতি সন্তান ওমান প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর ইসলাম।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ক্যাটাগরিতে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে তাকে এনআরবি ২০২৫-পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও সিআইপি কার্ড তুলে দেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্জিত হয় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে। বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে, প্রবাসী ও অনাবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের অর্থনীতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর ‘বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এনআরবি)’ নীতিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী সিআইপি (এনআরবি) নির্বাচন করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।ওমান প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর ইসলাম জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের মো. আজিজার রহমানের ছোট ছেলে। ২০০৮ সালে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে ২০১২ সালে ওমানে পাড়ি জমান এবং দীর্ঘ ১ যুগ ধরে সুনামের সঙ্গে রিয়েল স্টেটের (ভবন নির্মাণ) ব্যবসা করে আসছেন। বিদেশ গিয়ে তিনি শুধু নিজেরই ভগ্যোন্নয়ন করেছেন তা নয় বিনা খরচে বা নামমাত্র খরচে নিজ এলাকার প্রায় অর্ধশত গরিব ও বেকার যুবককে ওমানে নিয়ে নিজের কনস্ট্রাকশন ফার্মে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। তার বদৌলতে গণিপুর এলাকার অর্থনৈতিক চিত্র বদলাতে শুরু করেছে।ওমান প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর ইসলাম জানান, তার ফার্মে বর্তমানে দেশ-বিদেশের তিন শতাধিক ব্যক্তি তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রামের অসচ্ছল দরিদ্র পরিবারগুলো যেন সচ্ছলতার মুখ দেখেন সেজন্য তিনি আরো অধিক লোককে তার বিদেশে নিয়ে যেতে চান।এআই
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর মৌলভীবাজারে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন
দেশ স্বাধীনের পর প্রথমবারের মতো মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আয়োজনে আগামী ২১ শনিবার মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে কর্মী সম্মেলন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে পোস্টার, লিফলেট, মাইকিং, প্রচার মিছিল, মিটিং, প্রচারপত্র, ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণের পাশাপাশি ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। সম্মেলনকে সফল করতে জেলা থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ মানুষের কাছে যাচ্ছেন। সকল নেতা ও কর্মী মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন জামায়াতের কর্মী সম্মেলনকে সামনে রেখে। জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের নিজ জেলা হওয়ায় ব্যাপক প্রচরাণা চলছে। সাধারণ মানুষের আগ্রহ জন্মেছে এই অনুষ্ঠান ঘিরে।মৌলভীবাজার জেলা জামায়াত সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে উন্মুক্ত মৌলভীবাজারে এরকম কোন সম্মেলন হয়নি। প্রথমবারের মতো খোলা মাঠে সম্মেলন হচ্ছে। সম্মেলনকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জনে জনে দাওয়াত পৌঁছানো হচ্ছে শনিবারের সম্মেলনের। ধারণা করা হচ্ছে এই সম্মেলনে লক্ষাধীক মানুষের সমাগম হবে। সম্মেলন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে শেষ হবে দুপুর ১টায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও সিলেট বিভাগের নেতৃবৃন্দ।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জামায়াতের সম্মেলন স্থলে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে স্টেইজ বাঁধার কাজ চলছে। পাশাপাশি বিরাট প্যান্ডেলের কাজও চলমান। মাঠের বড় অংশ জুড়ে সামিয়ানা বাধা হচ্ছে। লক্ষাধীক মানুষের উপস্থিতি হলেও প্যান্ডেলের ভিতরে ১০ হাজার চেয়ারের ব্যবস্থা হচ্ছে। সেখানে জেলা জামায়াতের বেশ কিছু নেতাকর্মী সম্মেলনের কাজ পরিদর্শনের পাশাপাশি তদারকি করছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।সেখানে কথা হয় কবি বদরুল আমিন চৌধুরী সুফির সাথে। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজার মানুষের মাঝে স্বস্ফূর্ততা দেখা দিয়েছে। দিনমজুর থেকে শুরু করে সবশ্রেণীর মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে। এই সম্মেলনটি মৌলভীবাজারে ইতিহাস হয়ে থাকবে।শৃঙ্খলা বিভাগের দায়িত্বে থাকা মৌলভীবাজার পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সম্মেলনকে সফল এবং সার্থক করতে জামায়াতের প্রত্যেক ইউনিট কাজ করছে। লক্ষাধীক মানুষের জন্য সম্মেলন স্থল প্রস্তুত করা হচ্ছে। মৌলভীবাজারের প্রত্যান্ত অঞ্চল, পাড়া-মহল্লায় সকল মানুষ উজ্জীবিত।সম্মেলনের ডেকোরেশনের দায়িত্বে থাকা মৌলভীবাজার সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ডেকোরেশনের কাজ প্রায় সমাপ্তির দিকে। টুকটাক কিছু কাজ আছে যা আজকের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। আমরা আশা করছি একটি সুন্দর কর্মী সম্মেলন মৌলভীবাজারবাসীকে উপহার দিতে পারবো। আমরা মানুষের যে পরিমাণ আগ্রহ দেখছি এখানে লক্ষাধীক মানুষের সমাগম ঘটবে।তিনি বলেন, নিরাপত্তার জন্য মাঠের চতুরদিকে আমাদের সাপোটিং থাকবে। এবং মানুষ যাতে নির্বিগ্নে এখানে এসে উপভোগ করতে পারে এই জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে, স্টল থাকবে, পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে, আমাদের শৌচাগার থাকবে। বলা যায় আমরা সুন্দর পরিবেশে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে আমাদের প্রোগ্রামটি করতে পারবো।মৌলভীবাজার পৌর জামায়াতের আমীর হাফেজ তাজুল ইসলাম বলেন, জেলার প্রত্যেকটি এলাকায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আমেজ বিরাজ করছে। কর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে মাঠে ময়দানে কাজ করছে। সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। সম্মেলনে লক্ষাধীক মানুষের সমাগম ঘটবে। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমীরে জামায়াত কথা বলবেন।জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলী বলেন, সম্মেলনকে সফল করতে গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সর্বত্র মিছিল, মিটিং, মাইকিং, প্রচারপত্র সবগুলো ব্যাপকভাবে বিতরণ হচ্ছে। আমরা আশাবাদী দলমত নির্বিশেষে ব্যাপক মানুষের উপস্থিতি হবে। সর্বস্তরের জনগণকে আহবান জানাচ্ছি আমীরে জামায়াত মৌলভীবাজার জেলার কৃতি সন্তান। প্রকাশ্যে আমীরে জামায়াতের প্রথম প্রোগ্রামে দলমত নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করুন।মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান বলেন, ২০০৬ সালের পর কর্মী সম্মেলন হচ্ছে। আমরা গর্বিত আমাদের জেলার কৃতি সন্তান আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এখানে এসে জাতির উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ কথা রাখবেন। আমীরে জামায়াতের আগমন উপলক্ষে মৌলভীবাজারবাসী উজ্জীবিত। গ্রামে-গঞ্জে, প্রত্যান্ত অঞ্চলে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী বলেন, ৫৩ বছর পর মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলন হচ্ছে। আমরা দীর্ঘ ১৭ বছরের জুলুম নির্যাতন, নিষ্পেষণ এর পাশাপাশি সারা দেশের মতো মৌলিক কথা বলার অধিকার হারিয়ে ছিলাম। এরকম উন্মুক্ত পরিবেশে জেলার সকল মানুষের মাঝে আগ্রহ উচ্ছাস বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে পোস্টার, লিফলেট, মাইকিং, ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ সহ প্রচার-প্রচারণা চলছে। ২১ তারিখের সম্মেলনে যোগ দিতে জেলাবাসী উদগ্রীব হয়ে আছে।তিনি বলেন, দেশের সংস্কারের জন্য আমরা একটি পরিবর্তনশীল বাংলাদেশ দেখতে চাই। আগামী দিনের পরিবর্তশীল বাংলাদেশের জন্য আমাদের সম্মেলন একটি মাইলফলক ভূমিকা রাখবে। দেশবাসী এই সম্মেলন থেকে উজ্জীবিত হয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাবলী পাবে এখান থেকে।তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর থেকে আমরা লক্ষ্য করছি একটি কুচক্রী মহল বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র করছে। দেশের জনগণ চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র এবং রক্ত চক্ষুকে বরদাশত করবে না। আর এই ষড়যন্ত্রকারীদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে জনগণ পূনর্বাসন করবে না। এই সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে জনগণ আমাদের সম্মেলনে যোগ দিবে।এআই
শায়েস্তাগঞ্জে অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবসে আলোচনা সভা
আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষ্যে শায়েস্তাগঞ্জে আলোচনা সভা শেষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব হোম দাস।উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মশিউর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- নূরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল, শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মঈনুল হাসান রতন, উপজেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মিজানুর রহমান সুমন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু সাঈম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আলী হোসেন, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. কাওছার আহমেদ প্রমুখ। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভা শেষে প্রবাস থেকে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের নিশাপট গ্রামের বাসিন্দা মো. সোহেল মিয়াকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।এআই
চুনারুঘাটে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আবুল হোসেনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আবুল হোসেন উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী চিমটিবিল এলাকার মৃত আব্দুল মোতালিবের ছেলে।সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে রবিবার রাতে র্যাব-৯ -এর সদস্যরা ভারত সীমান্তবর্তী চিমটিবিল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর সোমবার ভোরে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুর আলম।স্থানীয়রা জানায়, তার বিরুদ্ধে ৯ জুলাই চুনারুঘাট থানায় একই এলাকার এক গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। তারপর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর থেকে বাঁচতে তিনি নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তার আগেই র্যাবের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।এছাড়াও আবুলের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক, চোরাকারবারির মামলা রয়েছে। আবুল উপজেলার সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে এক আতঙ্কের নাম ছিল। তার নামে নিরীহ লোকজনকে মামলা হামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। তার গ্রেপ্তারে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।এআই
সুনামগঞ্জে সুরমা নদী থেকে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার হাজীপাড়া এলাকার সুরমা নদীতে বিজিবির বিশেষ অভিযানে প্রায় দেড় কোটি টাকার ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়েছে।সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) একটি স্টিল বডি নৌকা থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, প্যান্ট পিস, থ্রি পিস, পায়জামা, মখমল এবং থান কাপড় জব্দ করে। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ৫৪ হাজার ৯০০ টাকা।বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (২৮ বিজিবি) একটি বিশেষ টহল দল সুরমা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে স্টিল বডি নৌকাসহ উল্লেখিত মালামাল জব্দ করা হয়।অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম এবং ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার। অভিযানে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল রহমান উপস্থিত ছিলেন।সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এ কে এম জাকারিয়া কাদির জব্দকৃত মালামালের বিষয়ে নিশ্চিত করে জানান, এগুলো সুনামগঞ্জ শুল্ক কার্যালয়ে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এসএফ
সিলেটে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
সিলেটে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক নারীসহ আহত হয়েছেন চারজন।শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দক্ষিণ সুরমার উপজেলার লালারগাঁও নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আনজব উল্লাহার ছেলে রুহুল আমিন (২৬) ও ভবানিপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুল মুকিত (৪০)। আহতদের নাম পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যার পর সিলেট নগরীর কিনব্রিজের সামনে থেকে ৫ জন যাত্রী একটি অটোরিকশা ভাড়া করে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর এলাকায় যাওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করেন। পথে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালারগাঁও নামক এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে বাস-সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চারজন। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এআই
অনলাইন ভোট
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আপনি কি এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?
আন্তর্জাতিক
সব দেখুন
রণক্ষেত্র ভারতের লোকসভা, রাহুল গান্ধির ‘ধাক্কায়’ আহত বিজেপির এমপি
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর আম্বেদকর-মন্তব্য ঘিরে দেশটির সংসদে সরকার ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলছে। তার মাঝেই সংসদ পরিণত হলো রণক্ষেত্রে। ধ্বস্তাধস্তিতে আহত হলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দুই সাংসদ। আর এতে অভিযোগের আঙুল উঠেছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির দিকে।আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংসদের বাইরে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও বিজেপি সাংসদদের মধ্যে তীব্র ধাক্কাধাক্কি হয়। সংঘর্ষে বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সারাঙ্গী মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন। এছাড়া, আরেক আহত বিজেপি সাংসদ মুকেশ রাজপুতকেও আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।বিজেপির অভিযোগ, রাহুল গান্ধির আঘাতেই তাদের দলের এমপিরা আহত হয়েছেন। বিজেপি সরকারের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলেন, কী করে তিনি (রাহুল) সংসদে শক্তি প্রয়োগ করতে পারেন। কোন আইন তাকে এমপিদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ক্ষমতা দিয়েছে?সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওচিত্রে দেখা যায়– ভারতীয় সংসদের বাইরে বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সারাঙ্গী মাথায় আঘাত পেয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকেন। এসময় রাহুল গান্ধি তার কাছে গিয়ে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজেপি সাংসদরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান।তখন বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবে রাহুলকে উদ্দেশ করে বলেন– ‘রাহুল, আপনার কি লজ্জা করে না? আপনি এখানে গুন্ডামি করছেন! একজন বৃদ্ধ লোককে (প্রতাপ সারাঙ্গী) ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন!ঘটনার পর রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, বিজেপি সাংসদরা তাকে ধাক্কা মেরেছেন এবং সংসদ ভবনে প্রবেশে বাধা দিয়েছেন।এই ঘটনার পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে এজাহার (এফআইআর) করেছে বিজেপি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পার্লামেন্ট স্ট্রিট পুলিশ স্টেশনে গিয়ে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর, বাঁশুরি স্বরাজ।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) থেকেই অমিত শাহর বিরুদ্ধে আম্বেদকর-অবমাননার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে কংগ্রেসসহ বিরোধীরা। আজ লোকসভায় সেই বিক্ষোভ ঘিরেই চলে এই তুলকালাম।প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে ওড়িশায় অস্ট্রেলীয় মিশনারি গ্রাহাম স্টুয়ার্ট স্টেইনস ও তার দুই শিশুপুত্রকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল বজরং দলের। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন মোতাবেক, সেই সময়ে বজরং দলের রাজ্য সভাপতি ছিলেন সারাঙ্গী। তার বিরুদ্ধেও খুনের মামলা হয়। কিন্তু মূল অভিযুক্ত দারা সিংহের যাবজ্জীবন জেল হলেও বিচারে রেহাই পেয়ে যান সারাঙ্গী।এসএফ
ক্যালিফোর্নিয়ায় গরুর দুধে বার্ড ফ্লু শনাক্ত, জারি জরুরি অবস্থা
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বেশ কয়েকটি গরুর দুধে বার্ড ফ্লু ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার রাজ্যের গভর্নর গ্যাভিন নিউজম এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।ফেডারেল এবং রাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো দুগ্ধজাত গবাদি পশুর মধ্যে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। গভর্নর নিউজম বলেছেন, "সরকারি সংস্থাগুলো যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে, সে লক্ষ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।"এই ভাইরাস মানুষের মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। এনবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লুইসিয়ানার ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি গুরুতরভাবে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রাজ্যের অভ্যন্তরে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের কোনো ঘটনা এখনো শনাক্ত হয়নি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে ঝুঁকি কম। তবে ভাইরাসটির বিস্তার রোধে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। গভর্নর নিউজম জানান, “আমরা জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অব্যাহত রাখব।”১৯৯৬ সালে প্রথমবার বার্ড ফ্লু এ (এইচ৫এন১) ভাইরাস শনাক্ত হয়। ২০২০ সালের পর থেকে পাখিদের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। এরপর স্তন্যপায়ী প্রাণী, যেমন গরু ও ছাগলের মধ্যে এর প্রভাব দেখা যায়, যা বিজ্ঞানীদের জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।বার্ড ফ্লু নিয়ন্ত্রণে ২০২২ সাল থেকে পোলট্রি খামারগুলোতে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি পাখি নিধন করা হয়েছে। তবে গরু ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর আক্রান্ত হওয়া নতুন একটি উদ্বেগ তৈরি করেছে।ক্যালিফোর্নিয়ার জরুরি অবস্থার মধ্য দিয়ে ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং জনসাধারণকে সচেতন করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।এসএফ
গুমকাণ্ডে হাসিনার সম্পৃক্ততা ও অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়ে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র
সম্প্রতি জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২০২৫ সালের শেষ দিকে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনের এ উদ্যোগের প্রসঙ্গটি এবার উঠে এসেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে। স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সাউথ এশিয়া পার্সপেক্টিভস’র স্টেট ডিপার্টমেন্ট করেসপন্ডেন্ট আব্দুর রহিমের করা এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উপপ্রধান মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল। ব্রিফিংয়ে জানতে চাওয়া হয় ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের শুরুতে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী? জবাবে মুখপাত্র প্যাটেল বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের যে প্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছে সেটাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। এতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের নেতৃত্বকে বেছে নেয়ার সুযোগ পাবে। নির্বাচন আয়োজনের সময় নির্ধারণ এমন একটি বিষয়, যেদিকে আমাদের অব্যাহত পর্যবেক্ষণ থাকবে। পুরো প্রক্রিয়াজুড়ে আইনের শাসন, একইভাবে গণতান্ত্রিক মূলনীতির বাস্তবায়নকে আমরা উৎসাহিত করছি। পুরো বিশ্বে শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে আমাদের অবস্থান।এদিকে, অন্য এক প্রশ্নে রহিম জানতে চান, বাংলাদেশে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের তথ্য উদ্ধৃত করে গুম নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। তদন্ত কমিশন গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এর আগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?এ বিষয়ে প্যাটেল বলেন, ‘বাংলাদেশে বিগত দুই দশকে যেভাবে শত শত মানুষ জোরপূর্বক গুমের শিকার হয়েছে তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জোরপূর্বক গুম হচ্ছে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। গুম ও আটক করে রাখার কারণে ভুক্তভোগীর পরিবার মানসিক যন্ত্রণা এবং অনিশ্চয়তায় ভুগেছেন।’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এসব অপরাধ তদন্তে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তি এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিতের জন্য আমরা আহ্বান জানাই।এবি
সিরিয়াকে সন্ত্রাসীদের আখড়া বানাতে দেব না: এরদোগান
সিরিয়াকে কোনোভাবেই সন্ত্রাসীদের আখড়ায় পরিণত হতে দেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেন, তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এবং রাশিয়ায় নিষিদ্ধ ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। খবর তাসের।তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশটিকে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হওয়া থেকে আমাদের রোধ করতে হবে। আইএস ও পিকেকে এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লেয়েনের আলোচনা করেছেন এরদোগান। এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।এরদোগান বলেন, তুরস্কই একমাত্র দেশ এবং মিত্র যেটি এই দুটি সন্ত্রাসী সংগঠনকে পরাজিত করেছে। আমরা অবশ্যই এই সংগঠনগুলোকে আবার সংঘটিত হতে দেব না। এদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।এই তুর্কি নেতা বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার জনগণ এখনোই ভারী বোঝা বহন করতে সক্ষম হবে না। দেশটিকে পুনর্গঠন এবং একটি জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। সিরিয়ার প্রতিবেশী, বন্ধু এবং ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর দ্রুত ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সমর্থন নিয়ে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।এরদোগান বলেন, আমি এটি খুব স্পষ্ট করে বলছি। দুর্ভাগ্যবশত, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সিরিয়ার জনগণকে যথেষ্ট সহায়তা করে করেনি, যখন তারা গত ১৩ বছর ধরে সহিংসতায় ভুগছিলেন। এখন এই অভাব পূরণ করার সুযোগ এসেছে বলে মনে করেন এরদোগান।তার মতে, সিরিয়ার পুনর্গঠনে ব্যাপক সমর্থনের প্রয়োজন হবে। তুরস্ক ইতোমধ্যে দামেস্কতে দূতাবাস পুনরায় চালু করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সিরিয়ান জনগণের প্রতি আঙ্কারা সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানান এরদোগান।এবি
‘জেলেনস্কি নিজের মৃত্যুদণ্ডে সই করেছেন’
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর কিরিলভ হত্যার ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে অনুষ্ঠিত একটি রাজনৈতিক টকশোর উপস্থাপক এ হত্যার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, এ হামলার মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার নিজের মৃত্যুদণ্ডে সই করেছেন।মঙ্গলবার সকালে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় এক বিস্ফোরণে ইগর কিরিলভ নিহত হন। এ গুপ্তহত্যার দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেন। এর মধ্য দিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ভূখণ্ডে দেশটির সবচেয়ে উচ্চপর্যায়ের কোনো সামরিক কর্মকর্তা ইউক্রেনের হামলায় প্রাণ হারালেন। ইগর কিরিলভ রাশিয়ার ‘নিউক্লিয়ার, বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড কেমিক্যাল প্রোটেকশন ট্রুপস’ নামে একটি বাহিনীর প্রধান ছিলেন।রুশ জেনারেল ইগর কিরিলভ হত্যার খবর নিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভির একটি রাজনৈতিক টক শোতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। টক শোর উপস্থাপক এই হত্যার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, এই হামলার মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি নিজের মৃত্যুদণ্ডে স্বাক্ষর করেছেন।রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, তদন্তকারীদের অবশ্যই রাশিয়ায় খুনিদের খুঁজে বের করতে হবে। দিমিত্রি মেদভেদেভ আরও বলেছেন, কিয়েভে থাকা তাদের পৃষ্ঠপোষকদের নির্মূল করার জন্য আমাদের অবশ্যই সবকিছু করতে হবে।রুশ জেনারেল ইগর কিরিলভ ও তার সহকারীকে হত্যার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দিক থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ক্রেমলিনের নেতা পুতিন আগে বহুবার বলেছেন, নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হলে রাশিয়া সব সময় জবাব দেবে। পুতিনের এ অঙ্গীকারের ভিত্তিতে এই হত্যার বদলা নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।এসএফ
রাশিয়ার বড় বড় পোশাক কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা
শ্রমিক সংকট এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে রাশিয়ার অন্যতম বড় পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কারখানা বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে। এসব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার শীর্ষস্থানীয় পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোরিয়া জিনস, যা দেশজুড়ে ১৮টি কারখানা পরিচালনা করে।রাশিয়ার পোশাকশিল্পে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি গভীর আকার ধারণ করেছে। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। একইসঙ্গে রাশিয়ায় তৈরি কাঁচামাল এবং আনুষঙ্গিক উপকরণের মান নিম্নগামী হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী পণ্য আমদানির দিকে ঝুঁকছেন।রুশ গণমাধ্যম কমারসান্ত এবং ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, শ্রমিক সংকট ছাড়াও সেলাই যন্ত্রপাতি আমদানি কঠিন হয়ে পড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার পোশাক খাতের সরঞ্জাম আমদানি ও পরিশোধ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।সালস্ক শহরে একটি সেলাই কারখানা ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। কর্মীদের অন্য কারখানায় স্থানান্তরের প্রস্তাব দেওয়া হলেও রস্তভ এলাকার কারখানাগুলোও সংকটে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।একসময় চীন ছিল রাশিয়ার পোশাকশিল্পের প্রধান উৎপাদনকেন্দ্র। তবে চীনে শ্রমিক মজুরি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় রুশ ব্র্যান্ডগুলো এখন বাংলাদেশের মতো সাশ্রয়ী শ্রম বাজারের দিকে নজর দিচ্ছে।ফ্যাশনশিল্পের একজন প্রতিনিধি জানান, “বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম এবং উজবেকিস্তান রুশ পোশাকশিল্পের জন্য চীনের তুলনায় বেশি আকর্ষণীয়। কারণ এই দেশগুলোতে শ্রমিক মজুরি কম, শিল্পসুবিধা উন্নত, এবং কাঁচামালের সরবরাহ স্থিতিশীল।”বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বিশ্ববাজারে সুনাম অর্জন করেছে। তুলনামূলক কম উৎপাদন খরচ, দক্ষ শ্রমশক্তি, এবং উন্নত কারখানাগুলো বাংলাদেশকে রাশিয়ার জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে।এসএফ
“ভালো থেকো, বিয়ে করে নিও” বার্তা রেকর্ড করে তরুণীর আত্মহত্যা
ফোনে প্রেমিকের উদ্দেশে অডিও রেকর্ড করে আত্মহত্যা করেছেন এক তরুণী। পরে তার ঘর থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া না-গেলেও তরুণীর ফোন ঘেঁটে অডিও বার্তা উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা।আর এরপরই তারা পুলিশের দ্বারস্থ হন। কয়েক বছর আগে স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ হওয়ার পর নিজের বোনের সঙ্গে থাকতেন তিনি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের বনসকাঁথা জেলার পালানপুরে।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই তরুণীর নাম রাধা ঠাকোর। ২৭ বছর বয়সী রাধা একটি বিউটি পার্লার চালাতেন। কয়েক বছর আগে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। তারপর থেকে বোনের পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। তার কোনও প্রেমের সম্পর্কের কথা পরিবারের লোকজনের জানা ছিল না, পুলিশের কাছে তেমনটাই দাবি করেছেন রাধার বোন।আত্মহত্যার ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। অভিযোগপত্রে মৃতের বোন জানিয়েছেন, গত রোববার রাতে পার্লার থেকে বাড়ি ফিরে খাবার খেয়ে ঘুমোতে গিয়েছিলেন রাধা। পরের দিন সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির লোকজনই পরে তার ফোন ঘাঁটেন। সেখানে রেকর্ড করে রাখা অডিও বার্তা পান তারা। সেগুলো পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তারা।অবশ্য কার উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলে গিয়েছেন তা জানেন না তার পরিবারের লোকজন। অচেনা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই তার বোন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।এনডিটিভি বলছে, পুলিশ ওই তরুণীর আত্মহত্যার কারণ এবং কেন তিনি তার অডিও-ভিডিওগুলোতে ক্ষমা চেয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা করছে। তার শেষ রেকর্ড করা কথোপকথনে রাধাকে লোকটির কাছে একটি ছবি চাইতে শোনা যায়। তার পরিবার বলেছে, তিনি লোকটির কাছে একটি ছবি চেয়েছিলেন, কিন্তু সে তা পাঠাচ্ছিল না। রেকর্ড করা কলে তাকে বলতে শোনা যায়, “দেখো, সাতটার মধ্যে ছবি না পেলে কী হয়।”এদিকে মৃত্যুর আগে রেকর্ড করা ভিডিওগুলোর একটিতে তিনি তার প্রেমিকের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। সেখানে তাকে বলতে শোনা গেছে, “আমাকে ক্ষমা করে দিও, তোমাকে না জিজ্ঞেস করেই আমি ভুল পদক্ষেপ নিচ্ছি। দুঃখ করো না, ভালো থাকো, জীবন উপভোগ করো এবং বিয়ে করে নিও। ভাববেন না যে আমি আত্মহত্যা করে মারা গেছি। আমি হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তুমি ভালো থাকলে, আমার আত্মা শান্তি পাবে। আমি কাজ এবং জীবন নিয়ে বিরক্ত, তাই এই পদক্ষেপ নিচ্ছি।”এবি
ফিলিস্তিনের খবর প্রচারে বাধা দিচ্ছে ফেসবুক
ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলতে দিচ্ছে না জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। এই প্ল্যাটফর্ম দুটির মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনের পক্ষের কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর এমন অভিযোগ বহুদিনের।এবার ফেসবুকের বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ উঠল। গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনের মধ্যে ফেসবুকে ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন দর্শক-শ্রোতা ও পাঠকদের কাছে ঠিকমতো পৌঁছাতে দেওয়া হচ্ছে না। ফিলিস্তিনবিষয়ক খবর কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বিবিসির এক অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।ফেসবুকের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি নির্যাতন-নিপীড়নের খবর প্রচার করা অ্যাকাউন্ট ও পোস্ট সরিয়ে ফেলার অভিযোগ বহু পুরনো। এর প্রতিবাদও হয়ে আসছে অনেক দিন ধরে।এরপর গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডব্লিউ এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানায়, গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হলেও কাউকে তাদের পক্ষে কথা বলতে দিচ্ছে না ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা সিস্টেমেটিক্যালি ফিলিস্তিনের পক্ষের কণ্ঠস্বরকে ‘থামিয়ে বা নীরব’ করে দিচ্ছে।বুধবার বিবিসি তাদের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজা সংঘাতের মধ্যে ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন দর্শক, শ্রোতা ও পাঠকদের কাছে ঠিকমতো পৌঁছাতে দিচ্ছে না ফেসবুক।সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, তারা ফেসবুকের তথ্য-উপাত্তগুলো ব্যাপকভাবে বিশ্লেষণ করেছে। তাতে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরের বার্তাকক্ষগুলোর সঙ্গে দর্শক, শ্রোতা ও পাঠকদের মিথস্ক্রিয়া কমে গেছে।বিবিসি বলছে, তারা দেখতে পেয়েছে, মেটার মালিকানাধীন আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিন সংক্রান্ত মন্তব্যগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে।গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর হাতেগোনা কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিককে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। এরপরও তারা স্বাধীনভাবে ঢুকতে পারেননি। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পাহারায় তাদের ঢুকতে হয়েছে।যারা গাজার অধিবাসীদের কথা শুনতে চান, তাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাদের কাছে প্যালেস্টাইন টিভি, ওয়াফা নিউজ এজেন্সি ও আল-ওয়াতান নিউজের মতো সংবাদমাধ্যমগুলোর ফেসবুক পেজ গুরুত্বপূর্ণ সংবাদসূত্র হয়ে উঠেছে। এসব সংবাদমাধ্যম পশ্চিম তীরের বাইরে থেকে পরিচালিত হয়।ফিলিস্তিনভিত্তিক ২০টি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক পেজে দর্শক, শ্রোতা ও পাঠকদের সম্পৃক্ততা যাচাই করেছে বিবিসি নিউজ অ্যারাবিক। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর আগে-পরের সম্পৃক্ততা যাচাই ও তুলনা করা হয়েছে।একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট কতটা প্রভাব ফেলছে ও কতজন লোক এর বিষয়বস্তু দেখছেন, তার একটি মূল পরিমাপক এনগেজমেন্ট বা সম্পৃক্ততা। মন্তব্য, প্রতিক্রিয়া জানানো ও পোস্ট শেয়ার করার মধ্য দিয়ে দর্শক, শ্রোতা ও পাঠক এসব মাধ্যমে সম্পৃক্ত হন।যুদ্ধকালে অডিয়েন্স এনগেজমেন্ট বা শ্রোতা-পাঠক সম্পৃক্ততা বাড়বে বলে ধারণা করা হয়। অথচ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমের পাঠক সম্পৃক্ততা ৭৭ শতাংশ কমেছে।এসএফ
ভানুয়াতুতে ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতুতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার। ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী এই কম্পনে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২০০ মানুষ। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সিডনি থেকে এএফপি জানিয়েছে, রাজধানী পোর্ট ভিলার একটি হাসপাতালে ৪ জন, ভূমিধসের ফলে ধংসস্তুপের নিচ থেকে ৬ জন এবং একটি ভবনের ধংসস্তুপ থেকে আরও ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই ভবনের নিচে আরো মরদেহ থাকতে পারে। তাই মৃতের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।এদিকে মঙ্গলবার দিনের শেষে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, ২০০ জনেরও বেশি লোককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা আরও জানিয়েছে, শক্তিশালী ভূমিকম্পে দেশটির প্রধান হাসপাতাল, একটি বিশাল শপিং মল এবং মার্কিন দূতাবাসসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক মিশনের ভবনগুলোর অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর আরও ১০টি ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনটি ব্রিজ এবং দুটি বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।এদিকে ভানুয়াতুর সরকার জানিয়েছে, দেশটির পানি সরবরাহের দুটি বড় জলাধার সম্পূর্ণরূপে ধংস হয়ে গেছে। এই কারণে পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। বিমান বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিমানের জ্বালানি দূষিত হওয়ায় বিমান চলাচলও বন্ধ রয়েছে।উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতুতে প্রায়ই ভূমিকম্প সংঘটিত হয়ে থাকে। নিম্নাঞ্চলের এ দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ যে কয়েকটি দেশ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ভানুয়াতু অন্যতম।মূলত দেশটি প্রায়ই ভূমিকম্প, ঝড়, বন্যা ও সুনামির কবলে পড়ে থাকে।এবি
আগামী বছর থেকে ইন্দোরে কোন ভিক্ষুককে ভিক্ষা দিলে যেতে হবে জেলে
ভিক্ষা দিলেই যেতে হতে পারে কারাগারে! ভারতের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে পরিচিত ‘ইন্দোর’কে ভিখারি-শূন্য করতে এই সিদ্ধান্ত। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি নিউজ এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছরের জানুয়ারির ১ তারিখ থেকেই জারি হচ্ছে এই নিয়ম। ইন্দোরে এই আইন ভেঙে কেউ যদি কোন ভিখারিকে ভিক্ষা দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে দায়ের হবে মামলা।ইন্দোরের জেলা প্রশাসক আশিষ সিংহ বলেন, ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে প্রচারণা আপাতত এই মাসের শেষ অবধি চলবে। জানুয়ারি ১ তারিখের পর থেকে কাউকে প্রকাশ্যে ভিক্ষা দিতে দেখা গেলেই তার বিরুদ্ধে দায়ের হবে মামলা।এবি
খেলা
সব দেখুন- তামিমের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা নিয়ে যা বললেন লিপু
- বিজয়ের দিনে ক্রিকেটে পুরুষদের পাশাপাশি মেয়েরাও এনে দিলেন জয়
- বিজয়ের দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বাংলাদেশের শ্বাসরুদ্ধকর জয়
- আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে সাকিবের বোলিং নিষিদ্ধ করলো আইসিসি
- বাংলাদেশেও কি ‘নিষিদ্ধ’ হবেন সাকিব, বিসিবি যা বলছে
- ‘বর্ষসেরা’ ফুটবলার হলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে
বিনোদন
সব দেখুন
মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ, যা বললেন অভিনেত্রী তিশা ও টয়া
দেশের জনপ্রিয় তিন অভিনেত্রী সাফা কবির, তানজিন তিশা ও মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া। এই তিন অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদক করে দেশের একটি গণমাধ্যম। গণমাধ্যমটির দাবি, তাদের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লেষের অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।এছাড়া, নাট্য জগতের আরেক পরিচিত মুখ সংগীতশিল্পী সুনিধি নায়েকের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লেষের বিষয়ে বিশেষ অনুসন্ধান চালাচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (নারকোটিক্স)। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।গনমাধ্যমটি সূত্রের বরাতে তাদের প্রতিবেদনে বলছে, মাদকসহ গ্রেফতার হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে তথ্য-প্রমাণসহ সাফা, টয়া, তিশা এবং সুনিধির নাম বেরিয়ে আসে। একটি বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা নিয়মিত মাদক সংগ্রহ করে আসছিলেন। ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অরিন্দম রায় দীপকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারকোটিক্সের সহকারী পরিচালক রাহুল সেন বলেন, দীপকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে আমরা কয়েকজন প্রথম সারির অভিনেত্রী ও মডেলের মাদক সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছি। এ বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ বিষয়ে নারকোটিক্স বলছে, মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক ছাত্র দীপের ওপর বিশেষ নজরদারি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তার গতিবিধি অনুসরণের ধারাবাহিকতায় ১৭ অক্টোবর ঢাকা বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন দীপ। এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সিসা, এমডিএমএ, এলএসডি ও কুসসহ বেশ কিছু মাদক উদ্ধার করা হয়। পরে নারকোটিক্সের একটি বিশেষায়িত টিম দীপকে ২ দিনের রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে।তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, মাদক ব্যবসার বিষয়ে মৌখিক স্বীকারোক্তির একপর্যায়ে দীপের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং পরীক্ষা করা হয়। এতে জনপ্রিয় কয়েকজন অভিনেত্রীর মাদক সম্পৃক্ততার তথ্য মেলে। এমনকি তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া মাদকের অর্ডারসংক্রান্ত কয়েকটি সুনির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং রেকর্ডও পাওয়া যায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, দীপের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাফা, টয়া, তিশা এবং সুনিধি নায়েকের নামে সেভ করা কয়েকটি নম্বর থেকে নিয়মিত মাদকের অর্ডার দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে নম্বরগুলো যাচাইয়ের জন্য ফোন নম্বরের রেজিস্ট্রেশন রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়। এতে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট নম্বরগুলো সাফা কবির এবং টয়ার নামেই রেজিস্ট্রেশনকৃত। তবে তানজিন তিশার নম্বরটির রেজিস্ট্রেশন রয়েছে তার মা উম্মে সালমার নামে।গণমাধ্যমের হাতে আসা কয়েকটি চ্যাটিং রেকর্ডে দেখা যায়, ২৩ এপ্রিল সাফা কবির তার মোবাইল নম্বর থেকে ৩টি এমডিএমএ অর্ডার দেন। এজন্য দীপের হোয়াটসঅ্যাপে তিনি সংক্ষেপে লেখেন 'ই' দিতে পারবা আমাকে ৩টা।’ জবাবে দীপ লেখে দাঁড়াও বলি। সাফা লেখেন 'ওকে’'। এরপর দীপ লেখেন কিভাবে নিবা? যাওয়ার পথে? সাফা লেখেন 'আমি চেষ্টা করব।'এছাড়া ৫ সেপ্টেম্বর আরেক চ্যাটিংয়ে মাদকের অর্ডার দেন অভিনেত্রী টয়া। তিনিও সাংকেতিক ভাষায় লেখেন 'ই' লাগবে ৫টা। ফিরতি বার্তায় দীপ লেখেন 'ফর বাংলা ফ্রুট?' (সম্প্রতি কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত প্রাইভেট পার্টি)। এরপর টয়া লেখেন 'ইয়াপ (ইয়েস)।'মাদক বিক্রির এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আরও কয়েকজন অভিনেত্রী ও সংগীত শিল্পীর চ্যাটিং পাওয়া যায়। এদের অন্যতম হলেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা এবং সংগীত শিল্পী সুনিধি নায়েক। চ্যাটিংয়ে সুনিধি নায়েক কয়েকটি ব্র্যান্ডের এমডিএমের প্যাকেট শেয়ার করে অর্ডার দেন।নারকোটিক্স বলছে, ভারতীয় নাগরিক সুনিধি নায়েক দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। বাংলাদেশের নামকরা সংগীত শিল্পী এবং কোক স্টুডিওর অন্যতম উদ্যোক্তা শায়ান চৌধুরী ওরফে অর্ণবকে বিয়ে করে তিনি ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তবে সম্প্রতি অর্ণবের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়েছে এমন কথা বিভিন্ন মিডিয়ায় শোনা যায়।তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, দীপ গ্রেফতারের পরপরই সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ তাদের মোবাইল ফোন থেকে গোপন চ্যাটিং রেকর্ড মুছে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে তারা পুরোপুরি সফল হননি। গ্রেফতারের পর তাৎক্ষণিকভাবে দীপের মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এতে মাদক কেনাবেচা সংক্রান্ত চ্যাটিং রেকর্ড মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি।সূত্রের বরাতে গণমাধ্যমটি আরও জানায়, বর্তমানে রাজধানীর গুলশান এবং বনানীকেন্দ্রিক ধণাঢ্য পরিবারের সন্তানদের অনেকেই এমডিএম, এলএসডি এবং কুশ নামের উচ্চ আসক্তি সম্পন্ন মাদকের দিকে ঝুঁকছে। চোরাইপথে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং থাইল্যান্ডসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ থেকে এসব মাদকের চালান আসছে। স্নাপচ্যাট, মেসেঞ্জার বা হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে এগুলো বিক্রি করা হয়।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গোপনীয়তার জন্য বিভিন্ন সাংকেতিক নামে এসব মাদক বিক্রি করা হয়ে থাকে। যেমন এমডিএম 'ই' নামে, এলএসডি 'এসিড' এবং এক ধরনের তরল গাঁজা টিএসসি নামে কেনাবেচা হয়। ইলেকট্রিক সিগারেটের মতো ভেপ আকারে তরল গাঁজা সেবন করা হয়।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দুলাল কৃষ্ণ সাহা জানান, এমডিএমএ পরীক্ষাগারে তৈরি এক ধরনের কৃত্রিম ওষুধ। এটি অনেক দেশে এস্টাসি বা সুখানুভূতির মাদক হিসাবে পরিচিত। এটি ইয়াবার উপকরণ মেথাএমফিটামিনের মতোই অতি উত্তেজক মাদক। এটি মানবদেহে এমন একটি শক্তিশালী প্রভাব তৈরি করে যাতে সময় এবং উপলব্ধি জ্ঞানের বিচ্যুতি ঘটে। তবে অনেক সময় এটি শান্তি, আনন্দ, সহানুভূতি এবং এক ধরনের আত্মবিশ্বাসের বর্ধিত অনুভূতি তৈরি করে।তবে যে অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ তারা কি বলছেন? সময়ের কণ্ঠস্বরকে অভিনেত্রী তানজিন তিশা বলেন, 'এসব পুরাই মিথ্যা। তাই বলে যা তা লিখে দিবে! আমি কনফিডেন্ট এগুলো মিথ্যা কথা।'অভিনেত্রী মুমতাহিনা টয়া সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, 'আমি সিগারেটও খাইনা। মাদক তো অনেক দূরের কথা। অভিযোগতো করতেই পারে মানুষ। সেটা প্রমাণ হতে তো হবে!'
অনিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন শাবনূর
বাংলা সিনেমার একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর তার বিচ্ছেদ ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা কঠিন অধ্যায়ের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। নব্বই দশকে ঢালিউড কাঁপানো এই নায়িকা পেশাগত জীবনে যেমন সাফল্যের শিখরে ছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনে ততটাই চড়াই-উতরাই পার করতে হয়েছে। ২০২০ সালে শাবনূর তার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে তালাক দেন। তিনি জানান, অনিক সন্তান এবং তার যথাযথ যত্ন নিতেন না। তার বিরুদ্ধে মাদকাসক্তি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগও তুলেছেন শাবনূর। তালাক নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, "আমার স্বামী অনিক মাহমুদ সন্তান এবং আমার যথাযথ যত্ন করেন না। মদ্যপ অবস্থায় বাসায় ফিরে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন। সন্তান হওয়ার পর থেকে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছেন। এসব কারণে তার সঙ্গে আর সংসার করা সম্ভব নয়।" শাবনূর বলেন, তার সাংসারিক জীবনের অভিজ্ঞতা এতটাই তিক্ত যে, ভবিষ্যতে আর বিয়ে করার কোনো ইচ্ছা নেই। তার একমাত্র পুত্র আইজান নিহানকে সঠিকভাবে মানুষ করাই এখন তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। অভিনয়ে দীর্ঘ বিরতির পর কাজে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন শাবনূর। তিনি জানান, "গত বছর *রঙ্গনা* নামে একটি ছবিতে কাজ শুরু করেছিলাম, যা এখনো শেষ হয়নি। শিগগিরই কাজে ফেরার পরিকল্পনা করছি।" অনিকের সঙ্গে সম্পর্কের শুরু ও শেষআংটিবদল:২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর। বিয়ে:২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর। সন্তান:২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর পুত্র আইজান নিহানের জন্ম। তালাক: ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি। ৪৬তম জন্মদিনে শাবনূরকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভক্তদের ভালোবাসা আর শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। জীবনের নানা আক্ষেপ থাকলেও শাবনূর দৃঢ় মনোবল নিয়ে জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোতে মনোযোগী থাকার কথা জানান। "অনেক কঠিন সময় পেরিয়ে এসেছি, কিন্তু আমি কখনো হাল ছাড়িনি। আমার লক্ষ্য জীবনের প্রতিটি দিন ইতিবাচকভাবে কাটানো।" এসএফ
আ.লীগের মনোনয়ন ফরম কিনতে চাওয়া ডিপজল এবার বিএনপির ব্যানারে
ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘মুভিলর্ড’ ও ‘দানবীর’ খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। পালন করছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব। পাশাপাশি নতুন বেশ কিছু সিনেমার কাজ নিয়েও ব্যস্ত আছেন।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশও নিয়েছিলেন তিনি। তবে ডিপজল আগে থেকেই বিএনপি সমর্থক এমনকি বিএনপির সমর্থন নিয়ে কমিশনার হয়েছিলেন শোনা যায়।এদিকে, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) তার ফেসবুক পেইজে দেওয়া একটি পোস্ট তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সে পোস্টে তিনি বিএনপির ব্যানারে নিজের ছবি দিয়ে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি লিখেছেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। যাদের মহান আত্মত্যাগে আমাদের এই স্বাধীনতা সেই সব বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। তিনি আরও লিখেছেন, লাখো শহীদের রক্তে লেখা, বিজয়ের এই ইতিহাস! মুক্তির বার্তা নিয়ে বার বার ফিরে আসুক ডিসেম্বর মাস।ব্যানারে শহীদ রাাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করেছেন।জানা গেছে, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা-১৪ (মিরপুর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনেন চলচ্চিত্র অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম কেনেন তিনি। পরে ২০২১ সালে ঢাকা-১৪ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে গিয়ে বিফল তিনি। বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে মনোনয়ন ফরম না কিনেই ফিরে আসতে হয়েছিল তাকে। আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের প্রাথমিক সদস্য ছিলেন না ডিপজল।আওয়ামী লীগে বা এর কোনো সহযোগী সংগঠনে যোগদান করেছেন, এমন প্রমাণপত্র দেখাতে বলা হলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। তাই শর্ত পূরণ না হওয়ায় তার কাছে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেনি আওয়ামী লীগ।প্রসঙ্গত, মনোয়ার হোসেন ডিপজল ১৯৯৪ সালে বিএনপি সমর্থন নিয়ে ঢাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন।এসএফ
অনেক বছর পর মনে হচ্ছে সত্যিই আমরা স্বাধীন: মনির খান
নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মধ্য দিয়ে জাতি আজ নতুন করে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছে। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পর অধিকাংশ দেশবাসী এ সময়টাকে 'দ্বিতীয় স্বাধীনতা' বলেও অভিহিত করছে।ঐতিহাসিক এই দিনটি প্রতিবছরই নানা আয়োজনে উদযাপন করা হয়। এবারও তাই হচ্ছে। এরইমধ্যে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে আলোচনায় রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার কনসার্টটি।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে কনসার্টটির। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীন বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করানোর জন্য রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত এ কনসার্টে লাল-সবুজের বাংলাদেশের গান ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।এদিন ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ কনসার্টে অন্যান্যদের মতো পরিবেশনা করবেন কোটি বাঙালির হৃদয়ে ঠাঁই করে নেয়া, তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী সংগীতশিল্পী মনির খান। সংসদ ভবন এলাকায় এই পরিবেশনার মাধ্যমে দীর্ঘ ১৫ বছর পর খোলা আকাশের নিচে সব শ্রেণিপেশার দর্শকে-শ্রোতাদের গান শোনানোর সুযোগ পেয়েছেন এ শিল্পী।মনির খান বলেন, আজ থেকে প্রায় ১৫/১৬ বছর আগের কথা। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমি অঘোষিত কালো তালিকায় ছিলাম। বলতে পারেন, বিএনপির মতাদর্শ সাংস্কৃতিক তারকারা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানে তাদের কাজের সুযোগ ছিল না। আমারও কোনো সুযোগ ছিল না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে নানাভাবে আমার কণ্ঠরোধ করে রাখা হয়েছিল।তিনি বলেন, বলেন, আজ সংসদ ভবন এলাকায় খোলা আকাশের নিচে দর্শক-শ্রোতাদের জন্য মন খুলে গাইতে পারব। এটা একজন শিল্পীর জন্য যে কত বড় পাওয়া, তা হয়তো আমি ভাষায় বলে বোঝাতে পারব না। তবে আমি আজ সত্যিই অনেক আনন্দিত। দীর্ঘদিন পর দেশর কোনো বিজয় দিবসের কনসার্টে গাইতে পারছি। অনেক বছর পর মনে হচ্ছে সত্যিই আজ আমরা স্বাধীন। আজ শিল্পীরা তাদের মন খুল গান গাইতে পারছে।
অর্থ-বাণিজ্য
সব দেখুন
বাংলাদেশের অর্থনীতির চিত্র আশাব্যঞ্জক নয়: আইএমএফ
বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) শঙ্কা প্রকাশ করেছে। দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা তাদের ধারণার চেয়েও বেশি। চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক নীতিতে দুর্বলতাকে কেন্দ্র করে আজ (১৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকস বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও।ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সংকটমুক্ত করতে সংস্কার উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে এবং অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে। আইএমএফ কর্মসূচিতে থাকা অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পিছিয়ে রয়েছে।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি যে ২২ হাজার কোটি টাকা মুদ্রণ করেছে তা আর্থিক সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। এ ধরনের উদ্যোগ মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিতে পারে।জিডিপি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে পূর্বাভাসআইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী:২০২৪ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ৩.৮ শতাংশ।২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি পৌঁছাবে ১১ শতাংশে।আইএমএফ জানায়, বাংলাদেশের জন্য ঋণের চতুর্থ কিস্তি (১৩০ কোটি ডলার) ছাড়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক নীট রিজার্ভের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আইএমএফের শর্ত পূরণ করেছে, যা বর্তমানে ১৫.৫৮ বিলিয়ন ডলার।অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ আশাবাদী যে অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এসএফ
ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পূর্বঘোষিত ডিম ও মুরগির উৎপাদন বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে সরকার বিপিএ এর ১০ দফা দাবি পূরণ করবে বলে আশ্বস্ত করায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিপিএ।এর আগে, প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের স্বার্থ রক্ষা, করপোরেট কোম্পানির সিন্ডিকেট বন্ধ করাসহ দশ দফা দাবি জনিয়ে ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিপিএ। গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই ঘোষণা দেওয়া হয়।বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার জানান, প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় সংকট সমাধানের জন্য সরকারকে বারবার বলার পরও তারা নজর দিচ্ছে না। উল্টো কর্পোরেট সিন্ডিকেটকে সরকার সহযোগিতা করছে। সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি। যাতে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে প্রান্তিক খামারিরা টিকে থাকতে পারে। বর্তমানে কর্পোরেট কোম্পানির আধিপত্য ও সিন্ডিকেটের কারণে দেশের মুরগি ও ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যার ফলে প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর, কৃষি বিপণন অধিদফতর ও সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিদের নিয়ে ১০দফা দাবির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার প্রান্তিক খামারি এবং দেশ ও জনগণের স্বার্থে ১০ দফা দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি বিপিএকে এ খাতের সংশ্লিষ্ট সকল দফতরে যুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। দেশের পোল্ট্রি শিল্পের টেকসই উন্নয়ন, খামারিদের সুরক্ষা এবং ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে পোল্ট্রি পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে উপস্থাপিত ১০ দফা দাবির পূরণের জন্য আনুষ্ঠানিক আশ্বাস পাওয়ায় ডিম মুরগির উৎপাদন বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলে জানান সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, পোল্ট্রি শিল্প দেশের খাদ্য নিরাপত্তার প্রধান স্তম্ভ। সরকারের এই উদ্যোগ খামারিদের টিকে থাকা নিশ্চিত করবে এবং পোল্ট্রি পণ্যের উৎপাদন খরচ কমাতে সহায়তা করবে। আমরা আশা করি, দ্রুততম সময়ে দাবিগুলোর বাস্তবায়ন হবে।তবে সরকারকে দুই মাসের সময় দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার দাবিগুলো গুরুত্ব সহকারে যাচাই-বাছাই করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। এই সময়সীমার মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়িত না হলে প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো। সরকারের প্রতিশ্রুতি আমাদের আস্থা দিয়েছে। তবে আমরা প্রস্তুত রয়েছি, যদি প্রয়োজন হয় কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের।তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সমৃদ্ধ এই খাত মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদি সরকার এখনই পদক্ষেপ না নেয় তবে পোল্ট্রি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। সরকারের কাছে বারবার দাবি জানানোর পরও সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করছে। তাই আমরা স্বল্প সময়ের আল্টিমেটাম দিচ্ছি। সরকার যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় প্রান্তিক খামার বন্ধের কর্মসূচি ঘোষণা করছি সরকারের পোল্ট্রি খাতে নীতি নির্ধারক সকল সংশ্লিষ্ট দফতরে বিপিএকে যুক্ত করা সহ ১০দফা দাবিগুলো হল- করপোরেট কোম্পানিগুলো শুধু ফিড ও মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, বাণিজ্যিকভাবে করপোরেট কোম্পানির ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে, ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে, প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে, ক্ষুদ্র খামারিদের সহজ শর্তে ঋণ ও ভর্তুকি দিতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে, আলাদা বাজার সুবিধা তৈরি করতে হবে, সরকারি নীতিমালা তৈরি করে করপোরেট সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের ফাঁদ বন্ধ করতে হবে ও প্রান্তিক খামারিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিতে হবে।এবি
ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৮৮ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৬ টাকা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৯৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৫ হাজার ৩০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৪ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।এর আগে, সবশেষ গত ১৪ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৭৭৩ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩২ হাজার ২০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে।উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৬০ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২৫ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।এসএফ
নগদে ডিজিটাল জালিয়াতি, ২৩৫৬ কোটি টাকার হিসাব মিলছে না
মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘নগদ লিমিটেড’-এ বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুয়া পরিবেশক ও এজেন্ট দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিক জালিয়াতি এবং অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক অর্থ বা ই-মানি তৈরি করা হয়েছে। এসব কারণে হিসাব মিলছে না ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ পরিচালনায় যে প্রশাসক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বসিয়েছে, তাদের পরিদর্শনে এসব অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে।অনুমোদনহীন পরিবেশক তৈরির দায়ে ছয় কর্মকর্তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডাক বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া নগদ পরিচালনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে ডাক অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছেন নগদে নিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার। নগদের শীর্ষ পর্যায়ের পাঁচ কর্মকর্তাকে এর আগেই বরখাস্ত করা হয়েছিল।নগদে যখন এসব অনিয়ম সংঘটিত হয়, তখন এর পরিচালনায় আওয়ামী লীগের একাধিক সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তি যুক্ত ছিলেন। সবার চোখের সামনে এসব অনিয়ম হলেও চুপ ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ডাক অধিদপ্তর। কর্মকর্তারা বলছেন, নগদে ঘটা অনিয়ম টাকার হিসাবে দেশের সবচেয়ে বড় ‘ডিজিটাল জালিয়াতি’। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, নগদে ফরেনসিক নিরীক্ষা হবে। ফরেনসিক নিরীক্ষা হলো, কোনো প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত খতিয়ে দেখা, যার মাধ্যমে জালিয়াতি, অনিয়ম ও এর সুবিধাভোগীদের খুঁজে বের করা সম্ভব।তবে জালিয়াতির কারণে যে আর্থিক দায় তৈরি হয়েছে, তা ডাক অধিদপ্তরের ঘাড়ে পড়ছে। কারণ, মোবাইলে আর্থিক সেবা দিতে যে সাময়িক অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে, সেটি তাদের। ডাক অধিদপ্তরের পক্ষে সেবাটি পরিচালনা করে নগদ লিমিটেড, যা একসময় ছিল থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেড।এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাব উদ্দীন গত রোববার রাতে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে প্রথম আলোকে জানান, ‘এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’ডিজিটাল যত জালিয়াতিআওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিয়োগ পাওয়া প্রশাসক নগদ পরিচালনার পাশাপাশি আর্থিক অনিয়ম খুঁজে বের করা শুরু করেন। এতেই উঠে আসে বড় অঙ্কের ডিজিটাল জালিয়াতির বিষয়টি। নথিপত্রে বলা হয়েছে, ডাক অধিদপ্তর ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির মধ্যে ২০১৭ সালে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, ব্যাংকে যত টাকা জমা থাকবে, ঠিক তার সমপরিমাণ ই-মানি ইস্যু করা যাবে। তবে প্রশাসক দল দেখতে পায় যে নগদে অতিরিক্ত ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি ইস্যু করা হয়েছে।প্রশাসক দলের পক্ষ থেকে ডাক অধিদপ্তরকে আরও জানানো হয়েছে, অনুমোদন ছাড়াই নগদে ৪১টি পরিবেশক হিসাব খোলার মাধ্যমে ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে। এসব পরিবেশক হিসাবের দায়িত্ব ছিল সরকারি ভাতা বিতরণ করা।জানা গেছে, নগদের মালিকানায় আওয়ামী লীগের নেতারা যুক্ত থাকায় তৎকালীন সরকার ভাতা বিতরণের জন্য নগদকে বেছে নিয়েছিল। আর এ সুযোগে সরকারি ভাতার একটা অংশ নিয়ে জালিয়াতি করা হয়। বিশেষ করে হিসাবে টাকা দেওয়ার পর যেসব ভাতাভোগী তিন দিনের মধ্যে তা উত্তোলন করেননি, তাঁদের টাকা তুলে নেয় নগদ। নথিপত্রে দেখা গেছে, কুমিল্লার পরিবেশক রংপুরের ভাতাভোগীদের অর্থ বিতরণ করেছে। ফলে এ ক্ষেত্রেও জালিয়াতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগদের একজন কর্মকর্তা।নগদের প্রশাসক দল মনে করে যে অনুমোদন ছাড়াই যেসব পরিবেশক নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের ব্যবহার করে এই জালিয়াতি করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছয় কর্মকর্তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করে তা ডাক অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন নগদের নির্বাহী পরিচালক সাফায়েত আলম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মর্তুজা চৌধুরী, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা আবু রায়হান, আর্থিক প্রশাসন ও পরিচালনা বিভাগের প্রধান রাকিবুল ইসলাম এবং সলিউশন ডিজাইন বিভাগের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট নাজমুস সাকিব আকিব।এ বিষয়ে নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার ৫ ডিসেম্বর ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ও চুক্তিবদ্ধ পক্ষ হিসেবে ডাক বিভাগ এসব অনিয়ম/চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন/ক্ষতিপূরণের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে বলে প্রশাসক দল মনে করে। প্রশাসকের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।গত ৫ আগস্টের পর আর অফিসে যাননি তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তানভীর আহমেদ; নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ ওরফে এলিট ও মারুফুল ইসলাম ওরফে ঝলক; উপপ্রধান মার্কেটিং কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ সোলায়মান (সোলায়মান সুখন) এবং মানবসম্পদ কর্মকর্তা অনিক বড়ুয়া। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২১ আগস্ট নগদে প্রশাসক বসায়। তাঁরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত ব্যক্তিদের অনেকে নগদ লিমিটেডের মালিকানায়ও রয়েছেন।যোগাযোগ করা হলে নগদের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এসব অভিযোগ সঠিক নয়। আমার সময়ে ৩৪৫ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল। এটা পরে কমে ৬০ কোটি টাকায় এসেছিল৷ অন্য কোনো অনিয়ম আমার সময়ে হয়নি।’নগদের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ৬৪৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত ই-মানি হয়েছে একটি ব্যাংকঋণ সমন্বয় করার কারণে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে কিস্তিতে সমন্বয় করা হচ্ছিল। প্রশাসক দায়িত্ব নিয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছেন। কিছু ই-মানি ইস্যু হয়েছে পরিচালন খরচ মেটাতে গিয়ে। তিনি বলেন, ‘নগদের কার্যক্রম একরকম থমকে গেছে। নতুন করে কোনো অফার দেওয়া হচ্ছে না, প্রচারণাও প্রায় বন্ধ। ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রশাসক শুধু আগের ভুল ধরে চলছে।’শুরুতেই বড় গলদডাক অধিদপ্তরের নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৭ সালে ডাক অধিদপ্তর পোস্টাল ক্যাশ কার্ড সেবা প্রচলনের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে। পাশাপাশি এতে ডিজিটাল আর্থিক সেবার কথাও যুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর ডাক অধিদপ্তর ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ চুক্তিতে বলা হয়, পরিবেশন ও অন্যান্য খরচ বাদে গ্রাহক কমিশন থেকে যে আয় থাকবে, তার ৫১ শতাংশ পাবে ডাক বিভাগ ও ৪৯ শতাংশ পাবে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি।এরপর ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট ডাক অধিদপ্তর ‘নগদ’ নামে মোবাইলে আর্থিক সেবা চালুর অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করে। শর্ত মেনে আবেদন না করার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন দেয়নি। তবে ডাক অধিদপ্তর নিজেদের আইনে পরিবর্তন এনে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ ‘নগদ’ নামে মোবাইলে আর্থিক সেবা চালু করে দেয়। তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেবাটি উদ্বোধন করেন। শর্ত পূরণ না করলেও ২০২০ সালের ১৫ মার্চ নগদকে অন্তর্বর্তীকালীন অনুমোদন দিয়ে ডাক অধিদপ্তরকে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।এ সময় ব্যাংক হিসাব (ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট হিসাব) ডাক বিভাগের নামে খোলার শর্ত দেওয়া হয়। তবে থার্ড ওয়েভ সে পথে যায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও কোনো তদারক করেনি। এরপরও দফায় দফায় অনুমোদনের মেয়াদ বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি নিজেই নাম পরিবর্তন করে নগদ লিমিটেড হয়ে যায়। এককভাবে সরকারি ভাতা বিতরণ, শর্ত ছাড়া হিসাব খোলার সুযোগ ও সহজেই হিসাব খোলার সুবিধার ফলে নগদ হয়ে ওঠে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। সেবাটির গ্রাহক প্রায় ৯ কোটি। দিনে এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে নগদে। মোবাইলে আর্থিক সেবার চূড়ান্ত অনুমতি না পেলেও নগদকে প্রথমে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পরে ডিজিটাল ব্যাংক চালুর প্রাথমিক অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।পেছনে কারাথার্ড ওয়েভ টেকনোলজির প্রতিষ্ঠা ২০১৬ সালে। তানভীর আহমেদের পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন কাজী মনিরুল কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, সৈয়দ আরশাদ রেজা ও মিজানুর রহমান। নগদের কার্যক্রম শুরুর আগেই অংশীদারদের কেউ কেউ থার্ড ওয়েভের শেয়ার ছেড়ে দেন। এর মধ্যে কাজী মনিরুল কবির শেয়ার ছেড়ে দিলে মালিকানায় যুক্ত হন আওয়ামী লীগের তৎকালীন দুই সংসদ নাহিম রাজ্জাক ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। যোগ দেন রেজওয়ানা নূর, যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের স্ত্রী। পরে তিনিও মালিকানা ছেড়ে দেন।২০১৮ সাল থেকে নগদকে ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে প্রচার করা হলেও সরকারের এ সংস্থা এর মালিকানায় ছিল না, এখনো নেই। নগদ ও বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, নগদ লিমিটেডে এখন পরিচালক নয়জন, যাঁরা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে নিবন্ধিত কোম্পানির প্রতিনিধি। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও সিঙ্গাপুরের একজন করে নাগরিক রয়েছেন। অন্য ছয়জন বাংলাদেশি।যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) তথ্য অনুযায়ী, নগদের শেয়ারধারী একটি কোম্পানির মালিকানায় ছিলেন নাহিম রাজ্জাক ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। আর নগদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তানভীর আহমেদ, জুনিয়র চেম্বার সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ ও জুনিয়র চেম্বার ঢাকার সাবেক সভাপতি মারুফুল ইসলাম রয়েছেন নগদের শেয়ারধারী একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানায়। এর মধ্যে নিয়াজ মোর্শেদ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ফলে নগদ পরিচিত হয়ে উঠেছিল তৎকালীন সরকারদলীয় নেতাদের একটি ক্লাব হিসেবে।এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এ খান প্রথম আলোকে বলেন, নগদের পেছনে সব সময় বড় হাত ছিল। এ জন্য অনুমতি ছাড়া এটি এত বড় হওয়ায় সুযোগ পেয়েছে। মোবাইলে আর্থিক সেবার লাইসেন্স না পেলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমতি পেয়েছিল। সবাই জানে, এর সুবিধাভোগী কে ছিল। এখন গরিব মানুষের বেহাত হওয়া টাকা যে পথে আদায় করা যায়, সরকারকে সে পথে এগোতে হবে।এসএফ
ইউনূস সরকারের আমলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ২৬ শতাংশ
প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।ড. আসিফ নজরুল বলেন, “হুন্ডির পরিবর্তে ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এটি অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক দিক।”তিনি আরও বলেন, “প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে যে অবদান রেখেছেন, তার ন্যূনতম স্বীকৃতিও দেওয়া হয়নি। প্রবাসী কর্মীদের সম্মান দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।”ড. নজরুল অভিযোগ করেন, “বিদেশে থাকা প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ পূর্ববর্তী সরকার ব্যাংকের মাধ্যমে লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। ইসলামী ব্যাংকগুলোকে লুটের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে ব্যাংকে চেক দিলেও টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ একসময় ইসলামী ধারা ব্যাংকগুলো বাংলাদেশে শক্তিশালী ছিল।”অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, “প্রবাসীদের জন্যই আন্তর্জাতিক মহলে জুলাই আন্দোলনের গণহত্যার ঘটনা তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। তাদের অবদান অতুলনীয়।”অনুষ্ঠানে রেমিট্যান্স পাঠানোর স্বীকৃতি হিসেবে ১০০-এর বেশি ব্যক্তি, ব্যাংক এবং প্রতিষ্ঠানকে সিআইপি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বক্তারা ডলারের বাজারে হুন্ডি চক্র দমনে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।প্রবাসীদের জন্য উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রবাসীদের এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) প্রদান শুরু হয়েছে। সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় এ সেবা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে।এসএফ
সুইজারল্যান্ড থেকে ১৩২৬ কোটি টাকার এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত
দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সুইজারল্যান্ড থেকে এক হাজার ৩২৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।জানা গেছে, সুইজারল্যান্ডের মেসার্স টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড থেকে দুটি আলাদা কার্গোতে এলএনজি আমদানি করা হবে।প্রথম কার্গোটি আগামী ৫-৬ জানুয়ারি সময়ে আসবে। এ কার্গোর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫৪ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ২৮০ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮৭ মার্কিন ডলার।দ্বিতীয় কার্গোটি ৯-১০ জানুয়ারি সময়ে আসবে। এই কার্গোর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৭২ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার।সরকারি সূত্র জানিয়েছে, এই এলএনজি আমদানির মাধ্যমে দেশের জ্বালানি সরবরাহব্যবস্থা আরও স্থিতিশীল করা হবে। পাশাপাশি শিল্প খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।এসএফ
ভারত থেকে আরো ৫০ হাজার টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত
দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা। গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এটিসহ ভোজ্যতেল, ডাল, সার ও এলএনজি ক্রয়সংক্রান্ত আরও কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে।বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-৪ এর আওতায় ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্স থেকে এ চাল কেনা হবে। প্রতি টন ৪৫৬ দশমিক ৬৭ ইউএস ডলার হিসাবে এ চাল আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ২৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি কেজি চালের দাম পড়ছে ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা।এর আগে গত ২১ নভেম্বর ভারতের এসএইএল এগ্রি কমোডিটিজ থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সম্প্রতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।তাছাড়া গত ৬ নভেম্বর দেশে খাদ্যশস্যের মজুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও করণীয় বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ধান-চাল সংগ্রহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।সভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী, সরকারি খাতে এই অর্থবছরে মোট ২০ লাখ ৫২ হাজার টন চালের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, চাল, ডাল, সয়াবিন তেল ও সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সয়াবিন হয়তো কিছুটা সহনীয় হতে পারে। রোজা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য যেমন– চাল, ডাল, খেজুর, ছোলা, সয়াবিন তেল, চিনির সরবরাহ নিশ্চিতের চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে বাজার আরও একটু সহনীয় হয়। তবে এ জন্য সময় লাগবে। কারণ এগুলোর বেশির ভাগ আমদানি করতে হয়।এবি
বাংলাদেশের অর্থনীতির চিত্র আশাব্যঞ্জক নয়: আইএমএফ
বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) শঙ্কা প্রকাশ করেছে। দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা তাদের ধারণার চেয়েও বেশি। চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক নীতিতে দুর্বলতাকে কেন্দ্র করে আজ (১৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকস বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও।ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সংকটমুক্ত করতে সংস্কার উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে এবং অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে। আইএমএফ কর্মসূচিতে থাকা অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পিছিয়ে রয়েছে।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি যে ২২ হাজার কোটি টাকা মুদ্রণ করেছে তা আর্থিক সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। এ ধরনের উদ্যোগ মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিতে পারে।জিডিপি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে পূর্বাভাসআইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী:২০২৪ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ৩.৮ শতাংশ।২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি পৌঁছাবে ১১ শতাংশে।আইএমএফ জানায়, বাংলাদেশের জন্য ঋণের চতুর্থ কিস্তি (১৩০ কোটি ডলার) ছাড়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক নীট রিজার্ভের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আইএমএফের শর্ত পূরণ করেছে, যা বর্তমানে ১৫.৫৮ বিলিয়ন ডলার।অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ আশাবাদী যে অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এসএফ
ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পূর্বঘোষিত ডিম ও মুরগির উৎপাদন বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে সরকার বিপিএ এর ১০ দফা দাবি পূরণ করবে বলে আশ্বস্ত করায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিপিএ।এর আগে, প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের স্বার্থ রক্ষা, করপোরেট কোম্পানির সিন্ডিকেট বন্ধ করাসহ দশ দফা দাবি জনিয়ে ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিপিএ। গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই ঘোষণা দেওয়া হয়।বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার জানান, প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় সংকট সমাধানের জন্য সরকারকে বারবার বলার পরও তারা নজর দিচ্ছে না। উল্টো কর্পোরেট সিন্ডিকেটকে সরকার সহযোগিতা করছে। সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি। যাতে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে প্রান্তিক খামারিরা টিকে থাকতে পারে। বর্তমানে কর্পোরেট কোম্পানির আধিপত্য ও সিন্ডিকেটের কারণে দেশের মুরগি ও ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যার ফলে প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর, কৃষি বিপণন অধিদফতর ও সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিদের নিয়ে ১০দফা দাবির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার প্রান্তিক খামারি এবং দেশ ও জনগণের স্বার্থে ১০ দফা দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি বিপিএকে এ খাতের সংশ্লিষ্ট সকল দফতরে যুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। দেশের পোল্ট্রি শিল্পের টেকসই উন্নয়ন, খামারিদের সুরক্ষা এবং ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে পোল্ট্রি পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে উপস্থাপিত ১০ দফা দাবির পূরণের জন্য আনুষ্ঠানিক আশ্বাস পাওয়ায় ডিম মুরগির উৎপাদন বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলে জানান সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, পোল্ট্রি শিল্প দেশের খাদ্য নিরাপত্তার প্রধান স্তম্ভ। সরকারের এই উদ্যোগ খামারিদের টিকে থাকা নিশ্চিত করবে এবং পোল্ট্রি পণ্যের উৎপাদন খরচ কমাতে সহায়তা করবে। আমরা আশা করি, দ্রুততম সময়ে দাবিগুলোর বাস্তবায়ন হবে।তবে সরকারকে দুই মাসের সময় দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার দাবিগুলো গুরুত্ব সহকারে যাচাই-বাছাই করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। এই সময়সীমার মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়িত না হলে প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো। সরকারের প্রতিশ্রুতি আমাদের আস্থা দিয়েছে। তবে আমরা প্রস্তুত রয়েছি, যদি প্রয়োজন হয় কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের।তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সমৃদ্ধ এই খাত মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদি সরকার এখনই পদক্ষেপ না নেয় তবে পোল্ট্রি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। সরকারের কাছে বারবার দাবি জানানোর পরও সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করছে। তাই আমরা স্বল্প সময়ের আল্টিমেটাম দিচ্ছি। সরকার যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় প্রান্তিক খামার বন্ধের কর্মসূচি ঘোষণা করছি সরকারের পোল্ট্রি খাতে নীতি নির্ধারক সকল সংশ্লিষ্ট দফতরে বিপিএকে যুক্ত করা সহ ১০দফা দাবিগুলো হল- করপোরেট কোম্পানিগুলো শুধু ফিড ও মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, বাণিজ্যিকভাবে করপোরেট কোম্পানির ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে, ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে, প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে, ক্ষুদ্র খামারিদের সহজ শর্তে ঋণ ও ভর্তুকি দিতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে, আলাদা বাজার সুবিধা তৈরি করতে হবে, সরকারি নীতিমালা তৈরি করে করপোরেট সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের ফাঁদ বন্ধ করতে হবে ও প্রান্তিক খামারিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিতে হবে।এবি
ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৮৮ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৬ টাকা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৯৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৫ হাজার ৩০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৪ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।এর আগে, সবশেষ গত ১৪ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৭৭৩ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩২ হাজার ২০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে।উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৬০ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২৫ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।এসএফ
নগদে ডিজিটাল জালিয়াতি, ২৩৫৬ কোটি টাকার হিসাব মিলছে না
মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘নগদ লিমিটেড’-এ বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুয়া পরিবেশক ও এজেন্ট দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিক জালিয়াতি এবং অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক অর্থ বা ই-মানি তৈরি করা হয়েছে। এসব কারণে হিসাব মিলছে না ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ পরিচালনায় যে প্রশাসক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বসিয়েছে, তাদের পরিদর্শনে এসব অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে।অনুমোদনহীন পরিবেশক তৈরির দায়ে ছয় কর্মকর্তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডাক বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া নগদ পরিচালনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে ডাক অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছেন নগদে নিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার। নগদের শীর্ষ পর্যায়ের পাঁচ কর্মকর্তাকে এর আগেই বরখাস্ত করা হয়েছিল।নগদে যখন এসব অনিয়ম সংঘটিত হয়, তখন এর পরিচালনায় আওয়ামী লীগের একাধিক সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তি যুক্ত ছিলেন। সবার চোখের সামনে এসব অনিয়ম হলেও চুপ ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ডাক অধিদপ্তর। কর্মকর্তারা বলছেন, নগদে ঘটা অনিয়ম টাকার হিসাবে দেশের সবচেয়ে বড় ‘ডিজিটাল জালিয়াতি’। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, নগদে ফরেনসিক নিরীক্ষা হবে। ফরেনসিক নিরীক্ষা হলো, কোনো প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত খতিয়ে দেখা, যার মাধ্যমে জালিয়াতি, অনিয়ম ও এর সুবিধাভোগীদের খুঁজে বের করা সম্ভব।তবে জালিয়াতির কারণে যে আর্থিক দায় তৈরি হয়েছে, তা ডাক অধিদপ্তরের ঘাড়ে পড়ছে। কারণ, মোবাইলে আর্থিক সেবা দিতে যে সাময়িক অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে, সেটি তাদের। ডাক অধিদপ্তরের পক্ষে সেবাটি পরিচালনা করে নগদ লিমিটেড, যা একসময় ছিল থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেড।এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাব উদ্দীন গত রোববার রাতে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে প্রথম আলোকে জানান, ‘এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’ডিজিটাল যত জালিয়াতিআওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিয়োগ পাওয়া প্রশাসক নগদ পরিচালনার পাশাপাশি আর্থিক অনিয়ম খুঁজে বের করা শুরু করেন। এতেই উঠে আসে বড় অঙ্কের ডিজিটাল জালিয়াতির বিষয়টি। নথিপত্রে বলা হয়েছে, ডাক অধিদপ্তর ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির মধ্যে ২০১৭ সালে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, ব্যাংকে যত টাকা জমা থাকবে, ঠিক তার সমপরিমাণ ই-মানি ইস্যু করা যাবে। তবে প্রশাসক দল দেখতে পায় যে নগদে অতিরিক্ত ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি ইস্যু করা হয়েছে।প্রশাসক দলের পক্ষ থেকে ডাক অধিদপ্তরকে আরও জানানো হয়েছে, অনুমোদন ছাড়াই নগদে ৪১টি পরিবেশক হিসাব খোলার মাধ্যমে ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে। এসব পরিবেশক হিসাবের দায়িত্ব ছিল সরকারি ভাতা বিতরণ করা।জানা গেছে, নগদের মালিকানায় আওয়ামী লীগের নেতারা যুক্ত থাকায় তৎকালীন সরকার ভাতা বিতরণের জন্য নগদকে বেছে নিয়েছিল। আর এ সুযোগে সরকারি ভাতার একটা অংশ নিয়ে জালিয়াতি করা হয়। বিশেষ করে হিসাবে টাকা দেওয়ার পর যেসব ভাতাভোগী তিন দিনের মধ্যে তা উত্তোলন করেননি, তাঁদের টাকা তুলে নেয় নগদ। নথিপত্রে দেখা গেছে, কুমিল্লার পরিবেশক রংপুরের ভাতাভোগীদের অর্থ বিতরণ করেছে। ফলে এ ক্ষেত্রেও জালিয়াতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগদের একজন কর্মকর্তা।নগদের প্রশাসক দল মনে করে যে অনুমোদন ছাড়াই যেসব পরিবেশক নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের ব্যবহার করে এই জালিয়াতি করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছয় কর্মকর্তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করে তা ডাক অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন নগদের নির্বাহী পরিচালক সাফায়েত আলম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মর্তুজা চৌধুরী, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা আবু রায়হান, আর্থিক প্রশাসন ও পরিচালনা বিভাগের প্রধান রাকিবুল ইসলাম এবং সলিউশন ডিজাইন বিভাগের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট নাজমুস সাকিব আকিব।এ বিষয়ে নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার ৫ ডিসেম্বর ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ও চুক্তিবদ্ধ পক্ষ হিসেবে ডাক বিভাগ এসব অনিয়ম/চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন/ক্ষতিপূরণের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে বলে প্রশাসক দল মনে করে। প্রশাসকের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।গত ৫ আগস্টের পর আর অফিসে যাননি তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তানভীর আহমেদ; নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ ওরফে এলিট ও মারুফুল ইসলাম ওরফে ঝলক; উপপ্রধান মার্কেটিং কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ সোলায়মান (সোলায়মান সুখন) এবং মানবসম্পদ কর্মকর্তা অনিক বড়ুয়া। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২১ আগস্ট নগদে প্রশাসক বসায়। তাঁরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত ব্যক্তিদের অনেকে নগদ লিমিটেডের মালিকানায়ও রয়েছেন।যোগাযোগ করা হলে নগদের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এসব অভিযোগ সঠিক নয়। আমার সময়ে ৩৪৫ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল। এটা পরে কমে ৬০ কোটি টাকায় এসেছিল৷ অন্য কোনো অনিয়ম আমার সময়ে হয়নি।’নগদের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ৬৪৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত ই-মানি হয়েছে একটি ব্যাংকঋণ সমন্বয় করার কারণে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে কিস্তিতে সমন্বয় করা হচ্ছিল। প্রশাসক দায়িত্ব নিয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছেন। কিছু ই-মানি ইস্যু হয়েছে পরিচালন খরচ মেটাতে গিয়ে। তিনি বলেন, ‘নগদের কার্যক্রম একরকম থমকে গেছে। নতুন করে কোনো অফার দেওয়া হচ্ছে না, প্রচারণাও প্রায় বন্ধ। ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রশাসক শুধু আগের ভুল ধরে চলছে।’শুরুতেই বড় গলদডাক অধিদপ্তরের নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৭ সালে ডাক অধিদপ্তর পোস্টাল ক্যাশ কার্ড সেবা প্রচলনের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে। পাশাপাশি এতে ডিজিটাল আর্থিক সেবার কথাও যুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর ডাক অধিদপ্তর ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ চুক্তিতে বলা হয়, পরিবেশন ও অন্যান্য খরচ বাদে গ্রাহক কমিশন থেকে যে আয় থাকবে, তার ৫১ শতাংশ পাবে ডাক বিভাগ ও ৪৯ শতাংশ পাবে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি।এরপর ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট ডাক অধিদপ্তর ‘নগদ’ নামে মোবাইলে আর্থিক সেবা চালুর অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করে। শর্ত মেনে আবেদন না করার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন দেয়নি। তবে ডাক অধিদপ্তর নিজেদের আইনে পরিবর্তন এনে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ ‘নগদ’ নামে মোবাইলে আর্থিক সেবা চালু করে দেয়। তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেবাটি উদ্বোধন করেন। শর্ত পূরণ না করলেও ২০২০ সালের ১৫ মার্চ নগদকে অন্তর্বর্তীকালীন অনুমোদন দিয়ে ডাক অধিদপ্তরকে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।এ সময় ব্যাংক হিসাব (ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট হিসাব) ডাক বিভাগের নামে খোলার শর্ত দেওয়া হয়। তবে থার্ড ওয়েভ সে পথে যায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও কোনো তদারক করেনি। এরপরও দফায় দফায় অনুমোদনের মেয়াদ বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি নিজেই নাম পরিবর্তন করে নগদ লিমিটেড হয়ে যায়। এককভাবে সরকারি ভাতা বিতরণ, শর্ত ছাড়া হিসাব খোলার সুযোগ ও সহজেই হিসাব খোলার সুবিধার ফলে নগদ হয়ে ওঠে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। সেবাটির গ্রাহক প্রায় ৯ কোটি। দিনে এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে নগদে। মোবাইলে আর্থিক সেবার চূড়ান্ত অনুমতি না পেলেও নগদকে প্রথমে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পরে ডিজিটাল ব্যাংক চালুর প্রাথমিক অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।পেছনে কারাথার্ড ওয়েভ টেকনোলজির প্রতিষ্ঠা ২০১৬ সালে। তানভীর আহমেদের পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন কাজী মনিরুল কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, সৈয়দ আরশাদ রেজা ও মিজানুর রহমান। নগদের কার্যক্রম শুরুর আগেই অংশীদারদের কেউ কেউ থার্ড ওয়েভের শেয়ার ছেড়ে দেন। এর মধ্যে কাজী মনিরুল কবির শেয়ার ছেড়ে দিলে মালিকানায় যুক্ত হন আওয়ামী লীগের তৎকালীন দুই সংসদ নাহিম রাজ্জাক ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। যোগ দেন রেজওয়ানা নূর, যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের স্ত্রী। পরে তিনিও মালিকানা ছেড়ে দেন।২০১৮ সাল থেকে নগদকে ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে প্রচার করা হলেও সরকারের এ সংস্থা এর মালিকানায় ছিল না, এখনো নেই। নগদ ও বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, নগদ লিমিটেডে এখন পরিচালক নয়জন, যাঁরা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে নিবন্ধিত কোম্পানির প্রতিনিধি। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও সিঙ্গাপুরের একজন করে নাগরিক রয়েছেন। অন্য ছয়জন বাংলাদেশি।যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) তথ্য অনুযায়ী, নগদের শেয়ারধারী একটি কোম্পানির মালিকানায় ছিলেন নাহিম রাজ্জাক ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। আর নগদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তানভীর আহমেদ, জুনিয়র চেম্বার সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ ও জুনিয়র চেম্বার ঢাকার সাবেক সভাপতি মারুফুল ইসলাম রয়েছেন নগদের শেয়ারধারী একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানায়। এর মধ্যে নিয়াজ মোর্শেদ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ফলে নগদ পরিচিত হয়ে উঠেছিল তৎকালীন সরকারদলীয় নেতাদের একটি ক্লাব হিসেবে।এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এ খান প্রথম আলোকে বলেন, নগদের পেছনে সব সময় বড় হাত ছিল। এ জন্য অনুমতি ছাড়া এটি এত বড় হওয়ায় সুযোগ পেয়েছে। মোবাইলে আর্থিক সেবার লাইসেন্স না পেলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমতি পেয়েছিল। সবাই জানে, এর সুবিধাভোগী কে ছিল। এখন গরিব মানুষের বেহাত হওয়া টাকা যে পথে আদায় করা যায়, সরকারকে সে পথে এগোতে হবে।এসএফ
ইউনূস সরকারের আমলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ২৬ শতাংশ
প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।ড. আসিফ নজরুল বলেন, “হুন্ডির পরিবর্তে ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এটি অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক দিক।”তিনি আরও বলেন, “প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে যে অবদান রেখেছেন, তার ন্যূনতম স্বীকৃতিও দেওয়া হয়নি। প্রবাসী কর্মীদের সম্মান দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।”ড. নজরুল অভিযোগ করেন, “বিদেশে থাকা প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ পূর্ববর্তী সরকার ব্যাংকের মাধ্যমে লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। ইসলামী ব্যাংকগুলোকে লুটের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে ব্যাংকে চেক দিলেও টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ একসময় ইসলামী ধারা ব্যাংকগুলো বাংলাদেশে শক্তিশালী ছিল।”অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, “প্রবাসীদের জন্যই আন্তর্জাতিক মহলে জুলাই আন্দোলনের গণহত্যার ঘটনা তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। তাদের অবদান অতুলনীয়।”অনুষ্ঠানে রেমিট্যান্স পাঠানোর স্বীকৃতি হিসেবে ১০০-এর বেশি ব্যক্তি, ব্যাংক এবং প্রতিষ্ঠানকে সিআইপি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বক্তারা ডলারের বাজারে হুন্ডি চক্র দমনে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।প্রবাসীদের জন্য উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রবাসীদের এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) প্রদান শুরু হয়েছে। সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় এ সেবা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে।এসএফ
শিক্ষাঙ্গন
সব দেখুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আরেক শিক্ষার্থীর পদত্যাগ
যাদের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাদের উচ্চ পদগুলোতে রাখা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফরিদ হাসান। তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহেবিলিটেশন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর ) তিনি এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন। গত ২৬ নভেম্বর সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ছয় মাসের জন্য যশোর জেলা শাখার কমিটি প্রকাশ করা হয়। এতে রাশেদ খানকে আহ্বায়ক ও জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তিকে সদস্যসচিব করে ১১২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটি ঘোষণার পরদিন নানা অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম বিল্লাহ।লিখিত পদত্যাগপত্রে ফরিদ উল্লেখ করেন, আমার মনে হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতারা সঠিক পথে নেই। তারা জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারছে না। তারা ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার কমিটিতে যাদের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাদের উচ্চ পদগুলোতে রাখা হয়েছে এবং তারা কখনো ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা মনে পোষণ করে না। সেই সাথে কেন্দ্রীয় একজন সমন্বয়ক একজন নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তির সাথে খারাপ আচরণ করায় জনগণের কাতারে দাড়িয়ে আমি শাস্তি দাবি করছি। আমি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোন দল করতে চাই না। তাই আমি স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার কমিটি থেকে পদত্যাগ করছি। ভবিষ্যতে যদি কখনো দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে রাজপথে দাঁড়ানো লাগে আমি আবারও রাজপথে থাকবো ইনশাআল্লাহ।এ ব্যাপারে যশোর জেলা কমিটির আহ্বায়ক রাশেদ খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।উল্লেখ্য গত ৩০ নভেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব হোসেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক পথ থেকে পদত্যাগ করেন।এইচএ
বেরোবিতে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ‘ইনফরমেশন সেশন অন এডুকেশন ইন ইউএসএ অ্যান্ড স্কলারশিপ অপারচুনিটি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে একাডেমিক ভবন-২ এর ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত সেশনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী।মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বেরোবি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক, ঢাকাস্থ ইউএস অ্যাম্বাসির ডিরেক্টর অব পাবলিক এংগেজ স্কট হার্টম্যান এবং ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ এন্ড অ্যালামনাই কো-অর্ডিনেটর এ কিউ এম মুশফিক হাসান। ঢাকাস্থ ইউএস অ্যাম্বাসির ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা ও উপবৃত্তির সুবিধা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেন। বেরোবি স্কলারশিপ সাপোর্ট অফিসের আয়োজনে ইনফরমেশন সেশনে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।এআই
নোবিপ্রবিতে ট্রেজারার’স রিসেপশন অনুষ্ঠিত
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ট্রেজারার’স রিসেপশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ মুরাদ ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে বরণ করা হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ফলিত গণিত বিভাগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক।এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, বিজয়ের মাসে ১৯৭১ এর সকল শহীদ এবং চব্বিশের বিপ্লবে যাঁরা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। নোবিপ্রবি ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ মুরাদ ট্রেজারার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োজিত আমাদের এ টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করবে। যেকোন সমস্যা আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করবো। অনুষ্ঠানে আগত সবাইকে ধন্যবাদ।নবনিযুক্ত ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ মুরাদ বলেন, শ্রদ্ধা নিবেদন করছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের এবং চব্বিশের গণবিপ্লবের সকল শহীদদের প্রতি। চব্বিশের আন্দোলনে যাঁরা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আমি দীর্ঘদিন এই বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে ট্রেজারার পদে যোগদান করেছি। এটি আমার ব্যক্তিগত কোন অর্জন নয় বরং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন। সবাইকে ধন্যবাদ।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগর পরিচালক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনসহ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।এআই
ইউজিসি সদস্য হলেন অধ্যাপক মাছুমা হাবিব
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) ৪ বছরের মেয়াদে পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অ্যানিমেল সায়েন্স এবং গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আদেশ, ১৯৭৩ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর-১০/৭৩)-এর সংশোধিত আইন, ১৯৯৮-এর ৪.৪ (৭১) (বি) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অ্যানিমেল সায়েন্স এবং গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিবকে ইউজিসির পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে ৪ বছর মেয়াদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব অনুভূতি বক্ত্য করে বলেন, এটি আমার জন্য অত্যন্ত গর্ব ও সম্মানের। গবেষণা, শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক মান অর্জনে সর্বাত্মক চেষ্টা করব। আমার সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। কারণ তাদের সমর্থন ও অনুপ্রেরণাই আমাকে আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে।এইচএ
তথ্য-প্রযুক্তি
সব দেখুন
এবার ইউটিউবে যুক্ত হলো এআই টুল
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। ইউটিউব আয় করার অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম। বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করে মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করছেন।গুগল সব জায়গায় এআই যুক্ত করলেও তাদের এই ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপে যুক্ত করেনি। এবার সেই অপেক্ষার অবসান হলো। এবার ইউটিউবে চালু হয়েছে এআই অটো ডাবিং টুল। শিগগির টুলটি সব ব্যবহারকারীরাই পাবেন।দেড় বছর আগে ইউটিউবে এই টুল আনার ঘোষণা গিয়েছিল গুগল। তবে তা বাস্তবায়ন হতে বেশ সময় লেগে গেল সংস্থার। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা এখন তাদের ইংরেজি ভাষার ভিডিও ফ্রেঞ্চ, জার্মান, হিন্দি, ইন্দোনেশিয়ান, ইতালীয়, জাপানি, পর্তুগিজ বা স্প্যানিশ ভাষায় ডাব করতে পারেন।এভাবে অন্যান্য ভাষার ভিডিওতে ইংরেজি ডাবিং থাকতে পারে। প্রক্রিয়াটি হবে স্বয়ংক্রিয়। ব্যবহারকারীকে সিলেক্ট করতে হবে না। ভিডিও লাইভ হওয়ার আগে নির্মাতারা তাদের পূর্বরূপ দেখে নিতে পারবেন। ইউটিউব স্টুডিওর ‘ল্যাঙ্গুয়েজেস’ বিভাগে এই ডাব করা ভিডিও দেখা যাবে এবং ‘অটো ডাবড’ লেবেল যুক্ত থাকবে।এই টুলের ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনটি ডাবিং ভিডিও শেয়ার করেছে। যেখানে দুটি যথাক্রমে ফরাসি এবং হিন্দি থেকে ইংরেজিতে ডাব করা হয়েছে। অন্যটি একটি ভিডিওতে একাধিক ভাষার ডাবিং অপশন রয়েছে। ইংরেজি অনুবাদগুলো যথাযথ হলেও এটি শুনতে বেশ রোবোটিক ও ভিডিওটি এআই চালিত মনে হয়। ফরাসি ভাষার ডাবিং পরীক্ষা করে অনেকে একই রকম অনুভূতি পেয়েছেন বলেই জানিয়েছেন তারা।ইউটিউব কেবল লোকজনের কথাবার্তার ওপর টুলটি ডাবিং করার নমুনা শেয়ার করেছে। দ্রুত বলা কথাবার্তা বা একাধিক ব্যক্তির একসঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে এআই ডাবিং সমস্যায় পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ইউটিউব জানিয়েছে, এখনো এই টুলটি পুরোপুরি তৈরি হয়নি। ধীরে ধীরে এআই টুল আরও উন্নত হবে। ব্যবহার আরও সহজ হবে বলেই মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।এইচএ
৫ মিনিটে জটিল অঙ্কের সমাধান করবে গুগলের উইলো
নেটদুনিয়ার আরো একটা বড় লাফ দিলো গুগল। সংস্থাটি নেক্সট-জেনারেশন কম্পিউটার চিপ তৈরি করল, যার নাম উইলো। ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারায় গুগলের কোয়ান্টাম ল্যাবে তৈরি হয়েছে এই চিপ। অত্যন্ত জটিল অঙ্ক নিমেষের মধ্যে সমাধান করতে সক্ষম উইলো।বিষয়টি জানিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাই। তিনি লিখেছেন, ‘উইলো- আমাদের নতুন স্টেট-অফ-দি-আর্ট কোয়ান্টাম কম্পিউটিং চিপ’। তিনি জানিয়েছেন, একটি বেঞ্চমার্ক পরীক্ষায় উইলো এমন একটি জটিল অঙ্কের সমাধান ৫ মিনিটের কম সময়ে সমাধান করেছে, যেটা যেকোনো সুপার কম্পিউটার সমাধান করতে যে সময় খরচ করত, সেটা ব্রহ্মাণ্ডের বয়সের থেকেও বেশি।বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গুগলের এই সাফল্য প্রযুক্তির দুনিয়ায় সাড়া ফেলবে। কারণ এর ফলে একধাক্কায় অনেকটা এগিয়ে যাবে প্রযুক্তির ভবিষ্যত। এই চিপ ব্যবহার করে আরো শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার তৈরি করা যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানিরা। তবে সেই কম্পিউটার তৈরি করতে এখনবেশ কিছুটা সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।কোয়ান্টাম কম্পিউটার সাধারণ কম্পিউটার বা ল্যাপটপের তুলনায় অনেক আলাদা। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের তত্ত্ব ধরে কাজ করে এটি। খুব সহজ ভাষায় বললে অতি ক্ষুদ্র কণার আচরণের ওপর ভিত্তি করে কাজ করে এই ধরনের কম্পিউটার। অতি দ্রুত কোনো হিসেব বা সমস্যার সমাধানের কাজে ব্যবহৃত হয় এই প্রযুক্তি।গুগলের কোয়ান্টাম এআই ল্যাবের নেতৃত্বে রয়েছে হার্টমুট নেভেন। সেই টিমই তৈরি করেছে উইলো। বিবিসি-কে তিনি জানিয়েছেন, বেশ কিছু প্র্যাকটিক্যাল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য এই চিপ ব্যবহার করা যেতে পারে। এইচএ
হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হলো টাইপিং ইন্ডিকেটার্স ফিচার
জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে হোয়াটসঅ্যাপের। ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন নতুন আকর্ষণীয় ফিচার নিয়ে আসার চেষ্টা করছে মেটা। এবার এক নতুন ফিচার নিয়ে এলো হোয়াটসঅ্যাপনতুন এই ফিচারটি মূলত টাইপিং ইন্ডিকেটার্স। অর্থাৎ ওয়ান-অন-ওয়ান চ্যাট হোক কিংবা গ্রুপ চ্যাট, কেউ টাইপ করতে শুরু করলেই বাকিরা দেখতে পাবেন ৩টি বিন্দুর ‘বাবল’। যা বুঝিয়ে দেবে কে টাইপ করছেন। শুধু তাই নয়, ওই তিনটি বিন্দুর পাশেই দেখা যাবে সেই ইউজারের প্রোফাইল ছবি। আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড, ২ ধরনের ডিভাইসেই এই ফিচার চালু করা হয়েছে। ইউজারদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতেই এই পরিকল্পনা বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষ করে গ্রুপ চ্যাটের ক্ষেত্রে এই ফিচার বিশেষ ফলপ্রসূ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এতে ইউজারদের পক্ষে বোঝা সম্ভব হবে গ্রুপে এই মুহূর্তে কারা অ্যাকটিভ আছেন। ফলে ‘রিয়েল টাইমে’ ভাবনার আদান-প্রদান আরও সহজ হবে।এদিকে হোয়াটসঅ্যাপ এনেছে আর এক ফিচার। যার নাম ‘লিস্টস’। এই ফিচারের সাহায্যে ইউজাররা নিজেদের চ্যাটকে আলাদা করে সাজাতে পারবেন। যেমন ‘পরিবার’, ‘অফিস’ এমনকি ‘প্রতিবেশী’ ইত্যাদি ভাগে ভাগ করে নিলে প্রতিটি গ্রুপই আলাদা স্পেস পাবে। যারা নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপে বহু ইউজারের সঙ্গে চ্যাট করেন তাদের জন্য এই ফিচারটি কাজে দিবে।এইচএ
স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে বাংলাদেশ
মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে মিশর, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে।স্মার্টফোনের মালিকানা এবং মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের দিক থেকে বিশ্বের চারটি অঞ্চলের ১২টি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মধ্যে তালিকার নিচের দিকে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ) চলতি বছরের অক্টোবরে 'দ্য স্টেট অব মোবাইল ইন্টারনেট কানেকটিভিটি ২০২৪' শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার নিম্নমধ্যম আয়ের ১২টি দেশের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে ৪১ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে ২৬ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে শহরে হার ৪৩ শতাংশ এবং গ্রামে ২৭ শতাংশ। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে মিশর, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। শুধু ইথিওপিয়া ও উগান্ডা বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে।দৈনন্দিন ইন্টারনেট ব্যবহারে শহরের হার ৪০ শতাংশ ও গ্রামের ২৪ শতাংশ। তুলনায় ইথিওপিয়া ছাড়া অন্য সব দেশই এগিয়ে।জিএসএমএ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিজিটাল দক্ষতার অভাব বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রধান বাধা। শহরাঞ্চলের ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ এবং গ্রামাঞ্চলের জন্য খরচের বিষয়টি সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উঠে এসেছে।স্মার্টফোনের উচ্চমূল্যও বড় একটি কারণ। শহরের ৮ শতাংশ এবং গ্রামের ১১ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোনের উচ্চমূল্যের কারণে এটি ব্যবহার করতে পারছেন না। এছাড়া, সাক্ষরতার অভাবের কারণে শহরের ২৮ শতাংশ এবং গ্রামের ১৯ শতাংশ মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না।তবে কিছু অগ্রগতি হয়েছে—মোবাইল ইন্টারনেট সম্পর্কে সচেতনতার হার ২০১৯ সালে ৭২ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ৭৫ শতাংশে বেড়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও ব্যবহারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি।এইচএ
ভারতের পতাকা পায়ে মাড়ানোর ভাইরাল ছবিটি বাস্তব নয়: রিউমার স্ক্যানার
সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও ভারতের জাতীয় পতাকার প্রসঙ্গ যুক্ত একটি বিতর্কিত ছবি নিয়ে যে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে, তা মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি বলে ফ্যাক্ট-চেক প্ল্যাটফর্ম রিউমার স্ক্যানার নিশ্চিত করেছে। ছবিটির প্রসঙ্গে বিশেষ করে রিভার্স ইমেজ সার্চ, আলোর প্রতিফলন, এবং অন্যান্য ভিজ্যুয়াল বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে অসংগতি শনাক্ত করা হয়েছে।এই ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে ছড়ানো অপপ্রচার এবং ভুল তথ্যের একটি উদাহরণ। রিউমার স্ক্যানারের মতে, ছবিটির বিকৃতি চিহ্নিত করা গেছে যেমন:ডান পায়ের আঙুলের অস্বাভাবিকতা: ছবিতে থাকা ব্যক্তির ডান পায়ের আঙুল অর্ধেক দেখা গেছে, যা এআই-জেনারেটেড ছবির ক্ষেত্রে সাধারণ।পতাকার ভাঁজ ও অঙ্গভঙ্গি: বাংলাদেশের পতাকার লাল বৃত্ত এবং পরিধানের কাপড়ের ভাঁজও বাস্তবসম্মত নয়।আলোর ছায়া ও প্রতিফলন: ছবিতে আলোর ছায়া এবং ব্যক্তির চোখের অভিব্যক্তি প্রকৃত ঘটনার তুলনায় অপ্রাকৃত মনে হয়েছে।এছাড়া, বিভিন্ন এআই শনাক্তকরণ টুল এবং ডিপফেক শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম ট্রুমিডিয়া নিশ্চিত করেছে যে ছবিটি ম্যানিপুলেটেড এবং বাস্তব কোনো ঘটনার প্রমাণ নয়।এসএফ
ইনস্টাগ্রামে ‘রিসেট’ টুল আনছে মেটা
ইনইস্টাগ্রাম হলো ছবি এবং ভিডিও শেয়ারিং সামাজিক নেটওয়ার্কিং পরিষেবা। এবার ব্যবহারকারীদের জন্য ‘রিসেট’ টুল আনছে ইনস্টাগ্রাম। যেখানে অ্যাপটির রেকমেন্ডেশন পুরোপুরিভাবে রিসেট করার সুযোগ মিলবে। সম্প্রতি এমন সুখবর দিয়েছে মেটা মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।নিজেদের রিকমেন্ডেশনে যা দেখছেন, অনেক সময় তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন না ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা। তাই এ সমস্যার কারণে তাদের সেই মুশকিল আসান হতে চলেছে মেটা। কারণ ব্যবহারকারীরা শিগগিরই রিসেট বাটনে চাপ দিতে পারবেন। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অ্যাপের এক্সপ্লোর, রিলস ও ফিড সেকশনে প্রদর্শিত কনটেন্ট ক্লিয়ার করে রিফ্রেশ করে দিতে পারবেন।মেটা জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের রিকমেন্ডেশনগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পার্সোনালাইজ হতে শুরু করবে। আর কেমন কনটেন্ট তারা দেখেন এবং কেমন ধরনের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তারা আলাপচারিতা করেন, তার ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের নতুন কনটেন্ট দেখানো হবে।মেটা আরো জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রামের নতুন রিসেট ফিচারটি নিয়ে আপাতত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীদের জন্য শিগগিরই এই ফিচার রোলআউট করা হবে। কন্টেন্ট রিকমেন্ডেশন রিসেট করার জন্য সেটিংস অ্যান্ডজিটিতে যেতে হবে। এরপর কনটেন্ট প্রিফারেন্স দিতে হবে। এবার রিসেট সাজেস্টেড কনটেন্টে ক্লিক করতে হবে।রিসেটিংয়ের সময় ব্যবহারকারীরা সেই অ্যাকাউন্ট দেখতেই সক্ষম হবেন, যেগুলো তারা ফলো করছেন। এর ফলে ব্যবহারকারীরা এমন অ্যাকাউন্টকে আনফলো করে দিতে পারেন, যেগুলো থেকে শেয়ার হওয়া কনটেন্ট তারা পছন্দ করেন না।এইচএ
আইন-আদালত
সব দেখুন
জুলাই-আগস্টে হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়, স্বীকারোক্তি পলকের
গত জুলাই-আগস্টে ইন্টারনেট বন্ধ কোনো দুর্ঘটনা ছিল না, বরং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয় বলে জানিয়েছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) জিজ্ঞাসাবাদে পলক এ তথ্য দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। ইন্টারনেট বন্ধের এ নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।এছাড়া ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্যই বিচারের বৈধতা নিয়ে সাবেক সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল আহসান প্রশ্ন তুলেছেন বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।এছাড়া ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্যই বিচারের বৈধতা নিয়ে সাবেক সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল আহসান প্রশ্ন তুলেছেন বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর। তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচারে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।জুলাই গণহত্যায় বিভিন্ন মামলায় সাবেক এসপি আব্দুল্লাহেল কাফি ২৬ ডিসেম্বর, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলামকে ২৫ ডিসেম্বর ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ৩০ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।এসএফ
প্রবাস
সব দেখুন
সৌদি প্রবাসীদের উদ্দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের সতর্কবার্তা
সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনলাইন প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে সৌদিআরবে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এই সতর্কবার্তা জারি করেন ।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,সম্প্রতি বেশ কিছু ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন, বিভিন্ন সার্টিফিকেট ও দূতাবাসের সেবার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণের বিষয়ে ভুয়া বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এসব প্ল্যাটফর্মে প্রতারণামূলক চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের ফাঁদ পাতা পেতে সাধারণ প্রবাসীদের নিকট হতে অর্থ আত্মসাৎ করছে একদল অসাধু মহল ।বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে, এসব ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের কোনো ধরনের যোগসাজশ বা সংশ্লিষ্টতা নেই, এদের থেকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। প্রবাসীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এমন প্রলোভনমূলক প্রচারণায় বিশ্বাস করে কোনো আর্থিক লেনদেনে জড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও দূতাবাসের সেবার জন্য অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং নির্ধারিত মাধ্যমগুলোতে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে ।বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনো প্রবাসী সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যার সম্মুখীন হলে সরাসরি বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিশিয়াল চ্যানেল বা হটলাইনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে ।এফএস
লাইফস্টাইল
সব দেখুন
শীতে নিস্তেজ ত্বক সুস্থ রাখবে অ্যালোভেরা জেল
শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। ত্বকে দেখা দেয় নানান সমস্যা। আর ত্বকের সমস্যা কম-বেশি প্রায় সকলেরই রয়েছে। শীতকালে কম পানি পান ও ধুলাবালুতে ত্বক শুষ্ক হয়। আমাদের একেক জনের ত্বকের প্রকৃতি একেক রকমের। কারও ত্বক তৈলাক্ত, তো কারও শুষ্ক। কারও ত্বক আবার অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের সমস্যা বেড়েই চলেছে। শুষ্ক, নিস্তেজ ও রুক্ষ ত্বকে প্রাণ এনে দিতে সক্ষম তাজা অ্যালোভেরা জেল। এমনকী স্পর্শকাতর ত্বকেও কোনও সমস্যা তৈরি করে না অ্যালোভেরা জেল।ত্বকের জন্য উপযোগী নয়, এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। শীতের পোশাকে থাকা বিভিন্ন উপাদান ত্বক শুষ্ক করতে ভূমিকা রাখে। পরিবর্তিত এ সময়টাতে তাই ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। ।শীতকালে আর কী কারণে ত্বকে অ্যালোভেরা জেল মাখবেন, জেনে নিন—ব্রণ দূর করে: নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল মাখলে ব্রণর সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন। এই প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে স্যালিসিলিক অ্যাসিড রয়েছে। এটি ব্রণ দূর করে। এ ছাড়া অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এটি ব্রণর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ব্রণর ফোলা ভাব, ব্যথা, লালচে ভাবও এড়াতে পারবেন।ক্ষত নিরাময় করে: ত্বকের যে কোনও ছোট কাটাছেঁড়ার ওপর অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে। এমনকী রোদে পোড়া ক্ষতও সারিয়ে তোলে অ্যালোভেরা জেল।ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়: অ্যালোভেরার মধ্যে ভিটামিন ই রয়েছে, যা ত্বকের জন্য অপরিহার্য। শীতকালে ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। নিয়মিত মুখে অ্যালোভেরা জেল মাখলে ত্বক নরম ও কোমল হয়ে ওঠে। এড়ানো যায় শুষ্ক ত্বকের সমস্যা। ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখায়। শীতকালে অ্যালোভেরা জেল না মাখলেও এমন ক্রিম মাখুন যার মধ্যে অ্যালোভেরার নির্যাস রয়েছে।অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে: অ্যালোভেরার মধ্যে ভিটামিন সি ও ই রয়েছে, যা ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং ত্বককে অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে মুক্তি দেয়। অ্যালোভেরা জেল ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে এবং আর্দ্রতাও জোগায়। ত্বকের বয়স ধরে রাখতে অ্যালোভেরা জেল মাখুন।ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে: শুষ্ক ত্বকে একজিমা, সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা খুব কমন। এ সব সমস্যা শীতকালে এড়াতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, উপাদান রয়েছে, যা ত্বককে ফাঙ্গাল ও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের হাত থেকে মুক্তি দেয়। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে শীতকালে ত্বক সুরক্ষিত থাকবে।এইচএ